আমায় ডিডিদার পোস্ট-প্রতি আড়াইশো গ্রাম হীরে কবুল করলে আমি ডিডিদাকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে পারি।
অনেক দিন পরে এলাম। পাঠকের মন্তব্য নিয়ে আমার নিজস্ব একটা মত আছে। সম্ভবত এর আগেও হয়তো করেছি। সেটা হচ্ছে, বুলবুলভাজায় প্রকাশিত প্রচুর লেখক নিজে পাঠকের কোনও মন্তব্যের উত্তর দেন না। এটা আমার ক্ষেত্রে বহুবার ঘটেছে। তাঁরা কি মন্তব্য দেখেন না, নাকি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না কিংবা লেখা দিয়েই ধন্য করেন - সেটা বলতে পারব না। কিন্তু এই আদানপ্রদানটা অত্যন্ত জরুরি। ওই কারণে ইদানীং বুবুভার লেখা পড়ি কিন্তু মন্তব্য করার বিষয়টা এড়িয়ে যাই। আমার নিজস্ব মত, এ ব্যাপারটা গুরুর লোকজনদের দেখা উচিত।
আরও একটা বিষয়। সেটা হচ্ছে বুবুভার লেখায় একরকমের ফর্ম্যাটিং এবং খুব পাকা হাতের ফর্ম্যাটিং নিঃসন্দেহে। এই সুযোগটা থেকে যাঁরা ব্লগ লেখেন বা ব্লগ ছাড়াই নতুন আলোচনা শুরু করেন, তাঁরা কেন বঞ্চিত হন সেটা জানি না। এটাও ভাবা হোক।
আর আমিও একমত, একসঙ্গে হুড়মুড়িয়ে একাধিক লেখা চলে আসলে দু-চারটে লেখা তার প্রাপ্য মনোযোগ হারাতে বাধ্য।
আগে একটা ল্যাখা লিখলে লাখে লাখে লোক পড়ত। কয়েকবার তো কোটিই ছাড়িয়ে গেছিল। এখন দশই ছাড়ায়না। কতবার আর নিজের ল্যাখা পড়া যায়!
টিমের সঙ্গে একমত। ২০০৭ থেকে গুরুর পাতা দেখছি।
এখন অনেক নতুন লোকজন, লেখাগুলো অনেক তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ লেখা। বুবুভা নিয়ে ভাবা দরকার। এতগুলো ভালো লেখা প্রায় গায়ে গায়ে --একটু অসুবিধে হয় । ভালো লেখা মিস করে যাই।
আসলে তখন ফর্মেশন পিরিয়ড। ফর্ম্যাট নিয়ে ভাবা হচ্ছে। নতুন সব আইডিয়া আসছে। তাই যাই হত সব দারুণ মনে হত । চটিবইয়ের আইডিয়াটাই ধরা যাক ।
কী হারিয়েছে?
তা হল চিমটি কাটা ও আড্ডার মেজাজ (ভাটিয়ালি বাদে), এখন লেখাগুলো একটু গম্ভীর। বলা ভাল লেখার টোন। তখন একটা ছোট পরিবার ফিলিং ছিল। যেন যাদবপুর এলাকায় নতুন কলোনি গড়ে তুলছি। এখন অনেক বেশি প্রফেশনাল মেজাজ। নিঊ টাউন গড়ে উঠছে। এটা বড় হবার মূল্য, চোকাতেই হবে।
তিনচারটে খুব মনে পড়ে।
ডিডির শুক্কুরবারের পদ্য, আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ি ও হুতোমের বাক্যালাপে বঙ্গের রেনেসাঁর মূল্যায়ন, লেনিন বা মার্ক্স নিয়ে ঈশান ও বৈজয়ন্তের উতোরচাপান এবং আইপিএল এ চিয়ারলিডারগিরি মেয়েদের ক্ষমতায়ন কিনা তা নিয়ে ঈশান এবং স্যানের বিতর্ক।
আচ্ছা সানিতাপাল( সানিদেওল) কি ব্রুসদাকে নকল করেন?নাকি আমারই এমন মনে হয?