সিরাজের আমলের মুর্শিদাবাদ নিয়ে কেউ লিখবে?
আরে এলেবেলে নবদ্বীপের নাকি? তাহলে তো আমার ঘরের লোক, আমার দাদুর দাদু অবধি ওখানেই বসবাস, দাদুর ছেলেবেলাও ওখানেই কেটেছে।
আরে নবদ্বীপ নিয়ে লিখব মানে নদের নিমাইকে নিয়ে। কবে, তা জানি না। আমরা বাঙালিকে মান্যভাষা উপহার দিয়েছি, নব্যন্যায় দিয়েছি, রঘুনন্দনের স্মৃতি দিয়েছি। চৈতন্যকেও দিয়েছি। বিনিময়ে শুধু হ্যাটা কুড়িয়েছি কলকাত্তাইয়া বাঙালিদের থেকে। কী দুক্কু কী দুক্কু।
*অ্যান্টি এনার্সি প্যামফ্লেট
মেটালার্জি সম্পর্কে আমিও একটা কথা জানি। আমরা একবছর কলেজে পড়ার পর সেকেন্ড ইয়ারে অনার্সের এক সহপাঠী শ্রীরামপুর কলেজ থেকে যাদপ্পুরে মেটালার্জি পড়তে চলে গেল। সে চান্স পেয়েছিল খেলার কোটায়। ফুটবল খেলত। তা সে বলেছিল 'দ্যাখ মেটালর্জি পড়লে আসলে মেটালের মত এক জায়গায় স্থির অনড় হয়ে থাকতে হয় তাই আমি খেলছি'
এলেবেলে তো নদীয়া নিয়ে মাঝেমধ্যে বলেন কিন্তু সেভাবে কিছু লেখেন নি তো। কী করে গোণায় ধরব? বরং যাদপ্পুর (ইউনি নয় জায়গা)নিয়ে মাঝেমাঝে বলেন দেখি। হ্যাঁ ওঅন্টি এন আর সি প্যামফেল দেওয়া বোঝানো ঐটে মনে আছে। তা সে তখনই বলেছিলাম দারুণ কাজ এটা।
কেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকার আসার পর কদিন কষে গাল দেওয়া হয়েছিলো না? আর কত চাই?
আপনারা ত্রিপুরা নিয়ে আলোচনা করেন না এই অভিমান আমার অনেক দিনের।
সে কী! আর্ডিকে নিয়ে এত আলোচনা হল! ত্রিপুরার যুবরাজ বলে কথা।
একটা টই ছিল না? হুগলী জেলা মহাবিশ্বের সেরা জেলা না কি যেন নাম ছিল।
আপনারা ত্রিপুরা নিয়ে আলোচনা করেন না এই অভিমান আমার অনেক দিনের।
মেটালার্জি সম্বন্ধে আমি অনেক জানি। যেমন, যাদপ্পুরে মেটালার্জি নিজেরা ক্রিকেট টিম করতে পারত না বলে আমাদের সঙ্গে জুড়ে যেত। তারপর ধরুন, মেটালার্জি হল গিয়ে মেটিরিয়াল সায়েন্সের খুড়তুতো জ্যাঠামশাই। আমাদের মেটিরিয়াল সায়েন্স পড়িয়েছিলেন এস কে বাসু, আর বিই কলেজের ডঃ শীল। ভিজিটিং হয়ে। মেটিরিয়াল সায়েন্স আবার হুক'স ল-র দাদাশ্বশুর। সেই যে স্ট্রেস আর স্ট্রেনের কীসব সম্পর্ক। সে ফার্স্ট ইয়ারে ফিজিক্সে আমাদের পড়িয়েছিলেন সদ্য পাশ করা শর্মিলাদি। আশিস সেই ক্লাসে পেছন থেকে বলেছিল, "একটু স্ট্রেস দিয়ে লিখুন, চোখে খুব স্ট্রেন হচ্ছে।"
এই হল মেটালার্জি সম্বন্ধে দু-চার কথা। পরের দিন অনলাইন ক্লাস নেওয়া নিয়ে বলব। জয় হিন্দ।
দ-দি আমাকে গোণায় রাখলেন না দেখে দুক্কু আরও বাড়ল! আরে বাপু আমাদের সময়ে হামাগুড়ি দিচ্ছে অক্সফোর্ড, অথচ আমাদেরকেই বলে কিনা 'প্রাচ্যের অক্সফোর্ড'! উপনিবেশবাদ নিপাত যাক ইত্যাদি প্রভৃতি।
টাকার কার্লসন একটা মিথ্যাবাদী। কয়েকদিন আগে খুব খবর করেছিল যে অ্যারিজোনাতে অমুকে পনেরো বছর আগে মারা গেছেন, কিন্তু এই ইলেকশানে ভোট দিয়েছে। পরে দেখা গেলো ভদ্রলোকের স্ত্রী ভোট দিয়েছেন। টাকার কার্লসন সেই নিয়ে কোনও অ্যাপলজি চেয়েছে? টাকার ২০২৪এ প্রেসিডেন্ট হতে চায়, তাই ট্রাম্পিজম করেই চলেছে।
আরে না, এককের কথা শুনে ডাইভার্সিটি ইনজেক্ট করার চেষ্টা করছি, আমি থোড়ি জানি ঐ জি ফর কি?
গুরুতে তো কলকাতা মাইনরিটি।
ছাই! বিশুদ্ধ ময়মনসিংহি রঞ্জনবাবুও সিনেমা হলগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেন কলকাতার নিরিখে। আর বাংলা ও হিন্দি সিনেমার এককালে পাঁড়মাতাল দর্শক আমি সেই মায়াবী লেখা ফ্যালফ্যাল পড়ি শুধু, রিলেট করতে পারি না। অথচ সবাই কেমন টকাটক মন্তব্য করছেন দেখতে পাই। এ কী কম দুক্কু!
গুরুতে একসময় কোন্নগর তথা হুগলী জেলা আর কল্যাণী খুব শক্তপোক্ত ছিল। তবে এ দুটোকে অবশ্য গ্রাম ঠিক বলা যায় না। মফস্বল আর কি। গ্রাম বলতে অনেক আগে একজন কদিন কুসুম্বা গ্রাম থেকে লিখেছিলেন। রাণা আলম লিখতেন মুর্শিদাবাদের একট স্কুল থেকে। এখন ঐ সুকি একাই টিমটিম করছে নিমো নিয়ে।
অই দ্যাকো, বিকাশ গুছাইত ট্রেন্ডিং টপিক হয়ে গেল। মিশন গরিমা কাকে বলে!
বড়েস বরম এইটা দেখুক।
https://www.foxnews.com/opinion/tucker-carlson-rudy-giuliani-sidney-powell-election-fraud
বিকাশ guchhaait
সুকি, মেটালার্জি নিয়ে নরেন্দ্রপুরে বিজি (বিকাশ সামথিং, এখন বোধ হয় কেমিস্ট্রির হেড ডিপ) বলতেন মেটালে অ্যালার্জি। আর ছিলেন এক ভদ্রলোক, সন্তোষ মাজি, কবিতা লিখতেন আর মেটালার্জির কোশ্চেনে যাই লিখি না কেন শূন্য দিতেন। বাঁধা নম্বর। বাঁধানো নম্বর।
এখানে লোকজন ভারী ভালো। এর আগে একবছর আমাকে ট্রেডার জো'সে হ্যাপি দিওয়ালী বলে একটা বড় ফুলের তোড়া গিফ্ট দিয়েছিল। যত্ন করে বেছে দিয়েছিল। এটা না ওটা নাও - এই রকম করে।
পাহাড়ে সেপ্টোপাস পুষে সেই নিয়ে আবার বড়াই করতে আসে। থাকত আমার মতো চৌবাচ্চায় পোষা কুমীরছানা তবু একটা কথা হত।
দেখুন এটা তো ক্লাস নয়, পাতি ভাটের জায়গা। ধরুণ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন তখন আপনার আর আপনার বন্ধুর মধ্যে যা মিলবে সেই নিয়েই তো আড্ডা হবে, তাই না? এখানে রুচিরাদি, তিমি আর ক'জনা মিলে একদিন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম। এখন দমুদিকে যদি বলি হ্যাঁ হে বাপু তুমি তো কিছু বললে না অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে তাহলে কেমন দাঁড়ায় ব্যাপারটা? বেশিরভাগ লোক যদি আমেরিকা আর ভারতের অধিবাসী হয় তাহলে তারা তাই নিয়েই ভাটাবে। এখন যদি পাঁচজন ফিনল্যাণ্ডের ভাটুরে থাকত তো ফিনল্যাণ্ড নিয়ে জরুর কথা হত, এ একেবারে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। এবার পুজোয় কেমন ঘুরলি - এই প্রশ্ন শুনেছেন কতবার? এবার ঈদে কী করলি এই প্রশ্ন শুনেছেন কবার? তার কারণ নিশ্চয় এটা নয় যে আপনি ঈদ নিয়ে সচেতন নন। মোটামুটি সেই কারণেই আমেরিকা নিয়ে বেশি ভাট হয় নিউজিল্যাণ্ডের চেয়ে। এখানে তো লোকে পাতি ভাটাতেই আসে, সিরিয়াস আলোচনার জন্যে টই আছে।
না :-))
তবে ড্রসেরা দেখেছি।
তুমি পাহাড়ে সেপ্টোপাস পুষেছ ? !
অভ্যুর কথায় মনে পড়লো । সেদিন বাজার করতে গিয়ে এক প্যাকেট মিষ্টি পেলাম। ভালোই খেতে।
গুরুতে তো কলকাতা মাইনরিটি। আজ ব্রতীন্দা থাকলে ঝট করে একটা লিস্ট করে ফেলতো।
ঘরে পুষি না। বললাম তো বাইরে পাহাড়ে মাঠেঘাটে ইত্যাদি।
অরিনবাবুর যেমন দুক্কু আছে, একই দুক্কু আমারও আছে। এখানে প্রায় যাবতীয় আলোচনা, স্মৃতি রোমন্থন, অ্যানেকডোট - সবই কলকাতাকেন্দ্রিক। এবং কী আশ্চর্য সেখানে কিছুতেই সাংখ্যমান বিবেচিত হয় না! ফলে উত্তরবঙ্গ আলোচনার বাইরে, বাকিরা এঁদো মফস্সল (আসলে বলতে চান গ্রাম)। এই হেজিমনি এবং এই আদারাইজেশন প্রক্রিয়া থেকে গুরুর আলোচনাকে মুক্ত না রাখতে পারার জন্য দুঃখিত।
আমাকেও আগে দুয়েকজন লোক হ্যাপি ডিওয়ালি বলতো টলতো। তারপর দেখে আমারই তেমন উৎসাহ নেই। পানসে মুখে থ্যান্কু বলি।
দমুদি ঘরে গাছপালা পোষে? কী নাম? সেপ্টোপাস?
শুনুন এই সব গুরুগম্ভীর আলোচনার মাঝে একটা কথা বলে যাই। আগের হপ্তায় একটা ছোটো এশিয়ান গ্রসারি স্টোরে গিয়েছিলাম (আমাদের গ্রামে ঐ একটাই আছে) - চেক আউট করার সময় ডু ইউ অবসার্ভ দেওয়ালি বলে দুপ্যাকেট তারাবাতি গিফট করল!