এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৮453141ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ইউরোপের মতো লিখিত সংস্কৃতি নয়। তাই শ্রুতি, স্মৃতি, লোকগান। কাজেই চরক-সুশ্রুত তা লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন দেখেননি। কিন্তু ভারতবর্ষে চিকিৎসাশাস্ত্রের চর্চা যে ১৮২৪ সালেও ছিল এবং ভালোভাবেই ছিল তা মালাবারের রিপোর্ট প্রমাণ করে। আপনি ১৮২৪ সালের চিকিৎসাবিদ্যা কি ২০২৪-এর মতো চাইছেন!
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫৩453140ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ডিসক্রিমিনেশন কি ওদের বানানো ?
এটা নতুন জানছেন নাকি? আগে হিন্দুদের তোল্লাই, পরে সৈয়দ আহমদকে। শিক্ষাকে উচ্চবর্ণের কুক্ষিগত করে রেখেছিল কারা। বাউন আর কায়েতরা? নাকি সেই সুযোগ তাদের ব্রিটিশরা করে দিয়েছিল?
ঘোতনা 'বানাম্ভুল' সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রসঙ্গত এটা কি কেবল আমার ক্ষেত্রেই করে থাকেন? ভালো, শুধরে নেওয়া যাবে।
এসেম চরক-সুশ্রুতে পিছলে গেলেন যে!
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:৫০453139এলেবেলে বাবু বড্ড বেশি দিক ভ্রান্তের মতন কইছেন।সুশ্রুত (৬০০ বিসি) সার্জারি করতেন। উনি সার্জারি শেখার জন্য মৃত ব্যক্তির ব্যবচ্ছেদ এর নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবচ্ছেদ এর আগে লাউ কেটে প্র্যাকটিস করতে বলেছেন। কিন্তু যেটা করেন নি,তাহলো শব ব্যবচ্ছেদ করে কি কি পেলেন অর্থাৎ বডির অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অভ্যন্তরীণ বর্ণনা,লিখিত দিয়ে যান নি।তাই সুশ্রুত কে কোনমতেই অ্যানাটোমিস্ট বলা যায় না।
সুশ্রুত সার্জারির পর ক্ষত হানি আর মাখন দিয়ে চর্চা করতে বলেছেন। তখনকার সময়,এনাস্থেশিয়া এলকোহলের সঙ্গে ক্যানাবিস মিশ্রিত করে করা হতো। এইসব নিঃসন্দেহে কৃতিত্বে র ব্যাপার।নাকের সার্জারি অবধি করেছেন।
কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যা আলোকবর্ষ এগিয়ে গেছে ।আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র এর ডাক্তার গণ ও বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি মতেই এনেসথেসিয়া,সার্জারি মেথড, ফলো করে।কারণ আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের উন্নতি থমকে গেছিলো দ্বাদশ শতাব্দী থেকে।সুলতানী আমলে এর বিকাশ ঘটে নি।ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে।
গ্রীসে হেরোডফিলাস (৩০০ বিসি) প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন। পুঙ্খানপুঙ্খভাবে বর্ণনা করতে পারেন নি। তাই উনি ও অ্যানাটোমিস্ট হিসাবে বাদ লিস্ট থেকে।
ভেসালিয়াস (১৫৯০ সাল নাগাদ ) শব ব্যবচ্ছেদ করেন ও ডিটেল বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন। তাই ওনাকে প্রথম অ্যানাটোমিষ্ট বলা যেতে পারে।
ঘোঁতন | 103.214.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:২৯453138জ্ঞানচঞ্চুর লজিক হচ্চে চরক-সুশ্রুত কি সার্জারি জানত না? জানত না সার্জারি? তাইলে গোরারা আবার কী শেখাবে? হে জ্ঞানচঞ্চু, খোরাক চাই খোরাক দাও।
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:১৯453137
Amit | 27.32.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:১০453136
ঘোঁতন | 103.214.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৯453135হে জ্ঞানচঞ্চু ইতিহাসবৃক্ষ, বানামটা সুশ্রুত।
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৭453134উইকি থেকে পণ্ডিতি করে লাভ নেই। টমাস মুনরো ১৮২৪-এর রিপোর্টে জানাচ্ছেন মালাবারের কালেক্টর জানান, তাঁর জেলায় গৃহশিক্ষকদের কাছে ১,৫৯৪ জন ছাত্র শিক্ষালাভ করছে ধর্মতত্ব (Theology), আইন, জ্যোতির্বিদ্যা, অধিবিদ্যা (Metaphysics), নীতিবিদ্যা ও চিকিৎসাশাস্ত্র। এইবারে নিজে চিকিৎসক হিসেবে বলুন চরক-শুশ্রুত দেহব্যবচ্ছেদের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন কি না।
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৪453133
S | 2405:8100:8000:5ca1::11f:***:*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৯453132
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৮453131কোনটা 'আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা'? যে শিক্ষা সবাইকে বঞ্চনা করার রসদ জোগায়? মেয়ো এবং ক্যাম্পবেল যখন বাংলায় জনশিক্ষার বিস্তারে আগ্রহী, তখন তার পেছনে ছুরি মেরেছিল কারা? ব্রিটিশরা না চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে আঙুল ফুলে কলাগাছ খয়ের খাঁ-রা?
'আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা' কী দিল আমাদের? নারকেল ফাটিয়ে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস নাকি কবচ-মাদুলি-তাবিজের ঢালাও ব্যবসা করার শিক্ষা। বিজ্ঞানের অগ্রগতির নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের স্থান কোথায়? আগে তার থেকে ভালো ছিল না খারাপ? তৈরি তো হল বঙ্কিম-ভূদেব-রাজনারায়ণের গুষ্টি। না হলে কী ক্ষতি হত স্যার?
S | 2405:8100:8000:5ca1::981:***:*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:৩৬453130
রঞ্জন | 182.68.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:১৬453129@এলেবেলে,
এইডা কি কথা অইল? কথা হচ্ছিল ভারতে আধুনিক শিক্ষা প্রসারে ইংরেজের ভূমিকা নিয়ে , আপনি প্যারাডাইম শিফট করে আলোচনা নিয়ে এলেন শিক্ষার ফল ক্যান একা উচ্চবর্ণ হিন্দুরা পেল? আতরাফ মুসলিম ও নিম্নবর্ণ ক্যান বঞ্চিত ? সেতো সমানতা ভিত্তিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় এরকমই হবে। আজও খুব তফাত হয়েছে কি? ইউরোপ আমেরিকায় হয়ত একটু বেশি ডেমোক্র্যাটিক শিক্ষার ডেলিভারি। কিন্তু আজও ইনিক্যুয়ালিটি ও জাস্টিস নিয়ে আগে রলস , বর্তমানে অমর্ত্য ও নুসবাউমরা লড়ে যাচ্ছেন।
দুইশতাব্দী আগে ইংরেজের শিক্ষায় কি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সুযোগ পাবে? এই আশাই বাতুলতা। প্রশ্ন হল দেশ উপনিবেশ না হলে আরও দ্রুত আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা আমরা কতটা পেতাম এবং কীভাবে? তার সম্ভাব্য রোডম্যাপ?
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১৪:০১453128আচ্ছা, নিজের কাজকম্মো সেরে এতক্ষণে ভাটে আসার ফুরসত পেলাম।
দু'পয়সা লিখেছেন //এলেবেলে যদি এভাবে বলে থাকেন যে ঔপনিবেশিকরা আমাদের ছিঁটেফোটা অনিচ্ছাস্বত্বে দিয়ে গেছে এবং তাতে শিল্পবিপ্লব বা সার্বজনীন শিক্ষাবিস্তার কিংবা বিজ্ঞানের উচ্চতর চর্চা কোনোটাই ঠিক মতো হয় নি। কয়েক ব্যতিক্রমী মনিষী ওই ব্যবস্থা অতিক্রম করে নিজদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পিএইচডি, ডি.লিট, নোবলে এনেছেন তবে তিনি খুব ভুল বলেন নি। তবে যদি বলে থাকেন, ইংরেজ একেবারেই আধুনিক শিক্ষা বা বিজ্ঞানের কিছু আনে নি বা আনতে চায়ও নি (একটা বড় অংশ আনতে চায় নি সত্য) তবে সেটা একেবারেই ঠিক নয়।//
শেষ বাক্যটা আমি কখনই বলিনি। এনেছে, কিন্তু অনেক পরে এনেছে - এটা ছিল আমার প্রথম মত। দ্বিতীয় মত ছিল এনেও সাধারণ মানুষের দশা যে তিমিরে ছিল, তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি বিশেষত শিক্ষার আঙিনা থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া দরিদ্র অন্ত্যজ হিন্দু ও আতরফ মুসলমানদের। একটা ডেটা দিচ্ছি। সুমিত সরকার দেখিয়েছেন ১৮৫৮ থেকে ১৮৮১ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৭২০ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে মাত্র ৩৮ জন মুসলমান। আর হান্টার বলছেন ১৮৭১-এ বাংলার সমস্ত বিভাগের ২,১১১ জন গেজেটেড অফিসারের মধ্যে ১,৩৩৮ জন ইউরোপীয়, ৬৮১ জন হিন্দু এবং মুসলমান মাত্র ৯২ জন। তার মানে যেটুকু ক্ষীর খাওয়ার সেটা খেয়েছে বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্ত উচ্চবর্ণের হিন্দু বাঙালি, বাকিরা ফক্কা। সংখ্যাগুরু কারা? তাদের কী লাভ হল?
সম্বিৎ লিখেছেন //হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন। উইলিয়াম জোন্স, এশিয়াটিক সোসাইটি এসব করে হেস্টিংস পুরনো দেশীয় চর্চার পেছনে পয়সা ঢেলেছিলেন। এই ওরিয়েন্টালিস্ট শিক্ষার জোরে বিলিতি শিক্ষা, বিশেষতঃ বিজ্ঞানের দিকে কোন ঝোঁকই পড়ল না। এ হল সরকারী পজিশন।//
সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সদ্য দেওয়ানি লাভ করেছে কোম্পানি অথচ দেওয়ানি আদালতে চালু ফারসি ও সংস্কৃত নিয়ে সাহেব বিচারকদের কোনও জ্ঞানই নেই। কাজেই ঠ্যাকায় পড়ে বাঘে ধান খেয়েছিল মাত্র। সুযোগ বুঝে সবার আগে ফারসিকে এবং পরে সংস্কৃতকে লাথি মারা হয়। জাঁকিয়ে বসে জোন্সের তৈরি করা আইন। আর তারপরেই চালু হয়ে যায় মেকলের লাফালাফি। সাহেবদের এত এত আরবি-ফারসি-সংস্কৃতচর্চার জোয়ার নামছে একটাই কারণে। হেস্টিংস দ্বিধাহীনভাবে জানাচ্ছেন, সাহেবরা তাদের শাসনের সুবিধার্থে শাসিতদের সমস্ত কিছুকে নিজেদের পছন্দসই মাপে কেটে-ছেঁটে এমনভাবে হাজির করবে যাতে ‘to graft Western notions and methods on to the main stem of Eastern Institutions’। [A. M. Davies, Strange Destiny: A Biography of Warren Hastings, New York, 1935, p. 71] অর্থাৎ হেস্টিংস আসলে বীজ বুনছেন ফল খাবেন বেন্টিঙ্ক ও তার পরবর্তী বড়লাটেরা।
ইভ্যাজেলিকালিস্টরা খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু না করতে চাইলে মিশনারিরা কলকাতাতে আসতেই পারে না। এসেছে ১৮১৩-র চার্টার অ্যাক্টের পরে। আর বিজ্ঞান কারা শেখাবে? খোদ অক্সফোর্ডে কেমিস্ট্রি চালু হয়েছে ১৮০৩ সালে। আর ন্যাচারাল ফিলসফি বলে এক অদ্ভূত পদার্থ ১৬২১এ।
এসেম শব ব্যবচ্ছেদ কলকাতা সংস্কৃত কলেজে ১৮২৮ সালে। অ্যাডামের রিপোর্ট। এর লিঙ্ক হয় নাকি? আর মাদ্রাজের কারিগরি শিক্ষা নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই কেন?
ফাঁসুরের ফ্যান, বেথুন স্কুলের উদ্বোধনের দিন বেথুনের ভাষণটা চেষ্টাচরিত্তির করে পড়ে নিয়ে ট্রোল করুন বরং। আর সিলেবাসটাও। কেমন?
রঞ্জন | 182.68.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:৩৮453126@এতোজ,
"আচ্ছা, ধোবিপাট বলে সত্যি সত্যি কি কোনো কুস্তির প্যাঁচ আছে?"
-- হিন্দি বলয়ে বলে "ধোবি পাছাড়"। মানে ধোপা যেমনি করে দুহাতে কাপড় তুলে মাথার ঊপর তুলে আছড়ায় তেমনই আর কি। ভিলাই সেক্টর টুতে ছিল স্টিল প্ল্যান্টের সরকারি কুস্তিগীর যোগীন্দার সিং এর কুস্তির আখড়া। সেখানে সকাল সন্ধ্যে চেলাদের নিয়ে ট্রেনিং দিতেন, প্র্যাক্টিস ম্যাচ হত । আমি মাঝে মাঝে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। সেখান ব্যাপারটা দেখেছি।
রঞ্জন | 182.68.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:২৫453125@এতোজ, টিম ও অমিত,
আমার গল্প খুব আলাদা কিছু নয় । তখন এমন ঘটনা অনেকের ঘরে।
কিন্তু একটা ব্যাপার ছিল। আমরা তিন ভাই, বোন নেই। তিনটেই রেকটাম-রাইপ। তিনটেই ঘর ছাড়ল। ছোটটা তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। সে বেশি পাকা। ম্যাথসের টিচার করে বোলে দিল --খামোখা পড়াতে আসবেন না। এই ব্যবস্থায় ' যে যত পড়ে , সে তত মূর্খ হয়'। মাও বলেছেন। বাবা অবাক। মাও তাহলে কাদের জন্যে এত গাদাগাদা বই লিখেছেন? বাবা-মার হতাশাটা বুঝুন।
সে ঠাকুমাকে বলল-- শচীমাতা যদি না কাঁদিত, তাহা হইলে নিমাই কী করিয়া জগতকে প্রেমধর্ম শিখাইত?
(আবার সেই চৈতন্য ?)
যাকগে, সবাই বলল --আসল পাজি বড়টা, ওই ন্যাকা সেজে থাকা রঞ্জন। সবাইকে ঘরছাড়া করেছে।
তারপর "সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী--" ইত্যাদি। সেসব অন্য গল্প।
রঞ্জন | 182.68.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:১৪453124@দু'পয়সা,
চমৎকার লিখেছেন। কিন্তু আভ্যন্তরীণ জড়তা কাটাতে বাইরের শক্তি অনেক সময়ই ক্যাটালিস্টের কাজ করে না ? ধরুন, বৃটেন। ওরা কারও কলোনি হয়নি বটে, কিন্তু কন্সটান্টিনোপলের পতনের পর সেখান থেকে হাতফেরতা হয়ে আসা গণিত ও অ্যাস্ট্রোনমি বিজ্ঞানের উন্নতিতে কিছু সহায়ক হয়েছিল বলেই মনে হয়। চীনে বারবার পাশ্চাত্ত্য শক্তির কাছে মারখাওয়ার পর , বিশেষ করে লর্ড এলগিনের নেতৃত্বে উইন্টার প্যালেস পুড়িয়ে দেবার পর ,অভিজাতবর্গের মধ্যে পাশ্চাত্ত্য জ্ঞান বিজ্ঞান ও টেকনোলজির সুপিরিয়রিটি মেনে সেখান থেকে শেখার প্রবৃত্তি ( বিশেষ করে ডাওএজার এম্প্রেসের সময়) বেড়ে গেল। এই ধারাটিই সান ইয়াৎ সেন এবং মাওয়ের জেনারেশনকে প্রেরিত করে বোলে আমার মনে হয় । ছেলেদের লম্বা বেণী কেটে ফেলা ও মেয়েদের লোহার জুতো পরিয়ে দুলে দুলে চড়ার ট্র্যাডিশন ভেঙে ফেলার ডাকও মনে হয় ওই প্রভাবের সাংস্কৃতিক ফলশ্রুতি।
তবে নকশাল আমলে একটা কথা উঠেছিল।
ঔপনিবেশিক ভারতে ইংরেজের তাঁবেদার হিসেবে পুঁজির বিকৃত বিকাশ হয়েছে। ফলে আধুনিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা অপেক্ষাকৃত ভাবে পিছিয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক মানসিকতা জনমানসে কম প্রভাব ফেলেছে।যদি দেশ কলোনাইজড না হত , তাহলে হয়ত আজ নয় কাল ইউরোপের মত দেশি শিল্পবিপ্লব এবং দেশি পুঁজির বিকাশ ঘটত।
তবে বিচ্ছিন্ন স্বয়ং সম্পূর্ণ গ্রামসমাজের ইকনমিতে এর প্রেরণা কোত্থেকে আসত তা স্পষ্ট নয় । আসলে ওই "এক ধর্মরাজ্য পাশে খন্ডচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভারত বেঁধে দেব আমি" জাতীয় কবিকল্পনা বাস্তবে কখনই সফল হয়নি।
সম্বিৎ | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১২:০০453123অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝ থেকে ইংরেজরা ক্রমশঃ আধিপত্য বিস্তার করতে আরম্ভ করে, সেটা ঠিক। 1720-তে তা নয়।
Amit:"বুদ্ধ ধর্মে কি দলাই লামার পসিশন টা মোটামুটি ক্যাথলিক চার্চ এর পোপের একুইভ্যালেন্ট -?"
দলাই লামা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের গেলুগ ট্র্যাডিশন (স্কুল? :-) ) এর সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক চরিত্র । কাগযু , শাক্য, নিঙমা (তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের বাকি তিন স্কুল), মহাযান বা থেরাবাদী বৌদ্ধধর্মে তাঁর কতটা প্রভাব আমি জানিনা ।
দলাই লামা পোপের সমান নন ।
Amit | 121.2.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৪৫453121
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৪৪453120
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৩453119
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১১:২৬453118
সম্বিৎ | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:৫২453117By the 1720s Britain was one of the most prosperous countries in the world, and Daniel Defoe boasted...
এটা একেবারেই ঠিক কথা নয়। নৌশক্তি সম্বন্ধেও কথাটা ঠিক নয়। ডাচ আর পর্টুগিজদের কাছে নিয়মিত ল্যাজেগোবরে হত ইংরেজরা।
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:৩২453116
sm | 42.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:১১453115দু পয়সা,আপনি বেশ নিরপেক্ষ লিখেছেন।ভালো লাগলো।দু তিনটে প্রশ্ন আছে।
এক ,জাপান অনেক উন্নতি করেছে।কিন্তু আফ্রিকান কলোনি গুলো তো প্রায় কিছুই উন্নতি করতে পারে নি।আজ ও গৃহ যুদ্ধ,কু সংস্কার,আর্থিক ভাবে খুব দূর্বল। আগে এঁরা ছিলো ইওরোপীয় দের কলোনি,বর্তমানে চায়নার। যদি কলোনি প্রভুরা এঁদের বিজ্ঞান মুখী,ও প্রগতিশীল করতে না চায়,তাহলে ডিপেন্ডেন্সি কাটবে কি?
দুই,মধ্য এশিয়ার দেশ গুলো দেখুন।এতো ধনী দেশ (তেলের জন্য) ও বিজ্ঞানের স্ট্রং ইতিহাস থাকা সত্বে ও, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ছোট দেশ গুলো যেমন কোরিয়া,ভিয়েতনাম,তাই ওয়ান,মালয়েশিয়া ইত্যাদির সঙ্গে বিজ্ঞানে এঁটে উঠতে পারবে না। এটা কি সঠিক মনে করেন?
তিন, সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী হলো,আধুনিক বিজ্ঞানের জয়যাত্রা কাল।প্রায় পুরোটাই ইওরোপের করায়ত্ব ছিলো। যেটার শুরু হয়,ব্রিটেন থেকে। নন ইওরোপীয় দেশ গুলো যে যতটা এই বিজ্ঞান কে উদরস্ত করেছে,সেই দেশ ততো এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কলোনিয়াল প্রভুদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।
Tim | 174.102.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২০ ১০:০৮453114" মাইকেল হেডেন ক্রিজে এসে "
ম্যাথু ?