সে তো এখনও হয়েছে। চাইনীজ ইন্টারফেয়ারেন্স হয়েছে, রাশা হ্যাক করেছে। তাইলে বাইডেনেরও ইমপিচ হওয়া উচিত।
রাশিয়ান ইন্টারফেয়ারেন্স যে হয়েছিল, সেটা তখনকার সোশাল মিডিয়া, বিশেষ করে নিউজ সাইট আর ইউটিউবের কমেন্ট সেকশান পড়লেই বোঝা যেত। সেই কিসব প্রোফ্রাইল নাম। আর একবার রাশিয়ান ট্রোল বললেই আর কোনও রেসপন্স আসতো না।
ইরাক যুদ্ধে সিআইএ কিন্তু ডিসাইসিভ এভিডেন্স দেয়নি। উল্টে বলেছিল যে আল-কাইডার সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। ডিআইএও তাই কনক্লুড করেছিল। সেসব ইগনোর করেই যাওয়া হয়েছিল। প্রধানত ডিক চেনি, রামসফেল্ড, আর বুশের উত্সাহে। মনে নেই নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই বিখ্যাত অপেড "হোয়াট আই ডিডনট ফাইন্ড ইন আফ্রিকা"। মানে বুশ মিথ্যা বলছে।
ইউএনে কোলিন পাওয়েলের প্রেজেন্টেশান তো দেখেছিলাম। আর খুব মজা পেয়েছিলাম যে এত বাজে প্রেজেন্টেশান তখন আমাদের কোম্পানির টীম মিটিংএও দেওয়া যায় না। কিসব বলে গেলো। একটা ট্রাক অমুক জায়্গায় পাওয়া গেছিল, আবার তমুক জায়্গায়ও দেখা যাচ্ছে। অনেক পরে জেনেছিলাম যে ওটা নাকি আডলাইন স্টিভেনসনের কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের ইউএন প্রেজেন্টেশানের নকলে। পাওয়েল অবশ্য পরে বলেছে যে জানতো না যে ওগুলো সব মিথ্যা।
ঐসময় যে ইরাকের কাছে যে ডাব্লু এমডি নেই সেটা বুঝতে কি এমন বুদ্ধি লাগে জানিনা।
ইলেকশনে রাশিয়ান ইন্টারফিয়ারেন্সের প্রমান যে কি দিয়েছে সেটা বলা শক্ত। সিআইএ ইত্যাদির কসম খেয়ে বলেছে রাশিয়া ইন্টারফিয়ার করেছে। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণ কিছু দেয়নি। দিলে নাকি ন্যাশনাল সিকিউরিটির ক্ষতি হয়ে যাবে। ওরকম কসম আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স সাদ্দাম হোসেনের নিউক্লিয়ার উইপন প্রোগ্রাম নিয়েও খেয়েছিল। অধিকন্তু কলিন পাওয়েল সেটা নিয়ে ইউনাইটেড নেশনসে কি সব দেখিয়েছিল।
লোকে এসব কসম খাওয়া জাস্ট বিশ্বাস করেনি। আর ডেমরা ইকোনোমিক ইস্যু বাদ দিয়ে ঐটা নিয়ে লড়ে গেল।
নেহাত ট্রাম্প খুবই অবনক্সাস। ওটা একটু মুখমিষ্টি কেউ হলে, বা করোনা ডেমদের অবলাইজ না করলে এবারেও জিতত। পরের বার আবার জিতবে।
ক্লিন্টন এর বিরুদ্ধে বার্থার মুভমেন্ট হয় নি, এটুকু ছাড় ওবামা একের পর এক আত্মজীবনী লেখা সত্ত্বেও তাকে দিতে হবে :-)))))) এটা সাদা হেজেমনির সংগে সিম্প্যাথাইজ করলে আমরা কি করে বুঝবো। প্রোফেসনাল ইমিগ্রান্ট দের সমস্যা হল, নিজে কালো না হলে, সাদা মিডল ক্লাস, সাদা ওয়ার্কিং ক্লাস এর ভিউ তে দুনিয়া ভরা সেটাই গ্রহণযোগ্য মনে হবে। তাদের পেইন কেই একমাত্র ভ্যালিড পেইন মনে হবে।
ওবামা নিও লিবেরাল না হলে ডেম দের মধ্যে পাত্তা পেত না। ইন ফ্যাক্ট জেসি জ্যাকসন দের, আল শার্প্টন দের সংগে ওদের পার্থক্যটা ওটাই মেন, সিভিল রাইট্স er পরের জেনারেশন, অ্যাসপিরেশনাল লিংগো তে কথা বলে এবং সাদা হেজেমনিস্ট দের কমফর্ট দেয়, আহা সব ই তো ইকুয়াল হয়েই গেছে, বিয়ন্ড রেসিজম ইত্যাদি। ২০০৪ এর শিকাগো অ্যাড্রেস এর ও এটাই মূল কথা তবে পোস্ট পাবার আগের বক্তৃতায় যেটা ইন্সপিরেশনাল, ইকোনোমিক , রেশিয়াল জাস্টিস না হলে , কেবলি লিপ সার্ভিস হলে, প্যাঁক খাবে কিসু করার নেই। আকা প্যাংক দিয়েছে ভালৈ করেছে।
বাব্বা! আত্মজীবনীমূলক বই ছাপানোর জন্য যারা আলাদা প্রকাশনা খুলে সারাদিন প্রতিপক্ষ সাইটে তীক্ষ্ণ নজর রেখে বসে থাকে তাদের আবার বিশাল গায়ে লেগে গেছে। কাঠালপাতা খেলে আবার অমর শুনলেই মিত্র, মিত্র শুনলেই সৌমিত্র, সেখান থেকে চাটুজ্জে, থেকে শরৎ, থেকে ঋতু, থেকে গুহ, থেকে বুদ্ধদেব থেকে বোধিসত্ত্ব-এ ফিরে আসতে বেশি সময় লাগবে না।
অমর মিত্রের সাথে গুরুর পেটোয়া যারা ব্লগে জীবনি লিখছে তাদেরও হিসেবে ধরতে হবে। সবাইকে বিদ্রুপ করে ঠুকরে না দিলে আর বিশাল আঁতেল হয় কি করে? @নিননি।
অমর মিত্রের ওপোরে এত রাগ কেন ভোঁদিবাউর? নিজের ত কারণে অকারণে বিলেত আমরিকা শান্তিনিকেতনের স্মৃতির গ্যাঁজলা ওঠে।
ইমপিচমেন্ট তো প্রথম থেকেই অ্যাবিউজ অব পাওয়ার আর অবস্ট্রাকশান অব জাস্টিস দিয়েই শুরু হয়েছিল। ট্রাম্প অস্ত্র দেওয়ার বদলে ইউক্রেনকে বলে বাইডেনের বিরুদ্ধে ইনভেস্টিগেশন করতে। আর অবস্ট্রাকশান অব জাস্টিস তো বটেই কারণ কঙ্গ্রেসের ইস্যু করা বেশ কিছু সাবপিনা ইগনোর করা হয় একজিকিউটিভ প্রিভিলেজ দেখিয়ে।
রাশিয়ান ইনভেস্টিগেশান নিয়ে স্পেশাল কাউনসেল মুলার ইনকনক্লুসিভ রিপোর্ট দেয়। যদিও রাশিয়া আর ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের মধ্যে অনেকগুলো লিন্ক পাওয়া গেছিল। কিন্তু সেসব ইগনোর করে এজি বিল বার ডিক্লেয়ার করে দেয় যে ইনভেস্টিগেশনে কিছু পাওয়া যায়নি আর রিপোর্টে ট্রাম্পকে নির্দোষ ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। কিন্তু মুলার কাউনসেলের কিছু লোকজন পেসের কাছে লীক করে যে রিপোর্টে মোটেও এরকম লেখা নেই। এর পরে হাউস বিল বারকে সাবপিনা জারি করে আদেশ দেয় আনরিডাক্টেড রিপোর্ট জমা দিতে। এই সাবপিনা ইগনোর করা হয় এগজিকিউটিভ প্রিভিলেজ দেখিয়ে।
কিন্তু তারসাথে ট্রাম্পের কোন কানেকশন কেউ প্রমাণ করতে পারে নি। শেষে ইমপিচমেন্ট হয়ে দাঁড়াল - অবস্ট্রাকশন অফ জাস্টিস।
কিন্তু রাশান ইন্টারফেয়ারেন্সের প্রমাণ তো এফবিআই, সিআইএ, এনেসে সবাই দিয়েছে। কঙ্গ্রেসে আন্ডার ওথ কনফার্ম করেছে।
আজকে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট হচ্ছে। এসব নিয়ে আগে লোকে খোঁজই রাখতো না। এবারে ট্রাম্পের কারণে রাখতে হচ্ছে। টিভি চ্যানেল খুললে দারুন চলবে। সারাদিন একে তাকে নেম কলিং, ডাহা মিথ্যা কথা, ডেন্জারাস কনস্পিরেসি থিয়োরি, এমনকি ফিজিকাল থ্রেট এইসব দিয়েই একদল লোককে ভালই মাতিয়ে রাখবে।
তাইই, ট্রাম্প ঠিকই করেছে নিজের জায়গা করে নিয়েছে, অন্য কেউ নিজের জায়গা করে নেবে। আমাদের সাথে খেলত ল্যাবেঞ্চুস, আর বল করত হাফভলিতে, তো ছক্কা হাঁকালে রেগে ব্যাট নিয়ে চলে যেত। ব্যাটটা ওর ছিল। ডেমদের তো ব্যাটও নেই, আবার কাঁদুনি গাইবে, রাশান ইন্টারফেয়ারের গপ্পো বাঁধবে।
ওবামা অ্যান্ড কোং হল মডিফায়েড ক্লিন্টন।
বারনি ট্রাম্প আরও খারাপ ট্রাম্প ইত্যাদি বিষয়ে ভুবনের ভার নেবেন না। দোয়াত কলাম কিনুন আত্মজীবনী লিখুন। হুতো কে বলুন ছবি একে আপনার এই অভাবনীয় আত্মপ্রকাশকে অমর করে রাখবে।
পরের ইলেকশনে ট্রাম্প বা তার চেয়েও খারাপ কেউ আসবে। পলিটিক্সে নিজের জায়গা করে নিতে হয়। এটাও তাই হবে।
রেগে আর কি হবে?
বাইডেণ ওবামার ভীপ। এবারেও ওবামার এন্ডর্সমেন্ট নিয়েই জিততে হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশান আর ক্যাবিনেটে প্রচুর ওবামা অ্যাডমিনিস্ট্রেশান আর ক্যাবিনেটের লোকজন থাকবে। এটা সব পার্টির সব হোয়াইট হাউসের ক্ষেত্রেই হয়। লোকে সেসব বুঝেই ভোট দিয়েছে। অনেকেই ইয়ার্নিং ফর দ্য রিটার্ণ অব ওবামা ইয়ার্স। তবে আমার মনে হয়েছে বাইডেণ অনেক বেশি বুদ্ধিমান, পলিটিকালি অনেক বেশি শ্রুড, ওবামার থেকে তো বটেই। একই সঙ্গে প্রোগ্রেসিভ, মডারেট ডেমোক্র্যাট, এবং কিছু নন-ট্রাম্প রিপাব্লিকানদের নিজের পক্ষে রাখার চেস্টা করছে। ট্রাম্পও অনেকটা হেল্প করছে। সেটা ব্যাকফায়ার করতেই পারে, সেক্ষেত্রে সেকেন্ড টার্ম নেওয়ার আর প্রশ্নই হবেনা। প্রোগ্রেসিভদের উচিত এইমুহুর্তে চেঁচামেচি না করে এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের সঙ্গে নেগোশিয়েট করে কিছু কাজ করিয়ে নেওয়া।
"এটা বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নয় ওবামা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বার্ণি অ্যান্ড কোং কে আবারও সাইড লাইন করা হবে।"
বার্ণি অ্যান্ড কোং এর যদি ডেমোক্রাট এস্ট্যাব্লিশমেন্টের সাথে লড়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সাইডলাইন হয়ে যাওয়াই ভাল। পলিটিকসে নিজের যায়গা তৈরি করতে হয়। কেউ প্লেটে সাজিয়ে সামনে ধরে দেয় না। ২০০৮ এ ওবামা যেভাবে ক্লিন্টন অ্যান্ড কোং আর ডেমোক্রাটিক এস্ট্যাব্লিশমেন্টকে হারিয়েছিলেন, বার্ণি সেখান থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারতেন। বার্নি বাইডেন আর ডেমোক্রাটিক এস্ট্যাব্লিশমেন্টকে হারাতে পারছেন না আর বার্ণি সাপোর্টাররা মনে করে বার্নি প্রেসিডেন্ট হয়ে ম্যাজিক ওয়ান্ড ঘুরিয়ে মিচ ম্যাকোনেল আর সব রিপাবলিকানদের বিট করে মেডিকেয়ার ফর অল এনে দেবেন।
আমার হঠাৎঅ এই ইন্ডিআ তে বন্ধ হবা টা সুবিধে লাগছে না।
এটা বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নয় ওবামা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বার্ণি অ্যান্ড কোং কে আবারও সাইড লাইন করা হবে। আবারও আর এক ট্রাম্প তৈরী হবে। ট্রাম্প হল ব্যাকলাশ অফ ডেমদের ব্যাড পলিটিক্স।
ঠিক হয়েছে এখন
Youtube গুগল ম্যাপ জি পে কিছুই চলছে না ইন্ডিয়া তে
অ্যালেক্স জোন্স নাকি বলেছে বাইডেনকে সড়ানো হবে "ওয়ান ওয়ে অর আদার"।
বাঃ ভালো খবর। থ্যাংক ইউ।
বোধিদা, জেন্করা ইন্ডিয়ান ফার্মার'স স্ট্রাইক কভার করেছে আজকে।
ছবি আঁকতে কোরেল ড্র।
ছবি আঁকুন সম্বিৎ বাবু ।
সই ডকুসাইনে।
বাজারের ফর্দ ফোনে গুগুল কীপে।
চিঠি হোয়্যাটস্যাপে।
এ কলম লইয়া আমি কী করিব?
ন্যাড়াদা, সই করুন। সই করবার জন্যে সবচেয়ে ভালো পেন হল https://www.waterman.com/en/59-carene
তাছাড়া বাজার যাবার সময় এক বর্গ ইঞ্চি পোস্ট-ইটে যা যা আনতে হবে লিখে নেবেন। সরু নিব (পাইলটের ফাইন না পার্কারের এক্সট্রা ফাইন নিব) এই ক্ষেত্রে বেশি কাজে দেবে।
তাছাড়া আমার মতো কাগজ-পেনে চিঠি লিখলে তো কথাই নেই।
আকা স্ট্যাটের বই খঁুজছিল, কিছু জায়্গায় এই বইটা এপিতে পড়ায়
রমিত বাবুকে অনেক ধন্যবাদ