এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অপু | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:১১445117
  • @রণেন বাবু, সে ব্যাপারে কবি নীরব :)))

  • সিএস | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:১০445116
  • হল তো, থালা বাজানোকে খিল্লি করছিলেন, এখন আরো কঠিন কাজ পেলেন। যান, জিনিস বানান, সাপ্লাই চেন বানান আর দেশকে জগৎ সভায় তুলে ধরুন।
  • dc | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:০৯445115
  • ইন্ডিয়া ইজ দ্য নিউ অরেঞ্জ? :d
  • dc | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:০৮445114
  • কিছুই বুঝলাম না। ফ্রি ট্রেডের বিরুদ্ধে বললো নাকি? ইন্ডিয়া কি আইসোলেসানিস্ট পোজিশান নেবে? সেল্ফ রিলায়েন্স বস্তুটা আবার কোথাকার আজব চিড়িয়া?
  • আহা | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:০৬445113
  • অপু | 162.158.198.175 | ১২ মে ২০২০ ২০:৫৩445175
    কিছু ভাট বকে!!!

    ওটাই ওর streanh
  • Somnath Roy | ১২ মে ২০২০ ২১:০৫445112
  • অ্যান্টি-গ্লোবালাইজেশন এখন পপুলার কল, ওটা না বলে ভোট পাওয়া যাবে না আর। কিন্তু কথা হল কী কী স্টেপ নেবে সেটা করতে?

  • Ayaon | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:০৩445111
  • মোদি বোধহয় বিশ্বেন্দুদার ক্লাস নিয়েছে। বলছে লোকালে  থাকতে, লোকাল জিনিস কিনতে। গ্লোবাল কে বিসর্জন করতে বলেছে

  • রণেন ভট্টাচার্য | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২১:০৩445110
  • প্রত্যেকদিন 2 লক্ষ PPE তৈরি হচ্ছে দেশে। মানে গত 15 দিনে অন্তত 30 লক্ষ PPE তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হল এত PPE ব্যবহার করছে কারা? সব জায়গাতেই তো ইহা কম পড়িয়াছে

  • Somnath Roy | ১২ মে ২০২০ ২১:০০445109
  • ডাম্পিং ট্যাক্স বসাচ্ছে?

  • S | 108.162.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৫৫445108
  • লোকটার কোনও কাজ নেই। পাকিস্তানে কি কাক কম পড়িয়াছে?
  • অপু | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৫৩445107
  • কিছু ভাট বকে!!!

  • dc | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৫২445106
  • ওয়াইটুকে নাকি আমাদের দেশের টেকনোলজি দিয়েই সামলানো গেছে।
  • অপু | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৫০445105
  • যেখানে একটাও PPE বানাতো না ভারত। সেখানে দিনে দু লাখ PPE বানাচ্ছে।

    আর কী চান?

  • ? | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৪৬445104
  • আজকে আবার কোন সার্কাসের প্রেসক্রিপশন?
  • | ১২ মে ২০২০ ২০:৩৬445102
  • সবাই রেডি তো?



    সৌজন্যঃ হিউম্যানস অব হিন্দুত্ব পেজ
  • | ১২ মে ২০২০ ২০:৩৫445101
  • সবাই রেডি তো?

    https://i.imgur.com/CDtPTdK.জপগ

    সৌজন্য ঃঃ হিউম্যানস অব হিন্দুত্ব পেজ।
  • পুরোনো সেই উজ্জ্বল দিন | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ২০:৩০445100
  • ১৯৬৭, ১ মার্চ ; সারাদেশ জুড়ে অধিকাংশ রাজ্যে কংগ্রেসের পরাজয় হয়, অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবাংলাতে আসে যুক্তফ্রন্ট সরকার। যুক্তফ্রন্টের দলগুলির মধ্যে সর্বাধিক ৪৩টি আসন পেয়ে সিপিআইএম নেতা জ্যোতি বসু নিজে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ৩৪ টি আসন পাওয়া যুক্তফ্রন্টের অন্য বড় শরিক বাংলা কংগ্রেসের অজয় মুখোপাধ্যায় কে বয়েসের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রীর পদ-টি ছেড়ে দেন। 

    ১৯৬৭, ২১ সে নভেম্বর ; যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। 

    ১৯৬৯, ২৫ সে ফেব্রুয়ারি ; যুক্তফ্রন্ট সরকার আবার ক্ষমতাতে আসে, মুখ্যমন্ত্রী সেই অজয় মুখোপাধ্যায় ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। 

    ১৯৭০, ১৬ সে মার্চ ; যুক্তফ্রন্ট সরকারের আবার পতন হয়। 

    ১৯৬৭ ও ১৯৭০ দু-বার ই জনসাধারণের রায় কে উপেক্ষা করে সরকার ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার ফেলে দিলেও পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস বিরোধিতা পাকাপোক্তভাবে জনমানসে জায়গা করে নেয়। কংগ্রেস থেকে বামপন্থা পশ্চিমবাংলায় এই পরিবর্তনের অন্তর্নিহিত কারণ ও কেন্দ্রীয় বিষয়টি ছিল জমির আন্দোলন অর্থাৎ জমির মালিকানা পরিবর্তন যাকে সীমিত ভূমি সংস্কার বলা যেতে পারে। লক্ষ একর বেনামি ও সরকারের বাস্তুজমি ধনী-জমিদার-জোতদারদের থেকে কৃষকদের হাতে এসেছিলো কৃষকদের মাঠে-ময়দানে ধারাবাহিক ভাবে লড়াই এর শক্তিতে। যা কিনা ঘরে বসে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে, কাগজে-কলমে সই করে তা কখনোই সম্ভব হতো না। জমির এই মালিকানা পরিবর্তনই রাজনৈতিক পরিবর্তন এনেছিল। ধনী-জমিদার-জোতদাররা গ্রামাঞ্চলে কংগ্রেসের শক্তির ভিত, তাদের কর্তৃত্ব এবং ব্যাপক প্রভাব ছিল গ্রামের গরিবদের উপর। জমির আন্দোলন যত এগিয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে তত। কংগ্রেসের নিজেদের জমি হাতছাড়া হয়েছে। দুর্বল হয়েছে তাদের সামাজিক রাজনৈতিক শক্তি।পশ্চিমবাংলার গ্রামগুলি ক্রমশ কংগ্রেস প্রভাবমুক্ত হয়েছে, সেখানে বামপন্থীরা জায়গা করে নিয়েছে বিশেষ করে খেতমজুর ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে। 

    বর্ধমানের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই নামক এরকমই দুজন জোতদার থাকতেন। ওই এলাকাতে ওনাদের বিঘার পর বিঘা জমি ছিল এবং ওই জমিতে ওনারা নিজেরা কোনোদিন চাষ করতেন না, ভাগচাষীদের দিয়ে চাষ করাতেন। কিন্তু ওই নামেই ভাগচাষী, গ্রামের যে গরিব কৃষক-রা সারাবছর রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলাতেন বছর শেষে তাদের ভাগ্যে জুটতো শুধুই অপমান, লাঞ্ছনা আর লেঠেল বাহিনীর অত্যাচার। সেই সময়ে বর্ধমানের ওই সমস্ত গ্রামে এখনকার মতো ৩ ফসলি চাষ হতোনা, একবারই ফসল হতো যা কিনা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস করে সেই ফসল কাটা হতো। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস এলেই মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই তাদের লেঠেল বাহিনী দিয়ে জোর করে সব ফসল কেটে নিয়ে চলে আসতেন। চাষীরা বাধা দিলে তাদের এমনই মার মারা হতো যে এরপর তাদের জায়গা হতো বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। সেই সময় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ডাক্তারবাবুদের কাছে একটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ওই ২ টি মাস এর সময় মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর লেঠেল বাহিনীর হাতে মার খেয়ে ভর্তি হওয়া গ্রামের সাধারণ কৃষক-দের কে বাঁচানো।
    মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর দাপটে অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিলো যে বর্ধমানের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনের ওই রাস্তা দিয়ে সন্ধের পর কোনো মহিলা নিরাপদ ভাবে যাতায়াত পর্যন্ত করতে পারতেন না। মহিলাদের হাত ধরে টানা, তাদের নোংরা কথা বলা এইসব কিছুই চলতো। ওই এলাকা জুড়ে দু-ভাই মিলে পুরো একটা মাফিয়া রাজ শুরু করেছিল।

    শেষমেশ এই অত্যাচারের সীমা এতটাই বেড়ে গেলো যে সমস্ত গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই কে খোদ কংগ্রেস সরকারের আমলেই 'পিডি এক্ট'- এ অভিযুক্ত করে জেলে পাঠানো হয়। 

    ১৯৭০, ১৬ ই মার্চ ; কেন্দ্রের নির্দেশে তৎকালীন গভর্নর ধরমবীর এর দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকার ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে পরেরদিন মানে ১৭ ই মার্চ বামেরা ২৪ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয়। 

    ১৯৭০, ১৭ ই মার্চ ; কংগ্রেস সরকারের আমলেই পিডি এক্ট-এ অভিযুক্ত জেলফেরত আসামী মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তারপরেরও সরকারি আইনকানুন অমান্য করে ওনারা দু-জন সেদিন ওই গ্রামে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। 
    বর্ধমান জেলার সমস্ত চাষী-শ্রমিক ও প্রান্তিক মানুষের সমর্থনে সেদিন বামেদের এক বিরাট বড় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল বেরোয়।

    জেলফেরত দুই-দুষ্কৃতী মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ওই মিছিল কে লক্ষ করে সেদিন বোমা মারেন। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ওনাদের উপরে। জনতার সাথে খণ্ডযুদ্ধে মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই ও জিতেন রায় নিহত হন। তর্কহীন ভাবে অবশ্যই এটি স্বীকার্য যে সেদিন আদিবাসী ও কৃষকদের সংখ্যাগরিষ্টতার স্বতঃস্ফূর্ত ওই মিছিলে হাঁটা মানুষজন আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে এই মৃত্যু আটকালেই বোধহয় ভালো হতো। 
    কিন্তু অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষা যে সবসময় আইনকানুন মেনে হয়না ! অন্তত পৃথিবীর ইতিহাস সেই কথা-ই বলে। মুক্তিফৌজের সদস্যরা মুসোলিনি কে গুলি করে তার লাশটি ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, এর পর ইতালির সাধারণ নাগরিকরা প্রস্রাব করেছিলেন সেই মুখের উপর। ফ্রান্সের বিপ্লবীরা গলা কেটে দিয়েছিলো অত্যাচারী ষোড়শ লুইয়ের। চীনের সামন্ত শাসকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে শাস্তি দিয়েছিলো সেই দেশের কৃষকরা। রাশিয়ার কৃষকরা হত্যা করেছিলেন সেই দেশের অত্যাচারী সামন্তপ্রভুদের।
    তাই ইতিহাস কোনোদিন কোনো অত্যাচারী কে ছেড়ে কথা বলেনা, আইনের শাসনে তার বিচার না হলেও সাধরণ মানুষের আদালতে তার বিচার ঠিক'ই হয়।

    ১৯৭০, ১৭ মার্চ ; ওই ঘটনার দিন-ই দুপুর ১২.২০ -র সময় জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকার ছাত্র পরিষদের নেতা হিসেবে পরিচিত দিলীপ ভট্টাচার্য, পিতা ব্যোমকেশ ভট্টাচার্য একটি এফআইআর দাখিল করেন। মোট ৬ টি ধারায় (১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩০২/৩৩৬/৩৮০) যার মোকর্দমা নং -৫০, ১৭/০৩/১৯৭০, বর্ধমান থানা তে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে আর প্রায় ১৫০০ জন অজানা লোকের নামে এফআইআর দাখিল করেন। 
    ওই ৭২ জনের মধ্যে অজিত কুমার মুখার্জী, কল্যাণ দত্ত মন্ডল, মধু, পবিত্র ভট্টার্চার্য, আনওয়ার হোসেন, তাপস মুখার্জী, স্বাধীন চ্যাটার্জী, স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চৌধুরীর নাম ছিল। দাখিল করা এই এফআইআরে বিনয় কোঙারের নাম কিন্তু ছিলোনা। 

    ১৯৭০, ২৮ এপ্রিল ; এই মামলার তদন্তের জন্য তারাপদ মুখার্জী কমিশন গঠিত হয়। 

    ১৯৭০; ২৬ মে ; তারাপদ মুখার্জী কমিশন তার কাজ শুরু করেন। 

    ১৯৭০, ৬ ই জুন ; বর্ধমান টাউন হলে 'মুখার্জী কমিশন' বসেন সাঁইবাড়ির ঘটনার তদন্ত করার জন্য। 

    ১৯৭১, ৮ ই ফেব্রুয়ারি; নতুন করে বিনয় কোঙার সহ আরো ৬ জনের নাম যুক্ত করে আসানসোল ডিডিআই মোট ১১১ জনের নাম চার্জশিট দাখিল করেন। 

    ১৯৭৩, ২১ ফেব্রুয়ারি; কলকাতা হাইকোর্ট আলিপুর দায়রা আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত করার আদেশ দেন এবং তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক গীতেশ ভট্টাচার্যের এজলাসে শুনানি শুরু হয়। 

    ১৯৭৮, ২০ মে ; সাঁইবাড়ি মামলায় মূল অভিযোগকারী দিলীপ ভট্টাচার্য পাব্লিক প্রসিকিউটর মারফৎ এক চিঠিতে জানান যে তিনি আদপে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না, তৎকালীন কংগ্রেস জেলা সম্পাদক নুরুল ইসলামের লেখা অভিযোগ পত্রে সই করেছিলেন মাত্র। 
    চার্জশিটের অন্য সাক্ষী ইতিকা দত্ত আদালত কে চিঠি মারফত জানান যে তিনি ওই সময়ে শহরেই ছিলেন না। 
    মৃত মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর জীবিত ভাই বিজয় সাঁই, ভগ্নিপতি আমল কান্তি যশ বিচারপতিকে মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন জানান। 

    ১৯৭৮, ৬ মে ; বিচারপতি রবীন্দ্রকমল কর মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁর রায়ে সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করেন। হাইকোর্ট শেষে রায় দায় - “CHARGES HAVING BEEN FRAMED AGAINST ACCUSED PERSONS OF THE INSTANT SESSION TRIAL CASE THEY ARE, THEREFORE, ACQUITTED OF THE OFFENCES UNDER SECTION 321 (b) CR.PC.”

    ২০১১, ২০ মে ; মিডিয়ার ভাষাতে ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন সাঁইবাড়ি'র হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত সিপিআইএম এর নেতাদের তিনি নাকি এবার জেলের ঘানি টানাবেন। তা বেশ ভালো প্রস্তাব, পশ্চিমবঙ্গের এই পালাবদলে গা ভাসানো বাম বিরোধী নব্য রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের উচ্ছাসের তো আর শেষ নেই। নিয়মমাফিম কয়েক কোটি টাকা খরচ করে প্রাক্তন বিচারপতি অরুণাভ বসুকে চেয়ারম্যান করে 'সাঁইবাড়ি কমিশন' ও গঠন করলেন মাননীয়া। অরুনাভ বাবু ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাঁইবাড়ি ঘুরেও দেখেন।
    কিন্তু দীর্ঘ ৯ বৎসর হয়ে গেলেও অরুণাভ বসু কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে কি না বা রিপোর্ট জমা পড়লে তা প্রকাশ পায়নি কেন ! সে সব প্রশ্নে মাননীয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীগন কিংবা বাসে-ট্রেনে-চায়ের দোকানে বা সোশ্যাল মিডিয়ার তর্জাতে সাঁইবাড়ির রক্ত মাখা ভাত খাওয়ানোর কাল্পনিক গল্প শোনানো মানুষজন একদম স্পিকটি নট!

    সুযোগ পেলেই এই সেদিন জন্মানো ছেলেটাও তোতাপাখির মতো মুখস্ত করে সাঁইবাড়ির অত্যাচারের কাহিনী বলে গেলেও তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ এই ৫ বছর পেশায় একজন খ্যাতনামা ব্যারিস্টার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর সাঁইবাড়ি কাণ্ডে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি তখন সেই ছেলেটি ও একদম স্পিকটি নট। 

    আসলে শেষ ৪০ বছর ধরে রক্ত মাখা ভাতের গল্পটা খাওয়ানো হয়েছে কিন্তু ইতিহাসের পাতা থেকে যেটা মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে তা হলো ১৯৭০, ১৭ মার্চ সেদিন সাঁইবাড়ির সেই ঘটনার পর কিছুদিনের মধ্যেই ওই এলাকাতে স্বাধীনতা সংগ্রামী শিবশঙ্কর চৌধুরী সহ ১১ জন বাম কর্মী সমর্থককে খুন করা হয়।
    ইতিহাস থেকে এটাও মুছে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান এর কার্জন গেটের কাছে 'যুগ সাহিত্য ভবন' বলে বামপন্থীদের একটি ছোট্ট বইয়ের দোকান ছিল। সেখানে বোমা মারা হয়। আমাদের দুজন কমরেড সাথে সাথেই সেদিন মারা গিয়েছিলেন। 
    ইতিহাস থেকে এরকম অনেক কিছুই ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই এর মারা যাবার পর সেদিন পুরো বর্ধমান জুড়ে চাষী-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া সাধারণ বর্ধমান বাসী দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল, তারা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছিল। তারা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল এই ভেবে যে ওই দুজন দুষ্কৃতি'র মৃত্যুর পর এবার অন্তত তারা মানুষের মতো বাঁচতে পারবে।

    হাজার বার একটা পুকুর কে নদী বললে পুকুর টা যেমন রাতারাতি নদী হয়ে যায়না ঠিক তেমনি গায়ের জোরে বছরের পর বছর ধরে সাঁইবাড়ির রক্ত মাখা ভাতের গল্প শুনিয়ে গেলেও সেটি সত্যি হয়ে যায়না।

    তাই সাঁইবাড়ি নিয়ে যখন ওরা সেই একই রক্তমাখা ভাতের বস্তাপচা মিথ্যে কল্পকাহিনী আপনাকে শোনাতে আসবে তখন আপনি একটুও বিচলিত হবেন না। ওঁদের কাঁধে আলতো করে হাতটি রেখে খুব শান্ত ও বিনম্র ভাবে একবার বলে উঠবেন, 

    "সাঁইবাড়ি লাল সেলাম "

  • b | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৪৫445099
  • পুরানো সেই দিনের কথা
  • b | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৪৩445098
  • ধুর ডিসি। আপনিও যেমন। রিয়াক্ট করে নিজ শক্তি ক্ষয় করবেন না।
  • dc | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩৬445097
  • একটা টই খোলা হয়েছে দেখছি, দুই দর্মীয় সম্প্রদায়কে নিয়ে আলোচনা করার জন্য। যা লেখা হয়েছে তা কতোটা সত্যি আর কতোটা গুজব জানিনা। তবে এরকম লেখা বোধায় আইনবিরুদ্ধ, মানে আমার সেরকমই মনে হলো। যদি তাই হয় তো টইটা ডিলিট করার অনুরোধ জানালাম।
  • Biswarup | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩৫445096
  • @ঝুট 

    আপডেটেড ডিরেক্টরি দেখুন

  • বিশ্বরূপ রায় | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩৪445095
  • @ঝুট

  • b | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩৪445094
  • বিশ্বরূপ বাবু, নিজের ফোন নম্বর (বা ই মেইল) ইংরিজি অক্ষরে দেবেন না খোলা পাতায়। অনেক বট কপি করতে পারে।
  • ঃD | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩০445093
  • যাঃ, আইটিসেল রিক্রুট ধরা পড়ে গেল!
  • ঝুট বোলে | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:২৬445092
  • বিশ্বরূপ রায় | 14.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:২০445091
  • কে এই বিশ্বরূপ | 162.158.158.142 | ১১ মে ২০২০ ২০:১৩445009

    আমার তো মনে হয় পাতি frustrated লুম্পেন , লক ডাউন এ মদ এর ও সাপ্লাই নেই আর ওই চাদ্দিপনা র চক্করে বৌ ও ছেড়ে চলে গ্যাছে 

     ওপরের পোস্ট টি র লেখক কে জানাই আপনার ইন্সিকিউরিটি তে ভোগার কোনো কারণ ঘটেনি . এখানে মতের অমিল অনেকের সঙ্গেই হয়েছে কিন্তু আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করিনি 

    অবাক লাগলো যে কেউ কিন্তু এই পার্সোনাল এটাক এর বিরোধিতা করলোনা 
     

    এতো  যখন কৌতূহল তখন জানাই যে আমি ছাপোষা মানুষ , চাকুরীজীবি , শিবুদা নোই , IT সেল নই আর বাহিনী বানাবার দম ও নেই 
    আমার স্ট্যান্ড ও কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরুদ্ধে কিন্তু রেল এক্সিডেন্ট এ আমার বিরোধিতা অনেক সফ্ট কোর ছিল (যেটা আমার নিজস্ব মতামত ও ভুল ও হতে পারে , সেটা তর্কাতীত নয় ). আমি বছর তিন চার এখানে আলোচনা পড়ি কিন্তু পোস্ট এই প্রথম করলাম 

    কারো যাচাই করার প্রয়োজন থাকে তো ফোন করে নেবেন অন্তত আপনাদের শিবুদা কে বিরক্ত করার প্রয়োজন পড়বেনা 

    আকা ও অটোজ কে ধন্যবাদ যুক্তি দিয়ে আমার পোস্ট এর উত্তর দেবার জন্য . আকার পান্তুয়া র রেসিপি র জন্য ও ধন্যবাদ , নিশ্চয় ট্রাই করবো

    বিশ্বরূপ রায় 

    917741233932

  • @বিশ্বরূপ বাহিনী | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৮:৪৫445090
  • জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হালহকিকত আমাকে সারাবছরই রাখতে হয়। আমার আর পাঁচটা কাজের মধ্যেই ডিস্ট্রিক্ট এইডস কন্ট্রোল অফিসার হিসেবে এই কাজটা মূলতঃ করতে হয়। ওঁদের মধ্যে কারা দুর্গাপূজোয় বাড়ি ফেরেন, কারা ফেরেন ঈদে আর কারা বড়দিনে, সে খবরও রাখতে হয়। ওঁরা ফিরলে ওঁদের সামগ্রিক হেলথ চেক-আপের সঙ্গে এইচআইভি পরীক্ষাও করাতে হয় ফি-বছর।

    আবার কেরালায় নীপা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলেই আমাকে জেলাজুড়ে সারভেইল্যান্স শুরু করতে হয় জেলার সেইসব পরিবারে যাদের কোন সদস্য কেরলে কর্মরত।

    তাই জেলার কোন গ্রাম থেকে কত পরিযায়ী শ্রমিক কোন রাজ্যে বসবাস করেন তার একটা হিসেব আছে। তাঁরা ফিরে আসতে শুরু করবেন এবার। সরকারী বড় কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অনেক গ্রামেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরী থাকছে তাঁদের স্বাগত জানাতে।

    আমাদের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলোতে যাঁদের ভর্তি করছি তাঁদের সকলকেই যে তক্তা বা খাট দিতে পারছি তা নয়। তবে পুরু প্লাস্টিক শীটের উপর পাতা নতুন কেনা রেক্সিনের ম্যাট্রেস, বেডশীট, বালিশ ও মশারি দিতে পারছি। ওয়েলকাম কিটে থাকছে মাস্ক, ব্রাশ, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, শেভিং কিট, নেইলকাটার, চিরুনি ইত্যাদি। এক-কাপড়ে এলে আমরা এক সেট পোশাক দিচ্ছি। কেন্দ্রগুলিতে জেনারেটর, ওয়াশিং মেশিন থাকছে, মনোরঞ্জনের জন্য থাকছে টিভি, মিউজিক সিস্টেম। সাইকোলজিস্ট নিয়মিত কাউন্সেলিং করছেন, ডাক্তার দুবেলা রাউন্ড দিচ্ছেন, সর্বক্ষণ নার্স থাকছেন।

    বিহার ও আসামের কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন আমাদের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলোতে। সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁদের নিখরচায় বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা মানে জেলা প্রশাসন। আজ এরকম‌ই তিনশোজনকে বিহারে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হল। রাস্তায় খিদে পাবে, তাই তাঁদের হাতে খাবারের প্যাকেট, জলের বোতল তুলে দিলেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্যানিটাইজড্ হাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে তাঁদের বিদায় জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে বাসগুলো রওনা করিয়ে দিলেন আজ সকালে।

    ওঁরা বোধ হয় বাড়ি পৌঁছালেন এতক্ষণে।

    - আলিপুরদুয়ার স্বাস্থ্য অধিকর্তা।

    ইনি তৃণমূল করেন, একথা এঁঁর অতিবড় শত্রু বলবেন না।

    ছবি, ভিডিও ঃঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1913290645471278&id=100003710828925
  • @বিশ্বরূপ বাহিনী | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৮:৪২445089
  • প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:-

    "আমি অমিত শাহকে সম্মান করি",এই বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,
    Coronavirus: প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে|
    রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর|
    তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনাও করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী|
    যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, আর কথায় কথায় রাজ্যগুলোর দিকে সমালোচনার আঙুল তুলবেন না, এভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যগুলোর উপর আস্থা রাখুক কেন্দ্র, একথাও বলেন তিনি (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি সোমবার করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) প্রতি ক্ষোভও উগরে দেন মমতা। "আমি অমিত শাহকে সম্মান করি",এই বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে তাঁকে চিঠি লেখার পর সেই চিঠিরই একটি প্রতিলিপি সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠিয়েছিলেন তা নিয়েই অমিত শাহকে রীতিমতো আক্রমণ করেন তিনি। "খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর, আমাকে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করা শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত? আপনি সরাসরি আমার সঙ্গে কেন কথা বলবেন না? আমি আপনাকে অনুরোধ করছি অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও যেন এমন ঘটনা ঘটাবেন না", বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
    "আপনারা সর্বদা বাংলার সমালোচনা কেন করেন", প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর|
    পশ্চিমবঙ্গের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে একটি কেন্দ্রীয় দল বঙ্গ সফরে আসে, সেই প্রসঙ্গও বৈঠকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। "আমাদের কি তাদের বাবু বলা উচিত ছিল এবং ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা উচিত ছিল?",
    সরাসরি এই প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী একথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় দলগুলি রাজ্যে পর্যবেক্ষণে আসতেই পারে, তবে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব তাঁদের ইশারায় উঠবে বসবে এমন আশা যেন তাঁরা না করেন।

    ২০ এপ্রিল সকাল ১০ টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে দুটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। কিন্তু তাঁরা আসার খবর আগে থেকে রাজ্য সরকারের কাছে ছিল না বলেই অভিযোগ। কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পৌঁছনোর মাত্র ঘণ্টা তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এব্যাপারে ফোন করে জানান অমিত শাহ।

    পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রসঙ্গটিও বৈঠকে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি অমিত শাহকে অনুরোধ করছি যাতে কোনওভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া না হয় ...
    যদি প্রয়োজন হয় তবে দয়া করে আমাদের জানাবেন, আমরা টাকা দেবো।"
  • অপু | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৮:০৬445088
  • সৈকত, খুব ভালো প্রস্তাব। আমি আছি

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত