ঋতুপর্ণ তো অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রাজশেখর বসুর মহাভারত ওঁর খুব প্রিয় বই।
'কোনো সাহিত্যসভায় এঁরা দুইজন উপস্থিত' হলে কি হত ?
আরেকটি বইয়ের নাম কাউকে করতে শুনিনা । বেশ কয়েক খণ্ড । শঙ্করনাথ রায়ের 'ভারতের সাধক' ও ভারতের সাধিকা' । বোধহয় রবীন্দ্র পুরষ্কার পেয়েছিল । স্কুল জীবনে পড়তে বেশ লাগত ।
রামকৃষ্ণ মিশনের পাব্লিকেশনের একটা বইই আমার ভাল লেগেছে স্বামী সারদানন্দের 'শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ লীলা প্রসঙ্গ' । বইটির প্রথম খণ্ড বাড়িতেই পড়েছিলাম । দ্বিতীয় খণ্ডটি কিনেছিলাম বিদেশে যাওয়ার সময় । নিয়ে গেছিলাম । অল্প কয়েক বছরের জন্যে বিদেশে গেলে বেশী বই নিয়ে যাওয়ার মত ভুল কাজ আর কিছু হতে পারেনা। আমি তাই করেছিলাম। আসার সময় এক সুটকেস বই ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম ভগ্ন হৃদয়ে । 'লীলা প্রসঙ্গ' টা এয়ারপোর্ট অবধি এনেছিলাম । ব্যাগে ঢোকানোর সময় দেখলাম ওটা আনলে লীলা মজুমদারের 'পাকদণ্ডী' আনতে পারব না। ওটা ছোটবেলায় কেনা বই । তাতে স্বয়ং লেখিকার স্বাক্ষর । দুই লীলার মধ্যে 'মজুমদার' র জয় হল। 'লীলা প্রসঙ্গ' এয়ারপোর্টেই একটু খুঁজে পেতে কাকুতি মুখে এক বাঙালিনীর হাতে গুঁজে দিয়ে এসেছিলাম । বইয়ের টাইটেলে 'ঠাকুর' নাম থাকায় সেও আর 'না' করতে পারেনি ।
"ভাবুন দেখি পরশুরাম আর ঋতুপর্ণ ঘোষ --- কোনো সাহিত্যসভায় এঁরা দুইজন উপস্থিত!!!"
হ্যাঁ, আর মীর কে অ্যাঙ্কর করেছে।
"সেদিন চশমা পড়া খেলোয়ারদের নাম হল। কেউ ক্লাইভ লয়েডের নাম করলো না?"
না না, করেছিল, প্রথমেই ছিল। বরং পঙ্কজ রায়ের নামটা বাদ পড়ে গেছিল, তারপরো অংশুমান গায়কোয়াড়, তাঁকেও ধরা হয়নি। অবিশ্যি সে সব ধূসর অতীত।
এহে, ভুল লিখলাম, কেষ্ট না, লালিমা পালের পিছন পিছন। তখন তার ওইরকম নাম সদ্য গ্রহণ করেছে। আজকালকার দিনে লিখলে ভদ্রলোকের কপালে ব্যথা ছিল।
পরশুরামের চলচ্চিত্ত চঞ্চরী গল্পে আশু মুখুজ্জ্যে কেষ্টর পিছনে ডিকশনারী নিয়ে তাড়া করেছিলেন।
আমার বইয়ের শিক্ষক কেসিবাবু ঠিকই ধরেছেন - হরফের উপনিষদ, উদবোধনের গীতা। পরকালের হিল্লে।
উপনিষদ'টা উদ্বোধনের ছিল? নাকি 'হরফ'এর?
ছোটকাকা কভিড পজিটিভ হয়ে দশ দিন নার্সিংহোমস্থ ছিলেন । হাইলি ডাইবেটিক । এগারো দিন বাদে আজ বাড়ি আনা হল । নার্সিংহোমের ফরম্যালিটি (ইনক্লুডিং মেডিক্লেম) পূরণ হতে দুদিন লেগে গেল ।
অভি কী প্রফেশনাল কাজে গীতা পড়েছে? তাহলে নো ডাম্পুলি ফর ইউ।
আমি তো গেলবার দেশে গিয়ে উদবোধনের উপনিষদ নিয়ে এসেছি। ঋকবেদ আর গীতার ইংরিজি আগেই ছিল। আঃকঃবা!
কলেজ জীবনে আমার ঘরে একপিস চটি, পকেটসাইজ বটতলার গীতা কী করে যেন জুটে গেছিল - শ্রাদ্ধ-ফাদ্ধয় বোধহয় উপাচারে দিতে হয়। ওপরের ক্যালেন্ডার-কাটিং ছবি রঙীন সিল্কের ধুতি, মাথায় লম্বা মুকুট-টুকুট পরে ফুল রিগ্যালিয়ায় কৃষ্ণ আর অর্জুণ টাঙায় চড়ে যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধবদের কেউ বাজে ঢপ দিলে বা দুষ্টু কাজ করে এলে সেরেমোনিয়াসলি তাকে গীতাটা দেওয়া হত। সেই থেকে গীতা পড়ার শখ।