@রণেন বাবু, সে ব্যাপারে কবি নীরব :)))
অ্যান্টি-গ্লোবালাইজেশন এখন পপুলার কল, ওটা না বলে ভোট পাওয়া যাবে না আর। কিন্তু কথা হল কী কী স্টেপ নেবে সেটা করতে?
মোদি বোধহয় বিশ্বেন্দুদার ক্লাস নিয়েছে। বলছে লোকালে থাকতে, লোকাল জিনিস কিনতে। গ্লোবাল কে বিসর্জন করতে বলেছে
প্রত্যেকদিন 2 লক্ষ PPE তৈরি হচ্ছে দেশে। মানে গত 15 দিনে অন্তত 30 লক্ষ PPE তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হল এত PPE ব্যবহার করছে কারা? সব জায়গাতেই তো ইহা কম পড়িয়াছে
ডাম্পিং ট্যাক্স বসাচ্ছে?
কিছু ভাট বকে!!!
যেখানে একটাও PPE বানাতো না ভারত। সেখানে দিনে দু লাখ PPE বানাচ্ছে।
আর কী চান?
১৯৬৭, ১ মার্চ ; সারাদেশ জুড়ে অধিকাংশ রাজ্যে কংগ্রেসের পরাজয় হয়, অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবাংলাতে আসে যুক্তফ্রন্ট সরকার। যুক্তফ্রন্টের দলগুলির মধ্যে সর্বাধিক ৪৩টি আসন পেয়ে সিপিআইএম নেতা জ্যোতি বসু নিজে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ৩৪ টি আসন পাওয়া যুক্তফ্রন্টের অন্য বড় শরিক বাংলা কংগ্রেসের অজয় মুখোপাধ্যায় কে বয়েসের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রীর পদ-টি ছেড়ে দেন।
১৯৬৭, ২১ সে নভেম্বর ; যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতন হয়।
১৯৬৯, ২৫ সে ফেব্রুয়ারি ; যুক্তফ্রন্ট সরকার আবার ক্ষমতাতে আসে, মুখ্যমন্ত্রী সেই অজয় মুখোপাধ্যায় ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।
১৯৭০, ১৬ সে মার্চ ; যুক্তফ্রন্ট সরকারের আবার পতন হয়।
১৯৬৭ ও ১৯৭০ দু-বার ই জনসাধারণের রায় কে উপেক্ষা করে সরকার ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার ফেলে দিলেও পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস বিরোধিতা পাকাপোক্তভাবে জনমানসে জায়গা করে নেয়। কংগ্রেস থেকে বামপন্থা পশ্চিমবাংলায় এই পরিবর্তনের অন্তর্নিহিত কারণ ও কেন্দ্রীয় বিষয়টি ছিল জমির আন্দোলন অর্থাৎ জমির মালিকানা পরিবর্তন যাকে সীমিত ভূমি সংস্কার বলা যেতে পারে। লক্ষ একর বেনামি ও সরকারের বাস্তুজমি ধনী-জমিদার-জোতদারদের থেকে কৃষকদের হাতে এসেছিলো কৃষকদের মাঠে-ময়দানে ধারাবাহিক ভাবে লড়াই এর শক্তিতে। যা কিনা ঘরে বসে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে, কাগজে-কলমে সই করে তা কখনোই সম্ভব হতো না। জমির এই মালিকানা পরিবর্তনই রাজনৈতিক পরিবর্তন এনেছিল। ধনী-জমিদার-জোতদাররা গ্রামাঞ্চলে কংগ্রেসের শক্তির ভিত, তাদের কর্তৃত্ব এবং ব্যাপক প্রভাব ছিল গ্রামের গরিবদের উপর। জমির আন্দোলন যত এগিয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে তত। কংগ্রেসের নিজেদের জমি হাতছাড়া হয়েছে। দুর্বল হয়েছে তাদের সামাজিক রাজনৈতিক শক্তি।পশ্চিমবাংলার গ্রামগুলি ক্রমশ কংগ্রেস প্রভাবমুক্ত হয়েছে, সেখানে বামপন্থীরা জায়গা করে নিয়েছে বিশেষ করে খেতমজুর ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে।
বর্ধমানের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই নামক এরকমই দুজন জোতদার থাকতেন। ওই এলাকাতে ওনাদের বিঘার পর বিঘা জমি ছিল এবং ওই জমিতে ওনারা নিজেরা কোনোদিন চাষ করতেন না, ভাগচাষীদের দিয়ে চাষ করাতেন। কিন্তু ওই নামেই ভাগচাষী, গ্রামের যে গরিব কৃষক-রা সারাবছর রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলাতেন বছর শেষে তাদের ভাগ্যে জুটতো শুধুই অপমান, লাঞ্ছনা আর লেঠেল বাহিনীর অত্যাচার। সেই সময়ে বর্ধমানের ওই সমস্ত গ্রামে এখনকার মতো ৩ ফসলি চাষ হতোনা, একবারই ফসল হতো যা কিনা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস করে সেই ফসল কাটা হতো। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস এলেই মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই তাদের লেঠেল বাহিনী দিয়ে জোর করে সব ফসল কেটে নিয়ে চলে আসতেন। চাষীরা বাধা দিলে তাদের এমনই মার মারা হতো যে এরপর তাদের জায়গা হতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। সেই সময় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ডাক্তারবাবুদের কাছে একটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ওই ২ টি মাস এর সময় মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর লেঠেল বাহিনীর হাতে মার খেয়ে ভর্তি হওয়া গ্রামের সাধারণ কৃষক-দের কে বাঁচানো।
মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর দাপটে অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিলো যে বর্ধমানের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনের ওই রাস্তা দিয়ে সন্ধের পর কোনো মহিলা নিরাপদ ভাবে যাতায়াত পর্যন্ত করতে পারতেন না। মহিলাদের হাত ধরে টানা, তাদের নোংরা কথা বলা এইসব কিছুই চলতো। ওই এলাকা জুড়ে দু-ভাই মিলে পুরো একটা মাফিয়া রাজ শুরু করেছিল।
শেষমেশ এই অত্যাচারের সীমা এতটাই বেড়ে গেলো যে সমস্ত গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই কে খোদ কংগ্রেস সরকারের আমলেই 'পিডি এক্ট'- এ অভিযুক্ত করে জেলে পাঠানো হয়।
১৯৭০, ১৬ ই মার্চ ; কেন্দ্রের নির্দেশে তৎকালীন গভর্নর ধরমবীর এর দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকার ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে পরেরদিন মানে ১৭ ই মার্চ বামেরা ২৪ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয়।
১৯৭০, ১৭ ই মার্চ ; কংগ্রেস সরকারের আমলেই পিডি এক্ট-এ অভিযুক্ত জেলফেরত আসামী মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তারপরেরও সরকারি আইনকানুন অমান্য করে ওনারা দু-জন সেদিন ওই গ্রামে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধমান জেলার সমস্ত চাষী-শ্রমিক ও প্রান্তিক মানুষের সমর্থনে সেদিন বামেদের এক বিরাট বড় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল বেরোয়।
জেলফেরত দুই-দুষ্কৃতী মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ওই মিছিল কে লক্ষ করে সেদিন বোমা মারেন। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ওনাদের উপরে। জনতার সাথে খণ্ডযুদ্ধে মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই ও জিতেন রায় নিহত হন। তর্কহীন ভাবে অবশ্যই এটি স্বীকার্য যে সেদিন আদিবাসী ও কৃষকদের সংখ্যাগরিষ্টতার স্বতঃস্ফূর্ত ওই মিছিলে হাঁটা মানুষজন আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে এই মৃত্যু আটকালেই বোধহয় ভালো হতো।
কিন্তু অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষা যে সবসময় আইনকানুন মেনে হয়না ! অন্তত পৃথিবীর ইতিহাস সেই কথা-ই বলে। মুক্তিফৌজের সদস্যরা মুসোলিনি কে গুলি করে তার লাশটি ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, এর পর ইতালির সাধারণ নাগরিকরা প্রস্রাব করেছিলেন সেই মুখের উপর। ফ্রান্সের বিপ্লবীরা গলা কেটে দিয়েছিলো অত্যাচারী ষোড়শ লুইয়ের। চীনের সামন্ত শাসকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে শাস্তি দিয়েছিলো সেই দেশের কৃষকরা। রাশিয়ার কৃষকরা হত্যা করেছিলেন সেই দেশের অত্যাচারী সামন্তপ্রভুদের।
তাই ইতিহাস কোনোদিন কোনো অত্যাচারী কে ছেড়ে কথা বলেনা, আইনের শাসনে তার বিচার না হলেও সাধরণ মানুষের আদালতে তার বিচার ঠিক'ই হয়।
১৯৭০, ১৭ মার্চ ; ওই ঘটনার দিন-ই দুপুর ১২.২০ -র সময় জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকার ছাত্র পরিষদের নেতা হিসেবে পরিচিত দিলীপ ভট্টাচার্য, পিতা ব্যোমকেশ ভট্টাচার্য একটি এফআইআর দাখিল করেন। মোট ৬ টি ধারায় (১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩০২/৩৩৬/৩৮০) যার মোকর্দমা নং -৫০, ১৭/০৩/১৯৭০, বর্ধমান থানা তে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে আর প্রায় ১৫০০ জন অজানা লোকের নামে এফআইআর দাখিল করেন।
ওই ৭২ জনের মধ্যে অজিত কুমার মুখার্জী, কল্যাণ দত্ত মন্ডল, মধু, পবিত্র ভট্টার্চার্য, আনওয়ার হোসেন, তাপস মুখার্জী, স্বাধীন চ্যাটার্জী, স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চৌধুরীর নাম ছিল। দাখিল করা এই এফআইআরে বিনয় কোঙারের নাম কিন্তু ছিলোনা।
১৯৭০, ২৮ এপ্রিল ; এই মামলার তদন্তের জন্য তারাপদ মুখার্জী কমিশন গঠিত হয়।
১৯৭০; ২৬ মে ; তারাপদ মুখার্জী কমিশন তার কাজ শুরু করেন।
১৯৭০, ৬ ই জুন ; বর্ধমান টাউন হলে 'মুখার্জী কমিশন' বসেন সাঁইবাড়ির ঘটনার তদন্ত করার জন্য।
১৯৭১, ৮ ই ফেব্রুয়ারি; নতুন করে বিনয় কোঙার সহ আরো ৬ জনের নাম যুক্ত করে আসানসোল ডিডিআই মোট ১১১ জনের নাম চার্জশিট দাখিল করেন।
১৯৭৩, ২১ ফেব্রুয়ারি; কলকাতা হাইকোর্ট আলিপুর দায়রা আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত করার আদেশ দেন এবং তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক গীতেশ ভট্টাচার্যের এজলাসে শুনানি শুরু হয়।
১৯৭৮, ২০ মে ; সাঁইবাড়ি মামলায় মূল অভিযোগকারী দিলীপ ভট্টাচার্য পাব্লিক প্রসিকিউটর মারফৎ এক চিঠিতে জানান যে তিনি আদপে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না, তৎকালীন কংগ্রেস জেলা সম্পাদক নুরুল ইসলামের লেখা অভিযোগ পত্রে সই করেছিলেন মাত্র।
চার্জশিটের অন্য সাক্ষী ইতিকা দত্ত আদালত কে চিঠি মারফত জানান যে তিনি ওই সময়ে শহরেই ছিলেন না।
মৃত মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর জীবিত ভাই বিজয় সাঁই, ভগ্নিপতি আমল কান্তি যশ বিচারপতিকে মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন জানান।
১৯৭৮, ৬ মে ; বিচারপতি রবীন্দ্রকমল কর মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁর রায়ে সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করেন। হাইকোর্ট শেষে রায় দায় - “CHARGES HAVING BEEN FRAMED AGAINST ACCUSED PERSONS OF THE INSTANT SESSION TRIAL CASE THEY ARE, THEREFORE, ACQUITTED OF THE OFFENCES UNDER SECTION 321 (b) CR.PC.”
২০১১, ২০ মে ; মিডিয়ার ভাষাতে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন সাঁইবাড়ি'র হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত সিপিআইএম এর নেতাদের তিনি নাকি এবার জেলের ঘানি টানাবেন। তা বেশ ভালো প্রস্তাব, পশ্চিমবঙ্গের এই পালাবদলে গা ভাসানো বাম বিরোধী নব্য রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের উচ্ছাসের তো আর শেষ নেই। নিয়মমাফিম কয়েক কোটি টাকা খরচ করে প্রাক্তন বিচারপতি অরুণাভ বসুকে চেয়ারম্যান করে 'সাঁইবাড়ি কমিশন' ও গঠন করলেন মাননীয়া। অরুনাভ বাবু ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাঁইবাড়ি ঘুরেও দেখেন।
কিন্তু দীর্ঘ ৯ বৎসর হয়ে গেলেও অরুণাভ বসু কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে কি না বা রিপোর্ট জমা পড়লে তা প্রকাশ পায়নি কেন ! সে সব প্রশ্নে মাননীয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীগন কিংবা বাসে-ট্রেনে-চায়ের দোকানে বা সোশ্যাল মিডিয়ার তর্জাতে সাঁইবাড়ির রক্ত মাখা ভাত খাওয়ানোর কাল্পনিক গল্প শোনানো মানুষজন একদম স্পিকটি নট!
সুযোগ পেলেই এই সেদিন জন্মানো ছেলেটাও তোতাপাখির মতো মুখস্ত করে সাঁইবাড়ির অত্যাচারের কাহিনী বলে গেলেও তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ এই ৫ বছর পেশায় একজন খ্যাতনামা ব্যারিস্টার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর সাঁইবাড়ি কাণ্ডে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি তখন সেই ছেলেটি ও একদম স্পিকটি নট।
আসলে শেষ ৪০ বছর ধরে রক্ত মাখা ভাতের গল্পটা খাওয়ানো হয়েছে কিন্তু ইতিহাসের পাতা থেকে যেটা মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে তা হলো ১৯৭০, ১৭ মার্চ সেদিন সাঁইবাড়ির সেই ঘটনার পর কিছুদিনের মধ্যেই ওই এলাকাতে স্বাধীনতা সংগ্রামী শিবশঙ্কর চৌধুরী সহ ১১ জন বাম কর্মী সমর্থককে খুন করা হয়।
ইতিহাস থেকে এটাও মুছে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান এর কার্জন গেটের কাছে 'যুগ সাহিত্য ভবন' বলে বামপন্থীদের একটি ছোট্ট বইয়ের দোকান ছিল। সেখানে বোমা মারা হয়। আমাদের দুজন কমরেড সাথে সাথেই সেদিন মারা গিয়েছিলেন।
ইতিহাস থেকে এরকম অনেক কিছুই ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর মারা যাবার পর সেদিন পুরো বর্ধমান জুড়ে চাষী-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া সাধারণ বর্ধমান বাসী দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল, তারা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছিল। তারা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল এই ভেবে যে ওই দুজন দুষ্কৃতি'র মৃত্যুর পর এবার অন্তত তারা মানুষের মতো বাঁচতে পারবে।
হাজার বার একটা পুকুর কে নদী বললে পুকুর টা যেমন রাতারাতি নদী হয়ে যায়না ঠিক তেমনি গায়ের জোরে বছরের পর বছর ধরে সাঁইবাড়ির রক্ত মাখা ভাতের গল্প শুনিয়ে গেলেও সেটি সত্যি হয়ে যায়না।
তাই সাঁইবাড়ি নিয়ে যখন ওরা সেই একই রক্তমাখা ভাতের বস্তাপচা মিথ্যে কল্পকাহিনী আপনাকে শোনাতে আসবে তখন আপনি একটুও বিচলিত হবেন না। ওঁদের কাঁধে আলতো করে হাতটি রেখে খুব শান্ত ও বিনম্র ভাবে একবার বলে উঠবেন,
"সাঁইবাড়ি লাল সেলাম "
@ঝুট
আপডেটেড ডিরেক্টরি দেখুন
@ঝুট
কে এই বিশ্বরূপ | 162.158.158.142 | ১১ মে ২০২০ ২০:১৩445009
আমার তো মনে হয় পাতি frustrated লুম্পেন , লক ডাউন এ মদ এর ও সাপ্লাই নেই আর ওই চাদ্দিপনা র চক্করে বৌ ও ছেড়ে চলে গ্যাছে
ওপরের পোস্ট টি র লেখক কে জানাই আপনার ইন্সিকিউরিটি তে ভোগার কোনো কারণ ঘটেনি . এখানে মতের অমিল অনেকের সঙ্গেই হয়েছে কিন্তু আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করিনি
অবাক লাগলো যে কেউ কিন্তু এই পার্সোনাল এটাক এর বিরোধিতা করলোনা
এতো যখন কৌতূহল তখন জানাই যে আমি ছাপোষা মানুষ , চাকুরীজীবি , শিবুদা নোই , IT সেল নই আর বাহিনী বানাবার দম ও নেই
আমার স্ট্যান্ড ও কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরুদ্ধে কিন্তু রেল এক্সিডেন্ট এ আমার বিরোধিতা অনেক সফ্ট কোর ছিল (যেটা আমার নিজস্ব মতামত ও ভুল ও হতে পারে , সেটা তর্কাতীত নয় ). আমি বছর তিন চার এখানে আলোচনা পড়ি কিন্তু পোস্ট এই প্রথম করলাম
কারো যাচাই করার প্রয়োজন থাকে তো ফোন করে নেবেন অন্তত আপনাদের শিবুদা কে বিরক্ত করার প্রয়োজন পড়বেনা
আকা ও অটোজ কে ধন্যবাদ যুক্তি দিয়ে আমার পোস্ট এর উত্তর দেবার জন্য . আকার পান্তুয়া র রেসিপি র জন্য ও ধন্যবাদ , নিশ্চয় ট্রাই করবো
বিশ্বরূপ রায়
917741233932
সৈকত, খুব ভালো প্রস্তাব। আমি আছি