লাদাখে চীন গোটা পাঁচেক জায়গায় এগিয়ে এসেছিল। একটা পয়েন্টে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে, বাকীগুলোতে একই জায়গায় রয়েছে। ভারতের সেনা কিছুটা পিছিয়ে এসে বাফার জোন তৈরি করেছে। চীনাদেরও মাঝে মাঝে পিছিয়ে গিয়ে বাফার জোন আরো বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, যেটা তারা বিশেষ শুনছে না। খবরগুলো আমাদের তরফ থেকে খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয় বলে বিশেষ উচ্চবাচ্য হচ্ছে না আর।
ছিল তো । কলকাতায় ছপ্পন ভোগ নামএ একটা মিষ্টির দোকান ও আছে।
আহা , ছপ্পন তো আসবেই, ন'মণ আর ছপ্পন দুজনেই।
মানে ভজন , পূজন , নমন , ছপ্পন হলে কাজ সুসম্পন্ন হয় আর কি ।
@Amit, দারুন লিখেছেন, সব কটা পয়েন্ট-ই. ।
দেখুন, এখন অবধি বেশ কয়েকটা দেশ কিন্তু মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তারপর আবার করোনার পুনরুত্থান হলেও করেছে। আমরা তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ছেড়ে দিন, জার্মানি কে দেখুন, ইতালিকে দেখুন, খুব খারাপ কিছু করছে না কিন্তু। কাজেই বড় জনসংখ্যার দেশগুলোতেও করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে তো। অস্ট্রেলিয়া কেই দেখুন না, মানছি মেলবোর্ন নিয়ে সমস্যা হয়েছে, কিন্তু মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অর্থাৎ, ছোট ছোট আঞ্চলিক আউটব্রেক হয়তো হবে, তবে সেগুলো কে সামলালে বা অন্তত ক্লাস্টারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করলে দেখবেন এই সমস্যার হাল হবে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই systematically না করলে গন্ডগোল বাড়বে।
এবার ইন্ডাস্ট্রি। কি যে হতে পারে, হতে চলেছে কে জানে? কারণ, যেমন লিখলেন, গোটা দুনিয়াটাই কানেক্টেড, কোথা থেকে কোথায় এফেক্ট হবে, কি হবে, সবটাই কালগর্ভে। নিউ জিল্যান্ডের ডেয়ারি ইন্ডাস্ট্রি'র বড় খরিদ্দার চীন আর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। এই মার্কেট টাকে Fonterra বহুদিন ধরে তৈরী করেছে (মনে করে দেখুন চীনের লোক, দক্ষন এশিয়ার মানুষ traditionally খুব একটা দুগ্ধজাত খাবার বা পণ্য তৈরী নিয়ে মাথা ঘামায় নি, চিনে খাবারে সেভাবে আপনি মিষ্টি পাবেন না, দক্ষিণ এশিয়ার মিষ্টি মানে নারকোল আর চালের মিষ্টি, এর কিছু ফিজিওলোজিক্যাল কারণ আছে, মোট কথা, সেই বাজারে দুধ বেচার জন্যে নিউ জিল্যান্ড বিস্তর কাঠ খড় পুড়িয়েছে এক সময়। এখন স্যান লু, চাইনিস দুধ কোম্পানি'র টিনে দেখবেন নিউ জিল্যান্ডের Canterbury 'র মাঠের ছবি, সেখানে গরু চরছে। শুধু তাই নয়, এই করতে গিয়ে নিউ জিল্যান্ড নিজের দেশের পশু পালন ও খামারের চরিত্রটাই পাল্টে ফেলেছে। আগে যেখানে ভেড়া পালন হতো (বলা হতো নিউ জিল্যান্ডে মানুষের থেকে ৪০০ গুণ বেশি ভেড়া চরে বেড়ায় ), সেদেশে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ দ্বীপের Canterbury অঞ্চলে এখন নেদারল্যান্ড্স বাদ দিলে সবচেয়ে বেশি গরু চারণের জমি তৈরী হয়েছে । এর কিন্তু সুদূরপ্রসারী এবং সমূহ ঝামেলা, এই ভয়ঙ্কর গোপালনের ফলে বহু জায়গায় জলের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে এখন একে spare parts এর ঝামেলা, তার ওপরে এশিয়ার বাজার পড়ে গেলে অর্থনীতির বারোটা বাজতে খুব দেরি নেই।
যাই হোক, অর্থনীতি, সমাজ, মানুষের মানসিক অবস্থা, সব মিলিয়ে কোরোনাভাইরাস একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে কে জানে। এবং আমরা যে যেখানে আছি প্রত্যেকে এর আওতায়।
তাই বলুন। আমি নমন কথাটা পড়ে ভাবছিলাম, ওখানে ভজন পূজন এর সঙ্গে বুঝি ন'মণ লাশের অধিকারী অমিত শাহের আগমন হবে। ভদ্রলোক covid ১৯ এ ভুগছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়বে? তখন মনে হল হয়তো নমস্কারের কথা বলছে।
https://www.youtube.com/watch?time_continue=125&v=zaaTZkqsaxY&feature=emb_logo
ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার।
দেখবার মতন ।
"আজ নাকি ভূমিপূজন ও ভজন ও নমন হবে"
নমন কি? নমস্কার?
"আমিও অ্যাসিম্পটোটিক দেখে ঘাবড়ে গেছিলাম"
"মা গো!", এসিম্পটোটিক এসিম্পটোটিক্যালি এসিম্পটো"মা"টিক কে এপ্রোচ করছে।
;-)