ট্যুইটার/ফেসবুক ব্যান করতেই পারে, যাকে খুশি ব্যান করতে পারে, সেই ব্যান পছন্দ না হলে লোকে ওদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকতে পারে।
ট্রাম্প ও নিজেও ট্রাম্প-ডট-কম বা কোনো একটা সাইট বানিয়ে নিজে যা লেখার সেখানে লিখতেই পারে, তার ফলোয়ারা সেসব ফলো করতেই পারে।
এর সঙ্গে ফ্রিডম অফ স্পিচ, বা, স্পিচ ব্লক -- এসব কিছু নেই।
s: "টুইটার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও টুইটার একটি মতামত জানানোর মাধ্যম। তাই তারা যাকে খুশি ব্যান করতে পারে না। মানে টুইটার বলতে পারে না আমার চামড়ার রং কালো হলে আমি টুইট করতে পারবো না।"
আপনি আইন আর মরালিটি গুলিয়ে ফেলেছেন। নীতিগতভাবে করতে পারেনা ঠিকই, আইনগত কোন বাধা নেই। আমার প্ল্যাটফর্ম, আমি যাকে ইচ্ছে ব্যবহার করতে দেব, তাতে কারো কিছু বলার নেই। বিশেষ করে যখন ফেডারেটেড সিস্টেমের ব্যবস্থাও আছে, যেখানে যে কেউ নিজের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে পারে, যেমন ম্যাস্টোডন।
"প্রেসিডেন্ট পাগল ছাগল যাই হোক, তাকে ব্লক করা মানে আমেরিকার স্পিচকে ব্লক করা। এটা বেআইনি হওয়া উচিৎ।"
কখনো বেআইনি নয়।
সোস্যাল মিডিয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম মানে স্পিচ নয়। ট্রাম্প চাইলে প্রেস কনফারেনস ডাকতে পারেন, ব্লগ লিখতে পারেন, চিঠি লিখতে পারেন, নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।
"আর এতদিন করেনি তার কারণ ট্রাম্প ডিউলি ইলেক্টেড প্রেসিডেন্ট, আমি তাকে সাপোর্ট করি চাই না "
এ কথাটার মানে কি? গতকাল অবধি ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, অন্তত ইমপিচ বা ২৫ এমেনডমেনট, যে দুটোর কোনটাই হয়ত হবে না, না হলে ১৯ তারিখ অবধি তিনিই প্রেসিডেন্ট থাকছেন।
থিওরাইজিঙ
এমনিই দিলাম - এখানঃ লেখিকা কয়েকজনের মতামত আলাপ করছেন
একই প্রসঙ্গে আরো জটিল ও কুটিল তত্ত্বের আলাপ করেছেন
ওনার আস্ত বইটাই এ প্রসঙ্গে
Security footage released Friday shows protesters entering the Oregon Capitol last month after a Republican state legislator allegedly opened a side door and walked out.
অ্যাকচুয়ালি করতে পারে। রাইট টু সার্ভিস টুইটার, মানে সার্ভিস প্রোভাইডারের, কাছেই থাকে। আনলাইক গায়ের রং, পলিটিকাল অ্যাফিলিয়েশান প্রোটেক্টেড ক্যাটিগরি নয়।
টুইটার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও টুইটার একটি মতামত জানানোর মাধ্যম। তাই তারা যাকে খুশি ব্যান করতে পারে না। মানে টুইটার বলতে পারে না আমার চামড়ার রং কালো হলে আমি টুইট করতে পারবো না। আর এতদিন করেনি তার কারণ ট্রাম্প ডিউলি ইলেক্টেড প্রেসিডেন্ট, আমি তাকে সাপোর্ট করি চাই না করি। প্রেসিডেন্ট পাগল ছাগল যাই হোক, তাকে ব্লক করা মানে আমেরিকার স্পিচকে ব্লক করা। এটা বেআইনি হওয়া উচিৎ।
ব্যবসায়িক কারণেই করেনি। এখনও ব্যবসায়িক কারণেই করেছে।
ট্রাম্প যদি নিজের সাইট খুলে পোবোন্দো লিখতেন, তাহলে এই প্রশ্নগুলো উঠত না। টুইটার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তারা কাকে ব্যান করবে পুরোটাই তাদের এক্তিয়ারে।
এরা এতদিন কেন ব্যান করেনি?
ট্রাম্পকে আঙুল দেখিয়ে চাকরি যাওয়া আর ক্যপিটলের ঘ্টনায় চাকরি যাওয়া এক নয়। প্রথমটা ক্রিমিনাল নয় কিন্তু দ্বিতীয়টা অবশ্যই সিডিশাস, ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটি। সেদিন যারা ক্যাপিটলে গিয়েছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেসের কন্সটিউশনাল ডিউটিতে বাধা দেওয়া। এটা সিডিশন বা ইনসারেক্শান। আর কোনো এম্প্লয়ারের পলিসি যদি এরকম হয় যে তারা কোনো ক্রিমিনালকে রাখবে না, তাহলে দোষের কিছু নেই। একটাই ব্যাপার, তাদের চার্জ করা পর্যন্ত ওয়েট করা উচিৎ।
লোকে আবার দেখেছি একই সঙ্গে কনফেডারেট আর আমেরিকার ফ্ল্যাগ ব্যবহার করে। সেই পৃথ্বীরাজের সঙ্গে আলেকজান্ডারের যুদ্ধের মতন ব্যাপার।
এদিকে কাল আমাদের গেরামে একটা পোড়ো মতন দেখতে বাড়ির সামনে দেখলাম গোটা কুড়ি কনফেডারেট ফ্ল্যাগ, বিরাট ট্রাম্প সাইন আর তার সামনে লাইট দপদপ করছে। ভয় লাগল রাতের অন্ধকারে।
এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম, দেখো হুতো গুরুর অন্দরমহল থেকে দেখছে কিন্তু। সাবধান জাগতে রহো।
বিদ্বেষ ছড়ালে অ্যাকাউন্ট ব্লক হবে, এ তো কাঙ্খিতই। আমাদের দেশে আঁখি দাস বিজেপির ট্রোল গুন্ডা ইত্যাদিদের আটকাননি বলে কত নিন্দে হলো।
এবার পাঁচপেঁচি লোক ঘৃণা ছড়ালে তা বেশি খারাপ আর রাষ্ট্রপতি ছড়ালে কম, তা তো হওয়া উচিত না, বরং দ্বিতীয়টার অভিঘাত বেশি।
এবার কথা হলো অসরকারী প্রতিষ্ঠানের এত ক্ষমতা থাকা উচিত কিনা। কিন্তু এতে ক্ষমতার কী আছে? এ তো কোন সরকারী মাধ্যম নয়। অসরকারী সংগঠন তাদের নিজেদের নিয়ম মেনে যা করার করছে। সরকার কেনই বা অসরকারী প্ল্যাটফর্মের ওপর এত নির্ভরশীল হবে? সরকারের নিজের হাজার একটা মাধ্যম আছে নিজের কথা বলার।
ওদিকে, ট্রাম্পের এসব গিবারিশ তো সরকারের বক্তব্যও নয় বোধয়। দেশের প্রধান মামা গাগা কিংবা গুঙ্গা বলবে, আমার সেসব সম্প্রচার করতেই হবে, এ একটু গোলমেলে।
সাধারন মানুষের অ্যাকাউন্ট ব্লক করলে বরং বিচলিত হওয়ার কারন বেশি, কারন তাদের নিজের কথা বলার পরিসর কম।
বিভিন্ন কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে দেখে ক্যাপিটালে যারা সেদিন ছিল তাদের ফায়ার করছে। কিছুদিন আগে একজন মহিলা ট্রাম্পকে মাঝের আঙ্গুল দেখিয়েছিল বলে চাকরি হারিয়েছিল।
ট্রাম্প ইজ গন, লং লিভ দি ট্রাম্পস।
ডিসি,
২০১৬ তে হিলারি কম ভোট পায় নি, ট্রাম্পের থেকে প্রায় ৩০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছিল।
কোভিড ছাড়াও ২০২০ তে ট্রাম্প হারতেই পারত।
এটা ডেঞ্জারাস। কবে গুরু আমাকে ব্লক করে দেবে
হ্যাঁ কিছু আজেবাজে টুইট রিমুভ করেছে বটে। কিন্তু টুইটার যেমন ফ্ল্যাগ করছিল, সেরকম করে গেলেই হত। প্রাইভেট কোম্পানি ব্যান করতেই পারে, সেটা তাদের ডিসিশান। এইসব ব্যান করে লাভের থেকে লোকসান বেশি। আর ওসব অলিগার্কি, বিগ টেক ওসব আমার কিছু মনে হয়না। এদের প্রভাব থেকে দূরে থাকলে এদেরকে অত মহান কিছু মনে হয়না। কিন্তু ফিলসফিকালি কাউকেই ব্যান করাকে সমর্থন করিনা।
কোন ডিউ প্রসেস ছাড়া অ্যাকাউন্ট ব্লক হল। তাতে খুশী হওয়া খুব কঠিন।
পোটাস অ্যাকাউন্ট চলছে কিন্তু কাল ট্রাম্পের করা টুইট দেখা যাচ্ছে না। রিয়েলডোনাল্ড্ট্রাম্প লক করার পর ট্রাম্প পোটাস থেকে টুইট করেছিল। সেসব ব্লক করা হয়েছে। মানে একটা প্রাইভেট কোম্পানি প্রেসিডেন্টের স্পিচ কন্ট্রোল করছে। এটা একটা ডেঞ্জারাস প্রিসিডেন্স।
পোটাস অ্যাকাউন্ট চলছেঃ
https://twitter.com/potus?lang=en
ট্রাম্পের টুইটার ব্লক করা আমি সমর্থন করিনা।
ট্রাম্পের টুইটার ব্লক যারা নিয়ে আমিও কনফ্লিকটেড। একদিকে দেখতে গেলে জাস্টিফায়েড, ভায়োলেন্সের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয়, কোনো প্রাইভেট কোম্পানির এত ক্ষমতা থাকা উচিৎ নয় যে তারা ডিউলি ইকেক্টেড রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্লক করতে পারে। বিশেষ করে পোটাস অ্যাকাউন্ট লক করা তো একেবারেই ওভার দা টপ।
আগেরবার ট্রাম্পের জেতার অনেক কারণ ছিল, যদিও পপুলার ভোট আগেরবারও হেরেছিল। এবারে হারারও অনেক কারণ আছে। একটা হল ভোটার টার্নাউট, বিশেষ করে ব্ল্যাক ভোটার টার্নাউট। সেটা মূলত এবারে ডেমোক্র্যাটদের গ্রাস রুট লেভেলে কাজকর্মের ফল। তাছাড়া মেইল ইন ব্যালট হওয়াতে মাইনরিটি ভোট সাপ্রেস করতে অসুবিধা হয়েছে। এটা অবশ্যই কোরোনার জন্য। ট্রাম্প কোরোনার জন্য হারেনি, কোরোনা মিসম্যানেজ করার জন্য হেরেছে। কিছু সাবার্বান, এল্ডারলি ভোটার হয়তো সড়ে গেছে। কিন্তু সেটা ইলেকটোরাল কলেজে কতটুকু পার্থক্য এনেছে বলা মুশকিল। যেমন নিউ হ্যাম্পশায়ার আগেরবারেও জিতেছিল হিলারি, এবারেও বাইডেণ জিতেছে অনেক বেশি মার্জিনে। ওদিকে ডেমোক্র্যাট ক্যান্ডিডেট দুবারই ফ্লোরিডা হেরেছে।
ট্রাম্প কোনওদিনই ভালো মার্জিনে জিততো না। এবারেও মার্জিনালি জেতার কথাই হচ্ছিলো। যে পাঁচটা স্টেট এবারে ফ্লিপ করেছে, সেগুলোর মধ্যে মিড ওয়েস্টের তিনটে বহুদিন ধরেই ডেমরা পেয়ে আসছিল, গতবার ট্রাম্প পেয়েছিল। ওগুলোতে সবসময়েই ফাইট হত। বাকিদুটো ডেমোগ্রাফিক্স চেন্জ হওয়ার ডিভিডেন্ড। হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্টরা এমনি এমনি ভয় পাচ্ছে নাকি।
এবারের ইলেকশানে ট্রাম্পের অতিরিক্ত ভোটের একটা বড় অংশ এসেছে লিবারেটেরিয়ান ভোট কেটে আর ফ্লোরিডা, সাউথ টেক্সাসের হিস্পানিক ভোট সুইঙ্গ করার জন্য।
এবারে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে তারা বুঝে শুনেই দিয়েছে
একদম ঠিক কথা। ট্রাম্প আর প্রধানসেবককে যারা ভোট দিচ্ছে তারা সব জেনেশুনেই ভোট দিচ্ছে। মানে আমার তাই মনে হয়।
ট্রাম্প অনেক কান্ড করেছে। তার পরেও প্রচুর ভোট পেয়েছে। এবারে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে তারা বুঝে শুনেই দিয়েছে। এদের নিয়ে কী করা হবে?
ট্রাম্প যা করেছে সেগুলো আনডু করা হবে কি? যেমন সুপ্রীম কোর্ট প্যাকিং, বড়লোকের ট্যাক্স কাট এইসব।
ট্রাম্প অনেক কান্ড করেছে। তার পরেও প্রচুর ভোট পেয়েছে। এবারে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে তারা বুঝে শুনেই দিয়েছে। এদের নিয়ে কী করা হবে?
ট্রাম্প যা করেছে সেগুলো আনডু করা হবে কি? যেমন সুপ্রীম কোর্ট প্যাকিং, বড়লোকের ট্যাক্স কাট এইসব।
এলসিএমদা, ট্রাম্পের রেটিং কোনকালেই ভালো ছিলো না, তাও ২০১৬ তে জিতেছিলো আর ২০২০ তে সেকেন্ড হায়েস্ট ভোট পেয়েছে। তার জন্য অনেক এক্সপ্লানেশানও বেরিয়েছে, যেমন স্যাম্প্লিং বায়াস, পার্টিসিপেশান বায়াস ইত্যাদি। আর কোভিড শুরু হওয়ার আগে আমেরিকার ইকোনমিও বেশ ভালো চলছিল। কোভিড না হলে যদ্দুর মনে হয় ট্রাম্প ভালো মার্জিনে জিততো।
ইভেন্টফুল প্রেসিডেন্সি ছিলো, প্রচুর নেগেটিভিটি ছিলো, লোকটা একাধারে খচ্চর আর বোকা পাঁঠা ছিলো, সেক্সিট, রেসিস্ট, আর মিসোজিনিস্ট ছিলো, এসব নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে অয়্যপ্রুভাল রেটিং দিয়ে ট্রাম্পের গ্রাউন্ড লেভেল সাপোর্ট মাপা যাবে না।