আর গানগুলো পরপর, মিলিয়ে মিশিয়ে শুনতে , গুনগুনাতে কী ভাল লাগছে !
রাগের চলনে যে কীকরে ভোর থেকে সকাল হওয়ার মুড আটকা পড়ে যায়, ভাবতেই আশ্চর্য লাগে ! যে কাউকে শুনিয়ে যদি জিগেশ করা হয় , ভোর , সকাল দুপুর বিকেল রাত , কোন সময়ের কথা মনে হয় এই সুর শুনে, আমি নিশ্চিত সমীক্ষা করলে বিকেল দুপুর রাত খুব কম বেরবে। এরকম কিছু সমীক্ষার খুব শখ ছিল আমার একসময়। টিয়ায়েফয়ার এনসিবিএস এর আডমিশন টেস্টে এই নিয়ে এক প্রোপোজালে ভাটিয়েছিলা্ম । আমার শখ ছিল এই নিয়ে নিউরোসায়েন্সে পিএইচডির :)
আর কোন গানের সিস্টেমে এমনটা হয় বলে জানা নেই। জাস্ট কয়েকটা স্বর, তার চলন, পকড়ে এই মুড সেট হয়ে যায় !
দরবারি আর জয়জয়ন্তীর সুর রাস্তায় যেকেউ শুনলেই আমি নিশ্চিত কী মনে হচ্ছে, তা প্রায় সবাই কাছাকাছিই বলবেন ।
অবশ্য রাগ যে কোথায় আছে আর নেই ! এই তো বরগীত কি ককবরক গান শিখতে গিয়েও দেখলাম সেখানেও সেই রাগ ! যদিও বেশ আলাদা আলাদা।
কর্ণাটকী রাগে দিনের নানা সময়ের রাগ আছে ? নানা ঋতুর ? নানা আলাদা মুডের ? থাকলে কেউ দেবেন কিছু অডিও ?
মহামারীর সময়ে ফিরে পড়তে ভাল লাগছিল। ভাল কথা, এই কথাগুলো ঠিকঠাক কোট করা কিনা কেউ কনফার্ম করতে পারেন ? জোড়াসাঁকোর ধারে নেই হাতের কাছে।
"প্লেগের এই ভয়াবহতায় রবীন্দ্রনাথ কেবল সাহিত্য রচনাতেই থেমে থাকেননি, নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। ভগিনী নিবেদিতা তখন সদ্য এসেছেন কলকাতায়। বন্ধুত্ব হয়েছে দু’জনের। মানবহিতৈষী দু’জন সে দিন মহামারি সামলাতে এক সঙ্গে পথে নেমেছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ গ্রন্থে লিখেছেন, “সেই সময়ে কলকাতায় লাগল প্লেগ। চারদিকে মহামারী চলছে, ঘরে ঘরে লোক মরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। রবিকাকা এবং আমরা এবাড়ির সবাই মিলে চাঁদা তুলে প্লেগ হাসপাতাল খুলেছি, চুন বিলি করছি। রবিকাকা ও সিস্টার নিবেদিতা পাড়ায় পাড়ায় ইন্স্পেক্শনে যেতেন। নার্স ডাক্তার সব রাখা হয়েছিল।”
--
কলকাতার নাগরিকদের সচেতন করতে রবীন্দ্রনাথও উদ্যোগী হয়েছিলেন। ঠাকুরবাড়ির প্রায় সকল সদস্যই তাতে শামিল হন। ‘Calcutta Notes’ এ নিবেদিতা লিখেছেন, “A few great Hindu families, notably the Tagores, stood firm, in the hope of allaying the agitation.”
আজ থেকে তিরিশ বছর আগে টিভির নববর্ষের বৈঠকে অরুণ ভাদুড়ি একটা ভাটিয়ারে বাঁধা বাংলা গান গেয়েছিলেন। কারুর মনে আছে?
বাঙলায় অবশ্য শ্রেষ্ঠ ভাটিয়ার গেয়েছেন অখিলবন্ধু ঘোষ।
তালে মান্নাবাবুর শুনুন, একই রাগ -
খালের সঙ্গে অনুপ্রাস ? ;-) জাস্ট জিজ্ঞেস করছি ।
ওপর নিচ নয় ততটা, এরা নদী /গ্লেসিয়ারের কাছে দূরের কথা বলছে ।
তা আর বলতে?
নিন, "সাহেবের" ছোটবেলার কুমির খাল বেয়ে ঢুকেছে,
ফ্রানজ - জোসেফ গ্লেসিয়ার এর Tartare Tunnel অবধি গ্লেসিয়ার এর ওপর দিয়ে হেঁটে গেলেন? বড় ভালো জায়গা মশাই,যতবার যাই , আমার আর ফিরতে ইচ্ছে করে না । কেমন একটা আদিম পৃথিবীর ভাব, চারিপাশে পাথরের স্তুপ, পাহাড় মাঝখান দিয়ে একটা বরফ গলা নদী , চারপাশে রুক্ষ্ম পাহাড়ের গা বেয়ে অজস্র ঝর্ণা আর জলপ্রপাত নামছে । তবে সে পথে খুব সাবধানে যেতে হয় ।
বছর পাঁচেক আগে গ্লেসিয়ার টার ঠিক মুখের কাছে দুজন টুরিস্ট না বুঝে কথা নিষেধ না শুনে গিয়েছিলো, কিন্তু সেই সময়ে মোরেন এর মুখ থেকে একটা বরফের চাঙড় ভেঙে পড়ে , এরাও সামলাতে পারে নি, নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে মারা যায় । জায়গাটা ভয়ঙ্কর সুন্দর ।
হাতের কাছে অনেক দিন আগে তোলা এই ছবিটা দেখতে পেলাম বলে তুলে দিলাম । দূরের বরফ Franz Josef গ্লেসিয়ার, দেখুন কতটা কাছে নেমে এসেছে । আবার এর ২০ মিনিট দূরেই একটা ভারী সুন্দর সমুদ্রতট , যেখান থেকে উজ্জ্বল দিনে এই গ্লেসিয়ার কেই পাহাড়ের মাথায় দেখতে পাবেন। এক দিনে গ্লেসিয়ার ট্রেক করে সমুদ্রে গিয়ে সার্ফিং করে আসুন, তুলনা হয় না ।
সে কি মশাই, কুকুরের কেউ এহেন অবমাননা করে? কুকুর বলে সে কি মানুষ নয়?