আমি কেমিস্ট্রির অধ্যাপক দীপন্কর স্যারের ক্লাস করেছি।
অটোজ ,আপনি যে দীপঙ্করবাবুর কথা লিখেছে তিনি অন্য কেউ। শান্তিনিকেতনের দীপঙ্করদা ২০০১ বা ২০০২ এ মারা গেছেন।
:|:, আমার ২২ঃ৪৭ এর প্রশ্ন টা প্লীজ দেখবেন . :-)
বাহ, কত চেনা নাম। দুনিয়াটা সত্যি ছোটো। কুট্টু, মিতুন, সৌরভ, অ্যানি। অলকাদির ক্লাস ও করেছি ভরপুর।
লিঙ্ক দিতে গিয়ে ছড়িয়েছি, ধন্যবাদ টিম। আপনি সঠিক লোকেরই অর্থাৎ উৎপলের লিঙ্ক দিয়েছেন। চেনেন নাকি ওকে? KK-দি, আমিও তোমাকে নিশ্চয়ই চিনি যদিও ঠিক বুঝতে পারছি না তুমি কে। এর পর থেকে তুই সম্বোধন করলেই ভালো লাগবে। আর তোমাদের ব্য়াচের যাদের নাম বললে তাদের সবাইকেই চিনি। তোমার কোন ডিপার্টমেন্ট ছিল? ইচ্ছা না করলে অবশ্য না জানাতেই পারো,কিছু মনে করব না।।
আচ্ছা, অনেক অনেক বছর আগে, সেই অষ্টাশি উননব্বুই সালের দিকে, একজন বাঙালি বিজ্ঞানী, তাঁর নামও দীপঙ্কর, তিনি সেই আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগসম্পন্ন সুপারলুমিনাল পার্টিকল নিয়ে কী যেন কাজ করে খুবই খবরে এসেছিলেন। মনে আছে আপনাদের কারুর? তিনিই কি এই দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ? নাকি তিনি অন্য কেউ? এখন তিনি কোথায়?
টিম, স্যান্ডি , কেকে , ধন্যবাদ ঃ, বেশ মজা হল -)
স্যান্ডির লিংকটা ঠিকমত আসেনি। এখন গুরুর নতুন কলে ব্র্যাকেট দিতে হয়না। ছাত্রাবস্থায় ইউভি পাশের পাড়া ও রাইভাল ইশকুল ছিলো। :)
স্যান্ডি,
আমি কুট্টুর ব্যাচমেট। যদিও অন্য ডিপার্টমেন্ট। তোমার ডিপার্টমেন্টেরই আমাদের ব্যাচের ছিলো ইন্দ্রানী (অ্যানী), মিতুন, সৌরভ এরা। চেনো নিশ্চয়ই। অ্যানী আমার রুমমেট ছিলো হস্টেলে। তোমাকেও হয়তো চিনি ঃ))
বোধিদা, আপনার ডিপার্টমেন্টতুতো জুনিয়র ইউনিভারসিটি ওফ ভারজিনিয়া ফিজিক্সের অধ্য়াপক। আমার খুব ঘনিষ্ট বন্ধু সে। হাই টেম্পেরাচার সুপারকন্ডাক্টিভিটি নিয়ে কাজ করে এবং খুব হাই কোয়ালিটি জার্নাল ছাড়া সে পেপার পাবলিশ করে না। নেচার ফিজিক্সে শালাটার প্রচুর পাবলিকেশান। বন্ধুগর্বে আমার মাজে মাঝে মাটিতে পা পড়ে না :-)
দীপঙ্করদা বেশ গুণী মানুষ। সেই আমলের হুমবোল্ড ফেলো, আবার বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্ত। উনি বোধ হয় অমর্ত্য সেনের ক্লাসমেট ছিলেন পাঠভবনে।
:I:, চক্রবর্তী নয় চট্টোপাধ্যায় হবে।
চট্টোপাধ্যায় ই হবে মনে হয়, ভাবছিলাম কে ভুল ধরে দেখি:-))))
স্যান্ডি ১৭।২৪: আপনি দীপঙ্কর চক্রবৰ্তী কথা বলছেন আর বোধিসত্ত্ব বলছেন দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কথা। দুজনেই কি একই লোকের কথা আলোচনা করছেন?
হ্যাঁ সমর দা নেই এটা শুনেছি, খুব খারাপ লেগেছিল। উনি আমায় বলে শুধু না, যারা পড়াশুনোয় তেমন ভালো না, তাদের সবাই কে দেখলেই খুব সিরিয়াস মুখ করে, খুব জেনুইনলি, একটা কথা বলতেন, 'তোমায় নিয়ে করব বলতো?' তখন হাসাহাসি করতাম নিজেরা, পরে দেখেছি, কলেজ ইউনি শুধু না সারা জীবনেও ওরকম বলার লোক বেশি থাকে না। খুব স্নেহশীল ছিলেন। আমি রাজনীতি করতাম বলে , যখন পোস্টারে নাম দেখা গেল, তখন একদিন খুব বিব্রত হয়ে উনি বললেন, তার মানে কি ক্লাস করবি না? কি করি, আমি একস্ট্রা ক্লাস নি , সিনিয়র দের, চলে আসিশ, আগে পরে তোকে নিয়ে বসব, বা অন্তত সন্ধের দিকে ল্যাবে আসিশ কিছু কিছু ক্লাস নিয়ে নেব। কল্পনা করা যায় না।
উনি যখন স্ট্রাসবুর্গ গেলেন লো টেম্পারেচার ল্যাবে, তখন উনি আরো অনেক ছাত্র ও গবেষক দের সেখানে যাওয়ার ব্যাবস্থা করেন , তখন সুপার কন্ডাকটিভিটি ইত্যাদির বাজার ভালো, আমার ধারণা অসীম দা র উদ্যোগে ই ট্রিয়েস্টে র ইনস্টিটিউট এ আর সি ই আর এন এ, ও সমর দার উদ্যোগে স্ট্রাসবুর্গ এ গবেষকরা প্রায় i যাতায়াত করতে পারতো, কাজ করতে পারতো, আমি ঠিক জানি না , সে টা কতটা সরকারী বোঝাপড়া ছিল বা সত্যি ই বোঝাপড়া ছিল কিনা, কিন্তু বিশ্বভারতীর অনেকেই পড়াশুনো করতে যেতেন। আমার এতটা মনে থাকার একটাই কারণ, ওনার ল্যাব থেকে একটা সায়েন্টিফিক আমেরিকান আমি ঝেড়ে দিয়েছিলাম, তাতে লো টেম্পারেচার ফিজিক্স এ আমাদের বয়সী ছেলে মেয়েদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য , কয়েকটা আর্টিকল ছিল, সেটা অনেকদিন ফেরত দি ই নি, ঘুরতাম ফির্তাম নেড়ে চেড়ে দেখতাম। পরে একদিন আমার দ্বারা বিশেষ কিসু হবার নয় সম্যক বুঝে ওঠার পরে, লুকিয়ে গিয়ে ওনার ল্যাবে রেখে এসেছিলাম :-))
ওহ আপনি ফোটনদার পরের ব্যাচ ? তাহলে গৌরবদাকেও চেনেন নিশ্চয়। আর সমরদা কিছুদিন আগে মারা গেছেন, জানেন হয়ত।
ও বলেই দিয়েছেন , কেমিস্ট্রি , থ্যাংক ইউ। চেনা নাম গুলো দেখে খুব মজা লাগলো। গুরুচন্ডালির পাতার আমার নানা বেঁড়ে পাকামি, অতীতের বন্ধু দের কাছ থেকে লুকোনো গেল না দেখে লজ্জাই লাগছে :-)
তথাগত আমার ছোটো ভাই । ভাই er 'মত' বলতে কষ্ট হয় বলে বলতে পারি না। ভাই এর চেয়েও বেশি। আত্মীয়তা নেই, তবে বন্ধুত্ত্ব টা হয়তো সে কারণেই আছে। আমি বিদেশে গেলে ওদের বাড়িতে থাকার চেষ্টা করি।
তখন ঐ ছোটো জায়গার মজা একটা ছিল। ডঃ রাও / অলকা রাও দের ছেলে আমাদের আগের ব্যাচ ছিল স্কুলে। পাঠভবনে। ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়, ডঃ রাও, আমাকে এটা ওটায় আগ্রহ আছে দেখে, স্কুলে পড়ার সময় রুথ মুরের পুলিত্জার প্রাইজ পাওয়া , কয়েল অফ লাইফ পড়তে দিয়েছিলেন। প্রীতম দা , রনবীর দা অসীম দা, সমর দা সবাই অসম্ভব স্নেহ করতেন। আমি পরে মাথা গরম একটই মুহুর্তে পড়াশুনো আচমকা ছেড়ে দেবার পরে আর লজ্জায় ওনাদের সংগে দেখা করিনি :-))))
ও বলেই দিয়েছেন , কেমিস্ট্রি , থ্যাংক ইউ। চেনা নাম গুলো দেখে খুব মজা লাগলো। গুরুচন্ডালির পাতার আমার নানা বেঁড়ে পাকামি, অতীতের বন্ধু দের কাছ থেকে লুকোনো গেল না দেখে লজ্জাই লাগছে :-)
তথাগত আমার ছোটো ভাই । ভাই er 'মত' বলতে কষ্ট হয় বলে বলতে পারি না। ভাই এর চেয়েও বেশি। আত্মীয়তা নেই, তবে বন্ধুত্ত্ব টা হয়তো সে কারণেই আছে। আমি বিদেশে গেলে ওদের বাড়িতে থাকার চেষ্টা করি।
তখন ঐ ছোটো জায়গার মজা একটা ছিল। ডঃ রাও / অলকা রাও দের ছেলে আমাদের আগের ব্যাচ ছিল স্কুলে। পাঠভবনে। ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়, ডঃ রাও, আমাকে এটা ওটায় আগ্রহ আছে দেখে, স্কুলে পড়ার সময় রুথ মুরের পুলিত্জার প্রাইজ পাওয়া , কয়েল অফ লাইফ পড়তে দিয়েছিলেন। প্রীতম দা , রনবীর দা অসীম দা, সমর দা সবাই অসম্ভব স্নেহ করতেন। আমি পরে মাথা গরম একটই মুহুর্তে পড়াশুনো আচমকা ছেড়ে দেবার পরে আর লজ্জায় ওনাদের সংগে দেখা করিনি :-))))
বোধিদা, আপনি বললে খেলবনা। তুমি বললে খুশি হব। আর তুই বললে আরো খুশি হব।
খুব আনন্দ হল শুনে। আমিও শিক্ষা ভবন ফিজিক্স। আপনি কোন বিভাগে ছিলেন?
আসলে আমি কুট্টুদা অর্থাৎ তথাগত দাশগুপ্তর দুই বছরের জুনিয়র যদিও আমার মেজর অন্য সাবজেক্টে। আর দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে চিনতাম ভালভাবেই যদিও ওনার ক্লাসে বসা হয় নি কারণ উনি সাবসিডিয়ারি সাবজেক্ট পড়াতেন না। তবে ক্লাসমেটদের মুখে ওনার পড়ানোর এবং খাওয়ানোর সুনাম শুনেছি। আর বোধ হয় এরকম ম্যারাথন ক্লাস নিতেন ফিজিক্সের অসীমদা (AKR) আর খাওয়াতেনও। আর আমাদের ডিপার্টমেন্টে এরকম একটানা ক্লাস নিতেন রাওদা। প্রফেসর অলকা রাও-এর যে অপার স্নেহ, প্রশ্রয় এবং পারসোনাল লেভেলে সাহায্য পেয়েছি তা মনে করলে আজও কৃতজ্ঞতায় মাথা নিচু হয়ে আসে। এছাড়া আপনাদের ডিপার্টমেন্টের BKT অর্থাৎ অধ্যাপক বিনয় তালুকদারের পাণ্ডিত্য়ের কথাও অনেক ক্লাসমেট বলত। প্রীতমদা বা রণবীরদা রা সাবজেক্টের অতি গভীরে প্রবেশ না করলেও বেশ পপুলার টিচার ছিলেন। মোট কথা ফিজিক্স ফ্য়াকাল্টি বেশ ভালো ছিল সেসময়।
বোধিদা, আমি শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী। পাঁচটা বছর শিক্ষাভবনে কাটিয়ে ১৯৯৯ তে বের হই। ঐসময়ে নন্দসদন হস্টেলে সায়ন আমার হস্টেলমেট ছিল।
১৫০০/-বোধহয় সবাইকে দেয় না:-))))
প্রতি সন্ধ্যায় ১৫০০ টাকায় টিভি চ্যানেলে প্রতিবাদ ফেরি করা বুদ্ধিজীবীগুনোর সন্ধান চাই।
ওদের কলমের ডগায় কোন ব্র্যান্ডের কন্ডোম লাগিয়েছে, একটু জেনে নিতাম।
ওদের শিড়দাড়ায় কি বিদেশী তেল লাগালে আর একটুও দাড়াচ্ছে না?
অর্ণব সুনিধি র এই তো তোমার আলোকধেনুর শুরুতে কর্ডটা শুনে হালফিলের আজও তাকে মনে পড়ে গানটা উঁকি দিল টুক করে। আর কারো এরকম মনে হয়েছে?
ইন্টারস্টেলার সিনেমার থিম মিউজিক আর সানাই মিলিয়ে সুনিধির বন্ধু রহো রহো সাথে শুনেছেন ?
syandi | 2a01:c23:7c32:2700:105d:8513:9cac:7435 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ২৩ঃ২১
স্যান্ডি কি শান্তিনিকেতন এর প্রাক্তন ছাত্র নাকি নাকি ওনাদের ঢাকার বন্ধু? আমি আনন্দ পাঠশালা পাঠভবন উত্তরশিক্ষা শিক্ষাভবন মিলিয়ে মিড সেভেনটিজ থেকে একেবারে আর্লি নাইনটিজ। আমরা ওখানেই থাকতাম।
:)) :)
একক;-))) নিউরো সাইন্স এর সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায় এর বাবা দীপঙ্কর বাবুর মাঝে মাঝে খেয়াল চাপত আন্ডারগ্র্যাড এ একেকটা পেপার নিতেন। স্কূলেও পড়াতে ন মাঝে মাঝে। তো কি একটা কারণে , কনটেক্সট টা মনে নেই, কেউ একটা ছেলে স্যার গপ্পের মুডে আছেন দেখে, বলেছে , স্যার থার্মোডিনামিক্সের অঙ্ক তো মোটামুটি পেরে যাই, ভিসুয়ালাইজ করতে পারিনা, আসলে আমাদের ব্যাচে অন্য একজন স্যার মাঝে মাঝে ফেইনম্যান লেকচারস রেফার করতেন , কেউ কেউ হয়তো নেড়েও দেখতো, তাই তখন ভিসূয়ালাইজ ইত্যাদি লোকের মাথায় ঘুরপাক , তো তাতে স্যার বললেন শোন এনট্রপির সেরা ভিসুয়ালাইজেশন সুকূমার রায় এর দেওয়া, নিঝূম নিশুতি রাতে একা একা তেতালাতে খালি খালি খিদে কেন পায় রে:--))))মুড ভালো থাকলে স্যার ক্লাসে রীতিমত আড্ডা দিতেন , আর দুর্দান্ত পড়াতেন বললে কম বলা হয়। একটা বিচিত্র অভ্যেস ছিল, বুধবার সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছটা সাতটা টানা ক্লাস নিতেন, আবার খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব ও নিয়ে নিতেন।
সায়ন ছোকরা ভালই গায়। দেখেও ভালো লাগে যে এই সেদিনের সায়ন আজ বিখ্যাত গায়ক।
কোনো লেখার লাস্ট কমেন্টগুলো দেখতে যাতে সেই লেখাটা না খুলতে হয় , শুধু কমেন্ট দেখা যায় এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব? খামোকা কমেন্ট পড়তে গিয়ে লেখাটার রিডারশিপ বাড়ানোর মানে নেই তাই না?