এনাউন্সমেন্ট তো করতেই পারে।নিজের দেশের স্বাস্থ্য এপ্রুভ করেছে। ঢপ কোন বেসিসে বলা হচ্ছে?
আমাদের দেশে DCGI সেন্ট্রাল সংস্থা।সেটি কোন মেডিসিন এর ট্রায়াল ওয়েভ করতেই পারে।এই ঔষধ টি যেমন করেছে। যে কোন দেশ এর I এরকম সেন্ট্রাল সংস্থা থাকে। অবাক হবার কিছু নেই তো!
এই যুক্তি এখনো বুঝছি না। একটা দেশ দুটো ফেজ ট্রায়াল এর পর ঘোষণা করেছে,তাদের ভ্যাকসিন কার্যকরী। এবং যে সংস্থা করেছে,তাদের সুনাম আছে বিশ্ব জুড়ে।
চায়না ও একই ভাবে ভ্যাকসিন তৈয়ারী করেছে।ফেজ থ্রি র আগে আর্মির লোকজন কে দিয়েছে।
দুটো বড় দেশ ই ফেজ থ্রি ট্রায়াল এর জন্য অপেক্ষা করে নি। নিজের পোস্টে বললেন ফেজ থ্রি কমপ্লিট হতে এক থেকে দু বছর লাগবে। তো, অতোদিন বহু দেশ ই অপেক্ষা করতে রাজি নয়।বহু মানুষ ও নয়। এই জন্যই পাব্লিক ডিবেট দরকার।
রাশিয়ার তৈরী ভ্যাকসিন ঢপ,এটা বিশেষজ্ঞ গণ বলে নি তো!
রাশিয়া দুটো ফেজ দেখে ভ্যাকসিন কার্যকরী বলেছে এবং ব্যবহার যোগ্য বলেছে। ফেজ থ্রি হবে অনগোইং ট্রায়াল।প্রথম ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পাবে স্বাস্থ্যর সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য দপ্তর এটির পাব্লিক ইউজ একসেপ্ট করেছে। প্রাইরিটি হিসাবে প্রথমে পাবে হেল্থ ওয়ারকর্স ।পরে সাধারণ জনতা।
সঙ্গে,ফেজ থ্রি ট্রায়াল চালিয়ে যেতে আপত্তির কি আছে??যদি দেখা যায় দুনিয়ার সেরা ভ্যাকসিন গুলোর সমতুল্য;তাহলে সেটা বাড়তি পাওনা।
চায়নাও একই জিনিষ করেছে।ওদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি হলো আর্মির লোকজন।ওরাও ফেজ থ্রি চালু করেছে বা করবে বিভিন্ন দেশে।পেপারে পড়লাম, বাংলাদেশ সম্মতি দিয়েছে।আরো অনেক দেশ দিয়েছে।
এলন মাস্ক কী কিছু বানাচ্ছে না?
রাশিয়াও তো শর্ট সার্কিট করে নি!ফেজ থ্রি তো ওদের দেশেও চালু হবে।মাল্টি সেন্ট্রিক হবে।পৃথি বীর বিভিন্ন দেশ জুড়েই হবে। ফিলিপিন্স ও ব্রেজি ল সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। বরঞ্চ মর্ডানার ভ্যাকসিন ট্রায়াল দুনিয়া জুড়ে হবে না।
বিতর্কের বিষয় হলো,মানুষ পুরো ফেজ থ্রির জন্য অপেক্ষা করবে।না, মহামারীর ভয়াবহতা দেখে ভ্যাকসিন নেওয়া যুক্তি যুক্ত মনে করবে।
এখানে রাষ্ট্র ও ব্যক্তি দুজনেরই বক্তব্যে গুরুত্ব দিতে হবে।আজ ই আমি আমার পরিচিত এক যুবকের মৃত্যু সংবাদ পেলাম। সাঁইত্রিশ বছর বয়স। মাত্র তিন দিনের জ্বর,একদিনের শ্বাস কষ্ট।বহু পরিবার কে সাহায্য করেছে গত চার মাসে। কি পরিস্থিতি!
ফেজ থ্রি শেষ করতেই বছর দু ই লেগে যাবে।তারপর তো ডেটা অ্যান্যালিসিস !। পৃথিবীর সব কোম্পানী কেই কম্প্রোমাইজ করতে হবে।অর্থাৎ ফাস্ট ট্র্যাক ব্যাপার, স্যপার!
যেমন মর্ডানা কোম্পানী ফেজ থ্রি ট্রায়াল বিভিন্ন দেশে, করছেই না।খালি ইউ এস এ অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং উহাদের তৈরী ভ্যাকসিন,কেবল এই যুক্তিতেই বাতিল করে দেওয়া যায়। এফ ডি এ ওদের গো এহেড বলেছে।মানে ফ্লাউটিং কিছুটা হয়েই গেছে। এরকম প্রচুর সূক্ষ্ম ব্যাপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
@dc: "ফেজ ৩ শেষ হতে বোধায় (আমার আন্দাজ, আমি একদমই ভুল হতে পারি) দু বছর লাগবে না, কারন কয়েকটা ভ্যাক্সিন পিয়ার রিভিউ প্রসেস দিয়ে যাচ্ছে আর পাবলিকলি রেজাল্ট শেয়ার করা হচ্ছে। পাবলিক প্রসেসের সুবিধে হলো, অনেকে মিলে সেটা ক্রিটিক করতে পারে আর মোটামুটি একটা ধারনা করা যায় সেটা কোন দিকে এগোচ্ছে। "
এর সঙ্গে ভ্যাকসিন Phase III Trial শেষ করার কি সম্পর্ক আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, আরেকটু বুঝিয়ে লিখলে ভাল হয়।
কোন ওষুধ (বা ভ্যাকসিন ধরুন এক্ষেত্রে) বাজারে আসার আগে একটা রেগুলেটরি প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায়। আমেরিকায় যেমন ়FDA (@sm এর আগের পোস্ট দেখুন, "কেন ,প্যানিক করবে কেন? এফ ডি এ আছে কি করতে?? স্ট্রিক্ট গাইড লাইন মেনটেন না করে,বাজারে ছাড়বে কি করে?"), একেক দেশে একেক নাম। এই প্রসেসটি সাধারণত বেশ দীর্ঘ এবং বিস্তর বাদানুবাদপূর্ণ। তাছাড়াও WHO'র একটা Target Product Profle এর সঙ্গে ভ্যাকসিনকে মেলানোর একটা ব্যাপার আছে। কোভিড ভ্যাকসিনের Target Product Profile টা পড়ে দেখুন, বুঝতে পারবেন যে এই ভ্যাকসিন তৈরীর কি হ্যাপা, কতকিছু খেয়াল রাখতে হয় (https://www.who.int/docs/default-source/blue-print/who-target-product-profiles-for-covid-19-vaccines.pdf?sfvrsn=1d5da7ca_5), তাও সব সময় সবটা মানা সম্ভব নয়। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে ৫০% মত কাজ করলেই চলবে। সেটুকুও বহু ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না হয়ত।
এ তো একটা দিক। তারপর ভ্যাকসিন সম্পর্কিত অন্য কতগুলো আশঙ্কা আছে । এমনিতে সাধারণত, সব ভ্যাকসিনেরই কিছু reactogenicity থাকে, যেমন ধরুন যে জায়গাটিতে দেওয়া হল, জায়গাটায় ব্যথা করে, গাযে সামান্য জ্বর আসতে পারে, এই ধরণের কিছু ব্যাপার। উৎসাহী পাঠকরা ক্যারোলিন হার়্ভির লেখা আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন (https://www.nature.com/articles/s41541-019-0132-6), বেশ ভাল করে সহজ ভাষায় বোঝানো।
এছাড়াও আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হতে পারে যাকে বলে Antibody Dependent Enhancement | ব্যাপারটা কিরকম জানেন? ধরুণ টিকা দেওয়া হল, এতে করে শরীরে Antibody তৈরী হল ঠিকই কিন্তু সে Antibody শরীরকে রক্ষা করার জায়গায় উল্টে কোষের মধ্যে ভাইরাস ঢুকতে সাহায্য করল! দুতিন বছর আগে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন (Dengavxia) নিয়ে এইরকম একটা ব্যাপার লক্ষ করা গিয়েছিল। sars-cov-2'র গতিপ্রকৃতি দেখে কোন কোন বিজ্ঞানী মনে করেন আগের SARS আর MERS এর কারণে এবারে একটা ওই ধরণের ADE গোছের কিছু হয়ে থাকতে পারে (দেখুন: https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7384506/, "SARS-Cov-2: A piece of bad news") |
কাজেই তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন তৈরী করে বাজারে নিয়ে এলে, সে যদি কাজ না করে বা কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাতে হিতে বিপরীত হবার সমূহ সম্ভাবনা। এতে করে পরবর্তী কালে যদি আরো উন্নতমানের ভ্যাকসিন কেউ আবিষ্কার করেও, তাকে মানুষের কাছে পৌঁছনোর সমস্যা হতে পারে। ধরুণ, একশো লক্ষ লোক যদি ভ্যাকসিন নেয়, আর ১% লোকেরও প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলেও অন্ততপক্ষে এক লক্ষ লোকের ক্ষতি হতে পারে, সংখ্যাটা তুচ্ছ নয়।
কেন ,প্যানিক করবে কেন? এফ ডি এ আছে কি করতে?? স্ট্রিক্ট গাইড লাইন মেনটেন না করে,বাজারে ছাড়বে কি করে? তাহলে এফ ডি এ কে ছেলে বেলার খেলার সাথী বলতে হয়!
পিছনে বড় খেলা আছে।সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
ফেজ থ্রি শেষ হতে মিনিমাম দু বছর লাগলে,লোকজন দু বছর অপেক্ষা করবে??
দুই, এই ভ্যাকসিন সম্পর্কিত আশঙ্কা গুলো কি কি??
#লিস্টে