এইরকম দেখিনি আগে। টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যাচ্ছে। হা হা হা।
উদিকে দ্বিতীয় কলকাতার রাণীমার ঘরে আগুন লাগলো আর আপনারা ডিম, পোস্ত, সিপিএম , মিঠুন এসব নিয়েই ব্যস্ত। ধিক ।
র্যামসে সায়েবের খানা একবার চেখে দেখেছি, কিন্তু কেন জানিনা সেরকম ভাল্লাগেনি। রেস্টুরেন্টের সার্ভিস অসাধারন ছিলো, কিন্তু খাবার অতোটা না।
র্যামসে সায়েব ভালোই কিন্তু কিরম মায়াদয়াহীন ভাবে রান্না করেন। এই ঝড়াং করে চিকেন ঢেলে দিলেন, ছ্যারছ্যার করে তেল মশলা ঢেলে দিলেন, খচাখচ চাট্টি পার্সলে, কিরম য্যানো লাগে।
বিফ রেনডাঙ খুবই ভাল জিনিষ। মতলব আছে দিলীপ ঘোষকে ধরে একদিন খাইয়ে দেব। ভাবীর শেষ মন্তব্যটি অসা। মেন লাইক টু বি বসড অ্যারাউন্ড।
ইউটিউবে গিয়ে ঐ আন্টির ভিডিওর তলায় কমেন্টগুলোও পড়বেন :)
বং ইটসের উল্টোদিকে ডিডিদার রেসিপি। "ছ্যারছেরিয়ে ওরিগানো ঢেলে দিন। বং ইটস দেখতে ভাল, ডিডিদাদা রাঁধতে ভাল।
আন্দাজমতো মশলার কথা যখন উঠলোই, তখন এটা দেখুন, গর্ডন র্যামসেকে এক মালয়েশিয়ান আন্টির রেসিপি পরামর্শ :-)
বং ইটসের রেসিপি প্রায় নো ফেল রেসিপি। ঐসব ওজন ইত্যাদি ছোটবেলা থেকে 'আন্দাজমত দিতে হবে'শুনে শুনে আর দিয়ে দিয়ে রান্না করে থাকলে গায়ে লাগে না। নিজের মত কাস্টমাইজড করে নেওয়াই যায়।
আরে না। তখন উন্নততর রান্নার খোঁজ করবে লোকজন। কুকিং স্কুলে ভিডিওগ্রাফি পড়ানো হবে। আর আমার মত অলস লোক চারবেলা চর্ব্য চোষ্য খাবে।
ছি ছি ছি। এরকম হলে সিরিয়াস রান্নাবান্না চর্চার কিহবে। বিশেষ করে কুলিনারি আর্টের ফোড়ন, পোস্ত বাটা, এবং বিবিধ ডিম সংক্রান্ত দুনিয়াদারি যে বালকোচিত হয়ে পড়বে। হায়।
হবে হবে। তখন লোকে রোটিম্যাটিক ফেরত দিয়ে নতুন জিনিস কিনবে।
তেমন দিন কি হবে তারা? বসার ঘরে ভিডিও চালিয়ে দিলে রান্নাঘরে রান্না হয়ে যাবে।
আপনারা বোঝেন না, বং ইটস আসলে সিউডো কোড লিখে দেয়। আর কদিন পরে অ্যাপেলের আইকুক ডিভাইস এলেই তাতে বং ইটসের ভিডিও চালিয়ে দেবেন, খাবার রান্না হয়ে যাবে।
বং ইটস একমাত্র জায়গা যেখানে টলারেন্স মেপে রান্না হয়। ভার্নিয়ের ক্যালিপার্স লাগে।
আর আমি রান্নায় তেরোটা গোলমরিচ দিতে বললেই আপনারা তেড়ে আসেন। সেটা তো ডিমের ওমলেটে আশি গ্রাম আলু সেদ্ধ দেওয়ার চেয়ে সহজ।
কবি স্লাইডার নিয়ে রান্নাঘরে সেঁদোচ্ছেন ক্যানো।
বং ইটসের পাল্লায় পড়েই বোধহয় তিমি রান্নাঘরে একটা স্লাইড ক্যালিপার আর একটা ডিজিটাল দাঁড়িপাল্লা রেখেছে।
বেশ বেশ, ইগনোর করাই ভালো।
সকালেই আলোচনা হচ্ছিল। এই হপ্তায় দেবে
"কমিউনিস্ট পার্টির প্রোগ্রাম, দ্বন্দ্ব, রণনীতি রণকৌশল"
শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয় ফিরে আয়
@টি
না ভাইটি। সব ব্যাপারে সিপিএমের কথা কেন বলব? শুধু সিপিএমের কথার প্রসঙ্গে বলেছি। ফের আয়না দেখ।
টিবাবু 1 থেকে 7 মার্চ অব্দি 46 বার রাজনৈতিক পোস্ট করিয়াছেন, আমি 7 বার। কিন্ত আমি তোমাকে কোন পরিবত্তোন করতে বলিনি। কারণ তোমাকে ঠিক সিরিয়াস বাম রাজনীতি চর্চার লোক মনে করি না। বিশেষ করে কমিউনিস্ট পার্টির প্রোগ্রাম, দ্বন্দ্ব, রণনীতি রণকৌশল নিয়ে বালকোচিত বক্তব্য শোনার পর।
আমি তো তোমার পোস্ট ইগনোর করছি। ভাল হয় যদি তুমিও আমাকে ইগনোর কর।
কী যে বললেন, আবারো বুঝলাম না।
আমারই পোস্ট তুলে দিয়ে কী প্রমাণ করতে চেয়েছেন কিছুই বোঝা গেল না।
আপনি বলেছিলেন সর্বত্র রান্নাবান্না নিয়ে হ্যাটা দেওয়া আর তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাই দস্তুর যা দেখে আপনার বমি পায়, তা তাতেই বললাম, সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বত্র তা একেবারেই নয়, বরং আজকাল উল্টোটাও মনে হয়।
খুবই বেশী ভিউয়ারশিপ লাইক এনগেজমেন্ট রান্নাবান্না সংক্রান্ত পোস্টেই হতে দেখা যায়, এটা তো তথ্য।
কালিনারী আর্ট,তাই নিয়ে সাহিত্যও খুবই ইন থিং।
আবার এই সবের মধ্যেই কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনিসের ওভারগ্লোরিফিকেশনও হয় বলে মনে করি তো বলেইছি। কোন শব্দবন্ধে বোল্ড আন্ডারলাইন করা, দেখেছেন নিশ্চয়।
ওভারগ্লোরিফিকেশন একটি আপেক্ষিক ধারণা ভেবে তর্কের আওতা থেকে বাইরেও রাখা যেতে পারে। কিন্তু ওই মায়ের হাতের রান্না ,মেয়েদের রান্নাবান্না এই নিয়ে ওভারগ্লোরিফিকেশন করে মেয়েদের ,মায়েদের কেবল এই ভূমিকাতেই বেঁধে রাখার,সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা যে হয়েছে ,সে কথাও মিথ্যা হয়ে যায়না।
এই পাতাতেও লোকে হ্যাটা করে চলেন, এমনটি মোটেও নয়, বরং বহু লোকেই এসব খুবই এনজয় করেন, এনগেজ করেন। এর মধ্যে পুরুষেরাও আছেন। ঘরের রান্নার কাজে পুরুষেরা একেবারে সমান তালে এগিয়ে আসছেন, এমন কোন বক্তব্য ছিলনা।
সর্বত্র রান্নাবান্না দুয়ো পায়, আপনার এই পর্যবেক্ষণটি বা ধারণাটি পুরো ঠিক নয় বা অসম্পূর্ণ, এটুকুই বলার ছিল।
দেশী রান্নার চ্যানেলের মধ্যে বং ইটস বেশ লাগে।
পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র রামকৃষ্ণ মিশন অসাম্প্রদায়িক দল। ওনারা ভোটে দাঁড়ালে ভাল হবে মনে হয়।
আমি য়ুটুবে প্রধানত তিনটে জিনিষ দেখিঃ রান্না, ঘোরা, আর ক্রেগ ফার্গুসন।
রান্নার চ্যানেলগুলো দেখতে ভয়ানক ভাল্লাগেঃ বিঞ্জিং উইথ ব্যাবিশ, টেস্টি, আলমাজানস কিচেন, ফুড ইনসাইডার, আর বেশ কয়েকটা এ এস এম আর চ্যানেল। আর স্ট্রিট ফুড চ্যানেল, বিশেষ করে জাপনি, কোরিয়ান, আর ইটালিয়ান স্ট্রিট ফুড।
আর ঘোরার চ্যানেল দেখতেও ভাল্লাগেঃ লস্ট লেব্লঙ্ক, স্যাম চুই, আরও কয়েকটা।
ক্রেগ ফার্গুসন সম্বন্ধে আর কি বা বলবো। এই ভদ্রলোকের উইক আর রেপার্টি লেজেন্ডারি লেভেলের।
আমার স্ট্রীট ফুড , ভিলেজ কুকিং, তার পরে আর্টিজানাল ফুড মেকিং ইত্যাদি ভিডিও দেখতে হেবি লাগে। সময় পেলেই মিট শো দেখি বা আর্বান হিস্টোরি র অংশ হিসেবে। অ্যান্থোনি বোর্ডেইন, ফুড ইনসাইডার, দ্য মীট শো, টি এল সি, ইত্যাদি দেখে এক সময় বহু সময় কাটিয়েছি।
শেফ দের শো ব কম্পিটিশন , আর হোম কুকিং ভালো লাগে না খুব একটা। অর্থাৎ আমি টেকনিকে না, এমনকি রান্না টাতেও না, ইউনিক মানবিক ইতিহাসটায় ইন্টারেস্টেড। মালুর যে ফুড পাথ বলে কলাম ট বেরোতো, ওটা ভালো লাগতো, কারণ রান্না থেকে সাবেকী ঐতিহ্য অথবা ফাইন ডাইনিং দুটি ই সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে খাবার কে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের গল্প বলাটা ভালো লাগতো। সেই কলেজ স্ট্রীটের প্যাটিস ওয়ালা, বনগাঁর মিষ্টি মাসি, বারুইপুরের রোলের দোকান, এইট বির বিরিয়ানি র দোকান, ঢাকার ঈদের নেমন্তন্ন ভোলা অসম্ভব। কেন বই করলো না জানি না।
রান্না খাওয়া ইজ আ গুড টপিক।
@রঞ্জনদা,
সব ব্যাপারেই আগে শিপিয়েম খেস্তানোর কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলাম। একটু ভেরিয়েশন আনুন এইবার।
কী যে বলেন! | 2409:4065:283:9ce6:1fc:135c:1321:e0be | ০৫ মার্চ ২০২১ ০৯:১৯474336
ধুর অত কিছুও নয়। সোশাল মিডিয়াতে বরং বহু ক্ষেত্রে রান্নাবান্নার ওভারগ্লোরিফিকেশনই হয়!
রান্নাবান্নার পোস্ট করে দেখুন, সবচাইতে বেশী এনগেজমেন্ট, হু হা লাইক, হুলিয়ে মন্তব্য। রান্নাবান্নার গ্রুপগুলোও চলে সবচাইতেবেশী রমরমিয়ে, ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। কোথায় লাগে পলিটিক্সের গ্রুপের এক্টিভিটি ! এমনকি কোয়ারান্টাইনেও বাঘা বাঘাবিপ্লবীরা কোয়ারান্টাইন কুকিং, লকডাউন রান্নাবান্না, এ জাতীয় গাদা গাদা গ্রুপ খুলে দিবারাত্র গাদা গাদা পোস্ট করে গেছেন! এখন তো ফুডিজ হওয়া খুবই ইন থিং, বিশেষ করে শহরে। ফুড ওয়াক, পর্ক আডিক্ট গ্রুপ, বিফ আডিক্ট গ্রুপ হেব্বি কেতের।সেসব করে ছবি সাঁটিয়ে, নিজেদের দেওয়াল, গ্রুপের দেওয়াল লোকে ভরিয়ে দিচ্ছে, কোথায় যে আপনারা রান্না নিয়ে হ্যাটা পান !
ফেসবুক ইন্সটা এসে বরং রান্নাবান্না করে কি রেস্তুরেন্টে গিয়ে খাবারদাবারের ছবি চিপকানো ট্রেন্ডিং ব্যাপার হয়েছে, তার আগেলোকে এসব তেমন ভাবতেও পারত না! ফুড ব্লগিং চলত অল্পসল্প।
ইউটিউবে দেখুন, কিছু একটা রান্না করে তুলে দেওয়া চ্যানেল, তার ভিউয়ারশিপ দেখুন মশায়, ভিউয়ারশিপ দেখুন। আরএরকম চ্যানেলের সংখ্যাও দেখুন, লাখে লাখে। তাদের বেশীরভাগের আবার লাখে লাখ ভিউ, হাজারে হাজারে লাইক, কাতারেকাতারে মন্তব্য!
টিভিতেও দেখুন, রান্নাবান্নার শো কেমনি পপুলার। বিজ্ঞাপন, সিরিয়াল, সিনেমা কোথায় আর রান্নাবান্নাকে হ্যাটা করেছে, বরংমেয়েদের কাজ হিসেবে বিশেষ করে বেশ বেশ গ্লোরিফায়েড, কখনো ওভারগ্লোরিফায়েড ! এখনো ছেলেদের রান্নাবান্নাও ট্রেন্ডিংহচ্ছে। আমাদের আবীরহিরো সানরাইজের মাস্টারশেফ। অবশ্য মাস্টারশেফরা তো প্রায় বরাবরই পুরুষমাস্টারই!
এদিক ওদিক একদুই লাইন হ্যাটা খিল্লি শুনলে অত শহীদ মোডে যাবেন না, সোশাল মিডিয়া এসে এসবের স্বর্ণযুগই চলছে বলাচলে। এরপর প্লাটিনাম টামও আসতে পারে।
কী যে বলেন! | 2409:4065:283:9ce6:1fc:135c:1321:e0be | ০৫ মার্চ ২০২১ ১১:০২474346
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( যেখানে আপনারা রান্না নিয়ে কেবলি হ্যাটা খুঁজে পান) বিবিধ রান্নার দেওয়ালবা গ্রুপপোস্টে প্রচুর আগ্রহ নিয়ে অংশ নেন মানেই ঐতিহাসিকভাবে নারী পুরুষ রান্না করে আসছেন বলা হল, এ আবারকেমনবিধ কুযুক্তি?
তবে কেকে যে কুলিনারী আর্টের কথা বলছেন, সে আর্টের কদর তো দিনে দিনে বাড়ছে। আর সবকিছুই সেই আর্টেরপর্যায়ভুক্ত হবেই বা কেন? ওই সকলেই কবি নয়ের মতই...
পাস্তাভাজা কি পোস্তভাত নিয়ে ভাটকেও কুলিনারী আর্টচর্চা বলে গণ্য করতে হবে কেন? মানে ক্ষেত্রবিশেষে সে হতেইপারে, কিন্তু লঘু, হাল্কাচালের আড্ডা ভাটকে আড্ডা, ভাট না বলে শিল্পচর্চাসমালোচনাই বা বলতে হবে কেন। কেকেবলতে বলছেন বলছিনা, কিন্তু একটু ধন্দ রহিয়া গেল।
আমি কী বুঝেছি সেটা আমাকে বোঝাতে গিয়ে আপনাকে আবার কষ্ট করে একটা বড় পোস্ট করতে হলো- এই যে 'রান্নাবান্নারওভারগ্লোরিফিকেশান' আপনার পোস্টে আছে।আর তার সপক্ষে আপনার বক্তব্যটাও আরেকবার দিয়ে দিলাম।
ভাটে কী নিয়ে আলোচনা হবে বা তার কোনও মাপকাঠি আছে কিনা সেটা আমার জিজ্ঞাসা ছিলো। আপনি যদি বিশেষ কিছুজেনে থাকেন তবে সেটা জানাতে বলেছি।বোঝা গেল আপনি জানেন না। মিটে গেল।
রান্নাবান্নার 'ওভারগ্লোরিফিকেশান'এর কথা আপনি লিখেছেন। আর তার স্বপক্ষে বিরাট যুক্তি আপনি দিয়েছেন।
ভাটে কী নিয়ে আলোচনা হবে এবং কে কোন লেখার প্রশংসা/ সমালোচনা করবে সেটা ঠিক করে দেবার কোনও মাপকাঠি আছে বলে তো জানি না, আপনি জানেন? জানলে জানাবেন কেমন?