যাহ্, শঁ কনোরীও গেলেন ।
@বোধিসত্ত্ব:"তবে এই সব এক্সচেঞ্জে বুঝি, কালো বাংলা ছাপা শব্দ অন হোয়াইট পেপার, এটাকে কেউ আর গুরুত্ত্ব দেয় না। যত ফ্লাফি আজে বাজে জিনিসে আগ্রহ। আর যা হচ্ছে তাকে নিয়েই গদ গদ হবার একটা প্রবণতা। "
এরকম বলাটা বেশী বেশী জেনেরালাইজেশন হয়ে যাচ্ছে।
কালো বাংলা ছাপা শব্দ হোক না, তবে লেখার উপস্থাপনার একটা ভিস্যুয়াল আপিল থাকলে সুপ্রযুক্ত হয়। এবং এই টাইপোগ্রাফি, এই আপিলের ব্যাপারটি খেয়াল করলে দেখবেন আমরা সমষ্টিগত নানা কনটেক্সটে ব্যবহার করি। খুব ক্রুড একটা উদাহরণ দি, বিয়ের নিমন্ত্রণ আর শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণের চিঠির টাইপোগ্রাফি কি ফন্টের তো একটা তাকতম্য রয়েছে, সেটা কিন্তু স্টাইলের এলিমেন্ট, কনটেন্ট ভিস্যুয়াল স্টাইলকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ভাষা, ভাব, পরে আসছে।
আরেকটু এগিয়ে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আর প্রিন্ট মিডিয়ার দু ধরণের ভাব প্রকাশের কনটেক্স্ট । এই বাপারটাকে মাথায় রাখলে দেখা যাবে, ছবি শুধু লেখাটাকে কমপ্লিমেন্ট করে তাই নয়, লেখাটাকে খুঁজে বার করতেও সাহায্য করে। সবটা সব সময়ে ফ্লাফ নয়, তবে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশকের লেখার "রিয়েল এস্টেটের" যে বিলাসিতা রয়েছে, প্রিন্ট মিডিয়ায় সে কল্পনাতীত ।
অর্জুন আমার মনে হয় উডহাউস পড়ে যারা আনন্দ পায়, তারা একটু বিশেষ রকমের পাঠক। লেখার গল্পের কল্পনার একটা অলস জীবনের অন্য রকমের গল্পের পর গল্প, ব্রিটিশ হিউমার, সকলের ভাল লাগবে কি? বিশেষ করে আজকাল দেশ থেকে আগত বহু ছাত্রছাত্রিকে দেখি colour এর জায়গায় color লিখতে ( এরকম আরো বানান বিধি )। আমি যেমন কোনদিন আরচি ভেরোনিকা, জাগহেড টাইপের কমিক ভালবাসতে পারলাম না।
আপরুচি পড়া মনে হয় ।
লসাগু, ঈশান বা অন্য কেউ - banglaplain-এর ttf ফাইল পাওয়া যাবে? রেগুলার হলেই চলবে। বোল্ড আর ইটালিক্স পেলে সোনায়
গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। ওঁর প্রধান সামাজিক পরিচয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। কিন্তু নিজেও লেখালেখি করতেন। শিশু সাহিত্যিক ছিলেন সম্ভবত। আমি যে আঁকার স্কুলে আঁকা শিখতাম, সেখানে একটা সাপ্তাহিক গল্পের ক্লাস হত। গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার এসেছিলেন। তবে তখন আমি বড্ড ছোট। খুব হাসিখুসী এক মহিলা মোড়ায় বসে গল্প বলছেন। কী গল্প! কিচ্ছু মনে পড়েনা !
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'চিঠির দর্পণ' নামে একটি বইয়ে পেয়েছি ৫০'র দশকে ভিয়েনায় রাষ্ট্র সঙ্ঘের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নিশ্চয় আড়ালে থাকা এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ।
সিএস, তাইতেই তো আমি আশ্চজ্জি হচ্ছিলুম। ওমনাথের একটা সরি পাওয়া হয় :)
তো, এই রকম ভাবে দারোগার দপ্তর চাই বললে লাইব্রেরিয়ান আমাকে এনসাইক্লোপিডিয়া নিয়ে তাড়া করবে না?
যেমন এই আশ্চর্য বানাম্টা য়্যাতোদিন আমার জ্ঞানগম্যির বাইরে ছিল, অথচ লিখে মনে হচ্ছে বেশ লাগসই হয়েছে
যা আমার পড়া নয় দেখা নয় জানা নয় তাই তো নব
এতোদিন যা জ্ঞ্যানগম্যির বাইরে ছিল
নয় কি?
শীর্ষেন্দুও অনেকের কাছে নব হতে পারেন, কিংবা বীরভূমের লোকসাহিত্য
এখন পি জি উডহাউজ কারোকে পড়তে দেখিনা। কারোকে বলতে শুনিনা। আমার প্লাস টু, গ্র্যাজুয়েশনের সময় পি জি উডাহাউজের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরীতে একটা র্যাকে থরে থরে সাজানো থাকত ওর বই।
নাহ আমি নই, দেবর্ষিবাবু
"বুদ্ধিজীবীর নাম ছিল অরুণ মিত্র-সমর সেন-বিনয় ঘোষ-রাধাপ্রসাদ-সুবীর রায়চৌধুরী -বুদ্ধদেব বসু-নীহাররঞ্জন রায়-নীরদ চৌধুরী।"
শীর্ষ্যেন্দুর লেখা আর ছবি নিয়ে আলোচনাটা দেখছি কেমন কুঁড়িতেই ঝরে গেলো।
কুড়ি প্রসঙ্গে মনে হলো সিকিবাবু কি অন্য নাম লেখেন? অনেকদিন কোনও লেখা দেখিনি। লেখক মানুষ না লিখে থাকতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত কিন্তু কোথায় পড়বো?
সেই আচ্ছে দিন তো তাইলে চলেই এলো, নব নব ঔপন্যাসিকেরা, গল্প লিখিয়েরা , কবিরা , নতুন সেন্সিটিবেরা তাঁদের নতুন নতুন দিক বিদিক বিদীর্ণ করা বিপ্লবী ভাবনার বই গুলির ফোটোগ্রাফ সহ কফি টেবল এডিশন এর বই বিক্রি করবেন, কলকাতা বই মেলার টেবিলে। লিতেরাতুর সান্স ফ্রন্টিয়ের্স। কারণ ফোটো ই যদি হবে, ভালো দামী ফোটোগ্রাফার ফোটো হবে না ক্যানো। রুপসী বাংলার নব এডিশনের মলাটে কোন গ্ল্যামর মডেলের ছবি থাগলে ভালো হয় সেটুকু সুদু বেছে নেওয়া। সমস্ত শিল্প ই আফটার অল প্রেজেন্টেশন মাত্র। ছবির কোন অংশটা গল্পের কোন অংশের সংগে মিল খাচ্ছে ড্রিল ডাউনে দ্যাখানোর জন্য একটা সফটওয়ার চাই , অবশ্য সেসব তো অলরেডি আছে। কারণ মনে রাখতে হবে একজিকিউটিভ কনজিউমার এর অ্যাটেনশন স্প্যান বড় কম। আহা।
এই তালিকা টা আপনি ছাড়া আর কে বানিয়েছে?
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বুদ্ধিজীবীর ডেফিনিশন চাই। সক্রেটিস যেমন বলতেনঃ ডিফাইন ইওর টার্ম্স। সেই সূত্রে বুঝতে চাই, কমলকুমার নীহাররঞ্জন নিরদ সি এনারা কেন বুদ্ধিজীবি আর সত্যেন বোস মেঘনাদ সাহা অশোক সেন এনারা কেন নির্বুদ্ধিজীবিঃ মানে তালিকাতে আসেনই না।
আবাপ টা একেবারেই পড়া যায় না।
অভ্যু কাকে বলছে ! গোয়েন্দাকে নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে ফেলেছে সে। ঃ-)
অনলাইনের আনলকড সব আর্কাইভ ছানবিন করা হয়েছে বস। ২১৯ টা ইস্যুর লিস্ট করেছি। শুধু মাঝের দশটা সংখ্যার নাম পাইনি। পরাধীন ভারতের বেঙ্গল লাইব্রেরির ক্যাটালগ প্রতি বছর ধরে ধরে খুঁজে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ,চৈতন্য লাইব্রেরি,ন্যাশনাল লাইব্রেরি সমস্ত ক্যাটালগ দেখা হয়ে গেছে। পুনশ্চকে তিন নং পার্ট করার জন্য ৫২ টা গল্প দিয়ে এসেছি।
এবার লকড আর্কাইভগুলোতে খুঁজতে হবে।
দারোগার দপ্তর https://archive.org/details/dli.bengal.10689.8264/page/n59/mode/2up
কিছুটা আছে।
দারোগার দপ্তর আর্কাইভ বা অন্যত্র নেই? আমি দেখেছিলাম মনে হচ্ছে। অল্প সার্চ করে এটা পেলাম https://banglaclassicbooks.blogspot.com/2016/11/blog-post_3.html
*কল্পনাকে
ফ্র্যান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ড ওয়ান্ডারস অব হিমালয়াতে তাঁর কাকা না মামা কার যেন ১৮৭১ সালে প্রকাশিত বইয়ের কথা লিখতে গিয়ে খানিকটা তাচ্ছিল্যের ভঙ্গীতে লিখছেন সেইসময় ভ্রমণকাহিনীগুলোতে ইলাস্ট্রেশানের জন্য আসল ছবি ব্যবহার করা হোত, নিছক ফোটোগ্রাফ নয়। আসল ছবিই যেভাবে কলনাকে উস্কে দিতে পারে সে কি আর ফোটোগ্রাফের কম্ম? প্রথমে একটু ঘেঁটে গেসলাম লোকটা কী বলতে চাইছে রে বাবা! পরে খানিক পড়াশোনা করে বুঝলাম আসল ছবি মানে হল গিয়ে হাতে আঁকা ছবি।
মনে পড়ল। অবশ্য অজন্তার শিল্পীরাও ফোটগ্রাফ দেখলে খুবই রাগমাগ করতেন মনে হয়।
দেখছি, মনে হয় না।
অভ্যু,
ইন্টারলাইব্রেরি লোন এ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হারমোনিয়াম শিক্ষা আর বেহালা শিক্ষা বইদুটো আনাতে পারবে কোথাও থেকে? বা প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়ের দারোগার দপ্তরগুলো? ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে আছে। বা ধরো মিসিসিপি লাইব্রেরি তাদের ডিজিটাইজড কপি ব্যবহার করতে দেয় তোমাদের। তাইলে কয়েকটা রিকোয়ারমেন্ট দিতাম।
তবে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ওয়েবসাইট হল বিবিসি। জঘন্য।
আজকাল অনলাইনে দিব্যি পড়া যায়। প্রথমে যে ঝাপসা পাতা খোলে তাতে আবার ট্যাপ করলেই বড় করে লেখার ইমেজটা খোলে। কম্পুতে বা ল্যাপিতে বসলে মাউস হোভার করলেই বুঝতে পারবে কোথায় ক্লিক করলে কোন ইমেজটা বড় করে খুলছে। আগে এই সময় এর ই-সংস্করণ ও এইরকমই ছিল। গুচ্ছ লোক লেখাটা পড়ল তো অনলাইনেই। নীচে যা লিখেছি এইটুকু ইন্সট্রাকশন। আইটি র লোকেরাও যদি এতে হাবুডুবু খায় তাহলে আর কাকে কী বলব? এদিকে মাসিমা দিদিমারাও ফোনে পড়ে ফেলছে।
লিংক http://www.eaajkaal.in এর সংরক্ষণ তারিখ ড্রপডাউন থেকে 18/10/2020 সিলেক্ট করে ৭ নং পাতার link এ ক্লিক করে যে পাতাটা খুলল, তাতে আবার ট্যাপ করলে আবার বড় করে খুলবে লেখাটা।
ভাটেও দি - সোমনাথের লেখা প্রসঙ্গে। বোধিদা একেবারে বুল'স আই, তবে ছোটোবেলায় বার্ট্রাণ্ড রাসেলটা অরিনদার আগে আমি দেখেছিলাম :)
ল্যাদোশদা, এটা বেঙ্গল ইন্ফোতে পাওয়া যাবে?
অরিন, আপনার ছোটোবেলায় বলেছি, আমার ছোটোবেলায় এসব ছিল না :--)))))) দেখুন আমার যা যা পোসায় ন বলেছি। এবার তাতে তো কিসু এসে যায় না। গুরুচন্ডালি , বাংলা প্রকাশনা , পৃথিবী তাদের নিজের মত চলবে। তাদের বক্তব্য নিয়ে আমার আর আমার বক্তব্য নিয়ে তাদের বয়ে গেছে :-))))))) ইন্ডিভিজুয়াল পাঠকের এত বক্তব্য নিয়ে তো আর সংস্থা চলে না, তাই অসুবিধে নাই। আমাকে নিজেকেই একটা ওয়েব সাইট বানাতে হবে, যাতে উইথ মিনিমাম ফাস বাংলা লেখা পড়া যাবে দেখা যাবে। কিন্তু ক্রমশঃ ব্যাপারটা, আমার প্রকাশনায় আমার পসন্দের লেখা ছাপা হবে , সেটি সুদু আমি ই পড়ব, এদিকে হাস্যকর ভাবে চলে যাচ্ছে, আই অ্যাম বিকামিং বিট অফ আ মিস অ্যানথ্রোপ, কিন্তু কি আর করা। :-)))))))
তবে এই সব এক্সচেঞ্জে বুঝি, কালো বাংলা ছাপা শব্দ অন হোয়াইট পেপার, এটাকে কেউ আর গুরুত্ত্ব দেয় না। যত ফ্লাফি আজে বাজে জিনিসে আগ্রহ। আর যা হচ্ছে তাকে নিয়েই গদ গদ হবার একটা প্রবণতা।
গুরু তো অনেক অনেক অনেক ভালো।
এমনিতে আবাপ অনলাইনে তো একট পেজ খুলতে পারবেন না, অসংক্খ্য বিজ্ঞাপন। এই সময় গোল্ড বলে একটা বস্তু শুরু হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ওয়েবসাইট।আজকালে সোমনাথ দাশগুপ্ত র লেখা বেরিয়েছে, অনলাইনে পড়া গেল না, কাগচ আনিয়ে পড়তে হল, ফন্ট রিজোলিউশন ঠিক করতে পারে না। অসহ্য। আপনি সে কোম্পানির টেকি দের সংগে কথ বলুন, বাতেলায় অন্ধকার। গুরু অন্তত সেটা করে না, এতেই ধন্য আমরা।
শিল্পী দের আরো বাজে অবস্থা, তাঁদের কাজ কেউ দেখে না, বাজে কিশ মার্কা লেখার ঘাড়ে চড়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। শুধু প্রচ্ছদ কথাটার কোন তো মানে নেই অনলাইনে, তাই আপদ দূরে সরিয়ে শান্ত মনে পড়বেন তার উপায় নাই। আর এই ডিজিটাল লেখা বলে একটা আপদ হয়েছে, সেটা মেনলি সোশাল নেটওয়ার্কিং শেয়ার করার জন্য। একেবারেই বাজে।
@বোধিসত্ত্ব, "কাগজে ফিচার আর্টিকল e অনেক স্পেস নষ্ট করে একটা গোদা ছবি দিয়ে, পবন্দের সংগে ইলাসট্রেশন করে দিল, কোন মানেই হয় না",
সে অবশ্য ঠিক। তবে, ইয়ে, ছোটবেলায় বারট্রাণ্ড রাসেল ওটা বড্ড গুরু হয়ে গেল। :-)
গোঁসাই বাবুর এমন অনেক টু লাইনার আছে।
"অর্ধেক লিখেছ মৃত্যু , বাকি অর্ধেক সেতুর ওপারে "
" নাম লিখেছি একটি তৃণে, আমার মায়ের মৃত্যুদিনে "
ওটা কবিতার টি টোয়েন্টি।
যাই হোক, চিঠি লেখার সেই স্বর্ণযুগে অনেকেই চিঠির শেষে "আর কি লিখিব?" সেখানে "R 'চাবির ছবি আঁকা' লিখিব?" এরকম লিখতো। এ ব্যাপারে সেরা দিয়েছিলো আমার এক দাদা। আমার জামাইবাবুরা দুই ভাই। দুর্দান্ত কমিউনিস্ট সেই বাড়ির সুই ভাইয়ের ডাকনাম আপোল আর ফোপোল, আর মানে নাকি রাশিয়ান ভাষায় কানা পয়সা আর ফুটো পয়সা । দাদা বিজয়ার প্রণাম এভাবে জানিয়েছিলো, একটা আপেল-তার পরে -দা কে আমার প্রণাম দিয়ো।