"টিকি বাঁধা নেই, কোন না কোনভাবে ইনফো বেচে দেওয়া হয়নি, এরকম নেটিজেন আছে?"
এই ধরণের বহু মানুষ আছেন, আমরা অনেকেই তাঁদের চিনি না বা খবর রাখি না, কারণ তাঁরা খুব বেশি "visible" নন । খোঁজ খবর করুন, বহু কমিউনিটি আছে । আপনি ইনফো না দিতে চাইলে দেবেন না ।
হাতে রিমোট আছে, মোবাইল ফোন আছে, গাড়ির স্টিয়ারিং আছে --- এছাড়া আর কার হাতে কবেই বা কি ছিল ---
বলতে চাইলাম চাক্রি বাক্রি করে খাওয়া লোকের হাতে কতটা কন্ট্রোল আছে?
এই দুনিয়ায় বোড়ে না হয়ে কেউ বেঁচে আছে নাকি? বাজার এর কাছে টিকি বাঁধা নেই, কোন না কোনভাবে ইনফো বেচে দেওয়া হয়নি, এরকম নেটিজেন আছে? এখানে সেধে বোড়ে হওয়া না হওয়া অবান্তর। কতটা কন্ট্রোল আছে?
"না, সব হ্যাকড হয়েছে কে বলল। "
আলবৎ!
তবে ওই আর কি, দুনিয়ার খেলায় দাবার বোড়ে হয়েছেন কিনা নিজে জেনে নিন, আপনাকে বাজি রেখে, বাঁধা রাখা হয়েছে কিনা নিজে দেখুন,
তবে কেউ কেউ আবার সেধে দাবার বোড়ে সাজে কিনা, :-)
"... আর ফেডারেলিস্ট সোসাইটি যে চরম ক্ষমতা পেল ..."
বড়েস,
এতো সেই রেগন আমল থেকে শুনে আসা --- তারপরে বড় বুশ এল, ছোট বুশ এল, এখন ট্রাম্প এল --- সিভিক সোসাইটি কোথায় কি হল --- সেই তো চলছে ---
আর কি হবে --- পপুলেশন গ্রোথ রেট কমছে - অ্যাকচুয়ালি, কিছু স্টেটে অ্যালার্মিংলি কমছে --- এক সময় ইতালির গ্রামের মতন হবে - সেই যে গ্রামের সবাই ৭০ এর ওপর -- বাল্ব পাল্টানোর মতন জোয়ান লোক নেই -- তারা সিরিয়ার রিফিউজিদের নিয়ে নিয়েছে - - তখন আবার সেউ ইমিগ্রেশন পলিসি - ব্লা ব্লা ---
"বাকি রইলো ব্যক্তিগত তথ্য বেচে দেওয়া , এক পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাওয়া ছাড়া বাকি আর তেমন কিছুই ম্যাটার করে না আজকালকার বাজারে এমনিতেই সব হ্যাকড হয় বসে আছে "
না, সব হ্যাকড হয়েছে কে বলল। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্লাড গ্রুপ, মেডিক্যাল রেকর্ড, কলেজের ট্রান্সক্রিপ্ট (গ্রেড/নম্বর) --- সব হ্যাকার নিয়ে বসে আছে - তা নয়।
হেট ক্রাইম তো ওবামার সময়ও হয়েছে, তার আগেও প্রেসিডেন্সিতেও হয়েছে, দেশের একতা রেসিয়াল প্রবলেম আছে।
ওবামা কেয়ার তো নতুন, তার আগে যে সিস্টেম ছিল, সেটাও চলছিল, কয়েকটা জিনিস ওবামাকেয়ারে খুবই ভাল করেছিল - এরা তো এখনও সেগুলো খুব একটা পাল্টায় নি - ছাব্বিশ ব্ছরের ছেলেমেয়ের ইন্সিওরেন্স এখনও বাবা-মা ইন্সিওরেন্সে কভার্ড হচ্ছে - প্রি-এক্সস্টিং কন্ডিশনের জন্য ডিনাই এখনও করছে না - দেখা যাক কি হয়।
ট্রাম্পের জায়গায় অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট হলে কোভিড মৃত্যু এত হত কি না, এটা এখন -- মানে যেসব দেশে বেশি কোভিড আক্রান্ত হয়েছে সব দেশেই একটা কনফিউশন - লোকজন গভর্নমেন্টকে দোষ দিচ্ছে - তবে, অ্যাট লিস্ট টাইমলি স্টিমুলাস দিয়েছে --- অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট হলে যা যা স্টিমুলাস হতে পারে।
এই সব আর কি
"বাকি রইলো ব্যক্তিগত তথ্য বেচে দেওয়া , এক পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাওয়া ছাড়া বাকি আর তেমন কিছুই ম্যাটার করে না আজকালকার বাজারে
এমনিতেই সব হ্যাকড হয় বসে আছে "
তা কি হলে ম্যাটার করতো?
আর ফেডারেলিস্ট সোসাইটি যে চরম ক্ষমতা পেল ট্রাম্পের সময়কালে, এবং তার সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
হ্যাঁ হেট ক্রাইম স্ট্যাটিস্টিক্স বা কোরোনায় ২ লক্ষ লোকের মৃত্যু বা একগাদা এনভারয়মেন্ট রেগুলেশান তুলে দেওয়া বা ওবামাকেয়ার তুলে দেওয়ার চেস্টা বা ফুড স্টাম্প, মেডিকেইডে স্পেন্ডিং কমানো বা ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশানগুলোর নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বা সাদার্ণ বর্ডারে ফ্যামিলি সেপারেশান এবং অন্যান্য অ্যাট্রোসিটিজ ইগনোর করলে তেমন কিছুই হয়নি।
পুরো লিস্টের জন্য থাকলোঃ
https://www.mcsweeneys.net/articles/the-complete-listing-so-far-atrocities-1-889
হয়েছে বলতে - চাকরি-বাকরি বেড়েছে (প্রি-কোভিড), আনএমপ্লয়মেন্ট কমে গেছিল, স্টক মার্কেট উঠেছে -- তবে সেসব ট্রাম্প না থাকলেও -- অন্য কেউ থাকলেও তাই হত -- তবে কিছু লোক ওরকম বলে - ওবামা বাস্কেটবল খেলে স্টক মার্কেট ঘুরিয়ে দিয়েছিল, আর ট্রাম্প তেড়ে ট্যুইট করে স্টক মার্কেট তুলে দিয়েছে ---
ভবিতব্য, বাকি সব নিমিত্ত মাত্র ---
কিস্যু হয় নি, স্পেন্ডিং এসেট্রা যেমন ছিল তেমন -- সবাই বলল, ট্রাম্প এসেছে এবার খুব যুদ্ধ টুদ্ধ হবে, কিস্যু হল না --- উল্টে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সৈন্য সরিয়ে নিল --- বেসিক্যালি ট্রাম্প হাজার বিশেক ট্যুইট করেছে -- আর সব যেমন চলছিল চলছে
"আরে না, কিস্যু হবে না। অন্য দেশে হলেই বা কি করত।"
কিস্যু না হলে তো ভালই। কিন্তু গত চার বছরে তো এতকিছু হতে দেখলাম।
এইযে ইরাক যুদ্ধের রিজোলিউশান।
https://georgewbush-whitehouse.archives.gov/news/releases/2002/10/print/20021002-2.html
তার অন্যতম পয়েন্টঃ
Whereas the Iraq Liberation Act (Public Law 105-338) expressed the sense of Congress that it should be the policy of the United States to support efforts to remove from power the current Iraqi regime and promote the emergence of a democratic government to replace that regime
ওটা তো হোয়াইট হাউস -- গোটা দেশের কথা বলেছি --- ফেডারেল, ৫০টা স্টেট, লোকাল গভর্নমেন্ট (মিউনিসিপালিটি, কাউন্টি, সিটি) --- এই সব মিলিয়ে যে গোটা দেশের স্পেন্ডিং --- ৫-৬ ট্রিলিয়ন ডলার প্লাস ডেট পেমেন্ট
বড়েস,
আরে না, কিস্যু হবে না। অন্য দেশে হলেই বা কি করত। টিভিতে ব্যাগর ব্যাগর করত। আর যদি সেই দেশে তেলের খনি থাকে, বা, অন্য কোন ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে সেই দেশে গণতন্ত্র রক্ষা ও শান্তিজল ছেটানোর জন্য শান্তি সেনা নামিয়ে দিত।
২০২০-২০২১ সালের জন্য ট্রাম্প সরকারের বাজেট প্রোপোজাল।
https://www.whitehouse.gov/wp-content/uploads/2020/02/budget_fy21.pdf
The Budget requests $705.4 billion for DOD, including $636.4 billion for the base budget and $69 billion for Overseas Contingency Operations (OCO).
The Budget requests $66.6 billion for the Department of Education, a $5.6 billion or 7.8 percent decrease compared to the 2020 enacted level.
The 2021 Budget requests $94.5 billion for HHS, a 10-percent decrease from the 2020 enacted level. The Budget proposes $1.6 trillion in net mandatory health savings
২০২১ সালের ইউএসএ-এর খরচের অনুমান (স্পেন্ডিং এস্টিমেট) --
Total US government estimated spending in 2021 is going to be $8.25 trillion. This will include about $4.83 trillion federal, around $2.04 trillion state, and an estimated $2.17 trillion local.
এবারে এই 8.25 ট্রিলিয়ন ডলারের কত কোথায় খরচ হবে দেখা যাক -
Healthcare : 1.8 trillion
Social Security, Disability etc. : 1.57 trillion
Education: 1.23 trillion
Defense: 1.06 trillion
Welfare (unemployment etc.) : 451 billion
Protection (police, fire, prison..) : 330 billion
Transportation: 371 billion
লসাগুদা আমাকে পেসিমিস্ট বলেছেন। দুনিয়ার সবথকে "শক্তিশালি" গণতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি আজকে সাংবাদিককে বলেছে যে পিসফুল ট্রান্সফার অব পাওয়ার হবেনা, সব ব্যালট ক্যানসেল করতে হবে। এই একই ঘটনা অন্য দেশে হলে আমেরিকা কি কি করত সেটাই ভাবছি।
আসল আইডিওলজিটা হল "প্রোটেকশান অব প্রাইভেট প্রপার্টি"। এটা ক্যাপিটালিজমের মূল মন্ত্র। ট্যাক্সেশান আর সোশাল স্পেন্ডিংকে "ট্রান্সফার অব ওয়েলথ" হিসাবে দেখা হয়। অর্থাত বড়লোকদের থেকে টাকা নিয়ে গরীবদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ পাবলিক ইস্কুলে গরীবের ছেলেরা পড়ে। বড়লোক তো নিজের ছেলেপিলেকে প্রাইভেট স্কুলে পাঠাবে। আর পুলিশ আর মিলিটারিতেও বেশি স্পেন্ডিং করা হয় প্রাইভেট প্রপার্টি প্রোটেক্ট করার জন্য।
বড় মিলিটারি থাকলে অনেক লোকের জীবিকা হয়, এসব পাল্টে যাবে, ড্রোন আর রোবট যুদ্ধ করবে। রিক্রুট হেড কাউন্ট কমে যাবে।
না ওটা আইডিওলজিকাল ফাইট নয়। ইস্কুলে বেশি খরচ করলে কার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়? হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ালে কার কাজকর্মে সরকার মাথা গলাবে।
"আর এক স্পেণ্ডিং হল এনটাইটেলমেন্ট যেমন সোশাল সিকিউরিটি, বিভিন্ন সেফটি নেট ইত্যাদি।"
ইস্কুলে, স্বাস্থ্যে খরচকে এনটাইটেলমেন্ট বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকে সেসব গিলেছে। অথচ ডিফেন্স বাজেট নাকি এমপ্লয়মেন্ট জেনারেটর। ৬০০ বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বড় অংশ যায় ডিফেন্স কোম্পানি আর কন্ট্রাক্টারদের পকেটে। অথচ এই টাকা দিয়ে কতগুলো ইস্কুল চলে, কতলোকের স্বাস্থ্য পরিষেবা হয় সেগুলো নাকি এন্টাইটেলমন্ট।
এদিকে সোশাল স্পেন্ডিং থেকেও যে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট হয়। সে কথা কেউ বলেনা।
আমি যে শহরে থাকি তার কাছে মিলিটারি বেস আছে প্রায় ৫০,০০০ মতন মিলিটারি থাকে আরও ১০,০০০ যাতায়াত করে। এই শহরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রেভিনিউ আসে সেখান থেকে, টোটাল ইকনমিক রেভিনিউ। দুম করে কমে গেলে শহরটাই ধসে যাবে।
বিগেস, গভর্নমেন্ট স্পেণ্ডিং আর বড় গভর্নমেন্ট সম্পূর্ণ এক নয়। যে স্পেন্ডিং ইকনমিতে যায় এবং জব তৈরী করে তা একরকম যেমন ডিফেন্স, ইনফ্রাস্ট্রাক্চার ইত্যদি।
আর এক স্পেণ্ডিং হল এনটাইটেলমেন্ট যেমন সোশাল সিকিউরিটি, বিভিন্ন সেফটি নেট ইত্যাদি।
প্রথমটা নিয়ে আমেরিকায় ডান বা বাম কারুরই আপত্তি খুব নেই। আপত্তি দ্বিতীয় স্পেণ্ডিং নিয়ে।
আর দ্বিতীয় কারণ হল প্রবল ব্যক্তি স্বাধীনতা বোধ। কোন বিগ ব্রাদার কেন ঠিক করবে আমি কি করব। সরকারী হস্তক্ষেপ তাই কোন কিছুতেই পছন্দ করে না। গর্দভ বলে নয়, রীতিমতন আইডিওলজিকাল ফাইট।
তৃতীয় হল ব্যুরোক্রেসি কমানো, রেড টেপিজম কমানো।
The Social Dilemma - নেটফ্লিক্সে - না দেখে থাকলে দেখে নিন
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই গুগল আমাজন ইত্যাদি আমার জন্য যা প্রেডিক্ট করে হয় আমি পাত্তা দি না অথবা পুরো ভুলভাল
সবচে ছড়ায় অবশ্য নেটফ্লিক্স
খুব কম ক্ষেত্রেই আমি সত্যি সত্যি এই সব রেকমেন্ডেশন ব্যবহার করেছি
তাই ডি গুগলে ইতাদি করার বিশেষ দরকার নেই , ওই পাত্তা না দিলেই হলো
বাকি রইলো ব্যক্তিগত তথ্য বেচে দেওয়া , এক পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাওয়া ছাড়া বাকি আর তেমন কিছুই ম্যাটার করে না আজকালকার বাজারে
এমনিতেই সব হ্যাকড হয় বসে আছে
"ডিফেন্স বাজেট তো গভর্মেন্ট নয়, ওটা তো বাজেটের স্পেণ্ডিং মানে ইকনমিক কন্ট্রোবিউশন যেখানে বহু লোকে কাজ করে, ইকনমি রোল করে ইত্যাদি।"
সেটাই তো বিগ গভের ডেফিনিশান। প্রচুর বাজেট আর সেই কারণেই সর্বত্র নাক গলানো।
প্রেডিকশন , সে একটা দিক অতি অবশ্যই, আমার মতে তার চেয়েও যেটা বড়ো , সেটা ডাটা আর আইডেন্টিটির কেনা বেচা । আপনার দোকানের মুদি সে কাজ করবে না, কারণ সে জিনিস তার ব্যবসায়ে কাজে আসবে না । গুগল করবে, azure করবে, আমাজন করবে, আলিবাবা করবে, কারণ ঐটা তার ব্যবসায়ে কাজে আসে । এবার নীতির ক্ষেত্র টি কত ব্যাপ্ত এবং আপনি কোথায় কতটুকু ছাড়পত্র দেবেন সেটা আপনার ব্যাপার ।
জীবনকে ডি -গুগল করা যে কি সাংঘাতিক রকমের জটিল, যারা করেছে তারা জানে ।
বিশেষ করে গুগল, অ্যামাজন, আপেল ইত্যাদি প্লেয়াররা যে প্রেডিক্টিভ অ্যানালিটিকস শুরু করেছে তার সাথে মুদির দোকানের কোন সম্পর্ক নেই। মানে পাড়ার মুদি দোকানিও জানে মাসের শেষে আমি পাঁচ কিলো আটা আর এক কিলো তেল কিনবো, কিনতু গুগল যে প্রেডিকশান করতে পারে সেট অন্য লেভেলের।