'মোট জনসংখ্যার ১% ইনফেক্টেড হবে' এই সংখ্যাতত্ত্ব ব্যাপারটা কিন্তু খুব গোলমেলে মানে আমাদের মত যারা । এখানে জন সংখ্যার শতাংশতে বোধহয় কিছু এসে যায়না। এখানে সংখ্যাটা খুব ইম্পরট্যান্ট। ভারতে যা জন সংখ্যা তাতে ৫০,০০০ মরলেও পারসেন্টেজ নগণ্য। কিন্তু সংখ্যাটা সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ংকর!
রবিবার কাউন্ট করলে আজ ছ দিন। আজ আমারই একটু ক্লসট্রফবিক লাগছিল এবং সব খবর পড়ে একটা অ্যাংজাইটি যে হচ্ছেনা তা নয়।
যেমন আমি জল আর ক্যান্ডল আনতে সন্ধ্যেবেলা বেরোলাম। আমার পিসি শুনে বলল আমার বেরোনো উচিত হয়নি।
'সব ঠিক হবে' এটা তো একটা ইউটোপিয়ান ব্যাপার। কিন্তু লকডাউনেের প্যান্ডেমিকের সিচ্যুয়েশন যে কিছুটা বেটারের দিকে যাচ্ছে সেটা তো অস্বীকার করে লাভ নেই। বরং সব সময়ে বলা হচ্ছে যে আরও দু হপ্তা আগে হলে এতটা হয়ত ছড়াত।
আসলে ইনফরমেশনের সোর্স যেহেতু বহুধা তাই ডেফিনিটিভ কিছুতে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছেনা। এক্সপার্টরাও এখনও অ্যাক্যুরেট বলে উঠতে পারেনি।
নতুন অসুখ। তাই সব কিছুই নতুন।
বৌদিরা সব সময়েই সুইট হন। উনি ভাল কাজই করেছেন। পজিটিভ বার্তা ছড়াচ্ছেন।
পাকিস্তান ও প্যালেসটাইনে মাস রিলিজিয়াস গ্যাদারিং অব্যাহত। মসজিদ গুলোয় থিকথিকে ভিড়।
ফিনিক্সে আমার বোন, ভগ্নীপতির পাড়ায় কয়েকটি চীনে থাকে। একজন মহিলার এক্তু রেস্টুরেন্টও আছে। দুজনেই চীনে খাবারের ভক্ত। সেই মহিলাকে আজ ফোন করেছিল বোন। মহিলা বর্ন অ্যান্ড ব্রট আপ অ্যামেরিকায়। চায়নায় নাকি কোনোদিন যায়ও নি। ট্রাম্পের চায়না ভাইরাস বলার পরে সে একটু শঙ্কিত হয়ে আছে।
আমি চিনে দেখতে পেলেই গ্রিট করব। প্রমিজ। কিন্তু আগে তো দেখতে পেতে হবে। :-)
এইমাত্র একটা ভিডিও দেখলাম, পাবলিক পুলিশকে ক্যাল দিচ্ছে। হিন্দুস্তানি কোনো রাজ্যে।
ট্র্যাম্প চায়না ভাইরাস বলার সঙ্গে সঙ্গে অ্যামেরিকান মধ্যে চীনা বিদ্বেষ শুরু হয়েছে শুনলাম। রাস্তা ঘাটে তাদের কেউ গ্রিট করছেনা। চীনাদের ভাইরাসের জন্যে ওপেনলি নাকি সবাই ব্লেম করছে।
একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিল। শুনেছিলাম ৩২ ডিগ্রি হলে ভাইরাস ডিসঅ্যাপিয়ার করবে। গরম পড়ছে। আজ ৩৭। রীতিমত গায়ে গরম লাগছে। কিন্তু শহরে গরম পড়লেই লোকে এসিতে থাকে বেশীটা সময় । ২২, ২৩ এ এসি চলে। এ দেশে যানবাহন নন এসি তবুও আছে। বিদেশে সব এসি। সে ক্ষেত্রে এই ৩২ ডিগ্রির ফান্ডা কাজ করছে না!!
আমাদের এখানে আজ পাঁচ ঘণ্টা পাওয়ার কাট। অ্যাকয়াতে জল ভরতে ভুলে গেছি। বাবা, মা'র সবেতে টেনশন। ২০ লিটার কিনে আনা হল। বাড়িতে মোম নেই। আজ পাওয়ার যায় না। শখের ক্যান্ডেল গুলো থেকে টিমটিম করে আলো বেরোয়। পাড়ার দোকানেও মোম নেই। অনেকটা দূরে গিয়ে মোম কিনে আনলাম।
মেজর ক্যাবেল ফল্ট।