কার লেখা রচনা বই থেকে টোকা এটা?
আর বিদ্যাসাগরের সময় দেশ ব্রিটিশ শাসনের অধীন। কোনো জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রকাশ নেই।
সেই সময় বিদ্যাসাগরের পক্ষে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করা সম্ভব ছিলনা, যেটা বাস্তবসম্মত ছিল সেটাই করেছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার করতে চেয়েছেন। সেই কাজ করতে গিয়েও নানাভাবে শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। অবশেষে নিজের আত্মমর্যাদা বজায় রাখতে মাত্র 38 বছর বয়সে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
নিবেদিতার প্রথম জীবনীকার Lizelle Reymond চল্লিশের দশকে যখন প্রথম বেলুড়ে যান তখন মঠে নিবেদিতার একটিও ছবি না দেখতে পেয়ে স্তম্ভিত হন। Reymond র মূল সোর্স ছিল বিভিন্ন জনকে লেখা নিবেদিতার প্রায় আটশোর মত চিঠি। আশ্চর্যা ভাবে তাঁর (Reymondর) সাধন সঙ্গী শ্রী অনির্বাণের কাছে নিবেদিতার কিছু চিঠি ছিল। ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় নিবেদিতা- বিবেকানন্দ পরিচিতেরাও এ বিষয়ে সাহায্য করেন। Reymond অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, তার মধ্যে ম্যাকলাউড ও নিবেদিতার বোন মিসেস উইলসন ছিলেন। এ ভাবেই লেখা হইল নিবেদিতার প্রথম জীবনী 'The Dedicated'।
মিশনের সঙ্গে নয়, মিশনের দু, একজন মহারাজের সঙ্গে নিবেদিতার যোগাযোগ ছিল। সবচেয়ে বেশী 'শরৎ' মহারাজ, স্বামী সারদানন্দের । নিবেদিতার তাঁকে বলতেন 'Swami the second'।
এগুলো এখানে একেবারেই আলোচনা করতে ইচ্ছে করেনা। একজন একনিষ্ঠ গবেষক আমায় বলেছেন নিবেদিতা ও সারদানন্দের চিঠি প্রকাশিত হলে সোরগোল পড়ে যাবে। মানে এ দেশের সাধারণত যা মানসিকতা। যদিও খুব সুন্দর সে correspondonce।
নিবেদিতার পার্সোনাল ডায়রি গচ্ছিত ছিল জগদীশচন্দ্র বসুর কাছে। নিবেদিতা দার্জিলিঙে লেডি বোসের এক বোনের বাড়িতে প্রয়াত হন। জগদীশ বোস আমৃত্যু আগলে রেখেছিলেন সে ডায়রি। ১৯৩৭ এ জগদীশচন্দ্রের মৃত্যুর পরে লেডি বোস নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত কিছু নিজের কাছে রাখতে চাননি। নিবেদিতার ঘনিষ্ঠ মিস ম্যাকলাউড ও বোন মিসেস উইলসনকে যোগাযোগ করেন তাদের দিয়ে দেবেন বলে । তারা ঠিক সময় যোগাযোগ না করায় একটু বিরক্ত হয়েই সব কিছু রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়ে দেন। সে ডায়রি মিশন আজও অবধি কাউকে দেখায়নি ।
উপরোক্ত তথ্যটি পেয়েছি লেডি অবলা বসুর জীবনীকারের কাছ থেকে। তিনি গুরুতেও কয়েকবার এসেছেন।
সেটা নীপার আবর্জনা সাফাই এবং নির্দেশ দেওয়ার পরে বিভিন্ন জনের সাফাই দেখে বিলক্ষণ টের পেয়েছিলাম।
সিএস, ওই কারণেই ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা করতে গেলে অন্ততপক্ষে গোটা দশ-পনেরোটা ইংরেজি বই এবং সঙ্গে সরকারি রিপোর্ট-চিঠিপত্র পড়া খুবই জরুরি। নাহলে অন্ধের হস্তিদর্শন হবে। ধরুন ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগরের শিক্ষাবিস্তার সম্পর্কে ভদ্রলোক যে লেভেলের গবেষণা করেছিলেন সেটা আজ অবধি সেরা। ১৯২৭-৩৩ এই পিরিয়ডে। তারপরে সব ...ওই ভাঙিয়ে চালিয়ে গেছে। কিন্তু দুঃখ এই যে ব্রজেনবাবুও একদেশদর্শিতার শিকার। বাকিদের তো কথাই নেই।
@π ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৩৪
'তবে রবীন্দ্রনাথের সংগে টেনশন এবং নানাবিধ সমালোচনা, অপছন্দ করা, এগুলো নিয়ে সোর্স থেকে কোট পেলে ভাল হত।'
নিবেদিতা জোসেফিন ম্যাকলাউডকে লিখছিেন 'He has a naif sort of vanity in speech which is so childlike as to be rather touching...Mr Tagore is not the type of manhood that appeals to me.'
১৯১৩ সালের অক্টোবরে শান্তিনিকেতনে যেদিন নোবেল কমিটির টেলিগ্রাম পৌঁছয় সেদিনই E.P. Thompson প্রথম শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে যান ও তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথোপকথন হয়। সেদিনই আবার নিবেদিতার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
রবীন্দ্রনাথ, নিবেদিতা সম্পর্কে Thompsonকে বলেছিলেন
'I never liked her. She was so violent .She had great hatred for me and my work,specially here,and did all she could against me.She was so confident that I was unpatriotic and trucking to modern thought'.
1902 সালের 31শে জুলাই নিবেদিতা ইন্ডিয়ান পত্রিকায় এই বিষয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছিলেন।
আর নিবেদিতা সঙ্গে মিশন কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক আজীবন ছিল। যাঁরা একটু আধটু পড়াশুনো করেছেদ, তাঁরাই জানেন।
দেখুন আমি নেহাতই নিতান্ত নাদান। আমার কথায় অত গুরুত্ব দেবেন না। নীপা মানে নীরব পাঠক সে ব্যাপারটাও আমাকে বিশদে বুঝিয়ে বলতে হয়। তারপর গিয়ে ধরুন সাইটে অ্যাডমিন বলে কেউ থাকেন না - সেটাও মাইরি বলছি এইমাত্র জানলাম। আমার বক্তব্য হল পিনাকী মিত্র-ঈশান-আপনি-হুতো-এলসিএম মানে যাঁরা এখানে আছেন এবং বাকি দুজনকে ছাড়া আপনাদের সামান্যই চিনি-টিনি; তাই আপনারা আমাকে নিপার নির্দেশটা দিলেও 'নির্দেশ মনে করব না। এবং সম্ভবত আপনারা অত হার্শলি নির্দেশ দেবেন না। এই হচ্ছে কথা। গাঁয়ের লোক, সব জিনিস কি আতোজের মতো নির্ভুল বুঝি না বোঝাতে পারি?
একটা কথা খুব স্পষ্টভাবে বলছি। যাঁরা বলেন মিশন নিবেদিতাকে বহিষ্কার করেছিল, হয় তাঁরা কিছু জানেন না, নয় চূড়ান্ত মিথ্যাবাদী। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁরা তথ্য বিকৃত করছেন।
বিদ্যাসাগর-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-নিবেদিতা, এঁদের নিয়ে আবার শ্রাদ্ধ শুরু হয়েছে বুঝি? যখন নিজেদের কোনো যোগ্যতা থাকেনা, তখন অপরের সমালোচনা যে সবচেয়ে সহজ পথ।
আর এই কথাগুলো বহুবার শোনা হয়েছে। বিদ্যাসাগর ব্রিটিশ রাজশক্তির স্তাবক ছিলেন রামকৃষ্ণ মৃগী রোগী, মিশন নিবেদিতাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, ইত্যাদি দাবী তো বহবার করা হয়েছে। কোনো প্রমাণ ছাড়া একই কথার চর্বিতচর্বণ!
আমিও আপানাকে আমার কথা বোঝাতে অপারগ। আমারই অক্ষমতা ইঞ্জিরি তো জানিই না, বাংলাটাও ঠিকঠাক লিখতে পারি না। তবুও বলছি বাদ্দিন। আপনি অ্যাডমিন। আপনার কথা না মেনে নেওয়ার ঘাড়ব্যাকানো মনোভাব প্রদর্শন করব না, বরং সম্মানই দেব। কিন্তু কোনও এক সক্রিয় নীপার জন্য অত বাইট খচ্চা পোষাচ্ছে না।
খোরাক বলে খোরাক। তাই ইগনোর করলেও বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার অদম্য ইচ্ছে। যাই হোক, সিএস-এর সঙ্গে অকারণে ঘুড়ির প্যাঁচ লাগানোর বালখিল্য মনোভাব দেখিয়ে লাভ কিসুই হবে না। ও মোলাসেসে দরকারে বেশি করে স্যান্ড ঢেলে দেব।
মাইরি, এরম খোরাক বহুদিন আসেনি। "সিএস কি টমাসনের থেকে বেশি ইংরিজি জানে?" এই হচ্ছে যুক্তির প্রতিপাদ্য।
নিবেদিতাকে ছোটবেলায় আমি ভীষণ ভালবাসতাম। ছোটবেলার শর্তহীন ভালবাসার গুলো পরিবর্তন হয়। পড়লে, জানলে, ভাবলে, আলোচনা করে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয়, 'নাঃ ঠিক রকম তো নয়!' নিবেদিতার ক্ষেত্রেও কিছুটা তাই হয়েছিল। তবে @এলেবেলে যা বললেন, ১৯০২- '১১র নিবেদিতাকে আমার অসাধারণ লাগে।
@এলেবেলে, ধন্যবাদ। বইটার নাম শুনেছি বলেই মনে হচ্ছে । লেখিকার নাম জানতাম না।
ডবল ঢেউ ধন্যবাদ। আপনি লিখেছেন দেখলাম -- "তবে আলোচনার পুরো ট্রেল ছাড়া শুধু একজনের কিছু পোস্ট টইতে কপি করে এসে - নিন এবার ওখানে কন্টিনিউ করুন বলার মত অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্য চোখে পড়েছে বলে মনে পড়ছে না, ১৫-১৬ বছর তো হল। অনেক সময়ই ডিসকন্টিনিউ করেছি, তবে এত খারাপও হয়নি স্মৃতিশক্তি।"
আমারও বছর পাঁচেক হল। আমার চোখেও পড়েনি। আমার মূল আপত্তির জায়গা এটাই ছিল।
~~ এবং পাই, রঞ্জনবাবুকে এ বিষয়ে যা লেখার লিখে দিয়েছি পড়ে নিন প্লিজ। আমি কাকে মিন করছি সেটা জানার চাইতেও সেটার যে কেউ প্রতিবাদ করলেন না -তাতে অবাক লাগল বেশি। আইডি ট্র্যাক করিনি। কাজেই প্রমাণ নেই। আমাকেও বলা হয়েছিল বইমেলা নিয়ে নাকি কীব লিখেছি। আজ ইস্তক দেখতে চেয়েও পাইনি। বাদ্দিন। অকারণ তিক্ততা কাম্য নয়।
এতক্ষণে সামান্য ফাঁকা হলাম। এই সুযোগে সময়ানুযায়ী বিভিন্ন জনের বক্তব্যের উত্তর।
PM | 45.124.7.131 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২৫
//এলেবেলে আলাদা একটা টই খুলে চিন্তা ভাবনাগুলো লিখছেন না কেনো ? স্ট্রাকচার্ড ভাবে? তাহলে ডকুমেন্টেড থাকবে, একসাথে পুরোটা পড়া যাবে, ভবিষ্যতেও ইচ্ছে হলে পড়া যাবে । মায় বই হয়েও বেড়োতে পারে গুরু থেকে।//
খুব পোস্কার কথা - চাই না মাগো রাজা হতে...। আমার মতো ফালতু পাবলিকের বই গুরু বের করলে সাকুল্যে সাড়ে তিন কপির বেশি বিক্কিরি হবে না। গুরু আমার শত্তুর নয়, বরং দু-দশজনের সঙ্গে ভাব-ভালোবাসাই আছে। ফলে ওসবের মদ্যেই আমি নেইকো। ব্যাঙের আধুলি ব্লগই ঠিক আছে ফালতু পাবলিকের বুকনির জন্য। মাইরি বলছি। প্রচুর টইতে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তেমনটাই খ বলেছেন। তাতে যখন কারও মতেরই কোনও পরিবর্তন হয়নি, সেকেনে আমি নস্যি।
রঞ্জনবাবু,
//" ক্যান্সার কা ভী ইলাজ হো সকতা হ্যায়, পর গলতফহমী কা নহ্বীঁ"।
ছত্তিশগড়ের অরণ্যের প্রবাদ।//
বারবার একই কৈফিয়ত দিতে বিরক্ত লাগছে, তবুও লোকটা যেহেতু আপনি তাই শেষবারের মতো এই বিষয়ে আমার মত। এর আগে গান্ধী নিয়ে আমাকে এবং অর্জুনকে তীব্র ব্যারাকিং করার সময়ে পিনাকী মিত্র অত্যন্ত পোলিশড ওয়েতে আলোচনা টইতে ট্র্যান্সফার করার কথা বলেছিলেন। সেখানে অসহিষ্ণুতার সুরও ছিল না, কার ভাল্লাগছেনা বলে তিনি নিজেই আবর্জনা সাফ করছেন জাতীয় বিরক্তি প্রকাশও ছিল না। ফলে সিএস টই খুললে সেখানে নিজে থেকেই দু-চার কথা লিখেছি। কিন্তু ওই যে এবারে একটা খোঁড়া অজুহাত দেওয়া হল 'আপনারগুলো তথ্যসমৃদ্ধ' এতে আমার ধারণা বাকিদের অপমান করা হয়েছে। এবং তার চেয়েও বড় কথা 'ওখানে গিয়ে লিখুন' নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ সেই নীপার 'এমজাল' জায়গায় এমন জিনিস ভালো লাগেনি ওই নির্দেশের ১০৮। লিখব না, সেও ভি আচ্ছা কিন্তু চোপা শুনতে বা দেখতে রাজি নই। পিনাকি অ্যাডমিন। তাঁর যদি কথা বলায় নমনীয় ভাব থাকে তবে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নীপা কোন হরিদাস?
আমিও পাল্টা অরণ্যের প্রবাদ দিতে পারি, দিচ্ছি না।
সিএস,
//কিন্তু মানুষে কী এতসব পড়ে ? ফেসবুকে যারা তর্ক করে শুনি বা জেলা প্রতি দশ হাজার টাকায় সব কিছু হয়ে যেত, এরকমই অ্যাডামস বলেছিলেন বলে যাঁরা লেখালেখি করেন।
খুঁটিয়ে না পড়লে আমিও তো এসবই মেনে নিতাম।//
যেহেতু আপনি আমার সঙ্গে এনগেজ হয়েছেন এবং বেকার ট্রোল করেননি, তাই ধরে নিচ্ছি এটা আমাকে বলেননি। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যাঁরা কেবল অ্যাডাম পড়েই সর্বরোগহর বটিকার সন্ধান করছেন তাঁদের জন্য আমারও একই কথা 'কিন্তু মানুষ কি এতসব পড়ে'?
পড়লে দেখা যেত অন্য বইতে "জেলা পিছু জেলা পরিদর্শকের জন্য ১৫০ টাকা; ৩ জন পরগণা পরিদর্শকের জন্য মোট ৯০ টাকা; ৬ জন শিক্ষকের জন্য ৯০ টাকা হিসেবে মাসিক খরচ হবে মাত্র ৩৩০ টাকা এবং বার্ষিক পুরস্কারের জন্য ৫৪০ টাকা বরাদ্দ করে মোট বার্ষিক খরচ হবে ৪,৫০০ টাকা" অন্যত্র লেখা আছে! কারা শিক্ষক হবেন, তাঁরা আছেন নাকি তৈরি করতে হবে, সেখানে পাঠ্যপুস্তকের কী হবে - সব বিশদে লেখা ছিল। সে জিনিস হুলিয়ে আটটা জেলায় চালু হয়ে যায় এবং ১৮৫৩-র মধ্যে ছাত্রসংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৮৮৪। আমাদের 'প্রাতঃস্মরণীয়' বিদ্যাসাগর শুধু চারটে জেলার ইন্সপেক্টর বাবদ মাসে খরচ করতেন ৬০০ টাকা (নিজের ২০০+ বাকিদের ৪০০); সঙ্গে নর্মাল স্কুল; সঙ্গে গুচ্ছের পাঠ্যপুস্তক (সবগুলো নিজের প্রেসের)। দিয়ে সাকুল্যে ৩ হাজার ছাত্রও হয়নি ২০টা স্কুলে। দেশজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একবিন্দু উন্নতিও হয়নি।
ওই কারণেই এখানে টোমাসনের উল্লেখ করলে সবাই দে দৌড় দেন! বিনয় ঘোষ-ইন্দ্রমিত্তির মায় ব্রজেন বন্দ্যোও দিয়েছিলেন!! কারণ ওতে 'ঈশ্বর'-এর ভাবমূর্তি নির্মাণ ব্যাপক টাল খেয়ে যায়। এখন আমি ইঞ্জিরিতে কাঁচাস্য কাঁচা, হতে পারে অ্যাডামের অর্থ কিছুই বুঝিনিকো। কিন্তু টোমাসন তো ছোটলাট ছিলেন!! তো তার থেকেও ইঞ্জিরিতে পাকা গুরুতে কেউ কেউ আছেন বুঝি? হতে পারে!
অর্জুন, মৃণালিনী সিনহার বইটার নাম Colonial Masculinity: The ‘manly Englishman’ and the ‘effeminate Bengali’ in the Late Nineteenth Century। পড়লে আমাদের তথাকথিত 'সমাজসংস্কারক'দের হাল কিছুটা টের পাবেন।
'সুহৃদ' শব্দটার ব্যঞ্জনা ব্যাপকতর। নাহলে আপনি কি আর জানেন না আমি রবি-নিবেদিতার সম্পর্ক জানি কি না! এক বিদ্যাসাগরেই পাবলিক চোখে সর্ষে ফুল দেখছে আর ব্যাপক গালমন্দ করছে। সঙ্গে নিবেদিতা-রবি টানলে কেলেঙ্কারির একশেষ হবে। তাই ঈষৎ মাখম মলম প্রয়োগ করিচি!
// নির্দেশটির বাক্যগঠন, শব্দব্যবহার, সুর এমনকি বানাম্ভুলও বড্ড পরিচিত //
- এলেবেলে কাকে সন্দেহ করছেন যে নীপা নামের আড়াল নিয়ে উক্ত টইতে আপনার লেখা কপি করে দিয়ে এসে আপনাকে "নির্দেশ" দিয়েছিলেন স্পষ্ট করে জানাবেন?
প্রসঙ্গত ভাট থেকে টইতে আলোচনা সরানোর জন্য ঘ্যানঘ্যান করার ব্যপারে একদা আমি কুখ্যাতই ছিলাম। আর অভ্যু ছিল পুরো ট্রেল ধরে রিলেটেড কথাবার্তাকে টইমুখী করার ব্ল্যাকবেল্ট। তখনও ল্যাদাড়ুস জনতা এসব নাদান আব্দারকে পাত্তা না দিয়ে দীর্ঘ ভাট করেছে এখানেই।
তবে আলোচনার পুরো ট্রেল ছাড়া শুধু একজনের কিছু পোস্ট টইতে কপি করে এসে - নিন এবার ওখানে কন্টিনিউ করুন বলার মত অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্য চোখে পড়েছে বলে মনে পড়ছে না, ১৫-১৬ বছর তো হল। অনেক সময়ই ডিসকন্টিনিউ করেছি, তবে এত খারাপও হয়নি স্মৃতিশক্তি।