মুঘল হিস্ট্রিতে ব্ল্যাকবেল্ট কেউ আছেন? (ডিডিদা গো ?)
জাহাঙ্গিরনামা বা তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরি র একটা অনুবাদ আছে ১৮২৯ এ Major David Price এর করা। এটা নাকি Spurious বা Garbled এডিশন। এটার মূল সোর্স কি এখনো জানা গেছে? মানে উনি কোথা থেকে এই অনুবাদটা করেন?
আসল জাহাঙ্গীরনামা লেখাটা অনুবাদ করেন Rogers Alexander সম্পাদনা করেন Henrey Beveridge 1909 সালে। JSTOR এ এই ভার্সানগুলি কম্পারিজন নিয়ে একটা গোটা পেপারই আছে।
এখন কথা হল মেজর প্রাইস এর অনুবাদ কিছু ক্ষেত্রে বহুত ডিটেইল্ড। সে হোক, আমার ইন্টারেস্ট ওতে ৯৬ পাতার মাঝামাঝি থেকে ১০৪ পাতার মাঝ অবধি, এই আট পাতা জুড়ে বাংলা থেকে আগত ৭ জন বাজিকরের ২৮ টি ম্যাজিকের বিস্তারিত উল্লেখ আছে। বাংলায় কুমুদিনী মিত্র-র করা অনুবাদ রয়েছে এই বইটারই, তাতে যথারীতি সেসব ফলাও করে লেখা।
সেসব আলেকজান্ডার রজারস এর অনুবাদে কিন্তু নেই, এক্কেবারে ফক্কা। রজারস এর অনুবাদ পুরো টানা লেখায় দিনপঞ্জী।
Wheele M. Thackston এর একটা সটীক অনূদিত সম্পাদিত জাহাঙ্গীরনামার কপি পেলাম ১৯৯৯ এর, তাতেও সেসব ম্যাজিকের কোনো উল্লেখই নেই। এ আবার সাল তারিখ দিয়ে দিয়ে লেখা একেবারে ডায়রি ফর্ম্যাটে।
তো ম্যাজিক এর ব্যপারটা আসলে কোথায় ছিল, মেজর প্রাইস জিনিসটা পেলেন কোথায়? জিনিসটা অ্যাক্কেরে গুল্প না সত্যি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
কে দিবে উত্তর?
*'তাতে আমি' নয়, তাতে আপনি
পিটিস্যার, এই কারণেই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। আমি ওটা এসেমের সঙ্গে তক্কের তোড়ে বলেছিলাম। আয়ুর্বেদশাস্ত্র যেহেতু নিজে পড়ে দেখিনি, তাই জানি না তিনি শল্যচিকিৎসা বা দেহব্যবচ্ছেদের কথা লিপিবদ্ধ করে গেছেন কি না। তবে রোগীদের পথ্য হিসেবে যে গো-মাংসের সুরুয়া খেতে বলতেন, সেটা সেকেন্ডারি রেফারেন্স থেকে কিছুটা জানি। মাফ করে দেবেন।
অমিত লিখেছেন - //মানে ? শুধু বামুন কায়েত দের ব্রিটিশ রা শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিলো বলে ই ডিসক্রিমিনেশন হয়েছিল ? ওদের আগে কোনো সোশ্যাল ডিসক্রিমিনেশন ছিল না ? এরকম যুক্তি হোয়াটস্যাপ এ দেখা যায় বটে. আর সেটা কি তর্কের বিষয় ছিল শুরুতে নাকি গোলপোস্ট সরতে শুরু করেছে ?//
আজ্ঞে জেনে রাখুন ১৮৩৮ সালে বাংলার পাঠশালা এবং ফারসি স্কুলের চিত্র। সেখানে হিন্দু ছাত্র-মুসলমান শিক্ষক কিংবা উল্টোটা আকছার দেখা গেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাউন-কায়েতরা বড়জোর ৪০%, বাকিটা নিম্নবর্ণের দখলে। তাঁরা শিক্ষকও বটে, ছাত্রও বটে। হাড়ি-বাগদি-ডোম-কাহার একই সঙ্গে বাউন-কায়েত-বদ্যি-ময়রা-নাপিত-তেলি-সুবর্ণবনিকের সঙ্গে হুলিয়ে পড়ছে। কেউ নাক সিঁটকায়নি, পাঠসালা-ফারসি স্কুলগুলো থেকে ছাড়িয়েও নেয়নি। এবং এই চিত্র শুধু বাংলায় নয়, ভারতবর্ষের সর্বত্র প্রচলিত ছিল। তারপর কী হইল জানে শ্যামলাল! বিদ্যাসাগর তাঁর কলেজে কায়স্থদের ঢুকতে দিলেন ক্ষত্রিয় হিসবে, নবশাখদের বৈশ্য হিসবে আর সুবর্ণবনিকদের প্রবেশাধিকারই দিলেন না! শিক্ষাসংস্কারক বলে কথা!! একই চিত্র চালিয়েছেন নেটিভ ফিমেল স্কুলের ক্ষেত্রেও। আর তিনি যখন সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হচ্ছেন তখন ঠাকুরদাস মাসে পান ১০ টাকা আর হিন্দু কলেজের তখনকারই বেতন মাসে ৫ টাকা। কারা সেখানে পড়ত? কতজন পড়ার ক্ষমতা রাখত?এ যদি মশাই ডিসক্রিমিনেশন না হয়, তবে 'হোয়াটস্যাপ'-এর আর কী দোষ!
পিএম, আমার অ্যানালিসিস কনটেন্টনির্ভর। আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট খুঁজে বের করি না। তাতে আমি ভিন্নমত হতেই পারেন। সেটা আপনার অধিকার। আর আমি নেহাতই পল্লবগ্রাহী অল্পজলের পুঁটিমাছ। ইস্কুল-কলেজে চিরটা কাল শেষ বেঞ্চির ছাত্র। কাজেই দয়া করে পড়াশোনার প্রসঙ্গ তুলে লজ্জা দেবেন না।
আত্রেয় শিষ্য অগ্নিবেশ এর বাণী বা কথোপকথন চরক সনহিতা বলে পরিচিত।চরক একজন ছিলেন না অনেক ব্যক্তি,সে নিয়েও মতভেদ আছে।যাই হোক,এসব কিছুই নষ্ট হয়ে যায়।পরবর্তী কালে কাশ্মীরি পণ্ডিত দৃধ কাল পুনরায় রচনা করেন।এই নতুন ভার্সন টি 600সাল নাগাদ রচিত হয়। এটাই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের বাইবেল বা গীতা।
ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে---
তোরা যে যা পারিস ভাই, অ্যাস্ট্রো জেনেকার শেয়ার তুলে নে ভাই।
ট্রাম্প থেকে শুরু করে বরিস হয়ে,অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী অবধি,এই কোম্পানিকে কোটি কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়ে বসে আছে। ট্রাম্প বলছে ইলেকশনের আগে মাল ডেলিভারি চাই। সে এক দারুন ব্যাপার!
অবশ্য,অনেক সময় এসব নিউজ ফেক হয়।অথবা প্রেক্ষিত জানা যায় না।
চাষ করতে গেলে সার জল লাগে।যেমন ময়ূরের চোখের জলে ময়ূরীর কি যেন হয়?গো মূত্র খেলে ক্যানসার সেরে যায়।
প্রাচীন কালে,আয়ুর্বেদের লোকজন মৃত সঞ্জীবনী মন্ত্র পড়ে,বাঁচিয়ে দিতেন।বিশল্য করনী শেকড় বেঁটে খাওয়ালে ,লোকজন কোমা থেকে জেগে উঠতো।খালি বিশল্য করনীয় গাছটা কোথায় সুশ্রুত লিখে যায় নি।শ্রুতিমধুর ভাবে বলে গেছিলেন, শিষ্য গাঁজা খেয়ে ভুলে মেরে দিয়েছে।ব্যাস লোপাট!
অবিজ্ঞান সব দেশেই চলে।কাঁটা বেছে খেতে শিখতে হয়।ব্রিটিশ আমলে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজন, নাগাড়ে এই সব বর্জ্য ত্যাগ করতো না।
আর ভারতীয় দের ব্রেন এর একটিভিটি স্লো,সেটা স্বয়ং আইনস্টাইন বলেছিলেন।
কি মুশকিল!২০২৪ এর বিজ্ঞান চাইবো কেন।আমি চাই পলাশীর যুদ্ধের সময় নবাবী আমলে লোকজন হালকা করে একটু শখের বিজ্ঞান চর্চা করুন।
যেমন ধরুন গিয়ে অঙ্কের ক্ষেত্রে একটু ক্যালকুলাস,লগারিদম।ফিজিক্সে প্ল্যানটারী মুভমেন্ট,নতুন দু একটা সৌরজগতের উপগ্রহ আবিষ্কার, ইলেকট্রিসিটি নিয়ে নাড়াচাড়া, কেমিস্ট্রি তে দু একটা গ্যাসের সন্ধান,বায়োলজিতে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে সেল দেখা,অর্গানিজম দেখা এইসব তুচ্ছ জিনিষ পত্র আর কি!
এসমস্তই কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের আগের একশো বছরের মধ্যে হয়েছে।বলুন,কতোটা উন্নতি করেছিল,ভারতীয় বিজ্ঞান সেই সময়??
রঞ্জনবাবুর প্রশ্ন :"প্রশ্ন হল দেশ উপনিবেশ না হলে আরও দ্রুত আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা আমরা কতটা পেতাম এবং কীভাবে? তার সম্ভাব্য রোডম্যাপ?" এবং এলেবেলএর প্রশ্ন আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা' কী দিল আমাদের -- এই দুটি প্রশ্ন একে অন্যের পরিপূরক ।
আজ ২০২০ সালে আমরা যেটুকু "জানি", সেটুকু এই যে, ভারত এককালে উপনিবেশ হয়েছে (ধরা যাক তার সময়কাল ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭) এবং ১৯৪৭ সালে এই উপনিবেশ দশা শেষ হবার ৭৩ বছরের মাথায় ২০২০ সালে ভারতের সমাজ জীবনে সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞান চেতনার বা বিজ্ঞানমনস্কতার সার্বজনীন অভাব দেখা যাচ্ছে ।
সে কি উপনিবেশ হয়েছিল বলে?
মানে ভারতে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে বিজ্ঞান চেতনার অভাব না তার সঙ্গে উপনিবেশের কোনো সম্পর্ক নেই?
এখানে আরো একটি কাউন্টারফ্যাক্যুয়াল প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক। সেটা এইরকম:
ভারত যদি উপনিবেশ "না" হতো, ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭, তাহলে তার ৭৩ বছর পরে, ২০২০ সালে সমাজ জীবনে বিজ্ঞান মনস্কতা কেমন থাকতো? আজকে যেরকম দেখছি, একই রকম?
আপনি বলবেন আমাদের জানার উপায় নেই, কেননা আমরা কখনোই "একই ঐতিহাসিক সময়ে, একই ক্ষণে উপনিবেশ গড়ে উঠছে আবার উঠছেও না " এটা ভেবে উঠতে পারি না ।
তবুও একবার মনে করুন দিব্যদৃষ্টি বলে , তৃতীয় নয়ন দিয়ে দেখতে পেলাম ভারতে একই সময়ে একবার উপনিবেশ গড়ে উঠছে আবার উঠছে না ),
ধরুন দেখতে পেলাম যে উপনিবেশ হয়নি এই অবস্থাতে ২০২০ সালে সমাজ জীবনে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান মনষ্কতা তুলনামূলক ভাবে উপনিবেশ হয়েছে এই অবস্থার চেয়ে বেশি । তখন মানতেই হত যে উপনিবেশ ছিল বলে সমাজ জীবনে বিজ্ঞান মনস্কতার দফারফা হয়েছে । আর যদি কোন তফাৎ না দেখতাম ? যদি দেখতাম উপনিবেশ থাকুক না থাকুক, সাত দশক পরে সমাজে বিজ্ঞান মনষ্কতা একই রকম অদৃশ্য বা একই রকম প্রবল, তাহলে সেখানে যে উপনিবেশের হাত থাকতো না এটা বেশ বলা যায় ।
এভাবে কার্যকারণের বাস্তবিক computational মডেল তৈরী করা সম্ভব কি?
সেক্ষেত্রে Counterfactual ব্যাপারটা কে বিচার করতে গেলে যে বিষয়টি কে মাথায় রাখতে হয় সেটা সমাজ জীবনে মানুষের বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া বা না হওয়ার পেছনে ঔপনিবেশিকতা বাদ দিলে আর কি কি কারণ থাকতে পারে ?
#কল্পবিশ্বের_ইবুক
প্রকাশিত হল
ভয়াল রসের সম্রাট এইচ পি লাভক্র্যাফট
শ্রেষ্ঠ বারোটি রচনা
সটীক সংস্করণ।
বইমেলা ২০২০-তে প্রকাশিত ও অন্যন্ত প্রশংসিত বইটির ইবুক সংস্করণ প্রকাশিত হল। বইটি বাংলায় লাভক্রাফটের আর পাঁচটি অনুবাদ বইয়ের থেকে অনেক দিক থেকে স্বতন্ত্র। লাভক্রাফটের গল্পগুলির প্রথম প্রকাশ ও মূল প্রচ্ছদ ছাড়াও আছে শতাধিক অলংকরণ ও প্রায় আড়াইশো টীকা। লাভক্রাফটের গল্পের মূল স্বাদ পেতে গেলে এই টীকাগুলি অপরিহার্য হয়ে উঠবে পাঠকের কাছে। এছাড়াও বাংলায় ইবইতে এই প্রথম প্রায় আড়াইশো পপ আপ টীকা ব্যবহৃত হল। প্রিন্ট বইতে যেমন নম্বর মিলিয়ে গল্পের শেষে টীকা খুঁজতে হয়, ইবুকে তার থেকে অনেক সহজে নম্বরের উপরে স্পর্শ করলেই টীকাটি ভেসে ওঠে স্ক্রীনের নিচে। আশা করি পাঠকরা প্রিন্ট বইটির মত ইবইটিও সাদরে গ্রহণ করবেন।
সম্পাদনাঃ দীপ ঘোষ ও সন্তু বাগ
অনুবাদঃ বিশ্বদীপ দে, সুমিত বর্ধন, অঙ্কিতা, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, ঋজু গাঙ্গুলী, সৌমেন চট্টোপাধ্যায়
ইবুক সংস্করণঃ বাংলা ডিজিটাল প্রেস
গুগল প্লেবুকঃ https://bit.ly/2FRh1Lt
কিন্ডলঃ https://www.amazon.in/dp/B08GJXZNP1
**গুগল প্লেবুকে দিচ্ছে স্পেশাল ছাড়।**