এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৪২452509
  • কারা জানি বলতো
    "রাধে রাধে কমিন ভাই -
    টিক্কা জ্বালাইয়া তামুক্ষাই।"
    ঃ-)
  • একই বৃন্তে একগুচ্ছ ধুতরো ফল | 165.225.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৪১452508
  • হ্যাঁ হ্যাঁ ভন্ডচূড়ামনি সব কটা। রবীন্দ্রনাথ সুদ্দো। দেখলো জমিদারী লাটে এমনিতেই উঠবে, একটা ইস্কুল খুলে পয়সা জোগাড়ের জন্য বেড়িয়ে পড়ল! এক্কেবারে ইয়ে, যাকে বলে...
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৪০452507
  • উনিই তো হারারি সায়েবের গুরু। ভূমিকা না কোথায় এই নিয়ে অনেক বলেছেন।
    বইভর্তি হাজার হ্যাজানো। হ্যাজানো পড়তে পড়তে মহা বিরক্ত হয়ে শেষে দেখি এই! সত্যি নারাণ!
    ঃ-)
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৩৮452506
  • গোয়েঙ্কাকে উৎসর্গ করেছেন না?
  • সম্বিৎ | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৩৬452505
  • হারারি সায়েবও ওনার দু'নম্বর না তিন নম্বর বইতে বিপাসনা নিয়ে সাত কাহন লিখেছেন। প্রথম বই থেকে হারারি সায়েব বোধহয় পয়সা করেছেন।

  • :|: | 174.254.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৩৩452504
  • আজগের বিষয় কি তথাগত বুদ্ধ, একটি নির্মোহ ব?
    হাজার আড়াই বছর তো হলো, এখনও চলছে!
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:৩১452503
  • ও আচ্ছা ঐভাবে |
    :-)
  • ইয়ে | 194.28.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:২৪452502
  • লোক ঠকায় তাই। অন্য ধর্মগুলোতে যা যা আছে, বৌদ্ধ ধর্মেও তাই আছে। বাণী আছে, ধর্মগ্রন্থ আছে, রিচুয়াল আছে। লামারা মোটেই শান্তিপ্রিয় নয়। রীতিমত বিদ্বেষপূর্ণ। পয়সাকড়ির ব্যাপারে দিব্যি টনটনে জ্ঞান। এরা বলে মহাভারতে ইন্টারনেট আর ওরা মাইন্ড অ্যান্ড কনশাসনেস নিয়ে হিজিবিজি বকে। একেবারে একই বৃন্তে একগুচ্ছ ধুতরো ফল।

  • lcm | 2600:1700:4540:5210:8d0f:aae1:2c9e:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:১৪452501
  • ভারতে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবীতে, #FreeAllPoliticalPrisoners ১৫ই আগস্ট একটি ক্যাম্পেইন চালায় -

    স্যান ফ্রানসিসকো-তে ইন্ডিয়ান কনসুলেট অফিসে


    নিউইয়র্ক টাইম্স স্কোয়ার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:১২452500
  • "কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল এটুকু , বৌদ্ধ ধর্ম যেমন আরেকটি ভন্ডামির গল্প, বুদ্ধও তেমনি আরেকটি ভন্ড।"

    বৌদ্ধধর্ম কিভাবে ভণ্ডামির গল্প? 

  • ইয়ে | 194.28.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:০৮452499
  • KK একেবারে স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন করেছেন। হতে পারে ধর্মগুরুরা ভন্ড, কিন্তু সে তো পৃথিবীর কত লোকই ভন্ড। কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল এটুকু , বৌদ্ধ ধর্ম যেমন আরেকটি ভন্ডামির গল্প, বুদ্ধও তেমনি আরেকটি ভন্ড। এর বেশি কিছু না। তবে দেখুন, বুদ্ধ গেলে রাজারা বাগান ফাগান বানিয়ে দিত। বুদ্ধর অবশ্য ওসবে কিছু এসে যেতনা। উনি তো বোধিলাভ করে গেছেন। গল্পটা চেনা চেনা লাগছে না? হাম তো ফকির আদমির আদি ভার্সন। ভন্ড কি আর সাধে!

    "অনুকুল ঠাকুরের ভক্ত" , দেখুন পকেটে পয়সা আছে, মন খারাপ। বিপাসনা ফিপাসনা করুন, লাভ হবে। পকেটে পয়সা নেই, মন খারাপ। বিপাসনা তখন একটি ভন্ডামি মাত্র। আর বিপাসনা করতে পয়সা লাগবে কেন? ও তো ডোনেশন। প্রণামী বাস্কো।

  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৪:০২452498
  • "সবচেয়ে বড় কথা, বুদ্ধ বারংবার বলেছেন - এসব কোনকিছুই শেষ কথা নয়। মারা যাবার আগেও বলে গেছেন টেষ্ট করে যখনি মনে হবে আপডেটের দরকার তখনি প্যাচ আপডেট ইস্যু করতে হবে!"

    প্যাচ আপডেট কি মশাই, ভারসান চেঞ্জ বলুন। 

  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:৫৩452497
  • "কারণ বুদ্ধর লাইন হচ্ছে দুনিয়া চুলোয় গেলেও তুমি একা কি করে ভালো থাকবে। এখন হাতে পয়সাকড়ি থাকলে তবে বুদ্ধ এফেক্টিভ।"

    ইয়ে, আপনি Hedonism এর সঙ্গে বৌদ্ধধর্ম আর বুদ্ধের "লাইন" বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। 

  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:৪৬452496
  • "অনুকুল ঠাকুরের ভক্ত": "তো, সেই একই কথা বলতে হবে - যখন বড় বড় ব্যক্তিগত মানসিক সমস্যা অনেক দিন ধরে আসবে, মনে হবে নিজে সামলাতে পারছেন না - তখন একটা বিপাসনা কোর্স করে আসবেন। এস এন গোয়েন্কার কোর্স তো ফ্রি, পয়্সাও লাগবে না! দ্শ দিন ফোন, কম্পু, বই পত্তোর - সব ছেড়ে দিনে দ্শ বারো ঘন্টা করে শুধু বসে থাক্তে হবে - কোনো কাজ নেই। কন্ডিসান হল - কারো সাথে কোনো কথা বলা যাবে না। বাড়িতেই করা যায়, কেবল খাবার দাবার যোগাড় করে রাখতে হবে। আর হ্যাঁ, কোনো কথা বলা যাবে না, কিছু পাঠ করা যাবে না - দ্শ দিন। অন য়্যাভারেজ টোটাল ১২০ ঘন্টা।
    তারপর দেখুন কি হয়।"

    মানসিক সমস্যা থাকলে বিপস্যনা কোর্স না করতে যাওয়াই মনে হয় ভাল। তার থেকে জন কাবাৎ জিন প্রণীত MBSR (Mindfulness Based Stress Reduction) এর আট সপ্তাহের কোর্স বরং করা যেতে পারে, "কোর টেকনিক" যদি বলেন, ওইটেকে বলতে পারেন। অষ্টাঙ্গমার্গের সম্মা সতী আর সম্মা সমাধি পাঞ্চ করে আশির দশকে কাবাত-জিন আমেরিকার বস্টনের হাসপাতালে এই ধরণের কোর্স শুরু করেন, বিশেষ করে যাঁদের ধরুণ Anxiety বা Depression এর সমস্যা, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাল কাজে  দেয়। আজকাল প্রায় সব দেশেই MBSR কনস্যালটান্ট দের দেখতে পাবেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে পারেন। অবশ্য ঠিকই বলেছেন, বিপস্যনা নিজের বাড়িতে করেও দেখতে পারেন, বিপস্যনা সেন্টারে যাবার দরকার পড়ে না, তবে করলে এমন একটা জায়গায় করবেন যেখানে চারপাশে যেন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে একটু হাঁটতেও পারেন, কারণ এই ধরণের ধ্যান  কিন্তু "শুধু বসে" করে না - বসে, শুয়ে, হেঁটে, দাঁড়িয়ে - চার রকমভাবে করার কথা। 

    এটা তো অবশ্যই  সত্যি যে সুত্রগুলো যে সব  বুদ্ধদেবের "নিজের" কথা তা নয়, নানান রকমের পাঠ, ভাষ্য, বিভিন্ন সময়ে, এসে মিশে থাকতে পারে | 

  • KK | 97.9.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:৪৩452495
  • ভন্ড নয় এমন কি কেউ আছে? বা কখনো ছিলো?
  • ইয়ে | 111.9.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:৩৬452494
  • কান্নাকাটি একই, প্যাকেজিংটা আলাদা। কমার্শিয়াল সিনিমায় ভেউ ভেউ করে কাঁদে। ওদিকে আর্ট সিনিমায় স্টাইল মেরে কাঁদে। দুটো আলাদা অডিয়েন্স গ্রুপকে কেটার করে। ধর্মগুলোও তাই। সুনীল গঙ্গো লিখেছিলেন সাদারা হিন্দুধর্মে বেশি ঝোঁকে কারণ আমোদগেঁড়ে রিচুয়ালস আর জাতপাত ব্যাপারটা ওদের বেশ মনোমত হয়। অন্যদিকে কালোরা বেশিরভাগ ইসলাম ধর্ম নেয়। কারণ কমিউনিটি, ভ্রাতৃত্ববোধ এসব আছে। বৌদ্ধধর্ম খায় মালকড়িওলা সফিস্টিকেটেড লোকজন। কারণ বুদ্ধর লাইন হচ্ছে দুনিয়া চুলোয় গেলেও তুমি একা কি করে ভালো থাকবে। এখন হাতে পয়সাকড়ি থাকলে তবে বুদ্ধ এফেক্টিভ। গরীবগুর্বো লোকে জানে ধ্যান করলে পেটে টান পড়বে। ফলে পাড়ার শনিমন্দির বেটার চয়েস। তাতে করে বুদ্ধ কিছু মহানতর হয়ে যায়না। বৌদ্ধ ধর্ম যেমন আরেকটি ভন্ডামির গল্প, বুদ্ধও তেমনি আরেকটি ভন্ড।

  • অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত | 165.225.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:২৮452493
  • "ইয়ে" তো একেবারেই কনভিন্স্ড নন যে টেকনিকটায় কিছু আছে বলে। তো, সেই একই কথা বলতে হবে - যখন বড় বড় ব্যক্তিগত মানসিক সমস্যা অনেক দিন ধরে আসবে, মনে হবে নিজে সামলাতে পারছেন না - তখন একটা বিপাসনা কোর্স করে আসবেন। এস এন গোয়েন্কার কোর্স তো ফ্রি, পয়্সাও লাগবে না! দ্শ দিন ফোন, কম্পু, বই পত্তোর - সব ছেড়ে দিনে দ্শ বারো ঘন্টা করে শুধু বসে থাক্তে হবে - কোনো কাজ নেই। কন্ডিসান হল - কারো সাথে কোনো কথা বলা যাবে না। বাড়িতেই করা যায়, কেবল খাবার দাবার যোগাড় করে রাখতে হবে। আর হ্যাঁ, কোনো কথা বলা যাবে না, কিছু পাঠ করা যাবে না - দ্শ দিন। অন য়্যাভারেজ টোটাল ১২০ ঘন্টা।
    তারপর দেখুন কি হয়।
    অব্শ্যই আমি কিছু সরলীকরন করছি। সেন্টারগুলোর একটা ষ্ট্রাকচার থাকে, একজন গাইড থাকে - প্রথম্বার বিশেষ করে, সুবিধা হয়।
    ব্যক্তিগত ধারনা - বেশির ভাগ মানসিক রোগ এভাবে সেরে যেতে পারত (না আর বিশ্লেষনে যাবার সুযোগ বা ক্ষমতা নেই)!
    @অরিন - হ্যাঁ, মেত্তাভাবনা অভ্যাষের প্রথম দিকে অনেকের এরকম হয়!
    রন্জনদা ও দুজনেই একটা পয়েন্টে জোর দিয়েছেন - এবং সেই পয়েন্টটাই বোধায় প্রমান করে বুদ্ধের পদ্ধতিটার আধুনিকতা। জাস্ট ভেবে দেখুন ২৬০০ বছর আগে একজন ওপেন সোর্স সিস্টেমের ফ্রেমওয়ার্ক বানিয়ে যাচ্ছেন। যে সব সূত্র তৈরি হয়েছে কিছুই বুদ্ধের একার বক্তব্য নয়। সবাই আলোচনা করে এক্টা সিদ্ধান্তে এসে সূত্রটা আনন্দকে দিয়ে মুখস্ত করিয়ে নেওয়া হল (ওয়েল, সেটাই তখনকার ড্কুমেন্টেসান পদ্ধতি)! সে সবের আপডেটও চলত। সবচেয়ে বড় কথা, বুদ্ধ বারংবার বলেছেন - এসব কোনকিছুই শেষ কথা নয়। মারা যাবার আগেও বলে গেছেন টেষ্ট করে যখনি মনে হবে আপডেটের দরকার তখনি প্যাচ আপডেট ইস্যু করতে হবে!
    তাই কিনা বুদ্ধ সেক্ষপীর!
    কিন্তু সবার মূলে আছে ঐ কোর টেকনিকটার ডিস্কভারি - এইটে আমায় কেউ একটু পরিষ্কার করে বোঝালো না রে ভাই!
    যাগ্গে যাক, সবই কিনা মায়া! আর মায়ার খেলা কে দেখিতে পারে!
    এই তবে শেষ পোষ্ট, আপাতত!
  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০২:৪৯452492
  • সব ধরণের কান্নাকাটি এক নয় মনে হয়।

    বিশেষ করে ঠাকুরদেবতার ভক্তদের কান্নাকাটি আর বিপাসনা ধ্যান করতে গিয়ে কান্নাকাটি দুটো দুরকম ব্যাপার, এ নিয়ে আমার সন্দেহ নেই । 

  • ইয়ে | 111.9.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০২:৪৪452491
  • সে তো হতেই পারে। অনুকূল ঠাকুরের ভক্তরাও ওরকম কান্নাকাটি করে।

  • অরিন | ১৯ আগস্ট ২০২০ ০২:২৬452490
  • রঞ্জনবাবু ভারি সুন্দর করে লিখেছেন | কলম সুত্রে (Kalama Sutta) আছে:

    "একবার বুদ্ধদেব সশিষ্য কোশলদেশে ভ্রমণকালে কলম নামে মানুষদের শহর, কেশপুত্ত নগরে উপস্থিত হলেন। তাঁরা বুদ্ধদেবের সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, দেখুন একদল সাধু আর ব্রাহ্মণ কেশপুত্ত নগরে আসেন, তাঁরা নিজেদের ধর্মমত, মতামত নিয়ে বড়াই করেন, অন্যের ধর্মমত কে তু্চ্ছতাচ্ছিল্য করেন | আবার  আরেক দল সাধু-ব্রাহ্মণ  এসে সেই এক কাজ করেন। এতে করে আমরা ধন্দে পড়ে যাই, কারা ঠিক বলছেন, কারা ভুল বলছেন বুঝতে পারি না, তা আপনি কি বলেন?"

    তখন বুদ্ধদেব তাঁদের লোভ, ঘৃণা, ভুল বোঝা নিয়ে আলাপ আলোচনার করার পর  বলেছিলেন, "অন্যের কথা শুনবেন না, এদিক ওদিক খবর নিয়ে ভাববেন না, গল্পগাছা, প্রচলিত ধ্যানধারণার বশবর্তী হবেন না, বরং নিজে মনোনিবেশ করে প্রত্যক্ষভাবে বিচার করে স্থির করুন যে কোনটা অকুশল, কোনটাকে গ্রহণ করবেন কোনটাকে গ্রহণ করবেন না |" এরকম করে অনেকবার অনেকভাবে বুদ্ধদেব কলম সুত্রে এই কথাটা বলেছিলেন। (পড়ে দেখুন, 

    http://buddhasutra.com/files/kalama_sutta.htm)

    তা এখানে বুদ্ধদেব কি বলতে চাইছেন? কাউকে বিশ্বাস না করতে? শুধু নিজে নিজে যা বুঝবেন সেইটুকুই? তাহলে সে তো রাজ্যের ধর্মকথার পরিপন্থী, গুরুবাদের সরাসরি বিরুদ্ধে ! শুধু তাই নয়, তা হলে তো স্বয়ং বুদ্ধদেব যা বলছেন তার প্রতিও বিশ্বাস রাখার প্রয়োজন নেই যতক্ষণ কেউ নিজে না উপলব্ধি করবেন। এবং সেইটাই সার কথা।  এখানে আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন, কলম-রা কিন্তু বুদ্ধদেবের শিষ্য ছিলেন না , তাঁরা বুদ্ধদেবের কাছে শুধু পরামর্শ চাইতে এসেছিলেন। এঁরা  কিন্তু "তথাগত বুদ্ধের কাছে ভক্ত" হয়ে আসেন নি। 

    বৌদ্ধধর্মের বক্তব্য লোভ, ঘৃণা, ভুল বোঝা/ভ্রান্তদর্শণ/Delusion মুক্ত জীবন কাটানো, এতে করে কোন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ঠিক কি বললেন, মায় খোদ বুদ্ধদেব কি বললেন তাকে বিন্দুমাত্র "বিশ্বাস" করার দরকার নেই, গুরু বাদ , গুরুঠাকুর গিরি দূরস্থান!‌

    @মোহমুদ্গর: "বুদ্ধ নিয়ে উলুত্পুলুত হবার কিছু নেই"

    বুদ্ধ কেন, কাউকে নিয়েই  উলুতপুলুত হবার কিছু নেই। 

    আরেকটা কথা। বিপাসনা, আমি যতটুকু নিজে উপলব্ধি করেছি , কখনই "মন শান্ত করার টেকনিক" টাইপের কিছু নয়। বরং উল্টোটা হবার সমূহ সম্ভাবনা। আপনি যে কোন ধ্যান রিট্রিটে যদি যান দেখবেন প্রথম দু তিন দিনে ভিড় ফাঁকা হয়ে যায়, বহু লোক প্রথম রাতে হৈ হৈ করে যান, তারপর এক রাতের পর অনেকে কান্নাকাটি করতে থাকেন, পুরনো আহত মানসিক বেদনা জেগে ওঠে, সে যা তা অবস্থা হয়। কাজেই খুব আপনি যেটা ভাবছেন মোহমুদ্গর বাবু (অন্তত আমি যা মনে করছি আপনি যা ভাবছেন), ব্যাপারটা সেরকম নয়। 

  • রঞ্জন | 182.69.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ২৩:৩১452489
  • বুদ্ধ কি  প্রচলিত অর্থে  গুরুঠাকুর হতে চেয়েছিলেন?  

    সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে একটি বই থাকে যা সমালোচনার উর্দ্ধে। সমস্ত ধর্ম দাবি করে যে শেষ কথা বলার অধিকার তারই। সমস্ত ধর্মমতে একজন মহাগুরু থাকেন যিনি সমালোচনার উর্দ্ধে। সমস্ত ধর্মমতে যারা অদীক্ষিত তারা হয় তুচ্ছ বা করুণার পাত্র।

    এই চারটে প্যারামিটারে দেখলে মার্ক্সবাদ বোধয় বৌদ্ধমতের থেকে ধর্মের বেশি কাছাকাছি।

    বুদ্ধ এক ঐতিহাসিক ব্যক্তি -- অবশ্যই যীশু ও মহম্মদের মত। এক ঐতিহাসিক কালখণ্ডে উনি দাঁড়িয়েছিলেন হিংসা, জাতিভেদ, যাগযজ্ঞ, এবং কৃচ্ছসাধনের বিরুদ্ধে সামাজিক সমতা ও মধ্যপন্থার পক্ষে। ঈশ্বর আছেন কি নেই এসব কচকচি উনি নিরর্থক মনে করতেন, বিরক্ত হতেন। ওনার লক্ষ্য ছিল সর্বব্যাপী দুঃখের কারণ ও সমাপন খুঁজে বের করা।

    আচার্য ধর্মকীর্তির এই শ্লোকটি দেখুনঃ

    " বেদপ্রামাণ্যং কদাচিৎ কর্তৃবাদঃ

     স্নানে ধর্মেচ্ছা জাতিবাদ্যাবল্পেঃ

    সন্তাপাবম্ভঃ পাপহানায়

    চেতি ধ্বস্তপ্রজ্ঞানাং পঞ্চলিঙ্গানি জাড্যে "।।

    বেদকে অকাট্যপ্রমাণ মানা, সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরে বিশ্বাস, বিশেষ স্নানে পূণ্য, জাতিভেদের অহংকার এবং শরীরকে কষ্ট দিয়ে পাপনাশ হয়  এমন বিশ্বাস--- এসব মূর্খের পঞ্চলক্ষণ। 

  • মোহমুদগর | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ২০:৫০452488
  • এই মোহমুদ্গরের বিগ্গ্যানটা তো খুব জোরালো ঠেকলো না - কাঁচের চুড়ির মত ঠুনকো। তবে, এ সব ব্যক্তিগত মত!
    বুদ্ধের জন্য ট্যাক্স তো বেড়েইছিলো - প্রত্যক্ষ যদি নাও হয় পরোক্ষ তো বটেই। অতো রাশি রাশি সাধু রোজ ভিক্ষে করতে এলে নাগরিকদের চাপ বাড়বে না? না দিলেও হয়, কেউ জোর করছে না - তবুও সামাজিক আর মানসিক চাপ তো থাকবে! এখন সে আমলের অর্থনীতি ঘেঁটে কেউ যদি অন্য যুক্তি দ্যান তো দিয়ে ফেলুন - সে নিয়ে তক্কো করার মত ট্যাঁকের জোর আমার নেই!

    কিন্তু এই যে যাঁরা অপেক্ষা করছেন ধম্মের জয়ের জন্য - কিন্তু সে সব ধম্মো তো কেবল নিজের রেফারেন্স ফ্রেমে যা খাপ খেল ভাল বলে, সেটাই। মানে, আমার রেফারেন্স ফ্রেমে রৌহিন প্রায় ঠিকই বলেছেন।

    বুদ্ধ নিয়ে উলুত্পুলুত হবার কিছু নেই, যেমন রবি ঠাকুর নিয়েও উলুত্পুলুত হবার কিছু নেই। ইন ফ্যাক্ট ডিসকাসানটা মানুষ বুদ্ধ নিয়েও করতে চাই নি - টেকনিকাল প্রসেসটা যেটা বুদ্ধের বানান ফ্রেমওয়ার্কের কোর - সেইটে ঠিক কতটা আগের প্রসেসের থেকে আলাদা - তার অথেন্টিক ব্যাখা খুঁজছিলাম। হয়্ত বিপাসনা মেডিটেসান নাম দিয়ে আলোচনাটা করা যেত - কেবল এখনো কন্ফিডেন্ট নই আর ব্যক্তিগত য়্যালার্জির জন্য সেটা এড়িয়ে গেলুম।

    জনগনের উলুত্পুলুতের একটা কারন হয়ত বুদ্ধও ঠাকুর হয়ে গেছেন তাই। হয়্ত পেগান সোসাইটিগুলোর সেটাই ধাঁচ। শুনতে পাই বৌদ্ধধর্ম বুদ্ধ চালু করেন নি। ব্যাপারটা খানিকটা ২১৪১ সালে একটা মহা সম্মেলন করে রবিধর্ম ঘোষণা করে দেবার মত। আর ধরুন সেরা রবিঠাকুর এর একটা কালেক্শান বের করে তার নাম দেওয়া হল রবিটক। সেটি ঐ রবিধর্মের সারাত্সার - এমন ঘোষণা করে দেওয়া হল। যেহেতু রবিগুরু প্রচুর চমত্কার বক্তব্য রেখেছেন ও কাজ করেছেন সারা জীবনভোর - রাশি রাশি লোক এবার রবিধর্ম নিতে শুরু করল। আর ৪০২০ সালেও প্রশান্ত ঘোষ রবিগুরু সম্পর্কে প্রামান্য সোর্সের মর্যাদা পেতে থাকলেন। বুদ্ধজী কে নিয়েও হয়ত ব্যাপার্টা খানিকটা এরকম হয়েছে - মানে আমার এরকম মনে হয়!
    তবে আসল পয়েন্টটা, মানে উনার বক্তব্যের জোরটা বোধয় মার্কেটিং টেকনিক। ঊনার বক্তব্য ছিল, আমার কথা শোনার দর্কার নেই, নিজে টেষ্ট করে দ্যাখো, ভালো লাগলে ব্যবহার করো, নইলে রাস্তা দ্যাখো। আর এই পদ্ধতি কেবল দুঃখ ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। মহাবিশ্ব অসীম কি সসীম - এসব ব্যাপার জানতে গেলে অন্য টিচার খোঁজ।
    এইবার এই টেকনিকটার জোর হচ্ছে মন শান্ত করার পদ্ধতিতে। অন্য অন্য পদ্ধতিতে য়্যাব্স্ট্রাক্ট ভগবান বা মূর্তিধারী ভগবানের কথা ভেবে ভেবে মনকে শান্ত করা হয়। কিন্তু কিছু প্রসেস ওরিয়েন্টেড লোক ঐ ভগবানের প্রমান চাইতে শুরু করবে - তখন, আমার হিসেবে, গুপির সূচনা হবে। আমি নিশ্চিত আমার মত অনেকেই এরকম কোন এক্স্টার্নাল এনটিটির প্রমান পাননি। তখন কি হবে?
    বিপাসনা টেকনিক (যেটা বুদ্ধ শুরু করেছেন বলে আমি এখনো ভাবছি, আর অরিনও সেরকম বলছেন) মন শান্ত করার জন্য প্রথমে নিজের শরীরে ফোকাস করতে বলছে। মন আস্তে আস্তে শান্ত হলে আরো ফোকাস বাড়াবার গল্প আছে।
    এখ্ন, আমি যে এক্সিস্ট করছি - তার কিনা ভুরি ভুরি প্রমান পেয়েছি। মনে হয় আপনারাও নিজেরা এক্সিশ্ট করছেন কিনা নিত্যি নিত্যি তার প্রমান পেয়ে থাকেন। সুতরাং এই মেথড কাউন্টার করাটা শক্ত।
    আর, এই সব করতে গিয়ে বুদ্ধ কিনা ধর্মঠাকুর বনে গেলেন!

    ডিঃ সব ব্যক্তিগত অভিমত। কারো ভাবাবেগে আঘাত দিলে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী
  • | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৯452486
  • উহ! নাহলে একটু জোরে এন্টার মেরেছি তাই বলে ...
  • | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৫:০৮452485
  • মোহন ভাগবতের গদা। :-p
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:9923:4504:886d:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৪:৫৭452483
  • মোহ তাড়াবার গদা।
  • ?? | 185.22.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৪:৪৪452482
  • 'মোহমুদগর' মানে কী? মায়াবী গদাটাইপের কিছু ?

  • | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১৪:০৭452480
  • ইশানের দেখলাম ভিডিওটায় পরিচয় লিখে রেখেছে 'সাহিত্যিক ও লেখক'।
    এও সেই 'খুন ও হত্যা' টাইপ বাংলা
  • সিএস | 2405:201:8803:be5f:9923:4504:886d:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:৫৪452479
  • b, বাকীটা লিখে ফেলার ইচ্ছে আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত