গীতার দর্শন আদতে এক্সিস্টেনশিয়ালিস্ট দর্শন। "ফলের আশা না করে কাজ করে যাও" বহু দেশেই পণ্ডিতেরা বলে থাকেন - এমন কি ক্যাপিটালিস্টরাও বলে। দান্তে লিখেছিলেন "অ্যাবানডান অল হোপ" - সেও তো এই একই কথা। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার আগে সেনাপতিরাও এই বলে সৈন্যদের তাতাতেন
de | 182.57.83.168 | ১৮ জুলাই ২০২০ ২২:১৩
আমার ধারণা রঞ্জনবাবু যেহেতু এখন গীতা নিয়ে চর্চা করছেন, উনি লিখলেই জমবে ভালো।আসলে আমি এমন একটা কাজে ফেঁসে আছি এ মুহূর্তে যে আলাদা টই খোলার আর এনার্জি অবশিষ্ট নেই। তবে ইচ্ছে রইল এই নিয়ে পরে কোনও এক সময়ে পূর্ণাঙ্গ পোবোন্দো লেখার।
@সি এস।ইমিউনিটি খুব জটিল জিনিষ। করোনা ভাইরাস এর চরিত্র ও খুব জটিল। এর আগে সার্স ভাইরাস এপিডেমিক এর সময় দেখা গেছে প্রায় তিন বছর অবধি ইমিউনিটি একটিভ থাকে। কিন্তু কোভিড একই গ্রুপের ভাইরাস হওয়া সত্বে ও ইমিউনোগ্লোব্যুলিন লেভেল তাড়াতাড়ি কমে।
এর মানে এই নয়, কোভি ড ১৯ আক্রান্ত রোগীর ইমিউনিটি খুব তাড়াতাড়ি শরীর থেকে চলে যাচ্ছে। এর স্বপক্ষে বড় প্রমাণ হলো প্রায় জানুয়ারি থেকে এপিডেমিক চলতে থাকলেও , কনফার্মড রি ইনফেকশন কেস পাওয়া যায় নি।
তাহলে এই রি ইনফেকশন রুখছে কে?সম্ভবত মেমোরি ও হেল্পার টি সেল।যাদের কাছে ইনফেকশন বা এন্টিজেন এর ফিঙ্গার প্রিন্ট থেকে যায়। অর্থাৎ আবার ইনফেকশন হলেই ,সমস্ত টি ও বি সেল কে বার্তা দিয়ে দেবে,জলদি প্রয়োজন মতো ইমিউনোগ্লোব্যুলিন বানানোর জন্য।
আশার কথা,ইউ কে( অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন) ওইউ এস এ (মর্ডানা ভ্যাকসিন) দুটোতেই গুড এমাউন্ট অফ টি সেল রেসপন্স বা সাড়া দিচ্ছে,সেটা দেখা গিয়েছে।
দুটো অনুমান।ভ্যাকসিন মোটামুটি কার্যকর হবে। এবং কমপক্ষে বছর খানেক ইমিউনিটি প্রদান করবে। তাই ভ্যাকসিন হয়তো বছরে একবার করে দিতে হতে পারে। কুত্তার লাক হলে বছরে দুবার।--))
দে রঞ্জনবাবুর ফোন নম্বর ভাটে দেখামাত্র আমি আজই ওঁকে ফোন করেছিলাম। ঘন্টাখানেক আড্ডা মারলাম দুই অসমবয়সী মানুষ। মনেই হল না জীবনে প্রথম কথা বললাম ওঁর সঙ্গে। রঞ্জনবাবু বা অন্য কেউ যদি আলাদা টই খোলেন এবং সেখানে এই বিষয়ক সকলের প্রতিটা মন্তব্য থাকে, তাহলে আমি অন্তত রাজি আছি।
দেখব বলে ছাদে দাঁড়িয়ে আছি - কিন্তু আকাশে মেঘ, এখানে আলোও প্রচুর। আশা নেই খুব একটা