*।। করোনা ও আমার অভিজ্ঞতা।।* গত শনিবার, ৯ ই মে ২০২০ সকাল ১২ টা নাগাদ পিসতুতো দাদার কাছ থেকে ফোন এলো পিসি ৭৮ বছর বয়স্কা পিসি অজ্ঞান হয়ে গেছে, তাকে নিয়ে CMH, Calcuuta এ নিয়ে এসেছে। পিসির আগের দুদিন জ্বর হয়েছিলো। আমি মেডিকাল কলেজে পৌঁছে দেখলাম, তখনও Emergency building এর বাইরে ambulance এ অপেক্ষারত। পুলিস ও PPE পরা লোকজন ভিতরে যেতেই দিচ্ছে না। অনেক বলা কওয়ার পর, পৌঁছানোর দু ঘন্টা বাদে, একজন ভিতর থেকে কাগজ এনে বলল, ECG করিয়ে আনতে। কোনো ডাক্তার বা para medic, কেউই কিন্তু রোগী দেখেনি। ECG technician পরিষ্কার বলে দিলো ECG করতে পারবে না, তার set up নেই। আবার ফিরে এলাম, পুলিশি বেড়া টপকে emergency তে বলাতে তারা বলল ECG tech কে লিখে দিতে হবে সে ecg করতে পারবে না! এভাবে আরও ঘন্টা খানেক নষ্ট হওয়াতে আমরা ঠিক করলাম, এখান থেকে RG Kar Medical College এ নিয়ে যাবো, ওখানে আমাদের পরিচিত একজন ডাক্তার আছেন, Dental Dept. এর, সেও সেখানে যাচ্ছে। RG Kar এ পৌঁছে emergency তে কথা বললে, ওরা fever clinic এ পাঠালেন। Fever clinic কিছু না দেখেই, পুরানো report দেখে আবার emergency তে ফেরত পাঠায়। এবার trolley জোগাড় করে, Thermal gun check up করে emergency তে আনলে, ওঁরা বলেন, ECG ও CT scan করাতে। এগুলো করানোর পর দেখা যায় সমস্ত report ঠিক আছে, কিন্তু oxygen saturation level 61%। ওঁরা বলেন, এই রোগীকে বাঙ্গুর হসপিটাল এও পাঠানো যাবে না, emergency র 5th floor এ SARI Ward এ ভর্তি করে দিতে। আমরাই Corona special lift দিয়ে রোগী নিয়ে যাই,; ওখানকার ডাক্তাররা বললেন, এখানে ব্যবস্থাপনা ভালো নয়, আপনারা Apollo বা ILS এ নিয়ে যান। আমরা বলি তা আর সম্ভব নয়, কারন এত টাকাও নেই আর সেখানে নেবে এমন স্থিরতাও নেই। ওয়ার্ড নোংরা, বেড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে একটাই বেড খালি ছিলো। আমাদেরকেই, আমি আর দাদা, ওয়ার্ড এ নিয়ে গিয়ে চাদর পাল্টে বেডে shit করে দিতে হয়, কোনো কর্মী ওখানে যাবে না, এতটাই বিপদজনক জায়গা ওটা না কি! আমাদের মনে হলো, শ্মশানে ফেলে দিয়ে এলাম! এরপর আমরা চলে আসি, এবং আমাদের আর ওখানে কোনোমতেই যেতে দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে, স্থানীয় পুরমাতার সহযোগী কে ফোন করে জানাই ও এলাকায় পুরসভার থেকে swab test করার জন্য অনুরোধ করি। এর অন্যতম কারন হলো, পিসির পাশের ঘরেই ওনার দেওর ৭২ বছর বয়স, বেশ কয়েকদিন জ্বরে আক্রান্ত। রাত ১ টা নাগাদ এই ভদ্রলোক শ্বাসকষ্টে মারা গেলেন। পরদিন family physician এর কাছ থেকে death certificate জোগাড় করে দুই দাদা ও মৃতের স্ত্রী, মাত্র তিনজনে মিলে দাহকার্য সম্পন্ন করে। এরপর বিকেলে দাদারা হাসপাতালে গেলে, দেখা করতে দেয় নি, ফিরিয়ে দেয় ও কোনো খবরও দেয় নি। ওরা নাকি শুধু সকাল ১২/১ টা নাগাদ patient party র সাথে কথা বলে! আজ দাদা বেলাতে গেলে, বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে বলে, আধ ঘন্টা আগের heart attack এ মারা গেছে। এরপর, বিকালে pacemaker খুলে দেহ morgue এ পাঠায় ও জানায় corona test এর result না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ ছাড়বে না, কতদিনে report আসবে জানা নেই!!! আমরা খুবই নিশ্চিত, বোধহয় কোনো চিকিৎসা হয়নি। এই অবস্থায় রোগীর যেটুকু সেবা করা উচিত, তার কোনো, ন্যূনতম ব্যবস্থা ওখানে নেই, স্রেফ নাম কা ওয়াস্তে একটা ওয়ার্ড চলছে। সে না হয় বুঝলাম, এই পরিস্থিতিতে এভাবেই চলছে চলবে, বাঁচা মরা তো ভাগ্যের বিষয়, বয়সও হয়েছিলো.... ইত্যাদি স্তোকবাক্য দিয়ে নিজেদের অক্ষমতা ঢাকা'র চেষ্টা করছি! কিন্তু মৃতদেহ পাবো না কেন? শনিবার, রবিবার আদৌ সোয়াব সংগ্রহ করা হয়নি, আজও হয়েছে কি না জানি না। যদি করোনা পজিটিভ হয়, তাহলে পরিবারের বাকিদের ও আমাকেও হয়তো quarantine এ যেতেই হবে। তাহলে এতদিন যে দেরী হলো, তার কি হবে? এরা মৃতদেহ দিয়ে দিক, আমরা দাহ তো করতে পারি! তারপর report যা আসে আসুক! কি হবে, কি করব কিছুই জানি না! পরিস্থিতি খুবই সাংঘাতিক, এরপর মৃতদেহ তোলার লোকও পাওয়া যাবে না, কেউ সাহস করে এগিয়ে আসবে না। আমি এখন বাড়িতে self isolation এ রয়েছি।
পরমপিতা ইংরেজি হচ্ছে বিগ ফাদার মোদী। নেহরু ইংরেজিতে গোল্ডস্টাইনের চক্রান্ত। ঃ-)
dc
আপনি ভুল ভেবেছেন ।
আমি বলতে চেয়েছি কাল ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয়া দিদি দেশসেবককে ধমকে বললেন " আপনারা রাজনীতি করছেন । আপনার টার্গেট বাংলা "
ধমকের চোটে দেশসেবক বেচারা প্রমাদ গুনলেন
অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কি সুন্দর নিজেদের কথা বললেন ।
dc
করোনা এর থেকে ভয় তো অন্য জায়গায় ।
কাল দেশসেবককে যে ভাবে ধমকালেন তাতে ভাবছি আমরা তো কোন ছাড় । গোমুত্র কেন , আপনার মুত্র পান করলেও কিছু হবে না ।
এ জিনিস যদি ২০২১ এ আবার ফিরে আসে তখন কোন মুত্র দিয়ে কিছু হবে না ।
জাস্ট জোক । দিল পে মত লে ইয়ার ।
চন্দননগরের ঘটনা শুনে আঁতকে উঠেছিলাম । কি হচ্ছে এসব ? খবরটা সব চ্যানেল চেপে গেছে, এমন কি calcutta news.
এরপর খুব অসহায় লাগে । এর কি প্রতিকার নেই?
আরো অসহায় যখন কিছু বলতে গেলে বলবে ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে । দিদি বলবে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না । এখন রাজনীতি করবেন না ।
চুপচাপ দেখা ছাড়া আর কি করার আছে ? ততদিনে করোনা গ্রাস করে ফেললেও কিছু বলা যাবে না ।
ভাটের মধ্যে একটি সিরিয়াস ঘোষণা
----------------------------------
আমাদের চোখের সামনেই করোনা এবং লকডাউনের ছায়া দীর্ঘতর হচ্ছে। এটা বোঝা যাচ্ছে আগামীদিনে লকডাউন উঠে গেলেও অর্থনীতির হাল রাতারাতি ভাল হয়ে যাবে না। বিশেষত অস্থায়ী কাজের সাথে যুক্ত মানুষজন এক ভয়াবহ আর্থিক সংকট এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন। গুরুচণ্ডা৯ যে প্রকাশনার কাজের সাথে যুক্ত, সেখানেও চিত্রটা একই। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়েই এরকম কিছু মানুষকে আপাতত সীমিত পর্যায়ের (তিন থেকে ছ-মাসের মেয়াদে) জন্য আমাদের নানা কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিকল্প উপার্জনের কিছু ব্যবস্থা করার কথা ভাবছি। অনেকেই জানেন আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বেশিটাই চলে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে। কিন্তু এই বিশেষ অবস্থায় সেইরকমই নানা কাজে যদি এমন কেউ ভূমিকা নিতে চান, যিনি এই লকডাউন ইত্যাদির কারণে মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে এই কাজগুলি কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করার সুযোগ আমরা দিতে পারি। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কাজের বাইরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দক্ষতা যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে নতুন কিছু কাজ উদ্ভাবনও করা যেতে পারে। কী কী কাজ আমাদের মাথায় আছে, তার ডিটেল এখানে দিলাম না, কেউ উৎসাহী হলে তাঁকে আরও বিশদে বলা যেতে পারে।
যেহেতু ছাপা বইয়ের বিক্রি আমাদের মূল আয়ের উৎস এবং আগামী বেশ কয়েকমাস বই কেনাবেচায় খুব প্লাবন আসার সম্ভবনা নেই বললেই চলে, তাই যে পারিশ্রমিকের কথা আমরা ভাবছি, তা শুধু বই বিক্রি থেকে অদূর ভবিষ্যতে উঠে আসবে না। এজন্য আমাদের আপাতত আলাদা করেই অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই আপনাদের কাছে এই আবেদন। 'ত্রাণ' ব্যাপারটার মধ্যে গ্রহীতার আত্মমর্যাদার একধরণের হানি লুকিয়ে থাকে। তাই ঐ পথটা আমরা সচেতনভাবেই নিইনি। আর আমাদের উদ্দেশ্যও কেবল 'সাহায্য' করা নয়। তার বদলে কিছু কর্মসংস্থানের এই প্রকল্পটি আমাদের বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, যা আপাতত কিছু ফান্ডরেইজিং-এর মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে চললেও আগামীদিনে স্বনির্ভর এবং সাসটেনেবল করে তোলাই মূল লক্ষ্য হবে। এখানে যেটা পরিষ্কার করে দেওয়ার, সেটা হল, দুম করে কাউকে পার্মানেন্ট কাজ অফার করে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। যেমন যেমন টাকা তুলতে পারব সেরকম সেরকমভাবে ছোটো ছোটো কাজে বিভিন্ন লোককে কাজভিত্তিক চুক্তিতে স্বল্পমেয়াদে নিযুক্ত করতে করতে যাওয়া হবে।
আপনি যদি আমাদের এই ভাবনায় কোনো যাথার্থ্য খুঁজে পান, সেক্ষেত্রে এই ফান্ড তৈরীতে আমাদের সহযোগিতা করুন। পরিকল্পনাটি নিয়ে আরও বিশদে জানতে আমাদের মেল করুন guruchandali@gmail.com এ। অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন +৯১ ৯৩৩০৩০৮০৪৩ নম্বরে। এই প্রকল্পটি চালানোর জন্য আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবকও প্রয়োজন। কেউ যদি মনে করেন অর্থ নয় (অথবা অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি), এই সম্পূর্ণ কর্মকাণ্ডটির ম্যানেজমেন্ট বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাজে সময় দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন তিনিও স্বাগত। এই বিষয়ে কোনো মতামত/পরামর্শ ইত্যাদির জন্যেও মেল বা হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন।