এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২১:০০452629
  • ওহো, আমি পকেট বাদ দিয়েই কে পড়ার সময় বাদ দিয়েছিলাম।

    একক, সেটা কি ক্লাসিকালের আরেকটা ধারা হয়েছে? কী নাম?
    আমি অবশ্য আগে হিন্দুস্থানী, কর্ণাটকীর বাইরে আলাদা ঘরানার অস্তিত্ব আছে তাই জানতাম না। পুরো আলাদা রাগ ধারা। এই বরগীত, সত্রিয়া আলাদাভাবে ক্লাসিকাল ধারা বলে স্বীকৃত, তাও। আমাদের গানের পরীক্ষায় এসব কোনদিনও পড়তে হয়নি।
    আসাম মানেই তো বিহু, বড়জোর প্রতিমা বড়ুয়া, গোয়ালপাড়া, নানা প্রকার লোকগীত এসব জানতাম।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:fca9:a4a9:f963:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২০:৫৯452628
  • আমরা যেরকম ডেমোক্রেসি বুঝি সেরকম না বোধ হয়, গণ বলতে যা বোঝাতো সেটা হল অভিজাত সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ যারা রাজাকে নির্বাচিত করতে পারত। সবকটা জনপদই এরকম ছিল না, লিচ্ছবি একটা যেখানে এরকম ব্যবস্থা ছিল, আরো একটা-দুটো, অন্যগুলোতে রাজতন্ত্রই ছিল।
  • সম্বিৎ | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৪452627
  • ষোড়শ মহাজনপদ বা সিদ্ধার্থর রাজ্যও শুনেছি প্রায় ডেমোক্রেসি ছিল। 

  • r2h | 73.106.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২০:৪২452626
  • আমি বুদ্ধদেবকে খুবি শ্রদ্ধা করি। মেয়ে এদিক ওদিক জাতকের গল্প শুনে ভেবেছে বুদ্ধ ফিকশনাল চরিত্র, তো আমি একটু বল্ললম এই এই ব্যাপার।

    জরা ব্যধি মৃত্যু নিয়ে বিচলিত সিদ্ধার্থের গল্প শুনে মেয়ে বললো - পুয়োর ওভারপ্রোটেক্টেড গাই।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:fcaf:7b1f:c89f:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২০:১৭452625
  • অশোকের ধর্মাশোক হয়ে যাওয়া, যুদ্ধে লাখখানেক লোক মারা গেছে বলে হঠাৎ করে একদিনে ওরকম কেউ বদলে যায় নাকি ? অশোকের বাবা বিন্দুসার তো শেষ জীবনে জৈন ধর্মের সাথে যুক্ত হয়েছিল, দক্ষিণ ভারতে কোথায় যেন চলে গেছিলেন যা ছিল কাটিয়েছিল যা ছিল জৈনদের ধর্মকেন্দ্র, অশোকের মা মনে হয় অজীবীক সম্প্রদায়ের, অশোক বৌদ্ধধর্ম নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল কিছু আগে থেকেই, অতএব এই সব অ-বৈদিক ধর্মগুলোর সাথে রাজাদের যে যোগ ছিল, সেটা মনে হয় শুধু ধর্মের আফিম খাইয়ে জনগণকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:fcaf:7b1f:c89f:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ২০:০৬452624
  • বৌদ্ধ ধর্ম প্রথম থেকেই সাধারণ লোকের মধ্যে বিশেষ ছড়ায়নি, কেন ছড়ায়নি ? হ্যাঁ একটা মত দেওয়াই যায়, আজকের জ্ঞান দিয়ে যে সব ধর্ম কলাটা মুলোটা চায়, সেইজন্যই বৌদ্ধধর্ম রাজা আর বণিকদের মধ্যে প্রচারিত হয়েছিল। আর একটা মত আছে মনে হয় (বিশদে জানা নেই) যে ষোড়শ মহাজনপদের সময়ে বেশ কিছু শ্রমণ ধর্মের মধ্যে এটিও একটি যেটি বেশী প্রচার পায়। কেন পায় জানি না কিন্তু ঐ সব রাজ্যগুলোর দ্বন্দ কাটিয়ে ওঠার জন্য একটা শান্তির ধর্মের দরকার হয়েছিল, যেটা বৌদ্ধধর্ম দিতে পেরেছিল, আর এ ছিল মঝঝিম পন্থা ফলে রাজা আর বণিকরা যারা ঐ দ্বন্দের ভুক্তভোগী কিন্তু সেই দ্বন্দের নিরসন চায়, তাদের কাছে এই ধর্ম প্রয়োজনীয় হয়েছিল। রাজপুত্র সিদ্ধার্থ (যদিও কোশাম্বীর মত ছিল রাজা বলতে এখন যা বুঝি পরিবারটি সেরকম ছিল না, বড়জোর বড় গ্রামের অধিপতি ছিল সিদ্ধার্থকে বাবা) এই দ্বন্দ বা সামাজিক পরিস্থিতির অবস্থা নিশ্চয় জানত, ফলে রাজপুত্র পরিচয় ত্যাগ করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা আর যে মানুষটার লক্ষ্য একটু বড় যা সফল করতে গেলে পরিবারে রয়ে গেলে চলবে না, তাকে তো স্ত্রী-পুত্র ত্যাগ করতেই হবে।

    (নিন, ধর্মে তো কোন মতি নেই কিন্তু সামাজিক প্রেক্ষিত অ্যানালিসিসে আছি!)
  • একক | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৯:৫৬452623
  • বৌদ্ধরা নতুন কোনো মেলোডি প্যাটার্ন দিয়েছে কিনা জানিনা অবশ্য | ব্যাটারা এমনিতেই থিওরিটিশিয়ানের জাত , আলোচনা করে মোলো :)) বাদ্যযন্ত্রে ওদের কিচু কাজ আচে | বিকট সব বেস আর পার্কশন |
  • একক | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৯:৫১452622
  • "আর কোন ধর্ম দিয়েছে কিনা জানা নেই।"

    সব ধর্মই কম বেশি দিয়েছে | হাতের কাছে রেডি রেফারেন্স গুরু গ্রন্থসাহিব | খান তিরিশেক রাগের বিশদ বর্ণনা আছে এবং তার সঙ্গে অনেক মিশ্র রাগ |
  • b | 14.139.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৯:৪০452621
  • হ্যা, সেটাই লিখলাম তো। লোয়ার আসামের কয়েকটা পকেট বাদ দিয়ে, পুরো ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি জুড়েই।
  • π | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৯:১৩452620
  • আপার আসামেও শ্রীমন্ত শংকরদেবের প্রচুর প্রভাব। পুরো ক্লাসিকাল গান নাচের ধারারই জন্ম দিয়েছে ধর্ম! আর কোন ধর্ম দিয়েছে কিনা জানা নেই।

    তবে বৈষ্ণব হোক কি বৌদ্ধ, লোকজন যে বহুক্ষেত্রেই অহিংস হন না, দেখাই যাচ্ছে। সে রাজা হোক কি প্রজা। ধর্ম কি মানসিকতা বদলাতে পারে?
  • b | 14.139.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৫:৪১452619
  • বহু বছর আগে এরকম একটা খাবারের কথা পড়েছিলামঃ মিছা ডিমের ডালনা। বাঙালী রান্না । ছানা দিয়ে বলের মতো বানিয়ে ছোলার্ডালের পুর ভরে তৈরী মিছা ডিম।

    আমাদের বিধবা বাড়িওয়ালী সোয়াবিনের বড়ি মুখে তুলতেন না, বলতেন ও মাংসের মতো লাগে, খাবো না।

    খাদ্য খাদক ব্যাপারে জৈনরা অনেক বেশী কট্টর।
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৪452618
  • "ধোঁকা" দেওয়া কথাটা আমার লেখা, মনে হয় এঁরা ওভাবে হয়ত ভাবেন না। :-)

  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:৫৩452617
  • ইন্দ্রিয় যা ভাবছে সেটা ঠিক সেরকম নয় থেকে ইন্দ্রিয়কে 'ধোঁকা' দেওয়া তো একটা লাফ (খাবারে যেমন ঘটছে)। এটা কেন বা কীভাবে তৈরী হল ?
  • b | 14.139.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৬452616
  • তবে এটা একটা ওয়ান অফ ঘটনা হয়্ত।
  • b | 14.139.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৫452615
  • ইয়ে, সব সময়েই যে ধর্মগুরুরা রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, তা ঠিক নয়। অসমে বৈষ্ণব আন্দোলনের মূল হোতা শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জীবিত কালেই ওনার সাথে আহোম রাজাদের ঝামেলা লাগে (চার্চ বনাম স্টেট আর কি), ফলে শেষ বয়সে ওনাকে বর্তমান কোচবিহারে গিয়ে থাকতে হয়। পরবর্তীকালেও আহোমদের সাথে শাঙ্করীদের লাভ হেট রিলেশন ছিলো, রাজারা কখনো কখনো বৈষ্ণবদের মেনে দিয়েছেন, কখনো বা শাক্তদের। এতদসত্ত্বেও আসামের, বিশেষতঃ নিম্ন অসমের কয়েকটা পকেট বাদ দিলে অসমীয়া সংস্কৃতির অনেকটা জুড়েই রয়েছে শাঙ্করী বৈষ্ণববাদ আর তার বিভিন্ন প্রকাশ, নাটক, কবিতা গান ছবি এসবের মাধ্যমে।
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:২৮452614
  • "তবে লিখলেন বলে বলি, বাঙালীর যা জিভ তাতে সে সোয়াবিনে খুসী হত না, খাসির মাংসের ধারেকাছে এসব আসে না মনে হয়"

    তাহলে শুনুন। 

    আমাদের এখানে Fo Guan Shan বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি মন্দির আছে, এরা নিরামিষ খাবার পরিবেশন করেন, কিন্তু আপনি না জেনে খেলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। বহু বছর আগে আমার শ্বাশুড়ি-মা এসেছিলেন, তখন ওনাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি "(নকল) চিকেন ফ্রাই" এর অর্ডার দিলেন | তারপরে সে খাবারে কামড় দিয়েই বলতে লাগলেন, এরা নির্ঘাত মিথ্যে কথা বলছে, নির্ঘাত মাংস মিশিয়েছে, এরকম হতে পারে না। সে যাই হোক, কেউ আর তাঁকে বিশ্বাস করাতে পারে না, শেষে মঠাধ্যক্ষা ভদ্রমহিলা এসে তাঁকে হেঁসেলে নিয়ে গিয়ে বিশ্বাস করিয়েছিলেন। আপনাদের শহরে ়Fo Guan Shan বৌদ্ধ মন্দির থাকলে গিয়ে দেখতে পারেন। "ঠকবেন" না, :-)

    কিছু জিনিস নিজেরা বাড়িতেও ট্রাই করে দেখতে পারেন, যেমন Firm Tofu আর হলুদ পেঁয়াজ লঙ্কা দিয়ে নকল scrambled "egg" (যেভাবে স্ক্র্যামবলড এগ যেভাবে করে আর কি), করে দেখবেন, কাউকে না বলে দিলে অনেকেই বুঝতে পারবেন না, ডিম খেলেন কি না (মনে করে দেখুন ডিমের মত জিনিস যদি এই হয়, শুধু খেয়াল রাখবেন জল যেন পুরোপুরি ঝরে যায়)। তারপর ধরুন নরম টোফু (শক্ত টোফুতেও হবে তবে যাই ব্যবহার করুন, খুব ভাল করে জল বের করে নিতে হবে না হলে হবে না) + তার চারপাশে নোরিপাতা (seaweed, টোস্ট না করে) দিয়ে মুড়ে + চালের গুঁড়োয় ডুবিয়ে ডিপ ফ্রাই করে দেখতে পারেন, মাছের  ফ্রাইয়ের সঙ্গে বেশ মিল পাওয়া যাবে (আমার অভিজ্ঞতায় অনেক কে খাইয়ে দেখেছি ধরতে পারেন নি) | তারপর আজকাল তো ইমপসিবিল বার্গার পাওয়া যায়, তবে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা এসব ব্যাপারে সাহেবদের দশ গোল দিতে পারেন, :-)

    কাজেই ইন্দ্রিয়কে "ধোঁকা" দেওয়ার নানাবিধ পদ্ধতি চীনা জাপানী কোরিয় বৌদ্ধ মন্দিরে বহু শতাব্দী ধরে আবিষ্কৃত হয়েছে। কাছাকাছি ওরকম মন্দির/মঠ থাকলে ট্রাই করে দেখতে পারেন। 

  • | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:২১452613
  • টোফু!! উফ্ফ এইটা খাদ্যব্স্তু হিসেবে যে বা যারা উদ্ভাবন করেছিল তাদের হাতে পেলে কানদুটো আচ্ছসে পেঁচিয়ে দিতাম!
  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:০০452612
  • অরিন চাপ নেবেন না, ওসব আমার অর্ধপাচ্য থিওরাইজেশন। ঃ-)

    তবে লিখলেন বলে বলি, বাঙালীর যা জিভ তাতে সে সোয়াবিনে খুসী হত না, খাসির মাংসের ধারেকাছে এসব আসে না মনে হয় । ঃ-)
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৩:৩৬452611
  • "বৌদ্ধরা খাবারের ব্যাপারটা বিশেষ নজর দেয় নি।"

    হয়ত বাংলার ক্ষেত্রে কথাটা প্রযোজ্য (তবে বাংলায় বৌদ্ধ যুগে মাছ মাংস খাওয়ায় নিষেধ ছিল কি? কারণ বুদ্ধদেব বা সমকালীন বৌদ্ধরা এ বিষয়ে কিছু  নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমি পড়ি নি, শুধু নিজে থেকে বধ করে বা কারো জন্য বিশেষ করে বধ করে বা ধরে প্রাণী মাংস / মাছ খাওয়ায় নিষেধ বলে জানি। এর বাইরে জানি না ) |

    সে যাই হোক, চীন, জাপান, কোরিয়ায়,যেখানে বৌদ্ধ মঠে মাছ মাংস চলতে না, সেখানে খাবারের ক্ষেত্রে তাঁরা আশ্চর্য রকমের উদ্ভাবন করেন, আজও তার প্রমাণ পাবেন। চীনা, জাপানী, কোরিয়রা বাঙালীদের তুলনায় কম মাংসাশি বা মাছ কম খান, একথাটিও আমার মনে হয় বিশ্বাসযোগ্য নয়। 

    খাদ্য-পানীয়ের জগতে  তিনটি ধর্মের তিনটি অবদান: ইসলামের সূত্রে এসেছে কফি, খ্রীস্টধর্মের সূত্রে আমরা পেয়েছি ওয়াইন, আর বৌদ্ধদের সূ্ত্রে পেয়েছি চা | বোধিধর্ম যখন চীনে "চান" (পরে জাপানে "জেন") প্রচারে গেলেন, তখন কথিত আছে যে ঘুম তাড়াতে বোধিধর্ম নিজের চোখের পাতা উপড়ে ফেলেছিলেন, আর তাই থেকে চায়ের জন্ম, :-), চীন জাপানের বৌদ্ধ মঠগুলোতে চা, বিশেষ করে জেন বা চান মঠে চা এবং ধ্যানের একটা ভাল রকম যোগাযোগ ছিল। 

    কিন্তু কথা হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব , পূর্ব এশিয়া, চীন, জাপান, কোরিয়ায় বৌদ্ধ মঠের খাবার দাবার নিয়ে। এখানেই সেই একদিকে ব্রহ্মজাল সুত্তের কারো শারীরিক ক্ষতি না করা,  শূন্যতা আর "ইন্দ্রিয় যাকে যা বলে ভাবছে আসলে সে তা নয়" তার একটি খাবার আর রন্ধনপ্রণালীতে ব্যক্ত হয়েছে | একটি রূপ জাপানী শোজিন-রিয়োরি ধাঁচের খাবার, যেখানে টোফু (সোয়াবিনের "ছানা"), সামুদ্রিক উদ্ভিদ (seaweed), আর seitan, সোয়া সস এর জাদুকরীতে তৈরী এমন সব খাবার, খেলে আপনার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় যে মাছ/মাংস খাচ্ছেন না, এমনকি সে খাবারে পেঁয়াজ রসুন অবধি নেই । 

    সেই রন্ধন প্রণালী হয়ত বাংলায় পৌঁছয় নি।

  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১৩:০৪452610
  • হা, হা,হা।ওই সুসি (খুব ভালো রেস্তোঁরা তে) খেয়ে আমার মাছ দেখলে নিজেকে কেমন বৈষ্ণব মনে হতো দিন কয়েক।

    খুন হতো, টম চাচা ওই রুটি খেয়ে,

    উন্মাদ হতো মন,ওই সুসি দেখে।

  • :|: | 174.254.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৯452609
  • দয়ের ১২টা ০৪, অমন ঝপ করে বলে দিলেন? যিনি লিখেছিলেন তাঁকে একটুও খাটতে দিলেন না? নিদেন পক্ষে পরবর্তী রিডারদের তো ভাবতে সময় দেবেন, যে, উনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে যাচ্ছেন, যার কোনও ভিত্তি নেই?
    নাগ কল্লুম আর দুক্ষু পেলুম।
    তাও তো এখনও শঙ্করাচার্যের জীবিত কালে তাঁর সাপোর্টার “গুচ্ছ হিন্দু রাজা“-র নাম বলেন নি। সেটার উত্তর ... ;) HHB
  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৮452608
  • জাপানিরা আলাদা জাত, তিমিমাছও শিকার করে তেল বার করে। ওদের কে ঘাঁটাবে !
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৭452607
  • উত্তর ভারতে বরাবর আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওপর ঝোঁক আছে।কাজ হোক বা না হোক।পূর্ব ভারতের হলো হোমিওপ্যাথির দাপুট। রামদেব এর মার্কেটিং ভালো।ওপর মহলে কানেকশন ভালো। অন্যান্য দেশ হলে করোনিল এর জন্য জবাবদিহি চাই তো।কিন্তু এখন দিন কাল ভালো নয়।গ্রহ নক্ষত্রের পজিশন ঠিক নয়।

  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৫০452606
  • রামদেবকে দেখুন। স্টেজে লাফাচ্ছে, দোকানে জিনিস বেচছে, করোনার ওষুধ বানাচ্ছে, আসন করলে ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকবে বলছে, ম্যাঙ্গো পাব্লিক যা চায়, সব দিচ্ছে। টাককড়ি সব চাইছে না, নিজেরটা গুছিয়ে তারপর একটু-আধটু মিশনে দাও, মন্দিরে দাও, জামাতে দাও - এরকম মোডে চলতে হবে।
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৫০452605
  • কিন্তু সি এস,বৌদ্ধ ধর্মে খাবার ব্যাপারে কোন রেস্ট্রিকশন নেই তো!জাপানিরা তো সর্বভুক জাত।সিকিম গিয়ে দেখেছি সব রকম চলে।তিব্বতী মোমো তো কে না জানে!

  • Amit | 120.22.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৮452604
  • কিন্তু স্বাদু নিরিমিষ খেতে হবে বলে বৈষ্ণব কেন হতে যাবে ? যে পাঁঠা চেটেপুটে খায় , সেতো নিরিমিষ ও চেটেপুটে খেতে পারে . উল্টো হলেই যত রাজ্যের চাপ . হয় পাঁঠা ছাড়ো , নয় বিষ্ণুকে .

    আমার বাপু পাঠাই ভালো , আমিষ নিরিমিষ দুকূল ই রইলো .
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৬452603
  • কৈবর্ত কারা?

    পাল বংশ এলো চলে গেলো।সেন বংশ এলো।তাহলে কি সেনরা হিন্দু ধর্ম কে টিকে থাকতে সাহায্য করলো?

    তার পর এলো সুলতানী যুগ।এখানেও চৈতন্য দেব এসে নবজাগরণ ঘটালেন হিন্দু ধর্মের। মোটামুটি দেখা যাচ্ছে,কেউ না কেউ এসে হিন্দু ধর্মকে টিকে থাকতে সাহায্য করছে। 

  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৫452602
  • বাঙালী মাছ খেতে ভালবাসে বলে বৈষ্ঞবরাই তো মনে হয় কিছু মাছকেও 'নিরামিষ' মাছ বানিয়ে দিল। মোদ্দা কথা হল, জনগণকে ধর্মের জন্য বেশী চাপ দেওয়া যাবে না।
  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৩452601
  • হ্যাঁ, ওটাই শুধু কমন পড়েছিল। কিন্তু অন্য মিষ্টির কোন ব্যাপারই ছিল না। লাটসাহেবের বিবির জন্য মিষ্টি বানালো কিন্তু বৌদ্ধধর্মে ওসবের চান্স ছিল না।
  • S | 2a0b:f4c1::***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ১২:৪১452600
  • পায়েস?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত