ছানার ঐ নকল ডিমের মধ্যে ডালের কুসুম, টোফুর ফিশফ্রাই দেখে মনে হলো, উল্টোটা কেন হয় না! মাছের আলুর দম, বা রুইয়ের ধোঁকার ডালনা? লোকে কেন বলে না বাবা কী ভালো মাছ রান্না করেছিলো, বলে না দিলে ভাবতাম পটল/ কুমড়ো আহামরি খাচ্ছি!
"কু এতোজ। আমি ভাবতাম সুকরমদ্দক মানে শুয়োরের মাংস। শুধরে নিলাম।"
রঞ্জন বাবু, আপনি ভুল কিছু ,লেখেন নি, কারন এ নিয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারবেন না । কারো মোতে, যেমন ভিক্ষু সুজাত, যে ওই খাবার নিশ্চিত করে শুওরের মাংস ; আবার কারো মতে এক ধরণের ফাঙ্গাস বা মাশরুম । বিষাক্ত মাশরুম।
আদিতে গো ছিলেন এক, তারপরে হইলেন দুই।
প্রাচ্যের গোরু Bos Indicus বা Zebu: ইহার কুঁজ আছে। মহেঞ্জোদারোর শিলমোহরে, অশোকস্তম্ভে ইহারই প্রতিকৃতি। বলিতে পারি বৈদিক গোধন এই ইন্ডিকাস গোত্রেরই হইবে।
ও পাশ্চাত্যের গোরু Bos Taurus: ইহার কুঁজ নাই। ইহা খাইলে পাপ হয় না।
্থেংকু এতোজ। আমি ভাবতাম সুকরমদ্দক মানে শুয়োরের মাংস। শুধরে নিলাম।
@এতোজ,
মাইরি! আপনি ভাল করেই জানেন যে সেযুগে গোরু ছিল ধন্সম্পদের একক। বিভিন্ন যজ্ঞে উৎসবে গোরু দান করা হত। বৃহদারণ্যকে দেখুন জনকের সভায় ডিবেট জিতলে একহাজার গোরু -- সেগুলোর আবার সোনায় মোড়া শিং-- দেয়া হবে। যাজ্ঞবল্ক্য নিজে বলছেন--ব্রহ্মজ্ঞের চরণে নমস্কার। আমার গোধনের দরকার ছিল ।
নিজের মাকে কেউ কেনা-বেচা-দান করতে পারে?
এইজন্যেই আমি সাভারকরের মত গো কে মাতা বলতে চাইনে।
আপনার শীর্ষেন্দুর লেখা থেকে দেওয়া উধৃতি পড়ে সকাল থেকে ফিকফিক করে হাসছি। মেয়ে ও বৌ সন্দেহের চোখে দেখছে।
কোন বই? পিডিএফ দিতে পারেন? পড়তে ইচ্ছে করছে।
@একক,
অনেকটাই একমত।
@ইয়ে,
১ বুদ্ধ শাকাহারি ছিলেন না তো। মৃত্যুর আগের রাতে-- আশি বছর বয়েসে-- চুন্দের বাড়িতে শূকর মাংস খেয়ে রক্ত আমাশা বাঁধিয়ে দেহত্যাগ করলেন। অকারণ হিংসা নিবারণের কথা বলতেন। তাই বলি -যজ্ঞ এসবের বিরোধিতা করতেন। জাতিবাদের বিরোধী ছিলেন কারণ এই ভেদের ধারণার মধ্যেই হিংসা নিহিত রয়েছে। আড়াইহাজার বছর আগে জাতিভেদের বিরোধিতা একটা অন্যরকম গুরুত্বের প্রশ্ন।
২ আপনার এই কথাটি সত্যিই প্রণিধানযোগ্য-- মার্ক্সবাদের কন্সেপ্টের মধ্যেই আজকের প্রায়োগিক বীভৎসতার মূল খুঁজতে হবে। ছেলে যদি মদ খেয়ে মাতলামি করে তার খানিকটা দায় বাবার উপর অবশ্যই বর্তায়, বাবা মদ না খেলেও--তাই তো?
৩ সুন্দর ড্রইংরুম থাকলেও ওয়াশরুম নোংরা থাকতেই পারে। পরেরটাই দেখব? আগেরটা দেখব না? গোটা বাড়িকেই খারিজ করে দেব? সাদা -কালো বাইনারিতে ভাবছেন ক্যান?
৪ আরিস্ততল, বুদ্ধ , মার্ক্স , রবীন্দ্রনাথ--সবাই থাকবেন। ওঁরা থাকবেন আমাদের মানবসমাজের চিন্তা-ভাবনা-সংস্কৃতি-প্রগতির ঐতিহ্য হিসেবে। এঁরা নিজের কেউ ত্রিকালজ্ঞ ঋষি নন, (ওরকম কেউই হয়না)। নিজের দেশে-কালে একেকটি সমস্যাকে প্রাথমিকতা দিয়ে সমাধান খুঁজেছেন। সময়ের সাথে এঁদের অনেক শিক্ষাই অপ্রাসংগিক হয়ে যাবে, যতটুকু কাজে লাগবে সেটুকু সবাই নিজের মত করে নেবেন। বুদ্ধের দার্শনিক চিন্তা এককথায় 'ক্ষণিকাবাদ'। কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, শাশ্বত নয় --এটাই সত্য।
৫ বুদ্ধদর্শন কার্ল পপারের ফলসিফায়েবিলিটি মাপদণ্ড মানে। কোন ধর্মীয় দর্শন মানে না।
মনে মনে প্রেম করার ইচ্ছে? কার না হয়?
ব্রেখটের নাটক থেকে ( নামটা ভুলে গেছি, 'মাদার' কি?)
"এই তো দেখুন ফাঁসির আসামী দাঁড়িয়ে,
লোকটাতো যাবে জীবনের মায়া ছাড়িয়ে।
সামনে মরণ বাড়িয়ে চরণ থমকে,
তবুও তাহার বুকের রক্ত গমকে।
কারণ কী তার? মেয়েমানুষ"।
ভয়ে প্রকাশ করি না? অবশ্যই। খালি মার খাবার নয়,-- প্রত্যাখ্যাত হবার, অপমানের, সামাজিক বয়কটের।
তাহলে আমি কি ভন্ড? না।
কিন্তু যদি সবাইকে বলতে থাকি প্রেম করা পাপ, প্রেম করা অন্যায়, প্রেম করলে শাস্তি দাও--তাহলে অবশ্যই ভন্ড। আপনি আচরি ধর্ম ব্যাপারটা ।
আমি ধনেপাতা খাই না ; গন্ধটা সহ্য হয়না। পুদিনাপাতা খুব ভাল লাগে। আমি কি গোঁড়া? না।
কিন্তু যদি সবাইকে বলি ধনেপাতা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ, খেলে নৈতিক অধঃপতন হয়? তবে অবশ্যই গোঁড়া।
হিন্দুরা একসময় গোমাংস খেতেন। মহাভারতের বনপর্বে ধর্মব্যাধের আখ্যানে দেখছি রাজার কসাইখানায় রোজ দুহাজার গোরু কাটা হয় রান্না করে লোকজনকে খাওয়াতে। বৃহদারণ্যক উপনিষদে ধীমান বেদজ্ঞ পুত্রসন্তান প্রাপ্তির জন্যে কালো বাছুরের মাংস সহযোগে পলান্ন ( বিরিয়ানি?) রেঁধে খাওয়ার বিধান রয়েছে।
কে কি খাবে না খাবে--সেটা তার ব্যক্তিগত স্পেস। অন্যকে বাধ্য করলে গোঁড়ামি।
যেতে পারেন, কিন্তু কেন যাবেন?
অনলাইন তো? ই - কনফারেন্স বলছে তো
@Amit
এই নিন, নাস্তিক দের কনফারেন্স
https://www.gcrr.org/2020atheismconference
$১৫ দিলেই চলবে ।