অনেক অনেক থ্যাংকু, এলসিএম। এই কবিতাটাই।
এই সেদিন পর্যন্ত ভেবেছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
কবে কখন কেমন করে, কি ভাবে ঠিক হবে,
এবং সত্যি সত্যি কি ঠিক হবে, এবং ঠিক না হলেই বা কি হবে,
সে বিষয়ে অবশ্য কোনো চিন্তা করিনি
কোনো ধারণাও ছিলো না।
শুধু কোথায় কেমন একটা আলগা বিশ্বাস ছিলো,
মনে মনে ধরে রেখেছিলাম,
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমলকি গাছের ভেতর থেকে কোনো কোনো রাতে
যে রকম ঝিরিঝিরি বাতাস ও বাতাসের শব্দ আসে,
যেভাবে লেবুপাতা ছিঁড়ে হাতে ঘষলে
এক হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গন্ধ ভেসে আসে,
যেভাবে ঘুলঘুলির এলোমেলো বাসায়
ডিমের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে
চড়ুইয়ের ছানারা তাদের মাকে চিঁ-চিঁ করে ডাকে,
যেভাবে ভুল ঠিকানার চিঠিও একদিন
কোথাও না কোথাও, কারো না কারো কাছে পৌঁছে যায় যেভাবে
একটা ক্ষীণ ভরসা ছিলো এই সেদিন পর্যন্ত,
যেভাবে এইসব ঘটে, এই সব ঘটে যায়
সেইভাবে একদিন সব ঠিকঠাক হবে।
আমার কিছু করণীয় নেই, শুধু বসে থাকার অপেক্ষা।
(সব ঠিক হয়ে যাবে - তারাপদ রায়)
৪:০৭ এর পোস্টে একটা র পড়েনি বলে মানেটাই বদলে গেছে প্রায়। অক্ষরের কী শক্তি!!!:-)
বাংলাদেশের বাংলার সঙ্গে বিভাজনের চেষ্টা করছে ভারতের বাংলার।
অরিন, বিভাজনের চেষ্টা করছে আরকি। বাংলাদেশের বাংলা সঙ্গে। এসব গভীর শয়তানি।
বাংলা ভাষার লিপি খামোকা বদলে দিয়ে কি লাভ হবে?
ফেবুভর্তি আজ বিদ্যাসাগর। অনেকেই সিনেমার লিংকও দিচ্ছেন। সেই পুরনো সাদা-কালো সিনেমা। সেটাই দেখছি। কী আর করা! নতুন যা হচ্ছে সিরিয়ালে টালে, সেখানে তো শুনি রাণী রাসমণিকে পিসি ডাকছেন কিশোর বিদ্যাসাগর। কীভাবে এ যে হচ্ছে খোদায় মালুম। ঃ-)
"
এইটা খুবই ভুলভাল কথা। বেসিকালি যাতে ছাত্রদের স্কলারশিপ না দেওয়া যায়, স্কলার না নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে করে এফিশিয়েন্সি বাড়বে? স্টেম সাবজেক্টে গবেষণা করবে কে? ফক্স? "
এটা আমার কথা নয়, বলতে চাইছিলাম এতে ট্রাম্পের হাত কম, ওবামা আমলেও হয়েছে। আর হায়ার এড ফাণ্ডিংএর বেশিটাই স্টেটের হাতে। টিপিকাল প্রো-মার্কেট অ্যাজেন্ডা যাতে কমন ডেম ক্যান্ডিডেট আর কমন রিপাবলিকান ক্যাণ্ডীডেটের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম।
হুঁ, দেখলাম সরাসরি ইউটিউবে গেলে শোনা যাচ্ছে। থ্যাংক ইউ। ঃ-)
https://invidiou.site/watch?v=7m44advYlxw
এটাতে দেখুন তো ?
ভিডিও ওনার এখানে খেলবেন না বলছেন, শুধু ইউটিউবেই দেখতে পাবেন। কি বলবেন বলুন?
ওদিকে আবার কারা যেন বাংলাভাষার লিপি বদলে দিতে চায়। ভারতের বাঙালিদের নাকি এই বর্তমান লিপিতে লেখা অনুচিত। ব্যাটারা বলতে চায় কী? নাগরী হরফের প্রস্তাব তুলতে চায় নাকি? পিটিয়ে চৌষট্টি বানিয়ে জাহান্নামের চৌমাথায় রেখে আসা দরকার এই ব্যাটাদের। কী শয়তান, কী শয়তান! বাংলাভাষার জন্য ভালো কিছু করার তো কোনো নামগন্ধ নেই, সিঁদ কাটার চেষ্টা খালি।
ক্লিক করলাম, এলো না। আন অ্যাভেইলেবল বলল। এরকম আগে তো কোনো ভিডিওতে হয় নি!
তারাপদ রায়ের একটি অসাধারণ কবিতা আছে, তাতে আছে "সব ঠিক হয়ে যাবে", কেউ কবিতাটা দিতে পারেন?
সিকোয়েন্সটা বুঝবেন।
লসাগুদার কথাটা শুনে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল।
তখন সবে ইনফিতে ঢুকেছি। বিল গেটস আসবে। আরো কয়েকজন গণ্যমাণ্য ব্যক্তি যেমন আজিম প্রেমজি। দেখার জন্য খুবই উত্সাহী। বিশাল আয়োজন। ফুড কোর্টে প্যান্ডেল লাগানো হয়েছে। এদিকে কত্তিপক্ষ বলে দিয়েছে সদ্য জয়েন করা ছেলেপিলেদের সেখানে যাওয়া নিষেধ। একদম আইডি কার্ড চেক করে ঢোকানো হবে। আমি আর আমার এক বন্ধু খুব "বুদ্ধি" করে ঐসব চেক শুরু হওয়ার আগেই মানে টিকিট চেকার কাজ শুরু করার আগেই গিয়ে বসে আছি। অনেকক্ষন। বিল গেটস এলেন। পুরো রকস্টারের মতন এন্ট্রি হল যেন। সবাই খুব হই হই করে উঠলো। খুব হাততালি দিলাম। বলতে শুরু করলেন। বাজে বক্তা। শুধু বললেন আরো বেশি করে মাইক্রোসফ্টের প্রোডাক্ট কিনতে। সরকার ই-গভর্ণন্স প্রজেক্ট যেন করে। এইসব। যাইহোক এবারে আসল গল্পে আসি।
এরপর বলতে এলেন কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (পরে বিদেশমন্ত্রীও হয়েছিলেন) এসেম কৃষণা। তিনি বললেন যে হ্যাঁ ই-গভরণেন্স তো করতেই পারি। যদি এইসব বড় বড় কোম্পানিরা ইনভেস্ট করে। কারা সেই কোম্পানি? "ইনফোসিস, উইপ্রো, মাইক্রোসফ্ট"।
বোঝো।
আনন্দবি,
:-), -- মি বেশি স্ট্রেস চায়-না ।
"ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা, চায়্না - পৃথিবী ভাল হয়ে যাবে। "
আমি আবার পড়লাম ভারত , রাশিয়া , আমেরিকা (এরা) চায়না - পৃথিবী ভালো হয়ে যাবে :)
এনিওয়ে , হয়ত সবই ঠিকঠাক চলছে আমিই অকারণ স্ট্রেস নিচ্ছি
হ্যাঁ ঠিক! ঃঃ)
কিন্তু ভালো হয়ে গেলে কেউ বেশিদিন বাঁচেনা। সিনেমায় দেখনি, খ্রাপ থেকে ভালো হয়ে হিরো দুদিন পরেই পটল তোলে। তো, পিথিবির পটল তোলা সময়ের অপেক্ষা :)
আমার মনে হয় এলসিএম দা বললো যে ঐ চারটে দেশ পৃথিবীর থেকে বেরিয়ে যাবে, ফলে পৃথিবী ভালো হয়ে যাবে। :)
"ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা, চায়্না - পৃথিবী ভাল হয়ে যাবে। "
খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার সেটা | সন্তুলন এরকম একদিকে সরে যাওয়া মানে সম্মিলিত বৃহৎ বিপদের আশঙ্কা | এলিয়েন এটাক বা ছোটোখাটো গ্রহাণু আছড়ে পড়তে পারে সেক্ষেত্রে | খুপি চিন্তার :/
বোধিদার রেকো দেওয়া জিয়াউদ্দীন সর্দারের মহম্মদ পড়ে ফেল্লাম, পাতলা মত বই । অতীব বায়াস্ড লেখা, মোটের ওপর একটা থিওরি তৈরী আছে যে মহম্মদ খুব ভালো লোক ছিলেন, পরধর্ম সহিষ্ঞু ছিলেন, কমিউনিটি বিল্ডার ছিলেন, এবং বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করতেন। সেই থিওরিতে ফিট করানোর জন্য যুক্তি সাজানো। এর থেকে লেজলি হ্যাজলটনের বইটা ব্যালেন্সড। ম্যাক্সিম রডিনসনের বইটা এখনও আসেনি, ঐটাও দেখতে হবে। আরেকটু পড়ে নিয়ে বলছি। কিন্তু জিয়াউদ্দীনের বইটা টোটাল ঢপ, জায়গায় জায়গায় বাল নরেন্দ্রর মত । :)
সম্পর্ক কি আর ওরকম সরাসরি থাকে? একটা পরিবেশ লাগে কুযুক্তির বিকাশ ঘটানোর জন্য। তো, পরিবেশ যতটুকু ছিলো, আরো ভালো করে তৈরী হলো এই আর কি।
যাই হোক। সবাই এত হতাশ হোয়ো না। চাপ নিও না। আর এই সবসময় কানের কাছে ভনভন করছে নিউজ আর ভিউজ। আমি NPR ছাড়া আর কিছু আজকাল পড়ি না, শুনি না। তবে আমি তো অপটিমিস্টিক। সব ভাল হবে। দুনিয়ায় ভাল লোকের সংখ্যা বেশি। করোনা-ও ঠিক হয়ে যাবে। ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা, চায়্না - পৃথিবী ভাল হয়ে যাবে।
এইটা খুবই ভুলভাল কথা। বেসিকালি যাতে ছাত্রদের স্কলারশিপ না দেওয়া যায়, স্কলার না নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে করে এফিশিয়েন্সি বাড়বে? স্টেম সাবজেক্টে গবেষণা করবে কে? ফক্স?
টিম, সেই ২০০৮ সাল থেকে হায়ার এডুকেশনে বাজেট কাট শুরু হয়েছে। প্রথমে রিসেশনের নামে, তারপরে ইকনমি রিভাইভ করানোর নামে। এখনও বাড়ে নি। ডু মোর উইথ লিটল - এফিশিয়েন্সি বাড়াও।
ওপেন ক্যারির সাথে ট্রাম্পের অ্যাস সাচ সম্পর্ক নেই। এমনকি বার্ণি খুড়োও ইউনিভার্সাল ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।
বহু লিবারাল সেকেণ্ড অ্যামেন্ডমেন্টের পক্ষে।
মানে এটা যেটা হচ্ছে তাতে করে ওভার অল পড়ালেখার স্পেস ছোট করে দেওয়া যাবে। কমিউনিটি কলেজ, ছোট ছোট আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একে একে বন্ধ হয়ে যাবে (কিছু অলরেডি গেছে, কোভিডের জন্য )। ছোট ইউনিগুলো তারপর, একেবারে শেষে মাঝারিগুলো। হয়ত আর ওয়ান গুলো টিঁকে যাবে।
ফলে ট্রাম্পের যারা বেস, তারা আর ভবিষ্যতে এক্সপোজডই হবেনা লিবেরাল ভ্যালুর সঙ্গে। বরং সোশ্যাল মিডিয়া পড়ালেখাকে রিপ্লেস করবে (ইতিমধ্যে খানিকটা করেছে ) ।