কি যে করেন মাইরি! বিষয় থেকে সরে গিয়ে বিষয়ী নিয়ে লড়াই! সেই তিনো-মাকু-নকু টইয়ের মত।
@এলেবেলে,
আপনি কি শর্টপিচ বল পেলেই হুক বা পুল করতে চান? ডাক করা যায় না? ব্যক্তিগত চিমটি কাটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আগুন নেভাতে আরও আগুন ? নাকি জল ঢালবেন?
আমার রি-জয়েন্ডারঃ
১ 'অষ্টাদশ শতক'এর ১৬.৪১ এর পোস্টে দেখছি উইলকিন্স মূল সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে গীতার অনুবাদ করেছিলেন--অবশ্যই মহাভারতের থেকে বেছে নিয়ে ।
ইহা বোধগম্য-- সংস্কৃত থেকে ইংরেজি। কিন্তু কালীপ্রসন্নের গদ্যানুবাদ থেকে উইলকিন্স গীতার সংস্কৃত পদ্যানুবাদ করলেন? এটা বুঝতে আমার অসুবিধে হচ্ছে।
২ গীতার প্রাচীন ভাষ্যগুলিঃ
অদ্বৈত বেদান্ত বা শৈবস্কুলঃ শংকরাচার্য্য (নবম শতক) , তার টীকা আনন্দগিরি( ১৩ শতক) , তার দীপিকা করলেন মধুসূদন সরস্বতী ( ১৬শতক )--
এবার বিশিষ্টাদ্বৈত বা বৈষ্ণব স্কুল ঃ যমুনাচার্য (১১ শতক), রামানুজাচার্য(১১শতক), নিম্বার্কাচার্য ( ১২ শতক), মধ্বাচার্য (১৩শ) জ্ঞানদেব (১৩শ) -- লিস্টি বাড়াব না । এর থেকে কি দাঁড়ায় না যে একহাজার বছর আগে থেকেই গীতার মহাভারতের অংস হয়েও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকৃত ছিল । কারণ গোটা এপিকের ন্যারেটিভের মধ্যে ওটাই কংক্রিট এবং কম্প্যাক্ট দার্শনিক আলোচনা।
মার্ক্সের ক্যাপিটালের অংশ হয়েও 'থিওরি অফ সারপ্লাস ভ্যালু' তিন খন্ড কি স্বতন্ত্র মর্যাদা পায়নি? বা গ্রুন্ডিশে ও ক্রিটিক অফ পলিটিক্যাল ইকনমি? বা মাওয়ের রেডবুক?
আর এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়ম জোন্স এবং ভারতবিদ্যার চর্চার পায়োনিয়র ইংরেজকুল কত বড় 'বদমাইশ' সেটা স্বতন্ত্র আলোচনার বিষয় হতেই পারে। এলসিএমের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।
কিন্তু উইল্কিন্সের আগে গীতা আমাদের অজানা ছিল -- এটা আপাততঃ মানতে পারছি না।
৩ এহ বাহ্য
আমি চাইছিলাম এসব এড়িয়ে আজকাল যে সবাই গীতা না পড়েই সেটি নিয়ে উলুত পুলুত এবং কেউ কেউ এই বইটিকে স্কুলে কলেজে ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় অবশ্যপাঠ্য করার কথা বলছেন তা নিয়ে কিছু কথা হোক। আমি নরাধম, বহুবার পড়েও তেমন কিছু পাইনি। অর্জুনের মতই লেগেছে। এবং ফুল অফ কন্ট্রাডিকশন্স। আপনারা প্রাজ্ঞ জনেরা যদি আমার চোখে একটু জ্ঞানাঞ্জন বুলিয়ে দেন, এইটুকুই।
আর কোনো চিন্তা নেই , এ যাত্রা দেশবাসী বেঁচে গ্যালো
বিশ্বের বিত্তশালীদের তালিকায় ৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। লকডাউনে যখন বিশ্ব অর্থনীতি চরম সংকটে, মুকেশ আম্বানির ভাঁড়ার তখনও ভরে উঠছে ধন-সম্পদে। এহেন পরিস্থিতিতে আরও বড়সড় ঘোষণা করলেন নীতা আম্বানি….যা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বুধবার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশেনের বার্ষিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতা বলেন, দেশের কোণায়-কোণায় করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রিলায়েন্সই।
তিনি জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিন যেদিনই আবিষ্কৃত হোক, তা দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। শুধু তাই নয়, নীতা আম্বানি আরও জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যেক জায়গায় যাতে গণহারে টেস্ট করা হয়, সেই জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় পুরসভাগুলির সঙ্গে খুব শীঘ্রই গাঁটছড়া বাঁধবে রিলায়েন্স।
নীতার কথায়, ‘আমি কথা দিচ্ছি, যেদিনই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হবে, আমরা জিও’র ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন ও সাপ্লাই চেন ব্যবহার করে দেশের প্রতিটি কোণায় তা পৌঁছে দেব। দেশের সব মানুষের যাতে করোনা টেস্ট হতে পারে, তার জন্যে আমরা কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলছি।’
এ আবার কি? গপ্পো নাকি ? বাঁদর পাজি লক্ষীছাড়া
ডিল নিয়ে রংতামাশা ? পিটিয়ে তোমায় করছি খাড়া
নচিকেতা লিখে গ্যাছেন
কে যে কখন কার পিছনে কার কথা টা খাঁটি
আসলে ,
সবাই সবার পিছনে আর সবার হাতেই কাঠি
অষ্টাদশ শতক, কোম্পানির শাসন। কলকাতা ও বারাণসীর ঘিঞ্জি মহল্লায় তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কেরানি চার্লস উইলকিন্স অনুবাদ করছেন মহাভারত। তিনি গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসকে খসড়া পাণ্ডুলিপিটি পড়তে দেন। কৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথনটি আলাদা করে নেন হেস্টিংস। তার পরই ১৮৭৪ সালের ৪ অক্টোবর কোম্পানির চেয়ারম্যান ন্যাথানিয়েল স্মিথকে তাঁর চিঠি: ‘এই পত্র যাকে নিয়ে, সে এর বিন্দুবিসর্গ জানে না।’ আরও জানান, কোম্পানির অর্থ-দাক্ষিণ্যে এই বই মুদ্রিত হওয়া উচিত। পরের বছরই কোম্পানির খরচে লন্ডনে উইলকিন্সের ‘Dialogues of Kreeshna and Arjoon in Eighteen Lectures with Notes’ বইয়ের প্রকাশ। সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনূদিত প্রথম বই। তার চেয়েও বড় কথা, পুঁথির আমলে আলাদা গীতা ছিলই না। সে ছিল মহাভারতে, শাস্ত্রীদের ভাষ্য ও টীকায়। বিদেশি শাসকের উদারতা ও খ্রিস্টধর্মের সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়ার কারণে যে বইয়ের জন্ম, বিদেশমন্ত্রী তাকেই জাতীয় গ্রন্থ বলেন!
@এলেবেলে
বেশ কিছুদিন পরে গীতা নিয়ে আপনার আবির্ভাব ও 'ভাটিয়ালি'র ভাটায় জোয়ার। আপনার কয়েকটি মেসেজ পড়লাম । আসলে এ বিষয়ে (গীতার উৎস সন্ধান) পড়াশোনা বা গবেষণা একেবারে করিনি । গীতা প্রেসের ভূমিকা নিয়ে অক্ষয় মুকুলের বইটির কয়েকটি রিভিউ পড়েছিলাম । আপনি দাবী করলেন গীতা ১৩৩ বছরের পুরনো ! 'গীতার জন্মদাতা চার্লস উইলকিন্স। ' এই দুটো পড়ে একটু আঁতকে উঠলেও ভাবলাম দেখি আরো কি লেখেন ! এখুনি উদ্বেগ প্রকাশ করা ঠিক হবেনা ।
গীতা বইটি আমার কোনোকালেই সুবিধের লাগেনা। কোনো ধর্মগ্রন্থই নয়। ওরগাইজড রিলিজনের প্রসার ও প্রচারের জন্যে একটি সারমোনাইজড লিট্রেচর লাগে । সবকটাই তাই। হিন্দুইজম যখন সেই ওরগানাইজড ফর্ম নিল তখন তার একটা ঠ্যাকা দরকার । বইগুলোর উৎস নিয়ে কিছু মিথ ক্রিয়েট করে রাখা হয়। মিথ না থাকলে লোকে ভজে না । যাইহোক, গীতা ছোটবেলায় ঠাকুমার জন্যে পড়তে হয়েছিল । কিন্তু গীতা নিয়ে আলোচনা করে এইটুকুতে উপনীত হয়েছি যে বইটি আদপে একটি ম্যানেজমেন্ট টেক্সট । নানারকম 'যোগ' ইত্যাদি দিয়ে নানা কাজে সবাইকে ডিউটিফুল করা, চুপচাপ যা বলছি করে যাও, বেশী প্রশ্ন করোনা। এসব বলে টলেও অর্জুনকে পারসুয়েড করতে না পেরে শ্রীকৃষ্ণ ফাইনালি অর্জুনকে বোঝাল, আমার কথা না শুনলে ফ্র্যাংকেনস্টাইন হয়ে ঘাড় মটকাবো । আমি যাদু বিদ্যে জানি । মানগত দিক থেকে বইটি পুওর ।
কিন্তু গীতার সৃষ্টি হয়েছে ১৩৩ বছর আগে এটা এই মুহূর্তে বিস্তৃত পড়াশোনা না করে একেবারে মানতে নারাজ । আমাদের দেশে ওর্যাল ট্র্যাডিশন এত সমৃদ্ধ ও সুপ্রাচীন, সেখানে শেষমেশ সেই কৃতিত্ব এক সাহেবকে একবাক্যে কি করে দিয়ে দিই ! এর জন্যে শুধু বই, নথি নয়, জানতে হবে বিভিন্ন ভাষার উপকথা ও ইতিহাস !
তবে ইতিহাসবিদ রিচার্ড ডেভিসের মতে গীতার উৎস ' sometime between the third century BC and the third century CE'। উনি এও বলেছেন একটি 'how the text of the Gita has been embedded in one political setting after another, changing its meaning again and again over the centuries. For what the Gita was in its many pasts is very different from what it is today: the best known of all the philosophical and religious texts of Hinduism.'
যাইহোক আপনার অন্যান্য লেখার মত এবারে গীতার কুরুক্ষেত্র পড়ার জন্যে আগ্রহ রইল ।
একটা কথা মনে হচ্ছে, আমার পিতৃ পরিবারে মহানামব্রত ব্রহ্মচারী দিনের পর দিন এসে পাঠ, কীর্তন করতেন। গীতা নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা শুনতে বাড়ি নাকি ভিড়ে ভেঙে পড়ত । ওঁর 'গীতার ধ্যান' আমাদের বাড়িতে এখনও রয়েছে । আবার এদিকে আমার মাতৃকুলে, আমার মামাবাড়িতে কলকাতার প্রথম গীতা জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখন মনে হয়, এতকাল এসব কি ভাবে লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছিল !!
হুতো, কিসব হাবি জাবি লিখছে!মনে হচ্ছে ভুঁড়িতে মগজ গজিয়েছে।--))
কোত্থেকে জানলাম? "বিশ্বস্ত সূত্রে" (জাদুকর কখনো বলে না)
৩১ সেকেন্ডও মিশনের ধারেপাশে না আসার সুবাদে কত যে যুগান্তকারী ইনফো হাতে / কানে চলে আসে
হুতো, সুপরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথানুযায়ী 'চিরঘুমের দেশে'-র বদলে ওটাকে 'শীতঘুমের দেশে' করে দিলাম। এবং আপাত্ত চুপ করে গেলাম।
এসেমের আনন্দবাজারীয় লিঙ্ক আমি পড়িনি। তবুও নতমস্তকে মেনে নিলাম আপনি সর্বাংশে ঠিক ও আমি ঠিক ততটাই ভুল।
এবং আপনার কাছে পরাজয় স্বীকার করে গোলপোস্ট কাঁধে নিয়ে ফের পেইল্যে গেলাম!
আপ ভি খুশ, হাম ভি খুশ।
প্রেমচক্র
পরশুরাম তার "প্রেমচন্র" গল্পে বেলকাঠের কৌপিনের ডিজাইন এঁকে দেখিয়েছিলেন।
মিশনের মহারাজেরাও শুউনেছি এরকম ইনোভেটিভ জাঙ্গিয়া ডিজাইন কত্তেন।
সবই শোনা কথা - লিং বা রেফারী চাহিয়া লজ্জা দিবেন্না
এলেবেলে র লাস্ট পোস্ট টা পড়ে কলতলার কথা বা গ্রামের পুকুর পাড়ের কথা মনে পড়লো।
যতো আস্ফালন I করুন না কেন দুটো জিনিষ এর রেফারেন্স দেখাতে পারেন নি।
এক,গীতা নাম টা সাহেব দের দেওয়া।এটার রেফারেন্স কি?
দুই,মহাভারত এর খাবলা তুলে অনেকেই অনেক ভাষায় ট্রান্সলেট করেছেন, উইলকিনস এর পূর্বেই। করেছেন যে,তার অনেক উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।আপনি কোন রেফারেন্স দিতে পারেন নি,যাতে বোঝা যায় উইল্কিনস এর আগে কেউ খাবলা তোলে নি।