@b, আছে নিশ্চয়ই, Asian Development Bank এর সাইট থেকে খুঁজে পেতে বার করতে হবে, আপনি যদি দেখতে পান, দিন না এখানে। তবে আমার ধারণা খুব সাংঘাতিক উন্নতি হবে বলে মনে হয় না।
@Amit, কি বলবেন?
ভারত সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ২০ ডলার করে খরচা করেন, গরীব, মধ্যবিত্ত, বড়লোক সব মিলিয়ে, তার মধ্যে আবার বেশীর ভাগ খরচা গরীব নন, এমন মানুষদের ওপর খরচা হয়। ভেবে দেখুন, দুটো ৭৮৭ বোয়িং কেনার টাকা ১ কোটি ৭৫ লাখ লোকের সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় করার সমান। এ টাকাটা কাদের কাছ থেকে সরকার পাচ্ছেন, কেন পাচ্ছেন, প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কি?
@Pi, ভারতের অবস্থা সত্যি খুব করুণ | এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের ডাটা (২০১৫) থেকে নেওয়া রেখচিত্রটা দেখ, দেখবে সামাজিক ইনসিওরেন্সে (পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা, অন্যান্য বীমা) খাতে ভারতের যা ব্যয়, আর ভারতের খাতায় কলমে যা উচ্চাশা ("বিশ্বগুরু"), তার মধ্যে কোন মিল নেই |
(দেশের GDP যত বাড়ে, তত দেশের সামাজিক "বীমা" বা insurance এ investment ও বাড়ে ) | ভারতের ইকোনমি কিছু ছোটখাট নয়, কিন্তু মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা দেবার ব্যাপারে এত কার্পণ্য করে যে বলার নয়। জনস্বাস্থ্যে ইনভেস্টমেন্টেরও ওই এক হাল।
এ ছবি কোভিড১৯ এর আগেকার কথা। এর পর যে কি হবে কে জানে!
তোমার চাড্ডি যারে দাও তার পরিবারে দিও ব্যাংকার
তোমার সেবার মহান দুঃখে ভরে গেল কত ট্যাংকার
কান্নার জলে কৃষিকাজ হবে লাইনেই আছে যন্ত্র
সিয়াচেনে খাড়া সুবোধ সেনারা পার্লামেন্টে মন্ত্রী
দুর্গম পথে এগিয়ে চলেছে ভক্তেরা অতি শুদ্ধ
কালো টাকা সবি নিমেষে উধাও স্বচ্ছ ভারত মুগ্ধ
এটিএমে যত সুবিধেবাদীরা চিল্লায় দিবারাত্র
সিয়াচেন রাখে সুবোধ সেনারা ভুলিয়া ব্যক্তিস্বার্থ
তোমার চাড্ডি যারে দাও তার মগজেও সার্ফ এক্সেল
কাশ্মীর ভরা সন্ত্রাসবাদী উত্তর-পুবে নকশাল
শুন্ডিতে বোবা হাল্লায় খুন আচ্ছে দিনের সাক্ষ্য
সিয়াচেনে মরে সুবোধ সেনারা গরীবেরা অপদার্থ
তোমার চাড্ডি যারে দাও তার পতাকায় নেই রক্ত
জীবনমৃত্যু হেলায় ঠেলিয়া জাগিছে হিন্দু শক্তি
ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে উড্ডীয়মান ইকোনমি নিউ হাইটে
সিয়াচেনে আছে সুবোধ সেনারা প্রধানমন্ত্রী ফ্লাইটে।।
-- মিঠুন্দা, সার্কা ২০১৬
এলেবেলে, আমি কিন্তু শুধুমাত্র পুথির ভাষ্য বলছি। আপনি রবীন্দ্রনাথের প্রাচীন পুথি সংক্রান্ত যে বক্তব্য কোট করেছেন তার প্রেক্ষিতে। ঐ যে পাঠক আপনা আপনি আন্দাজ পাবে, এ মনে হয় খুব অতিরিক্ত আশা। মনে হয় কোনো পুণ্য প্রভাতে রবীন্দ্রনাথ সবে রবির কর টর দেখতে বসেছেন, এইবার কেউ এসে জিগিয়েছে যে গুরুদেব, যেখানে সেমিকোলন মারার কথা সেখানে কমা বসিয়েছেন ক্যানো! ব্যাস, খচে গিয়ে প্রথম ক্রৌঞ্চ হিসেবে বলে দিয়েছেন, অ্যাত হেকিমী দেখিও না তো।
খবরের কাগজে বাংলা গদ্য ছিল তো। সেইসময়কার খবরের কাগজ পড়েওছি। মজার সব ঘটনা জানা যায়। যেমন,
'মোং কলিকাতা ১১ দিসেম্বর২৭ অগ্রহায়ণ বৃহস্পতি বার সন্ধ্যার পর শ্রীযুত বাবু দ্বারিকানাথ ঠাকুর স্বীয় নবীন বাটিতে অনেক ২ ভাগ্যবান সাহেব ও বিবীরদিগকে নিম্নত্রণ করিয়া আনাইয়া চতুর্ব্বিধ ভোজনীয় দ্রব্য ভোজন করাইয়া পরিতৃপ্ত করিয়াছেন এবং ভোজননাবসানে ঐ ভবনে উত্তম গানে ও ইংগ্লন্ডীয় বাদ্য শ্রবণে নৃত্য দর্শনে সাহেবগণ অত্যন্ত আমোদ করিয়াছিলেন। পরে ভাঁড়েরা নানা শং করিয়াছিলেন কিন্তু তাহার মধ্যে একজন গো বেশ ধারণপূর্ব্বক ঘাস চর্ব্বণাদি করিল।
সমাচার দর্পণ, ২০ ডিসেম্বর, ১৮২৩
ঃ)))
পোস্ট টাইপ করার পর, মানে ছবি টবি গুঁজে সাজানোর পর একটা প্রিভিউ অপশন থাকা দরকার। মানে পোস্ট করলে কেমন দেখাবে। অপশনাল, যার দরকার সে একবার ক্লিক করে দেখে নেবে সাজানো প্রপারলি হল কিনা। নইলে এই আনএডিটেবল পোস্টের ভ্রমনিরসন করার জন্য আবার পোস্ট, তারপরে আবার, এ অনর্থক। সাইটে গার্বেজ বাড়ে।
"আজ পুণ্যদার সঙ্গেও অনেক কথা হচ্ছিল। সেই ব্যাক টু, সবার জন্য স্বাস্থ্য, এই পুরানো দাবি, যা নিয়ে কিছু লোক এত গলা ফাটিয়েও জনস্বাস্থ্যকে কোন ইস্যু বানাতে পারেনি, হয়ত এবার লোকজন হাড়ে হাড়ে বুঝছে। কিন্তু তাও এনিয়ে অর্গানাইজড দাবিদাওয়া কই? পার্লামেন্টের এই সেশনেও কি স্বাস্থ্যখাতে নিয়মিত বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠবে!"
পাই, প্রথমত, যে সব দেশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে কোভিড১৯ ফেস করেছে, তারা অসুখটাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। যে কটা দেশ উন্মাদদের দ্বারা পরিচালিত, বা যেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি সিস্টেমেটিকালি অগ্রাহ্য করেছে, কোভিড১৯ সেখানে বাজে ভাবে ছড়িয়েছে/ছড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যের অধিকার বলে লোকে আসলে যে ব্যাপারটি বলতে চায়, সেটি চিকিৎসার নাগাল পাবার অধিকার। এবং এখানেও যেটা লেখার, পাঁচটা বড় অসুখ, আসলে তাদের প্রাথমিক বা আউটডোরে চিকিৎসা হলে ভর্তি করে চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়ে না। এবার যে সব দেশে সরকার মানুষের প্রধান হেল্থ ইনসিওরার, সেখানে সরকার নিজের তাগিদেই প্রাথমিক চিকিৎসার অর্গানাইজেশন এর খাতে ব্যয় করে। সেটা করতে গেলে জনস্বাস্থ্য তে ব্যয় করতে হয়। এশিয়ায় জাপান তাদের gdpর ৬% স্বাস্থ্যে ব্যয় করে, ভারত সেখানে ১%
তৃতীয়, দারিদ্র্য নিজে একটি সামাজিক অসুখ। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট আর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেনট, দুটো লক্ষের ই প্রথম শর্ত দারিদ্র্য বিমোচন। সেটা যে ভাবে সম্ভব, তার রূপরেখা এশিয় ডেভেলপমেনট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, WHO, এরা মনে করেন সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সম্ভব। বিশ্ব স্ট্যাটিসটিকস বাদ দাও, এশিয়ার নিরিখে ভারতের অবস্থান নীচের সারিতে। জাপান যেখানে ১১% পার ক্যাপিটা জিডিপি সামাজিক নিরাপত্তার পেছনে ব্যয় করে, ভারত সেখানে ১ দশমিক ৩ শতাংশ, তাও সবাই তার সুযোগ পায় না। মানে মাথাপিছু ভারত ১৬০০ টাকা করে সামাজিক নিরাপত্তার খাতে ব্যয় করে, এর মধ্যে সামাজিক বীমা, সামাজিক সহায়তা (ক্যশ ট্রান্সফার টাইপের ব্যাপার), রোজগার স্কিম, সব ধরা আছে।
এবং ২০১২ সাল থেকে এই চলছে। ১০০ দিনের mnrega আর রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবীমা যোজনা ভারতের মুখ রেখেছে এইটুকু বলতে পারা যাবে।
এই যদি চলতে থাকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করবে।
ফুচক্র?তাইলে দিক্রিনিচক্রবর্তীতে চড়ে যাবখন:-)
রোগ ফুরোলে, মিঠুদি এলে এবার মিঠুদিকে নিয়ে কলেজ স্কোয়ারের ঋকবৈদিক ফুচক্র খেতে যাব।
খুবসে অ্যালকোহল পান করলে দেহ ভিতরে-বাইরে শুচি হয় একথা শোনা গেছিল। ফলে অ্যালকোহলের বিক্কিরি যে পরিমান বাড়ল, চাটের বিক্কিরি কিন্তু সে পরিমান বাড়ল না। তাই বেচারারা আর কি করে, আমাদের সেন্ট্রান এভিনিউ-বৌবাজারের মোড়ে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে----
আমি এই বিজ্ঞাপনের বক্তব্য খুবই সমর্থন করছি এবং প্রাণপনে ডালমুট চিবোচ্ছি। প্রাণটা তো বাঁচাতে হবে!!
বড়েস, আমি নিজে রানাঘাট লোকসভার ভোটার। ভোটের দিন পনেরো আগে এই এমপি-র নাম ঘোষণা হয়। নতুন দেওয়াল তো লেখা হয়ই নি, পুরনো নামও মোছা হয়নি। আপনি একটু স্পেসিফিক রানাঘাট সম্পর্কিত ডেটা দেবেন? বিধানসভা ভিত্তিক? কৃষ্ণনগরেও সেম কেস। বনগায় মার্জিন আরও বাড়ত ক্যান্ডিডেট নিয়ে ক্যাচাল না হলে। এই ভোটগুলো কি উড়ে উড়ে আসল? আমি কিন্তু জেনেরালাইজ করিনি। আপনি শুধু এই তিনটে লোকসভার বিধানসভা-ভিত্তিক ডেটা দিন। আর ঈশানকে জিগান তিনি কেন এমনটা লিখেছিলেন।
টি, আপনার পুঁথি বিষয়ক আলোচনাটা বেশ লাগছিল। তখন বলা হয়নি।
এটা প্রথম কথা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বিদ্যাসাগর প্রথম ইংরেজি যতিচিহ্ন ব্যবহার করেন বেতালপঞ্চবিংশতির দশম সংস্করণে। এটা এইমাত্র ফের একবার চেক করে নিলাম। বিদ্যাসাগর নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। ১২৮৩ বঙ্গাব্দ। ইংরেজিটা হিসেব করে নিন।
তৃতীয় কথা হচ্ছে বাংলায় শুধুই কাব্য ছিল তাই এক দাঁড়ি আর দু দাঁড়িতেই কাজ চলে যেত এটাও কিন্তু একটা মিসকনসেপশন। বস্তুতপক্ষে গদ্য শুধু ছিলই না, তাতে বিদ্যাসাগরের আগে যতিচিহ্নও ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮২৯ সাল, সমাচার দর্পণ পত্রিকা।
চতুরানন, (সরি আপনার চিহ্ন আমি ডেস্কটপ তন্ন তন্ন করেও পেলাম না) ব্যাসবাক্য নিয়ে রঞ্জনবাবু ছাড়া আর কেউ বলেননি। আরও দু-একজন সমাসজ্ঞর জন্য অপেক্ষা করবেন? আমি তো বলেই দিয়েছি তাঁহারা যাহাই কহিবেন তাঁহাই মানিয়া লইব। এবার আপনার আদেশের অপেক্ষা।
রঞ্জনবাবু, আপনার ওই 'হাফ গ্লাস খালি আর হাফ গ্লাস ভর্তি'-র মধ্যে একটা হাইপোথিসিস লুকিয়ে আছে। সেটা ওই ৫০% নিয়ে। মানে ওটা যে পঞ্চাশ শতাংশই ভর্তি, কিছুতেই ৭৫ও নয় ২৫ও নয় - এটাকেই হাইপোথিসিস বলছি আর কি।
আমি খ-এর সঙ্গে একদিন ফোনে আড্ডা মারতে গিয়ে কথাপ্রসঙ্গে বিদু সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন জানতে চেয়েছিলাম। তাতে যা বুঝেছি তাঁর বিধবাবিবাহ নিয়ে একটা সফট স্পট আছে (মানে যদি ভুল বুঝে না থাকি)। আপনি কাইন্ডলি আমাকে বিদুর শিক্ষা-সমাজ-সাহিত্য নিয়ে তিনটে করে বুলেট পয়েন্ট উল্লেখ করবেন? তক্কো করব না, আমার নিজস্ব ডিসকোর্সটা গঠন করতে সুবিধে হবে।
প্রসঙ্গত কোন একটা মন্তব্যে যেন ঈশানকে 'সে' 'বলেছে' ইত্যাদি লিখে ফেলেছি। ওটা একমাত্র ঈশান বাদে বাকিরা 'তিনি' 'বলেছেন' হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পড়ে নেবেন প্লিজ।
খ, হ্যাঁ রঞ্জনবাবুর থেকে আমার শেখার আছে। অনেক শেখার আছে। তবে বোধহয় আমাদের শেখার নেই? তাই না?
পাইদিদি, কোভিডে ভোগা লোকজনের অভিজ্ঞতা মিশ্র। মানে ভাল মন্দ দুইই শুনছি।
নন কোভিড যেকোনো রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। নানারকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে অকারন অর্থব্যয়।
লিটার লিটার জিন টনিক খান। ম্যালেরিয়ার জন্যেও ভাল/।