// হ্যালহেডের সংস্কৃত জ্ঞানও তথৈবচ ছিল। এগারো জন পণ্ডিতের সহায়তায় এবং হেস্টিংসের আর্থিক বদান্যতায় তিনি ১৭৭৬-এ নামিয়ে ফেলেন Code of Gentoo Laws .... কিন্তু হ্যালহেডের কাজ জোন্সের পছন্দ হয়নি। তিনি আরও বড় সংস্কৃতজ্ঞ কিনা! //
//হেস্টিংসের তখন বড় তাড়া। দেওয়ানি আদালত তাকে চালাতে হয়, কাঁহাতক পণ্ডিতদের তোল্লাই দেওয়া যায়?//
- 'জজ পন্ডিত' পদটি কতদিন পর্যন্ত এদেশীয় আদালতে (সুপ্রীম কোর্ট?) বহাল ছিল? "Gentoo Code" বা "A Digest of Hindu Law on Contracts and Succession" নামে হিন্দু স্মৃতিশাস্ত্রর সারাৎসার গুলি ইংরিজিতে অনুবাদের পর কি এই তোল্লাই দেওয়া পদটি বন্ধ হয়ে যায়?
// (এবং টাকার লোভে) //
//মনু হঠাৎই সমস্ত হিন্দুর কাছে আইনে পরিণত হন।//
-শুধু মনু কেন? এমন ধারণা কোথা থেকে এল যে বিবাদভঙ্গার্ণব বা তার ইংরেজি অনুবাদ মূলত বা শুধুই মনুস্মৃতি?
//সেখানে প্রচুর ইন্টারপোলেশন ও এক্সট্রাপোলেশন করা হয়।//
-এইটা তো একটু রেফারেন্স সহ প্রমাণ করতে হবে। জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের করা স্মৃতিশাস্ত্রসার ম্যানুফ্যাকচার্ড ছিল একথা সেযুগের-এযুগের কোনো সংস্কৃতবেত্তা বলার সাহস দেখিয়ে উঠেছেন? বা, তার ইংরেজি অনুবাদে ফাঁক ছিল এমনটাও কেউ কখনো বলেছেন? ইংরেজি অনুবাদ ঠিকঠাক না হয়ে থাকলে আদালতের জজ-পন্ডিতেরা তার মীনাংসা করতেন না, এমন কোনো উল্লেখ কোথাও রয়েছে?
পরের বাক্যদুটি ব্যক্তিগত অভিমত বলে আলোচনায় আনলাম না। কিন্তু ভারতের আদালতে হিন্দুর উত্তরাধিকার ও চুক্তি সম্বন্ধে রায় দিতে হিন্দু স্মৃতিশাস্ত্রের ব্যবহার হবে না তো কী করা হবে? এই পুরো প্রসেসটাকে ঘিরে এত বক্রোক্তি কেন? কী হওয়া উচিত ছিল? ইংরেজদের আগে দেশীয় আইন (রাজাদের দরবারে, তা ধরুন নবকৃষ্ণ দেবের সভাতেই) কীভাবে এসমস্ত ডিসপিউটের মীমাংসা করত? স্মৃতিশাস্ত্র অনুযায়ী নয়?
পড়াবই সেকশনের ছবিগুলো ইচ্ছে করেই টেম্পলেট ফর্মে করে রাখা হয়েছে। সাপ্তাহিক বিভাগ তো, শুক্রবার নাগাদ লেখাগুলো হাতে আসে, তারপর একদিনের মধ্যে অতগুলো লেখা অনুযায়ী আলাদা ছবি বানানো বেশ চাপের। টেম্পলেটে জাস্ট বইয়ের প্রচ্ছদগুলো পাল্টে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে টেম্পলেট আরও কয়েকটা ভ্যারাইটির তৈরী করে ফেলতে পারলে মিক্স এন্ড ম্যাচ করে দেওয়া যাবে। তখন আর এতটা মনোটোনাস লাগবে না। আসলে এগুলোর জন্য ফুলটাইম গ্রাফিক আর্টিস্ট লাগে। সিরিয়াসলির লেখাগুলো একটু অ্যাডভান্সড প্ল্যান করা হচ্ছে, ফলে হাতে একটু বেশি সময় পাওয়া যাচ্ছে। এখনও অব্দি ওটা পাক্ষিক বিভাগ রয়েছে।
আজ্জো তুমি সেই কাটা কাটা কথা শুনে কি কুল থাকো? ভাব যে এবয়সে এমন তো হবেই? জানাও
এলেবেলে, লেখকের সংগে বইয়ের নাম আর প্রকাশনা সংস্হার নামটাও দিয়ে দেবেন।আপনার ব্লগের লেখাতেই দেবেন। সম্ভব হলে পড়ে দেখার চেষ্টা করব। টিজারে আমার রুচি নেই।
তবে পরমেশ আচার্য এবং স্বপন বসু আংশিক কাজ করেছেন। খানিকটা অশোক সেনও। বাকি সবই চর্বিতচর্বণ।
ম অন আ সিরিয়াস নোট, আজ অবধি বিদ্যাসাগরের 'ধুদ্ধুড়ি' নাড়া কোনও বই বাংলা বা ইংরেজিতে পাওয়া যায় না। বিশেষত তাঁর বহুচর্চিত 'সমাজসংস্কার' নিয়ে আরও পাওয়া যায় না। সবাই বিধবাবিবাহ, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ নিয়ে একই কথার চচ্চড়ি করে গিয়েছেন। আপনি এনারাই কিংবা এনারাই নন কি না জানি না, এখানে পাঙ্গা নেওয়া-পাল্টা পাঙ্গা নেওয়ার খেলা চলছে। অসব আপনি বুঝবেন না। তাই সিরিয়াসলি বললাম। আশা করি আগের কথাগুলো নিছকই মজা হিসবেই নেবেন।
হ্যালু না হ্যাংওভার বুঝতে পারছি না। আজ আবার বাড়িতেই আছি।যাই এক ছুট্টে গিয়ে কটা এনারাই শিকার করে আনি গে। এনে এখানে বেঁধে রাখব। ডুগডুগির আওয়াজে কোলকাতার কথা ভেবে ফেন্দি ফেলতে ফেলতে অপেক্ষা করবে
সব কবি যেমন কবি নয়, কেউ কেউ কবি। তেমনই সব এনারাই এনারাই নন, কেউ কেউ এনারাই। এদের কেবল ভাটে দেখা যায়। তাও হক্কলে নয়কো।
রেফারেন্স ভাটে দেওয়া যাবে না। টিজার কি আর এমনি এমনি দিচ্ছি? রিডারশিপ বাড়াতে হবে না?
ঘোতনা, আমি কিন্তু খুব রাগ করেছি তোর ওপরে। সামান্য দুটো কাজ তুই সারাদিনেও করলি না। যেই আমার নাম ভাটে দেখলি অমনি চলে এয়েচিস। কাজ করগে যা। এখন এনারাইদের কাজের সময়। দুকুরবেলা আসিস বরং।
এলেবেলেবাবু, আপনার এনারাইদের নিয়ে যা অভিজ্ঞতা দেখছি,এ কি শুধু ভাটেই প্লাক করেছেন?
বিদ্যাসাগরের সম্পর্কে যা বলেছেন তা কোনখান থেকে এলো আমি জানতে চেয়েছিলাম। মানে ঐ রেফারেন্স আরকি। না জানাতেই পারেন, আপনার অভিরুচি, কিন্তু চামচ, বাটি কিছুই আমি চাই নি। জ্ঞান সমুদ্রে ট্যাংকার নামালেও তল মিলবে না। শেষে ফটিকদশা হয়ে অক্কা পেতে হবে!
ঠিক যেমন যত এনারাই গেঁজেল, পেঁচো মাতাল আর সেয়ানা পাগলের উপদ্রব বাড়ে দুকুরবেলা।
মামাবাবু, হগগলেই কি আপুনার মত লার্জার দ্যান লাইপ ক্যারেক্টার যে শিরীষ কাগজে ছোঁচাবে?
তিমি নিশ্চয়ই:-)
আজ্জো আরেকটু বড়ো হলে দেখবে সারাদিনই হোমোয়ার্ক। পাত্র বদলে যেতে পারে এই যা:-)
দেশে মাইরি রাত বাড়লে যত গেঁজেল, পেঁচো মাতাল আর সেয়ানা পাগলের উপদ্রব বাড়ে।
lcm , ইয়ে মানে বিদ্যাসাগরের আমলে সংস্কৃত কলেজে পাশ্চাত্য দর্শনের পাঠ্যসূচী কি ছিল? মানে কোন কোন বই পড়তে হত? আপনি জানবেন, আমি ড্যাম শিওর।
aka | 143.59.211.4 | ২৬ আগস্ট ২০২০ ২১:৫৯
//আহা উনি বললেন না সেসব বইতে থাকবে, খামোকা ভাটে কেন দেবেন?//
'উনি' বইতে থাকবে বলেননি, লেখায় থাকবে বলেছিলেন। আসলে ওঁর লেখার খুব শখ। কিন্তু বেচারি মাধ্যমিক পাশ কিন্তু নামানোর ইচ্ছে পিএইচডি থিসিস। ফলে যা হয়। বদহজম, দিয়ে চোঁয়া ঢেকুরের গন্ধো। ভাগ্নে ঘোতনা সে জিনিস ধপাস করে সাপ্তাহিক একহাজারি পোবোন্দোকারের কাছে ফেলতে না ফেলতেই উনি নির্ভুল গণনা করে বলে দেন মাল সবই গুগল থেকে টুকে মারা। এমন লোকের বই কেউ ছাপে?
তাই ওটা গুরুর ব্লগে বেরোবে, বুঝলেন কি না। যাতে আপনাদের মতো এনারাই-রা পড়েন-টড়েন, সেই কারণে রিডারশিপ বাড়াতে তার টিজার দিচ্ছি। দ্যাখেন না মাদুলি বেচনেওয়ালারা ডুগডুগি বাজিয়ে লোক জড়ো করে নিয়ে আসল কাজ শুরু করে? অবিকল ওই ইস্টাইল ইস্তেমাল করছি আর কি। আমাদের দেশে তো সাহেবদের পিঠ চাপড়ানি না পেলে কল্কে পাওয়া যায় না জানেন। তো এখানকার এনারাইরা তো সায়েবই। মানে সায়েবরা সেটা না মানলে কি হবে, আমরা ওদের সায়েবই মনে করি। ডলারে ছোঁচান তো, তাই। মানে জলখরচের অব্যেশ কবেই চলে গেচে।
তাই উতলা হবেন না। কে যেন চামচে করে বিদ্যাসাগর খেতে চেয়েছেন দেখলাম। তো ওই চামচটা খেলেই হবে। এই ধরুন দু থেকে আড়াই চামচ। তাপ্পরে ঘোতনা রক্তজবা দেবে, ফাঁফ্যা আমাকে নিয়ে কোবতে লিখবে আর রন্টিপাগলা উদোম নাচবে, বুইলেন। সব মিলিয়ে জমজমাট সেলিব্রেশন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইংরিজি মতে রাত ১২.০১ ওটি ছাড়া হবে গুরুতে। থাকবেন কিন্তু।
ধুর মাইরি! এ কি ছুঁচিবাই! মার্ক্সের লন্ডনে পরিবারে এক মহিলার সঙ্গে প্রেম ও সন্তানের জন্ম সত্ত্বেও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা কমেনি, বিদ্যাসাগরে ক্যান অইব? সাহেব ও কালোদের আলাদা চোখে মাপব? আমি শিওর আজকের দিনে মার্ক্স বা বিদ্যাসাগর কাউকে এসব সুযোগ দিতেন না। তখন ফ্যামিলি প্ল্যানিঙের সহায়ক কিছু আবিষ্কার হয়নি।
আজকের দিনে হলে আমার বাবা-কাকা-পিসিরাও এত ভাইবোন হতেন না-- একই কারণে।
সুতপার বিদ্যাসাগর বক্তব্যে আপত্তিকর কিছু দেখলাম না ।ছাত্রদের প্রতি সম্বোধনে ঘোর আপত্তি!
টিম,
আমি একাডেমিক রিসার্চ জার্নালের কথা বলছি না। জার্নালের জায়গায় সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন বসিয়ে নাও। তাতে ধর এমনই সব নামকরা কাগজে কোন স্পেশালিস্টের কমেন্ট বা পোবোন্ধো বেরোল, ধর ইকনমিক্সের বা ল' বা ট্যাক্সের উপর প্রবন্ধ-- তাতে নাম থাকবে সংস্থার চিফ বা কান্ট্রি হেডের। পুরো লেখাটা আসলে কোন সহকারীর ফিল্ড ওয়ার্ক। গত বছর এগ্রিকালচারাল ইকনমিক্সের একজন ন্যাশনাল লেভেলের স্পেশালিস্টের লেখা পেপার পাবলিশ হল ---সেটা আমার এনজিও'র ছত্তিসগড়ের প্রোগ্রাম ডায়রেক্টর দীপনারায়ণের গ্র্যান্ট পাওয়ার জন্যে গুড ফেথে সাবমিট করা প্রোপোজালের ফিল্ড ডেটা ও এনালিসিস। পুরো না বলে চুরি করে শুধু কিছু ম্যাথমেটিক্যাল ইকুয়েশন জুড়ে পেশ করা। পরে উনি আমাকে ডেকে বললেন-- মন খারাপ কর না। এবার আর একটা নতুন প্রোপোজাল সাবমিট কর, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি হয়ে যাবে।
ন্যাড়া আর বেলতলায় যায় ! গ্রামীণ ব্যাংকে থাকতে স্থানীয় সংবাদপত্রের জন্যে আমাদের চেয়ারম্যানের অনেক লেখা আমি ও অ্যার এক কলিগ লিখে দিতাম। উনি সেটার ভাষা শুধরে দিতেন। হিন্দি খুব ভালো জানতেন।আশির দশকে কোল্কাতার নামজাদা ফিজিক্সের রিসার্চ ইন্সটিটুতে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর গাইড অনেকদিন ওর পিএইচডি এবং ইউরোপে কনফারেন্সে পেপার পড়া আটকে দিয়েছিল -- মানে যদ্দিন না ও ভদ্রলোকের বইয়ের সমস্ত অংক কষে দেয় এবং তিনটে চ্যাপটার লিখে দেয় ।
তুমি যেমন বললে তার উদাহরণ গুরুর প্রাক্তন নীপা পোটকে বা লুরুর একটি অ্যাপ্লায়েড ম্যাথ ইন্সটিটূয়েটের ডায়রেক্টর ডঃ সাহা । ও একটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে একটি ইকনমিক্সের ম্যাথ মডেল (কব-ডগলাস প্রোডাকশন ফাংশন) পাবলিশ করালো। তাতে অথর হিসেবে সাতজনের নাম এবং কে কোন চ্যাপটারের জন্যে কাজ করেছে সব উল্লেখ চিল। আমি ইকনমিক্সের একটা পাতি অংশ এক্সপ্লেইন করেছিলাম তো আমার নামও জুড়ে দিল। আমি প্রাণপণে মানা করলাম। ও বলল --এটা প্রফেশনাল কমিটমেন্ট। ফলে আমি না - বিইয়েই--কানাইয়ের-মা হয়ে গেলাম এবং শ্বশুরভাড়িতে ঘ্যাম নিলাম।