Atoz | 151.14.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:০৪459033
i | 59.102.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫২459031এই ডাটাবেসের সমস্যা হচ্ছে এতে করে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না যে এদের মৃত্যুর সঙ্গে কোভিডের ঠিক কি সম্পর্ক | বিশেষ করে কোভিডের হেতু মৃত্যু, (কোভিড১৯ না আক্রান্ত হলে মারা যেতেন না), কোভিড-জনিত কারণে মৃত্যু, (কোভিড আছে, ও শুধু সেই কারণে অন্য অসুখের গতিপ্রকৃতি খারাপ হয়ে মারা গেছেন), কোভিড আক্রান্ত কিন্তু অন্য কারণে মারা গেছেন (কোভিড আনুষঙ্গিক কিন্তু কোভিডের সঙ্গে মৃ্ত্যুর সম্পর্ক নেই), কোভিড নেই মারা গেছেন, এগুলো কিন্তু পরস্পর পরস্পরের থেকে পৃথক। প্রতিদিন ভারতে বহু মানুষ মারা যান, এঁরা তার একটা অংশ নথিবদ্ধ করেছেন | এঁরা এ সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটি অবশ্য নথিবদ্ধ করেওছেন,
"
We rely on news reports. Only a fraction of deaths are reported by the media and we may have missed some deaths reported in local media as well. Therefore, our numbers are likely an underestimate of the total deaths caused by the lockdown at the ground level.
It's possible that some may feel that these deaths can't be classified as related to the lockdown. Similarly, it is not our argument that each of the incidents recorded is accurate and the cause of the deaths have been established in such reports beyond reasonable doubt. That's why the database and the classification are public. People can judge and decide for themselves."
তাছাড়া জুলাই মাসের তিন তারিখের পর থেকে আর কোন এন্ট্রি নেই | তেজেশ বলে যিনি এটিকে মেনটেন করেছেন, এঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে |
আজকে আপনারা দেখলাম অনেকে বন্দনা শিব আর "ক্ষুধা" (hunger) নিয়ে লিখেছেন। আমরা সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের ডাটা, এনাদের hunger index (global hunger index) ও কোভিড জনিত কারণে মৃত্যু নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেছি যে যে সব দেশে hunger এর প্রাবল্য, সে সব দেশে কোভিড জনিত মৃত্যুর মাপ (case fatality rate, infection fatality rate) কম, এবং ব্যাপারটা শুধু ভারত বলে নয়, প্রায় সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। এখন আমাদের এই পর্যবেক্ষণ ঠিক কি না, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি, বিশেষ করে কি কি confounder (অর্থাৎ একই সঙ্গে Hunger এবং মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত তার বিশ্লেষণ) | এখানে যে ব্যাপারটা বলার সেটা হচ্ছে যদি দেখা যায় যে অপেক্ষাকৃত গরীব অঞ্চলগুলোতে কোভিড-জনিত কারণে মৃত্যু বা ইনফেকশনের হার কম, বা অপেক্ষাকৃত গরীব মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোভিড-জনিত কারণে মৃত্যুর হার বা তুলনামূলক ইনফেকশনের হার কম, সেক্ষেত্রে তাঁদের কাজের বা অন্তত অন্ন সংস্থানের ব্যাপারটা মাথায় রেখে অন্যরকমভাবে লক-ডাউনের ব্যবস্থা করা যায়। এছাড়াও লকডাউন, শ্রমিকদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার, টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এগুলোর কাউন্টার-ফ্যাকচুয়াল বিশ্লেষণ না করলে বোঝা সম্ভব নয় যে এদের অন্যান্য প্রভাব কি হতে পারে।
আরেকটা ব্যাপার, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অন্তত Asian Development Bank এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে Social Protection এর হার ভারতের থেকে অনেকটাই বেশী: এদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, সবিশেষ উল্লেখযোগ্য | এতে করে সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য তিন চার রকমের social protection scheme ধার্য করা থাকে (ধরুন ভারতে ১০০ দিনের কাজের প্রোগ্রাম) | এই তালিকায় ভারত এশিয়ার নিরিখেও নীচের দিকে | কোভিড১৯ এর পরে বিশ্বজুড়ে social protection নিয়ে চিন্তাভাবনার একটা পরিবর্তন আসবেই | ভারত কি করে সেটাও এখানে লক্ষ করার বিষয় |
i | 59.102.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২459028
i | 59.102.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২১459027
S | 2405:8100:8000:5ca1::129b:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২১459026
S | 2405:8100:8000:5ca1::adc:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৭459025
সম্বিৎ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৮459024সেকি ঈশ্বরীতলা-টলা তো সবই দক্ষিণ চব্বিশ বলে মনে হয়। পরিস্কার লেখা ছিল বলে নেই, কিন্তু মাহোল সেরকম।
Abhyu | 47.39.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৫459023
Abhyu | 47.39.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:০৩459022
অর্জুন | 113.2.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৩459021শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এক সময়ে দখিন ২৪ পরগণায় প্রায় এক দশক ছিলেন সপরিবারে। আমাদের বাড়িটা ছিল তার পাশের বাড়ি। যে বাড়িটা ভাড়া নেন তার মালিক নিজের তিন নং স্ত্রীর হাতে খুন হন। মহিলা জেলে। শ্যামল বাবু জেলে গিয়ে কথাবার্তা বলে ভাড়া নেন। :-) আমাদের বাড়ির নীচের তলার একটা ঘর প্রায় ওর ঘর হয়ে গেছিল। ওঁর কন্যা আমার ঠাকুমার কাছেই থাকত। পাড়াটির সংখ্যা গরিষ্ঠ সম্প্রাদায় খ্রিশ্চান। বাড়ির ল্টোদিকে একটি বড় গির্জা এবং রাস্তার নাম চার্চ রোড। অনেক হিন্দুও থাকত। আর পাশের পাড়াটা হল গাজী পাড়া শ্যামল বাবু, বাড়ির সদস্যের মতই ছিলেন । 'দেশ' এ ওঁর েখা বেরুলে ঠাকুমাকে নাকি বলতেন 'বৌদি পড়ে জানাবেন কেমন?' ঠাকুমা পড়ে নাকি বলতেন 'ভাল লাগেনি বিশেষ আপনাদের আধুনিক লেখা টেখা বুঝিনা।' উনি উত্তরে বলতেন 'এইবারে আপনাদের মত করে লিখব।' :-) এই দঃ ২৪ পরগণা নিয়ে উনি একটি উপন্যাস লিখবেন বলেছিলেন। ঐ পাড়ার পুরাতন পরিচিতরা বহুকাল অপেক্ষয় ছিল, শ্যামল বাবু কি লেখেন সেই আগ্রহে! লেখেননি। এ বিষয়ে অনেকেই নিরাশ ছিল।
ওঁর কল্যাণেই সমরেশ বসু এক রবিবার আমাদের বাড়িতে প্রায় সারাদিন কাটান, মাছ ধরেন ।
ওই মফস্বল ছাড়ার পরেও কিছুকাল যোগাযোগ ছিল।
আমার যখন বছর আটেক বয়েস উনি একদিন হঠাৎ সন্ধ্যেবেলায় নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির। সঙ্গে আরও দুজন। সবাই অবাক। আমি সেই প্রথম দেখেছিলাম ওঁকে। ডেকে কথা বললেন। কি পড়তে ভালবাসি জানতে চাইলেন। মা, আমার গল্পের বই টই এনে দেখাল। উনি নব্যেন্দু বাবুকে নিয়ে বাড়ি ঘুরে দেখালেন। কি না! ওঁর একটি গল্প কি উপন্যাস থেকে সিনেমা হবে,। তার শুটিং হবে কাছেই কোথাও। সেই ছবিতে মুনমুন সেন অভিনয় করবেন। তাঁকে আমাদের বাড়িতে তিন- চারদিন থাকতে দিতে হবে। আমাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে শুটিংও হতে পারে।
মনে আছে দাদু শুনে 'না , না ' করে উঠেছিলেন । বাড়ির অবস্থা এখন ভাল নয়। মুনমুন সেন এখানে এসে কি ভাবে থাকবে ইত্যাদি। এছাড়া বারিতে এত লোক! প্রাইভেসি সমস্যা হবে। দাদু বলছে আর উনি হাসছেন। যাইহোক প্রায় রাত নটা অবধি গল্প করে, অনেক স্মৃতিচারণ করে চলে গেছিলেন। আমার দাদু ও ঠাকুমা দুজনেই খুব স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়েছিলেন। আমার শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়কে খুব মজার একটি মানুষ মনে হয়েছিল।
এই ঘটনার অনেক পরে নবনীতা দেবসেনের কাছে শুনেছিলাম শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ওখানে একটি রাইটার্স কলোনি গোছের কিছু করার পরিকল্পনা করেন এবং ওঁর পরিচিত সব কবি, সাহিত্যিকদের জমি কেনার জন্যে বলেছিলেন। একটা বেশ কয়েক বিঘা জায়গাও নাকি দেখেও রেখেছিলেন। সেখানে প্লট সিস্টেম মত জমি হবে সকলের। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।
সিএস | 49.37.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩২459020
সিএস | 49.37.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৯459019
অর্জুন | 113.2.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৯459018দিলীপকুমার রায়ের গান নিয়ে লেখা খুবই স্বাদু । রীতা গঙ্গোপাধ্যায়ের মত স্টকও এই মুহূর্তে আর কারো কাছে আছে বলে জানিনা। গল্প করতে জুড়ি নেই। কিন্তু লেখেন না। আরেকজনেরও সিদ্ধেশ্বরী দেবীর কন্যা সবিতা দেবীর। এঁরা কেন লেখেন না জানিনা। এঁরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব হারিয়ে যাবে।
সম্বিৎ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:২৪459017জ্ঞানবাবুর তহজীব-ই-মৌসিকি ভাল, কিন্তু লেখায় আড্ডার জোশটা নেই, যদিও অ্যানেকডোট অঢেল। সুরেশ চক্রবর্তীর লেখাও অমনই। দিলীপ মুখুজ্জে আমার পড়া হয়নি। তবে মজলিশি লেখায় কুমারপ্রসাদের কাছে কেউ নেই। তারপরে আছে অমিয়নাথ সান্যাল। এই লিস্টে ধূর্জটীপ্রসাদ, দিলীপকুমার রায়ও আসবেন হয়ত। ইংরিজিতে শীলা ধারের "Here's someone I want you to meet" - তবে সেটা শুধু সঙ্গীতসংক্রান্ত নয়।
সিএস | 49.37.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১৬459016
সিএস | 49.37.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:০৪459014
অর্জুন | 113.2.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৮459012সকালে দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের নাম বললেন, তার বইয়ের নাম কি?
গান নিয়ে মজলিশি লেখা লিখতে পারতেন রীতা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু উনি ইংরেজিতে আখতারি বাঈয়ের জীবনী ছাড়া আর কিছু লিখেছেন বলে জানিনা।
অর্জুন | 113.2.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৫459011আচ্ছা। ভীষণই ইম্প্রেসিভ বলেন। কন্টেন্টও দুর্দান্ত।
একটা লিঙ্ক দিলাম। শুনে দেখতে পারেন। তেল নিয়ে বিশ্বব্যাপী লড়াই এবং তার সঙ্গে ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার কি ভয়ংকর ভাবে অ্যাফেক্টেড সে নিয়ে বললেন।
" কর্মদক্ষ" র কি ওয়েবসাইট আছে ?
সিএস | 49.37.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩৪459010
একক | 103.124.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৯459009
রঞ্জন | 122.162.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৩459008@ অর্জুন,
আমার রীচ কম। কয়েক দশক আগে থেকে ইপিডব্লু এবং বিভিন্ন পত্রিকায় ওনাকে ফলো করেছি। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিবেশবিদ বলেই মনে করি। আসলে আমি এখন ছত্রিশগড়ে " কর্মদক্ষ" বলে একটি এনজিও'র সঙ্গে আছি । বোর্ডে সবাই দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত। ওঁদেরও -- যেমন এস সি বেহার, (আজিম প্রেমজি'র এডুকেশন ইউনিটের পরামর্শদাতা) এবং রাণু ভোগল( অক্সফ্যামের রিসার্চের কান্ট্রি চিফ) --- বন্দনা শিবার সম্বন্ধে উঁচু ধারণা।
রঞ্জন | 122.162.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১৫459007আর এলেবেলেকে নিয়ে কেসি'র কথায় বড় হাতের ক'।
অসাধারণ ডেটা পয়েন্ট। অন্ততঃ আমার মত হরিদাস পালের জন্য তো বটেই।
যে গরু দুধ দেয় তার একটু চাট সহ্য করা যাবে না?
অর্জুন | 113.2.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১২459006হ্যাঁ । Navdanya নামে দেরাদুনের কাছে একটি এন জি ও আছে ওঁর। বহু বছর ধরে কৃষি, শস্য, বীজ নিয়ে কাজ করছেন।
World hunger and golbal politics নিয়ে তার কিছু লেকচর, ইন্টার্ভিউ শুনলাম। খুব ভালো বলেন।
রঞ্জন | 122.162.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১২459005পাই,
গীতা গোপীনাথ ম্যামের( যাঁকে পিনারাই বিজয়ন ক্ষমতায় এসে আর্থিক পরামর্শদাতা নিযুক্ত করেছিলেন এবং বর্তমানে আইএমেফের চিফ ইকনমিস্ট) ওই চার্টটা ইতিমধ্যে নানা জায়গায় দেখানো হচ্ছে।
বড়েসের কথায় সায় দিয়ে -- "আসল কথাটা হল অর্থনীতি এরপর যখন রিকভার করবে, তখন যেন আমরা বেশি লাফালাফি না করি। কারণ তখন অন্কের নিয়মেই বিশাল বড় গ্রোথ দেখাবে, কিন্তু অর্থনীতি থাকবে সেই অন্ধকারেই"।)