অরিন, না পড়িনি। তবে আজকে টুইটারে এদিক সেদিক ব্রাউজ করতে করতে একটা খুব ডিস্টারবিং তথ্য দেখলাম। জানিনা কতটা সত্যি। তাই সেটা এখানে লিখবোনা। কিন্তু তার একভাগও সত্যি হলে চিন্তার।
ট্রাম্প বোধয় আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট যে হোয়াইট হাউসে থাকার সময় প্রায় যাখুশি করে পার পেয়ে গেল। অন্য যে কেউ হলে অনেক সমস্যায় পড়তো। ট্রাম্পের কাছ থেকে সিভিলিটি বা অন্তত লিগালিটিও কেউ এক্স্পেক্ট করেনা।
ট্রাম্প আর মোদিকে জালি বললে ট্রাম্প আর মোদিই হয়ত কিছু মনে করবেনা, তো অন্য লোক :-)
বিশ্বের তাবৎ জালি লোক এক একটা করে পতাকা পেয়েছে। ট্রাম্প বা মোদি উপলক্ষ মাত্র, লোকে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো
আমেরিকায় ফাউচি'র হাতে আর সিডিসি'র হাতে যদি নিয়ন্ত্রণ থাকতো, আপনাদের COVID19 নিয়ে চিন্তা থাকত না, দক্ষতার সঙ্গে সামলে দিতেন । কিছু মনে করবেন না, জালি লোকেদের হাতে পড়েছে ভারত ও আমেরিকা শাসনের দায়িত্ত্ব , মোদী বা ট্রাম্পের কাছ থেকে এর বেশি কি আশা করা যায়?
S, All the president's women নাম দিয়ে ব্যারি লিভাইন আর মনিকা এল ফাইজি র একটা বই আছে, পড়েছেন?
https://www.amazon.com/All-Presidents-Women-Donald-Predator/dp/0316492663
আচ্ছা ল্যাদোশদা, টইপত্তরে প্রথম ট্যাব (ডিফল্টটা) 'সদ্য আলোচিত' করে 'সময়ানুক্রমে'টাকে পরেরটা করলে হয় না?
এ ফাইন আমেরিকান সেনেটার। জাস্ট আ লিটল রেসিস্ট। ও এখানে তো আবার আমেরিকার কাউকে রেসিস্ট বলা যাবে না, তাতে যদি শেয়ার মার্কেট পড়ে যায়।
সেটাই। চিরকালই সব দেশে কিছু উনপ্রোডাক্টিভ ফ্রিঞ্জ এলিমেন্টস এসব কন্সপিরেসি থিওরি বা সোশ্যাল কনফ্লিক্ট এর ওপর প্রোপাগান্ডা করে টিকে থাকে নিজের ইনেফিসিয়েন্সি ঢাকার জন্যে আর এদের পেছনে ঠিক একপাল গোরু ভেড়া জুটে যায় এদের তালে তাল মেলানোর জন্যে যুক্তির বাপান্ত করে । এবার এই ধরণের মেন্টালিটির পাবলিক টপ পসিশনে বসে গেলে ন্যাচারালি আরো এসব বাড়বে. ট্রাম্প হোক বা মোদী হোক বা এরদোগান বা দুটাৰতে -এখন বহু দেশেই একই গল্প। সেখানে নিউ জিলান্ড বা কানাডা র প্রাইম মিনিস্টার দের দেখে ভালো লাগে যে হেট্ মঙ্গেরিং এর গড্ডলিকায় না ভেসে অন্য ধরণের রাজনীতিও সুকসেসফুলি করা সম্ভব।
অনেক ফ্যাক্টর এক থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া তে নিউ জিলান্ড এর মতো এতো ভালো কোভিদ আউট ব্রেক সামলাতে পারেনি, কয়েকটা বড়ো শহরে ভালোই ছড়িয়ে গেছে কিন্তু তাও অনেক দেশের থেকেই স্টিল বেটার। কিন্তু যেটা সবথেকে ভালো করেছে এখানে - সেটা হলো অউটব্রেক এর পুরো পিরিয়ড টাতে সোশ্যাল সাপোর্ট খুব ভালোভাবে প্রোভিড করেছে। বর্ডার ক্লোজার বা লক ডাউন খুব প্ল্যান করে করে স্টেজ wise করেছে যাতে লোকের ভোগান্তি মিনিমাম হয় । মানে ইন্ডিয়াতে মোদী সরকার যা যা জিনিস হুলিয়ে ছড়িয়েছে , এখানে সেগুলোই সব কিছু সিম্পল ভাবে , ঠিকঠাক ম্যানেজ করেছে।
এগুলোই আসলে শেখার দরকার একটা ওয়েলফেয়ার ওরিয়েন্টেড সরকার চালাতে হলে। if simple basics are done ইন right way & at right time, lots of complex things will fall in place itself without much trouble.
মঙ্গলগ্রহে মাটির তলায় শহর আছে, সেখানে লোকজন থাকে, বিরাট কলোনী গড়ে উঠেছে---এসবও তো এরা বলে! এই এলান না ইলান, এই লোকও তো সেইরকমই কীসব বলে! ঃ-)
ট্রাম্পের থেকেও ফালতু হল যারা ট্রাম্পের ট্রাম্পিজমের জন্য সাপোর্ট করেই চলেছে। আরো ফালতু হল কনস্পিরেসি থিয়োরিস্টরা। কনস্পিরেসি থিয়োরি হঠাতই পার্টিজান হয়ে উঠেছে। ঠিক যখন থেকে এদের টিকিগুলো মস্কোয় বাঁধা হয়েছে।
আগে শুনতাম সবথেকে বড় কনস্পিরেসি হল মানুষ চাঁদে যায়নি। এখন কনস্পিরেসি কি? ক্লিন্টনদের সঙ্গে অমুকের সম্পক্ক আছে। কি করে জানা গেল? নাম না জানা একটা ভুঁইফোর ওয়েবসাইটে একজন অত্যন্ত কোয়েশ্চেনেবল ক্রেডেনশিয়াল আর ইন্টেনশনের লোক লিখেছে। এদিকে ট্রাম্পের কিন্তু সেই লোকের সঙ্গে হাসাহাসি, নাচের ভিডিও ইউটিউবে আছে। সেই নিয়ে এদের কোনই বক্তব্য নেই।
নিউজিল্যান্ডের একটা খুব বড় সাফল্য হল কোনও সমস্যা ছাড়াই এই কোরোনার মধ্যেও খুব নির্বিঘ্নে ইলেকশান সম্পন্ন করলো। সেই জন্য ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকার, সমস্ত দলগুলি, এবং লোকেদের অভিনন্দন। এটাই বোধয় ওয়েস্টার্ণ সিভিলাইজেশানের থেকে আমাদের সবথেকে বড় পাওনা। আমেরিকাতে যে ইচ্ছাকৃত সমস্যা তৈরী করছে একপক্ষ, সেটা কোনও সাইজ-কমপ্লেক্সিটি-বড় দেশ-্ল্যান্ড বর্ডার ইত্যাদি দিয়ে এক্সপ্লেইন করা যায় না। ভোটের আগে আসল পোস্টবক্স তুলে দেওয়া এবং সেখানে নকল ড্রপ বক্স বসানো জাস্ট বদমায়েশি।
তেত্রিশ কোটি
এইবার ঐ ৩৩০০ কোটির ৩০% ও যদি এসে লসাগুর ওপর চরাও হয় ...
আমার মতে নিউজিল্যান্ডের থেকে যেটা শিক্ষনীয় সেটা হল, কীভাবে একজন রাষ্ট্রপ্রধান একটি দেশের পলিটিক্যাল কালচারকে প্রভাবিত করতে পারেন। অবশ্যই তিনি একা পারেন না, তার দল এবং দেশবাসীর সমর্থন চাই। কিন্তু একটি আবহ তিনি তৈরি করেন, তার দল তৈরি করেন।
ইউএসএ-তেও একই জিনিস হচ্ছে - একটি আবহ তৈরি হয়েছে - তবে উল্টোধারার। এখানে ব্যক্তি ট্রাম্প একটি ব্যাপার - ট্রাম্প একটি ফালতু লোক, এরকম লোক সমাজের বিভিন্ন স্তরে আরও আছে। কিন্তু পলিটিক্যাল স্ট্রিমে এনার কাজকর্ম এবং আচার-আচরণকে মান্যতা দেওয়া এবং এর একটি কালচারাল ধারা তৈরি করা - এটি মূল সমস্যা - এর জন্য দায়ী রিপাবলিকান পার্টি। এর সঙ্গে আগে ওবামা, বুশ, ক্লিন্টন রা কি করেছেন বা করেন নি তার বিশেষ সম্পর্ক নেই।
কয়েকদিন আগে, অনির্বান নোয়াম চমস্কির বক্তব্যের একটি লিংক দিয়েছিল, সেখানে উনি বুঝিয়ে বলেছিলেন এতে আসল বিপদ কি।
@lcm, ঠিকই তো, সংখ্যার বিচারে কমপারিজন হবেই না।
এসব ক্ষেত্রে যেটা হয়, তুলনা করতে গেলে কিছু একটা স্ট্যানডারডাইজ করার প্যারামিটার ধরে করা হয়, যেমন ধরুন পারচেজ পাওয়ার প্যারিটি অ্যাডজাস্ট করে মাথাপিছু জিডিপি, এইরকম কিছু একটা | তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার ভাবতে পারেন। যেহেতু বড় দেশগুলোতে, বা কমপ্লেকস দেশগুলোতে অনেক গুলো ছোট ছোট ইউনিট থাকে (রাজ্য, জেলা, শহর, ইত্যাদি), সেইভাবেও বড় দেশ ছোট দেশ ভেঙে দেখা যেতে পারে। একই ব্যাপার দেশের মধ্যেও লোকে দেখে, বড় জায়গা, ছোট জায়গা, যেমন ধরুন নিউ ইয়র্ক সিটির সঙ্গে বা শিকাগোর যদি সেন্ট লুইসকে তুলনা করতে যান।
অরিন,
একদম ঠিক কথা। মানে ছোট দেশ হলেও নিউজিল্যান্ড হ্যাজ ইটস ওন শেয়ার অফ প্রবলেমস, কিন্তু তার মধ্যেও যেগুলো ভাল করছে সেগুলো বলতেই হবে। তার সব কিছুই যে সাইজে ছোট দেশ হলেই হয়ে যায় তা নয়। গুড গভর্ন্যান্স, গুড সিটিজেনশিপ - এগুলো তো একটা কালচার - ওপর থেকে এলে কার্যকরী হয় - টপ ডাউন - যেটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী করে দেখাচ্ছেন, এবং দেশবাসীও সেই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
অরিন,
আমর দুই ব্যাচমেট বন্ধু থাকে সিঙ্গাপুরে, ওদের সঙ্গে আজকাল প্রায়ই কথা হয়। সিঙ্গাপুরে একদম প্রয়ই একইরকম করেছে - মানে কোভিড হ্যান্ডলিংয়ে । এবং আমাদের আলোচনায় নিউজিল্যান্ড আর সুইডেনের কথা প্রায়ই আসে।
আপনি ইমিগ্রেশন টা ধরুন না - কোনো কোমপারিজান হয় না। এই চার্ট হল ইউএস গভর্নমেন্ট সাইটের ডেটা - কতজন ন্যাচারালাইজড (গ্রিন কার্ড / সিটিজেন ) হয়েছেন। আনডুকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্ট সংখ্যা তা - বুশের আমলে বলেছিল ১০ মিলিয়ন - এখন কত জানি না ,
আর্টিকেলটা ঠিকই লিখেছে। পরিসংখ্যান দেখলেও দেখা যাবে নিউজিল্যাণ্ডে নানান রকমের বৈষম্য রয়েছে, আরো অনেক কিছু গোলমাল আছে। কাজেই এটাও আরেকটা প্রমাণ যে ছোট দেশ, ইত্যাদি আর্গুমেন্ট এ বোঝা যায় না যে কোনটা ভাল কোনটা খারাপ। দেশের সাইজ,জনসংখ্যার সঙ্গে রাজনৈতিক সাফল্য বা করোনা নিয়ন্ত্রণের কোন সম্পর্ক নেই |
@lcm, আপনার সঙ্গে অনেক বিষয়েই একমত তবে খেয়াল রাখবেন পলিটিক্স, ইমিগ্রেশন, গভর্নেনস কিন্তু অন্য রকম হতেই পারত | তার সঙ্গে দেশের আইল্যাণ্ড স্ট্যাটাসের কোন সঙ্গত সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। অস্ট্রেলিয়াও তাই (দ্বীপ, কম জনসংখ্যা, অপেক্ষাকৃত রিমোট), কিনতু ভিন্ন রকম অবস্থান | আজ লেবার পার্টি পালটে অন্য দল এলে অন্য রকম ছবি হতে পারত (বিশেষ করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে |
সরকারের ওপর ব্যবসা খোলা রাখার সাংঘাতিক চাপ ছিল, এখনো আছে) | তাতে কি হত, কে জানে। ছোট , কম জনসংখ্যার দেশ তাই বৈজ্ঞানিক ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বেশী জোর দিয়েছে এই লজিকটা আমি বুঝতে পারিনা, যদিও অনেকের কাছেই শুনি।
এই চার্টটা ৯ বছরের পুরোনো, হলেও আর্টিকলটা ২০২০ জানুয়ারির। এবং, কারেন্ট গভর্নমেন্ট এই সমস্যা সম্বন্ধে অবহিত, এবং কাজ করছেন।
তবে নিউজিল্যান্ড ধনী দেশ, গরীব ইমিগ্র্যান্টদের জীবনযাত্রার সহায়কও নয়। ইনকাম ইনইকুয়ালিটি আছে। জিনি কোএফিশিয়েন্ট ইউএস এর থেকে বেটার, কিন্তু খুব কম কিছুও নয়।
আর সব কিছু তো এরকম ফ্ল্যাট নয়, এই যেমন,
Why New Zealand is unsympathetic towards the poor
https://www.stuff.co.nz/business/118532029/why-new-zealand-is-unsympathetic-towards-the-poor
তারপরে ধরুন তেল। সেও নেই। নাহলে তেলরক্ষার জন্য লড়তে হত। ঃ-)
নিউজিল্যান্ডের মতন ছোট দেশ, ৫০ লাখ মানুষের দেশ - নিঃসন্দেহে তাদের গভর্ন্যান্স, সোশ্যাল সিস্টেম, ইমিগ্রেশন, পলিটিক্স -- অনেক কিছুই স্বাভাবিক গুণমানেই খুবই উন্নত মানের, প্রশংসনীয় এবং অনুসরণযোগ্য।
কিন্তু, অন্য দেশের পক্ষে হুবুহু অনুকরণ করা কঠিন।
যেমন ইমিগ্রেশন ধরুন - আইল্যান্ড হবার সুবাধে ল্যান্ড ইমিগ্রেশনের ব্যাপারই নেই। জিওগ্র্যাফিক্যাল লোকেশন রিমোট হবার জন্য, জলপথেও ইমিগ্রেশন সহজ নয়, এমন নয় আশপাশে গিজগিজ করছে অন্য সব আইল্যান্ড যেখান থেকে নৌকো করে মানুষ ইমিগ্রেশনের আসায় আসবে - সে সব ব্যাপার নেই (যেমন ধরুন স্পেনে বা ফ্লোরিডায় যেটা আছে)। সব মিলিয়ে এই চাপ তেমন নেই।
শুধু পপুলেশন নয়, কমপ্লেক্সিটি - ভারত দেশের কনসেপ্টটা তো বেশ কমপ্লেক্স - এক ভারতের মধ্যে নানারকম ভারত আছে -
পপুলেশনের দিক দিয়ে দেখলে মহান ভারত তো -- :-)
আহা - সে তো সুইডেন, নরওয়ে - কবে থেকে দেখিয়ে আসছে।
কিন্তু গোটা নিউজিল্যান্ডের পপুলেশন - ৪৮ লাখ। সিঙ্গাপুরের (৫৬ লাখ) এর থেকেও কম। ইউএসএ এর পপুলেশন ৩৩০০ লাখ।
কম্পারিজনের তো একটা মিনিমাম বেসিস তো থাকতে হবে।
গোটা দুনিয়ায় - বিশ্ব রাজনীতিতে - ইউএসএ, চায়না -- এই দুই দেশ নিয়ে একটু বেশি আলোচনা হবে - এরা বেশি অ্যাটেনশন পাবে - কিছু করার নেই।
আপনাদের অনুসরণ করতে পারলে তো বর্তে যাই। দেখা যাক, ভাগ্যে কি আছে
ইন্টারভিউটা দেখুন,
ঠিক, এটাই সেদিন বলছিলাম। সেন্টার লেফটের একটা বড় অংশ পপুলিস্ট রাইটের কথাবার্তা কো-অপ্ট করে বসে আছে। অ্যান্টি- পিসি (পলিটিক্যাল কারেক্টনেস) অ্যান্টি-ইমিগ্রেশান স্ট্যান্ড নিয়ে। সেখানে আপনার দেশ সত্যি দেখিয়ে দিল।
বলিভিয়াতেও ল্যান্ডস্লাইড।
"দিল পে মত লেনা :-)"
না না, দিল পে নেবার কিছু নেই, আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কি করে ইলেকশন করতে হয়, সরকার নির্বাচন করতে হয়, পারলে আমাদের অনুসরণ করুন