অভ্যুবাবু, ধন্যবাদ।
সুদীপ বন্দোর গান বেশ। আগে শুনিনি। তবে কাঠখড় পুড়িয়ে এই গান আবার না শুনলেও ওনার অন্য গান শোনার আগ্রহ রইল।
গুরু এট্টা ডিজলাইক বোতামও দিয়েছে। বেশ বেশ।
গতবার তো বলল ভালো করে সিংহ আঁকতে পারেনি বলে নাকি হেরে গেছে। নতুন ছেলেরা ভালো ভাবে সিংহ আঁকতে পারছে না এটাই বর্তমানে পার্টির বড় ক্রাইসিস।
অল্টারনেট রিয়েলিটি - বার্নি যদি ১৬ সালে না দাঁড়াতেন প্রাইমারীতে তা হলে অবস্থা এখন কেমন হত ?
১৯৮২ সালে লেখা কং এর একটা দেওয়াল লিখন এখনো মনে পড়ে , লোডশেডিং নিয়েঃ " আলো আমার আলো ওগো আলো ভুবন ভরা / পাখি সেনের অন্ধকারে হলাম ' সর্বহারা '।
পাশাপাশি , যখন সিদ্ধার্থ বাংলা কং এর নেতা হলেনঃ ১৯৯১ বা ৯২ সালে ' সিদ্ধার্থ এলো বাংলায় / জ্যোতি যাবে খুলনায় / হাতে নিয়ে হ্যারিকেন / সাথে যাবে পাকি সেন । (হ্যাঁ, অর্ধেকের বেশি জায়গাতে পাখি-র বদলে পাকি লেখা হত )। শুধু মিলের খাতিরে একটার পরে একটা জুড়ে দিয়েছেন।
দেওয়াল লিখন বা গ্রাফিটি-র মান দেখলে একটা দলের ভাবনার হাল বোঝা যায়।
আর আমাদের ওখানে দাঁড়াতো ফরওয়ার্ড ব্লক। তার প্রতীক সিংহ। দেওয়ালে আঁকা সেই সিংহ, কি বলব, কেশর পরা শুওর, কুকুর আর মানুষের একটা মিক্স্চার। কোথাও কোথাও সিংহের কেশরে বিনুনি দেখা যেতো, লজ্জা লজ্জা মুখ ।
এই কোলে দোলার ছড়াটা খূব হ্যান্ডি ছিল। সব পক্ষই লিখত। শুধু কে লিখছে তার ওপর কার কোল আর কে দুলছে এই দুটো বদলে যেত।
আমাদের ক্লাস সেভেনে একটা নতুন ছেলে এলো, চন্দন | একদিন গর্ব করে বলেছিলো, জানিস আমার দাদু অরুণপ্রকাশ | তার কিছুদিন পরেই ভোট | ক্লাসেরই কেউ একটা স্কুলে আসবার পথে দেওয়াল লিখন দেখেছে - "হৈমী বসুর কোলে, অরুনপ্রকাশ দোলে" | ছবিও নাকি ছিল একটা, অরুণপ্রকাশ হৈমী বসুর কোলে বসে দুলছেন, কিন্তু তখন তো আর ক্যামেরা ছিল না | যাই হোক, ভোটে অরুণপ্রকাশ পরাজিত হইলেন, আর তারপর থেকে চন্দনকে রাগাবার দরকার হলেই সবাই সমস্বরে ওই দুটো লাইন গাওয়া হত, আর চন্দন ম্যাসিভ খচে যেত |
ট্রাম্পের নামই নেবেন্না। নাম নিয়ে পাবলিসিটি পাইয়ে দিয়ে লাভ কী? যখন ভালোরকম জানাই আছে লোকটা সর্বনাশ করেছে। তার জায়্গায় দুইবেলা বাইডেন বাইডেন করুন।
নির্বাচনী ছড়ার একটা টই করলে হয়। একটা মনে এল, সিপিএম লিখত
দিল্লী থেকে এল গাই
সঙ্গে বাছুর সিপিআই।
এটা সিপিআই বামফ্রন্টে ঢোকার আগে।
এইবারে জীবন মরণের কেস। দুই লাখের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন। এইবারের ভোট সিরিয়াস ব্যাপার। বাইডেনকে না চুজ করলে চলবেই না।
কালকে.
ট্রাম্প ভিস বাইডেন টিভি ডিবেট কি হবে শেষ অবদি এবারে ? অবশ্য ওসবে বিশেষ কিছু ফারাক পড়ে বলে মনে হয়না। যারা কট্টর সাপোর্টার , তারা তাদের পার্টিকেই ভোট দেবে। ডিবেট এ যাই আটভাট বকা হোক।
একদল ট্রাম্প সমর্থক কিন্তু মাস হিপনোটিজমে ভুগছে। তারা জানে যে ট্রাম্প ঠকাচ্ছে, তারা জানে যে জিওপি তাদের ইন্টারেস্ট একটুও দেখেনা, তবুও জিওপি আর ট্রাম্পকেই ভোট দেবে। কারণ তাদের পক্ষে ডেমদের ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। এর প্রধানত দুটো কারণ।
ডেমরা যে ইকনমিক সলিউশনের কথা বলছে, সেটা খুব সময় সাপেক্ষ এবং আমেরিকার জন্য খুবই নতুন। জিওপি যে সলিউশনের কথা বলছে, সেটা খুব পরিচিত, যদিও সবাই জানে যে ওতে কাজ হবেনা (দেখাই যাচ্ছে যে হচ্ছেনা)।
আরেকটা কারণ হল এরা অনেকেই খুব অসহায়। আয়ের ব্যবস্থা কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, পুরোনো জীবিকাগুলো আর নেই, নতুন জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় স্কিলগুলো নেই (এর জন্য জিওপির পলিসিগুলো খুব দায়ী)।
ফলে এরা ভাবছে যে জিওপি অন্তত তাদের কাছ থেকে গড, চার্চ, কান্ট্রি, অ্যাবর্শান, হোয়াইট সুপ্রিমেসি, এলজিবিটি, ইমিগ্রেশান, এবং অবশ্যই গান ঔনারশিপ এগুলো নিয়ে নেবেনা বা এগুলো নিয়ে মত বদলাতে বলছে না। জিওপি একদিকে এইগুলোকে স্টোক করে, অন্যদিকে বোঝায় যে সোশালিজম কত খারাপ। ফলে যে লোকগুলো সবথেকে বেশি নির্ভর করে আছে সরকারের সোশাল স্পেন্ডিংএর উপর, তারাও ট্যাক্স কাট সমর্থন করে, তারাও ওবামাকেয়ার সড়াতে বলে, তারাও সোশাল সিকিউরিটি তুলে দিতে বলে।
আর ট্রাম্প ঠিক এই জায়্গাটাই ধরেছে। জিওপি এতদিন এগুলো প্রচ্ছন্নভাবে করতো, আড়ালে আবডালে, উইন্ক উইন্ক নাজ নাজ করত। ট্রাম্প সেটা একদম স্পষ্ট করে সামনে নিয়ে এসেছে। সাদার্ণ স্ট্র্যাটেজির একস্ট্রিম ইমপ্লিমেন্টেশান করছে। এতদিন অবধি জিওপি সাধারণত অপেক্ষাকৃত কম কন্ট্রোভার্শিয়াল ইস্যুগুলো নিয়ে বলতঃ কান্ট্রি, গড, গান, ফ্যামিলি, এবং অ্যাবর্শান। ট্রাম্প সবথেকে বেশি উগ্র ইস্যুগুলোকে ধরেছে, যেগুলো অন্য জিওপিরা ধরতে ভয় পেত। ইমিগ্রেশান, রেস, হোয়াইট সুপ্রিমেসী, মিসোজিনি।
ভাবছি নভেম্বর এর শুরুর দিকে খুদকুঁড়ো যা স্টক আছে বেচে দিয়ে ফিক্সড ইনকাম অ্যাসেট এ ঢুকিয়ে দেব , তারপর জানুয়ারী বা ফেব্রূয়ারি নাগদ হাওয়া বুঝে নতুন উদ্যমে শুরু করা যাবে
ঠিক ভরসা পাচ্ছি না যদিও ,ব্যাপার টা না ডিসাস্টার হয়ে যায়
কালকে ট্যাক্স রিলিজ করার পর থেকেই ট্রাম্প ভক্তরা খুব লাফাচ্ছে। কতরকমের যে কুযুক্তি আসছে। ফেক নিউজ, অন্তত ৭৫০ ডলার তো দিয়েছে, তার থেকে বেশি দেবে কেন (ভালো অ্যাকাউন্টেন্ট অ্যাপয়েন্ট করেছে), ওবামা কেন মিলিয়নেয়ার, ধর যে ব্যাটা এসব লীক করেছে, আসলে অনেক বেশি দিয়েছে, মাইনে তো নেয়না, কতবড় কোম্পানি চালায়, তুই কত আয় করিস যে বড় বড় কথা বলছিস। সবথেকে মজার হল "ঠিক বলেছ ফেক নিউজ" এর উত্তরে বলছে "এর থেকে বেশি দেবে কেন"। অবশ্য ফেক নিউজ মানে কিন্তু এই নয় যে খবরটা অসত্য, এর মানে হল খবরটা আমার নাপসন্দ।
ইন্দিরার ছবি আঁকলেই সেখানে রক্ত ড্রিপ করত। সে পক্ষে বিপক্ষে যাই লেখা হোক না কেন। পক্ষে লেখা থাকতো, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। বিপক্ষে হলে অত্যাচারের কথা তুলে রক্ত। ঐ ড্রাকুলার মত।
আমি একটা খুব অশ্লীল দেওয়াল লিখন দেখেছিলাম। সেটা লিখবো কিনা ভাবছি।
শিশুবয়সে দেখা দুটো দেওয়ালের ছবি কখনো ভুলবো না।একটা নাকবোচু লোক বিরাট একটা রিং এ অনেক চাবি নিয়ে তাকিয়ে আছে।পাশে লেখা, সব বন্ধ কারখানা খুলে দিতে আসছি। নীচে লেখা গুজবে কান দেবেন না। বামফ্রন্ট কে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।পরে জেনেছি ওটা প্রিয় দাশমুন্সির ছবি।হাওড়ার সব বন্ধ কারখানা খুলে দেবেন জাতীয় কোন প্রতিশ্রুতিকে বিদ্রূপ করে সে ছবির জন্ম।
অন্য দেওয়ালে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি, মাথার উপরে শকুন, আর ওর দুটো ভ্যাম্পায়ারের মতো দাঁত থেকে রক্ত পড়ছে।
এদুটো ছবি বোধহয় বছর ২০ ঐ দেওয়ালে দিব্যি ছিলো। কট্টর সিপিয়েম সমর্থকের বাড়ির দেওয়াল।ওরা মোছেন নি, প্রকৃতির অত্যাচারে আবছা হয়েছিলো বটে, আমার মনের পাথরে সে দাগকাটা ছবিদুটো এখনো জ্বলজ্বল করছে:-)
কিলিমাঞ্জারো নিয়ে কবিতা লেখা হয়নি দেখছি। বাংলা সাহিত্যের এই অপূরনীয় ক্ষতি নিয়ে আপনারা নীরবই থেকে গেলেন। আপনাদের একচোখোমিতে সামান্য অভিমান নিয়ে আমি কাজ করতে গেলাম।
কিলিমামাঞ্জারো বীক্ষ্য ঃ-)
ওঃ ডিডি!!! কিলিমাঞ্জারো টইটা আবার পড়লাম। ঃ-)
মেরা ভারত মহান। সরকারী ও সরকারপোষিত স্কুল সিস্টেমকে মাত্র বিশ-পঁচিশ বছরের মধ্যে ধ্বংস করে দিল। এখন ওসব স্কুলে যাঁরা নিজেরা শিক্ষক বা শিক্ষিকা, তাঁরাও নিজেদের সন্তানদের ওইসব স্কুলে ভর্তি করেন না। একেবারে যাকে বলে ডীপ স্টেট। চোখের সামনে মর্কট করে দিচ্ছে। সবাই লেজ তুলে লাফাচ্ছে।
"The Real World
When the NYTimes or western media talks about the world, they’re not talking about the world. They’re talking about white people or, at a stretch, the rich.
For example, David Leonhardt imagines the world in 2022… and only talks about America. Some more generous writers include Europe in the world, and thus dub Europe’s COVID response excellent. But it’s not. It’s a burning trash can next to a dumpster fire, good only in comparison. The rest of the world is actually eliminating or suppressing this thing, but you can’t see that if you only see white."
https://medium.com/indica/the-overwhelming-racism-of-covid-coverage-78e37e4ce6e8
খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার, এই তোমাদের পৃথিবী!
নাতনী?
আমাদের স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় একটা বাড়ির দেওয়ালে লেখা ছিল -
ক্লাস সিক্সে পড়ছি মোরা এ-বি-সি-ডি-ই
জ্যোতিবাবুর নাতি দেখো পড়ে নার্সারি
এই ছড়াটা প্রায় "জল পড়ে পাতা নড়ে"র মত অভিঘাত সৃষ্টি করেছিল।
আরেকটা বাড়ির দেওয়ালে লেখা থাকত -
এরা দিনের বেলায় কৌটো নাড়ে
এটার মানে জানতাম না।
সেই যবে থেকে লোকে জানতে পারলো দলমত নির্বিশেষে প্রাইভেট এডিকেশনেই যাচ্ছে, তবে থেকে। বেকার লোকেদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
একই সঙ্গে, এও সত্যি কথা যে এখনও কোন কোন সরকারি স্কুলে, খুবই যত্ন নিয়ে পড়ানো হয়। আগেও হত। সমস্যা ছিলো, কিন্তু সেগুলোর সমাধানও হওয়া সম্ভব ছিলো। তার বদলে স্লো ডেথ দেওয়া হয়েছে। এ যেন অনেকতা অর্ধেকটা বাঘে খেয়েছিলো বলে বাকি অর্ধেকটা মরে গেল টাইপ। এবার ঐ বাড়িগুলো ভেঙে মল করে ফেলুক।
এখন কি ট্রেন্ড? হিন্দু ইস্কুলে আমাকে নেবে?
এই সেদিনই এক গুরুভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিল। আমাদের সময় লোকে যাদবপুর, শিবপুরে পড়ত। জেনারাল হলে প্রেসি, জেভিয়ার্স, মৌলানা আজাদ, আশুতোষ এসব জায়গায় যেত। আজকাল পুরো ট্রেণ্ড বদলে গেছে। কবে যে গেল জানি না।