Atoz:: "সিনেমা ফিনেমা হয়ে দেখবেন একাকার হবে। "
Atoz, আপনি Forks over knives দেখেছেন? বা, Okja?
অর্জুন, আছেন? আচ্ছা ওই যে আন্দামানের সেলুলারে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম মুছে ফেলার খবরটা , ওটা রটনা তো?
বিশাল বিশাল ভেগান চেইন খুলবে, তিনগুণ দামের রেস্তরাঁ খুলবে, আপওয়ার্ডলি মোবাইল লোকেরা খদ্দের হিসেবে গালে থাপ্পড় মারা দাম দিয়ে খেয়ে আহা আহা করবে ---কবে সেদিন আসবে হে হরি, কবে? :-)
সিনেমা ফিনেমা হয়ে দেখবেন একাকার হবে। ঐশ্বর্য রাই আমন্ড মিল্ক এ চুমুক দিতে দিতে ভেগান চতুরঙ্গ খাবেন। :-)
তবু তো এখনও গ্লোবাল মিডিয়া "ভেগান" প্রোমোট করতে শুরু করে নি। লোকে তখন স্টাইল মারতে ভেগান খাবে দেখবেন, নাহলে জাতে ওঠা যায় না। সাহেবরা খায়! সোজা কথা?
কনফারেন্স বা সেমিনারে veggieদের জন্যে আমার কষ্ট হয়। মাত্র কটা পদ। আর সব সময় পনীর খেতে হয়।
ফেসবুকে একজন লিখেছিলেন সুনীল গঙ্গোঃ আত্মজীবনী লেখার নাম করে 'অর্ধেকজীবন' নামে ওর সর্বশেষ ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখে গেছেন। :-)
লোকে বলে যে ননভেজ খেলে নাকি লোকে বেশি মেজাজি হয়। কিন্তু ভ্যাজ খাওয়া লোকেদের বদমেজাজ তো মারাত্মক। গুজরাতকেই দেখুন।
বহু বছর আগে দিল্লিতে একটা কনফারেন্স লাঞ্চের সময় বুকেতে নন ভেজ আর ভেজ খাবার পাশাপাশি রাখা। আমার এক বন্ধু, না বুঝে চিকেন নেবার পর, তেই হাতায় করে নবরত্ন কারী বা ঐরকম কি একটা ঘ্যাঁট মতন খাবার তুলতে গেছে, এক ভদ্রলোকের সে কি মেজাজ। বললেন, আপনারা ননভেজ লোকেরা তো ভারি বদ! মাংস ও খাবেন আবার আমাদের খাবারেও ভাগ বসাচ্ছেন? আমরা আপনাদের খাবার খাই? মত বলি আর মশাই তাতে কি হয়েছে একবার ট্রাই করে দেখুন না ননভেজ, তত চটে যান।
@অরিন-দা,
যে কোন ভাল কাজ করাই সহজ নয়। জীবনীকারেরা সাবজেক্টর প্রতি অনেক সময় কিছু লয়েলটি দেখান, তাতে লেখার মান নষ্ট হয়। আবার অনেকে জীবনী লিখতে গিয়ে ইতিহাস লিখে ফেলেন। ইতিহাসে অতীত ধরা যায়। জীবনীতে ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব। ওয়াল্টার আইকসনের আইনস্টাইনের জীবনী সম্ভবত পড়েছি ।
কে একজন এখানে লিখেছিলেন না যে পোলাও মানে পল যুক্ত অন্ন।
প্লোভ কিন্তু নিরামিশ নয়। মাংস দিয়ে রাঁধা চাল। স্থানভেদে রন্ধনপদ্ধতি আলাদা। মাংসের সাথে আর কি কি থাকবে সেটাও বদলায়।
প্লোভ (পোলাও, পিলাফ) জিনিসটা কি বেশি প্রাচীন নয়? মধ্যএশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে খায় লোকে। বিরিয়ানী তো মুঘল আমলে যুদ্ধক্ষেত্রে তৈরী হয়েছে বলে জানি। ভারতের বাইরে বিরিয়ানী নামের খাবার খাইনি।
সেকি, আপনি ভ্যাজ বিরিয়ানি জানেন না? বোঝো। পাকিস্তান বা চীনে পাঠিয়ে দেবে তো গোবিজী। ভ্যাজ বিরিয়ানি মানে দুধের স্বাদ থুতুতে মেটানো। গুচ্ছের দাম। এইনিন একদম নামকরা শেফের রেসিপি।
আপনি মুম্বাইতে বা দক্ষিন ভারতে বার অ্যান্ড ভেজ রেস্তোরা দেখেছেন নিশ্চই।
এটা অনেক নিরামিশাষীদের মধ্যেই দেখেছি। হিংসায় বলে ননভেজ খাওয়া ভালো নয়, ননভেজ খেলে জাত যাবে এইসব। আসলে নিজেরা ধর্ম সংস্কার থেকে বেড়োতে পারেনি। কিন্তু অন্যরা আয়েস করে খাবে, সেটাও সহ্য করতে পারেনা।
আমার এখনো লাখনৌ যাওয়া হয়নি। সত্যিই আশ্চর্য । একটি হেরিটেজ গ্রুপ অমৃতসর, হরিদ্বার, বারাণসী, লাখনৌর অনলাইন টিকিটের বিনিময়ে ভারচ্যুয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা করেছিল। লাখনৌ বাদে বাকী গুলোয় বহুবার যাওয়া। ওয়েবসাইটে গ্রুপটার ফটোগ্রাফি দেখলাম বেশ উচ্চমানের। একবার ভাবলাম লাখনৌরটা বুক করে দিই। তারপর করলাম না। দূর! দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে লাভ কী!
S, ভ্যাজ বিরিয়ানি কি খাবার? নিরামিষ বিরিয়ানি? মাঃস বাদ দিয়ে শুধু আলু আর ভাত? এরকম কেউ খায়?
সেই যাই হোক। আমি খেতে পারলেই হবে। সে বিজেপির লোকেরা যত খুশি নাচুক।
মুঘলদের খাবার না?
সেদিন টুইটারে এক রামভক্ত দক্ষিণ ভারতীয় ভদ্রলোক দেখি রাগ করে বলছেন বিরিয়ানি পোলাওয়ের প্ল্যাজিয়ারাইজড রূপ। ভদ্রলোক নিরামিষাশী, বিরিয়ানি মনে হয় না কোনদিন খেয়েছেন, কিন্তু মতামত যেহেতু ফ্রি, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যা তা বলছেন, আর বশংবদরা গোয়ালে ধুনো দেবার জন্য হাজির।
কোলকাতার গুরুত্ব কমেনি, কারণ বহু চেস্টা সত্ত্বেও অন্য শহরগুলো তেমন জমে ওঠেনি। দুর্গাপুর-আসানসোল, কল্যানী, হলদিয়া, শিলিগুড়ির প্রচুর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু যেখানে মোট বিনিয়োগের পরিমাণই এত কম, সেখানে কোলকাতার বাইরে যে ঘি একটুও পৌঁছবে না, সেটাই স্বাভাবিক। অন্য বহু রাজ্যে কিন্তু একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর রয়েছে।
বিরিয়ানি তো উপনিষদের যুগের খাবার। স্বয়ং যাজ্ঞবল্ক্য নিজে রেসিপি দিয়েছেন। একেবারে কোট আনকোট করে তুলে দিয়ে দেবেন তো বিজেপিদের, ব্যাটারা লাফাতে লাফাত খাবে। :-)
অর্জুন, ভাল জীবনী লেখা সহজ ন। মোটেই। তবে আমার যেমন ওয়াল্টার আইস্যাকসন জীবনীকার হিসেবে ভারি পছন্দের। স্টিভ জোবস, আইনস্টাইন, আর দা ভিঞ্চির তিনজনের জীবনী আমার মতে খুব ভাল লিখেছেন।
এইটা আমারও মত। বিরিয়ানিতে আলু জিনিসটা একটা অসাধারণ ব্যাপার, এত ভালো এত ভালো! এমনিতে মাংসের ঝোলেও বড় বড় করে কাটা আলুর টুকরো, ও জিনিসের তুলনা হয় না। মাংস রেখে ওই ঝোলের আলু খুঁজে বেড়াই। :-)
তবে দিনকাল যেদিকে যাচ্ছে, এবারে বিরিয়ানি খাওয়ার বিরুদ্ধেও লোকে রাস্তায় নামবে হয়তো। আচ্ছা বিজেপির মিছিলগুলোতে কি ভ্যাজ বিরিয়ানি খাওয়ায়?
আলু+বিরিয়ানি অর্থাৎ কিনা আলুয়ানি বলা যায়। :-)
বিরিয়ানির আলু হল দুনিয়ার সবথেকে টেস্টি খাওয়ার। আহা। কোলকাতা জিন্দাবাদ।
লখনৈ বিরিয়ানি কিন্তু একটু অন্যরকম হয়। কোলকাতায় যেটা খাওয়া হয় সেটা মূলত আওয়াধি বিরিয়ানি।
শোনা যায় কলকাতায় আসা ওয়াজিদ আলি শাহের বিরিয়ানিতে আলু দিয়ে দিত তাঁর বাবুর্চি, খরচ কমাতে। সেই থেকে আলুর প্রয়োগ বিরিয়ানিতে।
ওয়াজেদ আলী শাহ'র হাত ধরে লাখনৌর বিরিয়ানি কলকাতায় এসেছিল মিউটিনির পরে।