এই হিলিবিলি ন্যারেটিভ টার সমস্যা হল, ম্যানুফাকচারিং স্বর্ণযুগে , রেসীজম, আ্যন্টি ইমিগ্রেশন পলিটিক্স কেন ছিল তার ব্যাখ্যা নাই।
ঐভাবে দেখলে ওবামাও যুদ্ধ করেনি। কিন্তু প্রচুর কনফ্লিক্টে জড়িয়েছে। সেসব ট্রাম্পের আমলেও হয়েছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে, কিন্তু সেসব খবর আমাদের মিডিয়াতে খুব বেশি চোখে দেখিনা।
ট্রাম্প যুদ্ধ করেনি তার প্রধানত তিনটে কারণ আছে। পুতিনের বারণ আছে। ট্রাম্পের আন্ডারে ন্যাটো কান্ট্রিগুলো সাপোর্ট দেবেনা। আর এখন আমেরিকাতে বুট অন গ্রাউন্ড খুবই আনপপুলার চয়েস। তাই সিরিয়াতে মিসাইল ছোঁড়া আর ইরানে অ্যাসাসিনেশান দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।
ইরাক যুদ্ধের জন্য দায়ী অনেকেই। গাঁ উজার হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি যে ট্রাম্পভক্তরা বেশিরভাগই ইরাক যুদ্ধের সমর্থক ছিল। এখন সবাই নেকা নেকা কথা বলে বটে। আমেরিকা তখন যে এক্সপেক্টেশান নিয়ে ইরাকে গেছিল, সেসব কিছু হয়নি। একগাদা খরচ হয়েছে, প্রচুর জীবন গেছে, মাথার উপর দেনার বোঝা চেপেছে। অথচ এক ফোঁটা তেলও আসেনি। গ্লোবালাইজেশনের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই ব্যাপার।
আসলে এই ইরাক যুদ্ধ আর গ্লোবালাইজেশন দুটোরই মাখনটা খেয়ে গেছে বড় ক্যাপিটালরা। ডিফেন্স কন্ট্রাকটাররা আর বড় কর্পোরেশনারে মাধ্যমে। সাফার করেছে সাধারণ লোক। যাদের চাকরি গেছে, যাদের জীবন গেছে। কিন্তু ব্লেমটা ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে। ইসলামোফোবিয়া আর অ্যান্টাইইমিগ্রান্ট সেন্টিমেন্ট বেড়েছে।
কিন্তু ইরাক ওয়ার র দায় তো পুরোটাই রিপাবলিকান দের - বাপ্ আর ছেলে বুশ দুজনে মিলে দুটো এপিসোড। সেই দায় ডেমদের ঘাড়ে কি করে আসে ?
ট্রাম্প র আমলে সেভাবে আমেরিকান মিলিটারি কোথাও বাড়াবাড়ি করেনি অবিশ্যি গত চার বছরে -এটাও সত্যি বটে .
আমার মনে হয়েছে এই একদিকে বার্ণী-ওয়ারেণ-এওসির রাইজ আর অন্যদিকে ব্যানন-্ট্রাম্পের রাইজ আসলে ইরাক যুদ্ধ আর তদ্পরবর্তি ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের ফলাফল। ঐসময় একইসঙ্গে অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট আর টি পার্টি মুভমেন্ট হয়। অকুপাই মুভেমেন্টে গ্রেট রিসেশানের জন্য ওয়াল স্ট্রীট, বিগ ক্যাপিটালকে দোষারোপ করা হয়। আর সেটাকে কাউন্টার করতেই টি পার্টি মুভমেন্ট আসে যেখানে বলা হয় যে সরকার বেশি ট্যাক্স নিয়ে মাইনরিটিদের দিয়ে দিচ্ছে, যার জন্য এই রিসেশান। ২০১০এর ইলেকশান ডেমরা হারে এই টি পার্টির জন্যই।
এছাড়াও বহু ফ্যাক্টর আছে। ৮ বছর ধরে ওবামার প্রেসিডেন্সি অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। ফক্স নিউজ একটা বড় রোল প্লে করেছে। স্যন হানিটি ওয়াজ জাস্ট আ পার্ট অব ফক্স নিউজ। আমিও একসময় বিল ওরাইলির অ্যানালিসিস শুনতাম। যদিও আমার মতে ভুল অ্যানালিসিস - তবুও সেটাকে অ্যানালিসিস বলা যায়। ওবামার সেকেন্ড টার্মের সময় থেকেই এইসব পরিবর্তন হতে থাকে। অ্যানালিসিসের বদলে অ্যাজেন্ডা জায়্গা পেতে থাকে। নিউজের বদলে কনস্পিরেসি। ফলে লোকে আসল খবর আর শুনতেই পারছিলনা। ফক্স নিউজ শুধু ভয় দেখিয়ে গেছে। কখনও বেশি ট্যাক্স, কখনও ওবামাকেয়ার, ক্যারাভান, এখন অ্যান্টিফা। তাছাড়া রাইট উইঙ্গ মিডিয়াতে প্রচুর কম্পিটিশান। সেখানে যত রেসিস্ট আর একস্ট্রিম হবে, তত ভিউয়ারশিপ। তার কুফল দেখাই যাচ্ছে। ফক্স নিউজ বহু লোককে পার্জ করেছে কারণ দে ওয়ার নট একস্ট্রিম অ্যান্ড ক্রেজি এনাফ।
আরেকটা কারণ আছে। ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার নাস্তানাবুদ হওয়ার বিশাল কনসিকুয়েন্স আছে। ফর অবভিয়াস রিজন এটা আমেরিকাতে কেউ আলোচনা করেনা বটে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে এইযে আমেরিকার হঠাত আইসোলেশানিস্ট হয়ে ওঠা, এটা হয়েছে ইরাক যুদ্ধের জন্য (অন্তত ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে)। অনেকেরই মনে হয়েছে (বা বোঝানো হয়েছে) যে ইন্টারন্যাশনালিস্ট হয়ে তাদের কোনও লাভ হচ্ছেনা। একগাদা কাজ চলে যাচ্ছে, একগাদা ইমিগ্র্যান্টরা আসছে, কিন্তু লাভের ফল তারা চোখেও দেখতে পারছেনা। ফলে ট্রাম্পই তাদের সলিউশান মনে হয়েছে।
একটা সময়ে ব্রিক লেন e থাকতাম, মনিকা আলি খ্যাত শুধু না, ডিকেন্স এবং জ্যাক দ্য রিপার খ্যাত। সেখানে বাংলা দেশী কমিউনিটির মধ্যে এক কেস, এক্দল লেবার পার্টির 'ন্যাচারাল; বন্ধুত্ত্ব ধরে রাজনৈতিক নেগোশিয়েশন এর জায়্গায় আসতে চায়, আরেকদল কনজারভেটিভ দের মধ্যে গিয়ে কাকের ময়ুর হবার শখ বা কোন কারণে বড় লোক হয়ে জেন্ট্রিফিকেশন er স্বপ্নে বাস করত। এই সুখের পোলারিটি তে একটু, ফিসার আনে ইরাক যুদ্ধ এবং তখনকার স্ট্রীট ইসলামোফোবইয়া। জোর্জ গালওয়ে r যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান , ওয়াশিংটনে কংগ্রেসনাল হিয়ারিং er পারফরমান্স গ্যালভানাইজ করে অল্প বয়সী শিক্ষিত মুসলমান ছেলে মেয়েদের। পরে নানা কারণে গেঁজে যায়। কিন্তু ব্রিটেনের প্রোগ্রেসিভ লেফ্ট কে মিলিটান্ট ট্রেড ইউনিয়নিস্ট লেবার এর ইমিগ্রান্ট বিরোধী অংশর সংগে বহুদিন লড়াই চালাতে হয়েছে। কোরবিন এর উত্থান ও সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুটি ই এই কনফ্লিক্টে অন্তর্নিহিত। অতএব বিলিতি বা আমেরিকান অর্থে শ্রমিক শ্রেণী এবং সামাজিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণী র এক জায়্গায় আসার মত বড় ন্যারেটিভ খুব রেয়ারলি অ্যাচিভড হয়েছে, গণতন্ত্রপ্রেমী দের মধ্যেও। এবং আরেকটা বড় সমস্য হল, ওয়েলফেয়ার স্টেটে এর পিস টাইম ক্রিটিক হিসেবে যে সব বিরোধী ভাষ্য তৈরী হয়েছিল ষাটের দশকে , তার থেকে ইমাজিনেশন ধার করা বন্ধ না হলে এই নতুন ন্যারেটিভ এমার্জ করা মুশকিল, অথচ আশু সমাধান দেখি না।
ব্যক্তিগত ভাবে শোনা গল্প, কতটা সত্যি বলতে পারব না, হিমানী বন্দ্যোপাধ্যায় (গুরুতে মানব বাবু সম্পর্কে এনার লেখা অবিচুয়ারি beriyechhe) রা একটা কথা বলতেন, আন্তাচে মনে পড়ছে, ভারতীয় লেফ্টি দের সম্পর্কেই বলতেন, এরা চামড়া বোঝে না, সেটা ৮০স e সঠিক অবসারভেশন ছিল, কিন্তু এখন আরেকটা মজা হয়েছে, নতুন ব্ল্যাক রা, শুধু চামড়া না, ক্লাস কনফ্লিক্ট ও বুঝতে চাইছে। এটা অ্যান্টি ক্যাপিটালিস্ট আন্দোলন (সিয়াটেল), আর ক্রেডিট ক্রাইসিস er পরের ঘটনা। সোশাল সাইন্সে এগুলো ইন্টারেস্টিং। এবং নব্বই দশক পরবর্তী সময়ে আমাদের এখানে এনারাই এক্সপেরিয়েন্স এর যে বাজার তৈরী হয়েছে, যাই দিয়ে এই ইন্টারনেট বাংলা চলছে অনেকেটা, তাতে এসব বিশেষ পাই না। বড় এস এর এক্সপেরিয়েন্স এই জন্যে পড়ে আরাম পাই একটু।
অরিন , আমার আন্দাজ টা আলাদা। ডেমোক্রাটিক পার্টি র কাছে ন্যাচারাল অ্যাকসেপ্টান্স পেয়েছে ৬০স , ৭০স এর ইমিগ্রান্ট রা, তখাকার সাউথে , সেগ্রিগেশন এর পরে পরে বিদেশে বাদামী আদমীর গ্রহণযোগ্য হবার প্রশ্ন ছিল না। এবার এই সব গ্রহণযোগ্যতার সমস্যা হল, এটা মালটিকালাচারালিজম বলে যে ঘোড়ার মাথাটি চলে ইংঅলিশ স্পিকিং বিদেশে, কালচারাল আইডেন্টিটি কে , তার এসোটেরিক ইউনিকনেস কে সে গ্রহণযোগ্যতা দেয়, তাই ট্র্যাডিশনাল কমিউনিটি লিডারশিপ এর পক্ষে ডেম দের টোকেন নেতা হয়ে ওঠা কঠিন না, কিন্তু তাতে লিবেরালিজম র শিক্ষা সব সময়ে ন্যাচারাল এক্সটেনশন না। কমিউনিটির মধ্যেকার মাইনরিটির কোনো রিপ্রেজেন্টেশন থাকে না। এ মানে দেখে দেখে হেজে গেলাম। গুড ওল্ড ইংগ লন্ড এসব মালে ভরতি। একটাই উল্লেখযোগ্য একসেপশন ছিল, সাউথ হল ব্ল্যাক সিস্টারস বলে এক ধরণের অর্গ তৈরী হয়েছিল, সাউথ হল অঞ্চলে কালো আর ভারতীয় (উগান্ডা, পাঞ্জাব থেকে aasaa) ইমিগ্রান্ট দের একটা কোলাবরেশন তৈরী হয়েছিল, বার্মিং হ্যাম আর নর্থ লন্ডনে কিছু প্রচেষ্ট হয়, অতটা সফল হয় নি। ৭০স এর কিছু অ্যাক্টিভিস্ট বুজেছিলেন, এই নতুন দেশের নতুন অন্তর্ভুক্তির ইকুয়েশন লাগবে। ফারুখ ঢোন্ডি, হানিফ কুরেইশি দের লেখায় কিসু পাবেন, আর একজন থিয়োরেটিশিয়ান আছেন, সিন্ধু বলে, পুরো নাম ভুলে গেছি, তার কিছু কাজ আছে। লন্ডনের একজন ব্ল্যাক হিস্টোরিআন ছিলেন, ডার্কাস হোয়ে, ওর কিছু লেখায় নিউ স্টেট্সম্যান পত্রিকায়, অনেক আগে, কিছু আলগা রেফারেন্স পেয়েছি।
আফ্রিকান আমেরিকান দের মধ্যে ট্র্যাডিশনাল সিভিল রাইট্স লিডারশিপ এমনকি আর নতুন বি এল এম লিডারশিপ বা অল্প স্বংখ্যক লেফ্ট লিনিং প্রোগ্রেসিভ যারা তাদের মধ্যেকার যে , আইডেন্টিটি পলিটিক্স বনাম প্রোগ্রেসিভ পলিটিক্স বা প্রোগ্রেসিভ ক্লাস পলিটিক্স er যে খুব সহজ দ্বন্দ সেটা এই কন্ফ্লিক্ট এর অন্য একটা রূপ মাত্র।
মুশকিল হল নতুন আন্তর্জাতিক বাংঙালির আফটার ডিনার আত্মজীবনী মার্কেটে , এমন কি সোশাল নেটওয়ার্কিং এর আমলেও , এই ধরণের অবসারভেশন এর কোন বাজার নাই। :-))) উপলব্ধি ও বিশ্ষ নাই :-))))) আমি যেহেতু কোন পার্টিশন বা যুদ্ধ বা বাধ্যতামূলক অভিবাসন ইত্যাদি ব্যক্তিগত ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাই নি, কিন্তু শান্তিনিকেতনে র না বীরভূমের ঐতিহ্যপ্রেমী গরু , না কলকাতার বিপ্লবী বা দেশপ্রেমী ছাগল না বিশ্বভারতীর ছেন্ছিটিব এঁড়ে কোনটাই অন্তত পুরোটা না হবার কারণে , আমার 'ফ্লিটিং' কালচারাল এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে এক ধরণের ন্যাচারাল আগ্রহ ছিল, তাই এগুলো চোখে পড়তো , এই আর কি। জোরজ গ্যালওয়ে র রেস্পেক্ট পার্টি যখন তৈরী হয়েছিল, আমরা কিছু লিফলেট বিলি করেছিলাম, তখন এসব নজরে আসতো।
না না। একেবারে সদ্য আমেরিকায় গেছে এমন লোকজনও আছে যারা মোদির ভক্ত, কিন্তু ট্রাম্পের ঘোর বিরোধী। ইনফ্যাক্ট, আমার মনে হয় আমেরিকান বর্ণদের মধ্যেই এরকম কম হবে। এর কারণ ইন্ডিয়াতে এরা সবাই মেজরিটি, তাই সেখানে মোদি মাইনরিটিদের উপর অত্যাচার করলে কারোর গায়ে লাগেনা। কিন্তু ট্রাম্প একই কাজ আম্রিগাতে করলে মুশকিল, কারণ সেখানে নিজেরা মাইনরিটি। বহুদিন ধরে এনারাইরা নিজেদের কুলীন ভেবে এসেছে - অন্তত ইমিগ্র্যানটদের মধ্যে। ট্রাম্প ভক্তরা সেসব কৌলিন্য আর রাখছে না।
এতো প্রায় তুলসি গাবার্ড এর মত 'ভালো' লোক :-))))) প্রতিটা কে এক্সপোজ করা উচিত, শুয়োর।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
lcm:" এরকম এনআরআই আছেন অনেকে, ট্রাম্পকে এক্কেবারে পছন্দ করেন না, ওবামার ফ্যান, এবং, ইন্ডিয়াতে মোদিকে খুব পছন্দ করেন।"
এইগুলোই মনে হয় "অ্যামেরিকা বর্ন কনফিউসড দিশি" (ABCD)
হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট মিলিশিয়া (অন্যান্য দেশে এদেরকে ডোমেস্টিক টেররিস্ট বলা হয়) আমেরিকার বড় সমস্যা হতে চলেছে। ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এদের প্রকোপ বাড়ে। ন্যাচারালি। ট্রাম্প আসাতে এরা জল হাওয়া পেয়েছে। ট্রাম্প আরো চারবছর থেকে গেলে এদের দৌরাত্ব্য আরো বাড়বে। যেটা আমেরিকার কারোর জন্যই সুখবর নয়। আসলে খুবই অপদার্থ লোকজন। ডিপ্লোরেবলস। সারাদিন ধরে হাবিজাবি কনস্পিরেসি থিয়োরী কনজিউম করে। নিজেদের অকর্মণ্যতার জন্য মাইনরিটিদের দোষারোপ করে যায়। অনেকেই সরকারের বদান্যতায় দিন কাটায়, কিন্তু সরকারকে দুচক্ষে দেখতে পারেনা। হোয়াইট সুপ্রিমেসি আর গান ঔনারশিপ ছাড়া এদেরকে কেউ পাত্তাও দিতনা। ট্রাম্প ইলেকশান হারলে কি হবে বলা মুশকিল। আবার হয়ত গর্তে ঢুকে পড়বে। বা ট্রাম্প কেন হেরেছে বলে সিভিল ওয়ারে নামবে। তবে এরা এমনিতে খুবই কাওয়ার্ড, ফলে খুব বেশি সাহস করবে বলে মনে হয়না। এবারের বিএলেম মুভমেন্টের সময় এদের সঙ্গে পুলিশের দোস্তি দেখে বেশ চিন্তা হয়।
এই - শ্রী কুলকার্নি - যিনি টেক্সাসের হিউস্টন এলাকা থেকে ডিস্ট্রিক্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রার্থী - তো ইনি আরএসএস এবং বিজেপি সমর্থক। ইনি পরেছেন ঝামেলায়।
এরকম এনআরআই আছেন অনেকে, ট্রাম্পকে এক্কেবারে পছন্দ করেন না, ওবামার ফ্যান, এবং, ইন্ডিয়াতে মোদিকে খুব পছন্দ করেন।
কমরেড লিবজেন লাল সেলাম।
"কিন্তু ঐ, এক এক সময় হয় না একটা গান লুপের মত সারাদিন ঘুরে ফিরে মনে বেজে যায়? সেই আর কি "
বুঝেছি | সব জিনিস তো হুবহু একই রকম ভাবে দু তিনটি ভাষায় প্রকাশ সম্ভবও নয় |
অরিনসাহেব,
আপনার কমেন্টে এত চমত্কার ছবির মত বক্তব্য ফুটে উঠেছিল ঐ জীবনবোধ শব্দটায়, মনে হল ইন্রিজিতে এরকম অর্থবহ শব্দ রয়েছে কি ! ফ্লিটিং থট, আর এমন নয় যে ইন্রিজিতে চমত্কার সব ভাব্প্রকাশের শব্দ নেই।
কিন্তু ঐ, এক এক সময় হয় না একটা গান লুপের মত সারাদিন ঘুরে ফিরে মনে বেজে যায়? সেই আর কি
পুওর্টো রিকোতেও পাওয়া যাবে এক্টু অন্ধকার রাত দেখে বায়োলুমিনিসেন্ট বে তে ভেলায় ভাসলে
ওঃ কেলোদা, কী বই কী বই! অসাধারণ! কন টিকি। এতদিনে কিনা প্রথম এ বই পেলাম! উড়ুক্কু মাছের জায়্গাটা পড়ছি, রোজ মাছ পেতেন ওঁরা। আর ঐ অন্ধকার রাত্রির সমুদ্রে ওই জৈবপ্রভা ওয়ালা প্রাণীদের মেলা! ওঃ, যেন একটা জাদুজগতের ব্যাপার পড়ছি। একবার তিন আলোজ্বলা জায়ান্ট ভেলা ঘিরে সারারাত সাঁতরালো, সকাল হতেই ভ্যানিশ! অপূর্ব!!!!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বই কেনার সময় (এখন আবার লোকে বই কেনেনা, সংগ্রহ করে) মানুষে বইয়ের পাতার সংখ্যা মাপে, ওজন মাপে, কালো অক্ষরে লেখাগুলোর উপর পরিশ্রম আর পড়াশোনা, তা মাপেনা,
না ইনসাফি, বহুত না ইনসাফি....
জামনগরের শুরুর দিন মনে এল, ইথিলিনের একটা ক্র্যাকার, তার দাম হাঁকলে প্রসেস লাইলেন্সার টেকনিপ x অ্যামাউন্ট, মালিকেরা বলল ফার্নেসের ওজন কত? তাহলে এত ওজনের স্পেশাল লোহার এত দাম কেন হবে? টেকনিপ বলেছিলো তুমি তোমার লোহা দিয়ে তোমার ক্র্যাকার বানিয়ে নাও, আমাদের কেন ডাক? মালিক লাইনে এসে গেছিল।
পোল্যান্ড - এলজিবিটি ব্যান জোন বানিয়েছে -- কিছু কম্যুনিটিতে ইউ ফান্ডিং বন্ধ করে দিয়েছে এই কারণে
‘You don’t belong here’ In Poland’s ‘LGBT-free zones,’ existing is an act of defiance
https://www.cnn.com/interactive/2020/10/world/lgbt-free-poland-intl-scli-cnnphotos/index.html
তানিষ্কের নামও আগে কোনোদিন শুনিনি। এখন এই গন্ডগোলের জেরে সবাই তানিষ্ক তানিষ্ক করছে শুনছি। এরকম অদ্ভুত নাম শুনে ভেবেছিলাম কনিষ্ক বলতে গিয়ে তানিষ্ক বলছে নাকি? ঃ-) তারপরে দেখি ওরে বাবা, গয়নার বিজ্ঞাপণ! ব্যাপার গুরুচরণ! (বলা যায় না, হয়তো নিজেদের লোক দিয়েই গন্ডগোল বাধিয়ে সেই ঝন্টুদার মতন হেত্বাভাসে কারুকলার বিচ্ছিতির মতন কিছু একটা করে নিল। ঃ-) )
আমার মনে হয় বন্দুক ধারী মিলিশিয়া, ইন্ডিভিজুয়াল, কিছু জায়গার পুলিশ, হিস্পানিক, কালো দের ভয় দেখাবে ভোট দিতে দেবে না বা ডিসকারেজ করবে, পোলিং স্টেশন এর লোকেশন নিয়ে চ্যাঁগ্রামো তো আছেই। কিছু রিপোর্ট দেখলাম, কিন্তু বেশি এখনো দেখিনি, ইন্সিডেন্টালি হিলারি ক্লিন্টন অল্পবয়সী লয়ার হিসেবে এসব বেশ সাকসেসফউলি আটকেছিল একটা সময়ে। এবার কি আটকানোর লোক আছে, ট্রাম্প সাপোর্টার রা রেসিস্ট হেজেমনি হারানোর ভয়ে ডেসপারেট। অবশ্য ওরা 'ভালো' লোক :-)
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
কোল্ড ওয়ারের হ্যাঙ্গোভার এখনও আছে। তবে বার্লিন ওয়াল ভেঙে যেতেই কোল্ড ওয়ার শেষ হয়ে গেছে বলে যে ধারণা করা হয়েছিল, সেটা আবার চ্যালেন্জড হচ্ছে।
'The Guardian' পত্রিকায় পংকজ মিশ্রার একটি লেখা পড়েছিলাম যেখানে উনি বলেছিলেন অ্যামেরিকীয় অর্থনীতি সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চর্চার ওপর পোস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোল্ড ওয়ারের সময় প্রভূত প্রভাব ফেলেছিল এবং ইংরেজি ভাষার প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব রাখতে ইংল্যান্ড এবং অ্যামেরিকা তাদের এবং তৃতীয় বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনা জগতে ক্রুড রাজনীতি চালিয়ে গেছিল।
'কলিখাতা' নিয়ে কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি ওই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত আছি।
@অরিন-দা
পংকজ মিশ্রার নতুন বই 'Bland Fanatics: Liberals, Race and Empire’ সদ্য বেরিয়েছে। সেই উপলক্ষে একটা সাক্ষাৎকারে কিছু কথা বললেন।
বইটি কিনব। পংকজ মিশ্রার লেখা আমার খুব প্রিয়। আমি ওকে অরুন্ধতী রায়ের থেকেও এক ধাপ এগিয়ে রাখি।
ওর মতে modern democracies are heading towards moral and ideological bankruptcy and coronavirus is the latest example.' এবং এটা এখন একটা global phenomena।
ব্রিটেন ও অ্যামেরিকার ব্যাপারে ওর যে পয়েন্টটা আমার স্ট্রাইক করল তা হল 'these are the two countires that hadn't really suffered occupation or military invasion over the long course of the 20th century and back in the 19th century.'
কথাটা তো সত্যি! এবং এই দুটি দেশই সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছিল পৃথিবীতে।