@এলেবেলে, আপনি নবদ্বীপ নিয়ে লিখুন। এখানে সবাই সবার কোম্পানি।
কুন্নুরে চা বাগানে আমার এক অনন্য সুখ স্মৃতি আছে। ব্রুকল্যান্ডসের পথ দিয়ে হেঁটে উঠছি। চা বাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটছি। এক দল স্থানীয় (তামিল) মহিলা টি প্লাকারসরা বসে মধ্যাহ্ন ভোজন করতে বসছে। তামিল ছাড়া ওরা অন্য কোনো ভাষা বলতে পারেনা। আকারে ইঙ্গিতে আমি পথ জিজ্ঞেস করছি। ওরা আকারে ইঙ্গিতে আমাকে খেতে বলছে। 'না না' করেও বসে গেলাম খেতে। পাতলা দোসা, আচার, তরকারি আর দইয়ের ছাঁচ। দারুণ স্বাদ। হেসে, হেসে , আকারে ইঙ্গিতে কত কথা বলল। আমিও মাথা, হাত, পা নাড়িয়ে বললাম। একজন উঠে অনেকটা এসে ওপরে ওঠার শর্ট কাট দেখিয়ে দিল।
আমাকে কয়েকটা চা পাতা হাতে ভরে দিয়েছিল।
সারারাত চা বাগানে হাঁটা যায় কি? টি এস্টেট গুলোয় কড়া পাহারা থাকে।
তবে নীলগিরির কুন্নুরে চা বাগানে দুপুরবেলা হেঁটেছি । একটা eerie sensation হয় ।
@সে, আপনি ভূত দেখিয়েই ছাড়লেন। (১৪ মার্চ ২০২০ ০১:৪৭)
কারণ টা খুব সহজ। কলকাতায় চার পুরুষের বাস। নিজের শরীরকে যতটা চিনি, এ শহরকে ততটা চিনি। এ শহর দিয়ে পৃথিবীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এ শহর ভাল লাগায়। এ শহর বিরক্তি ধরায়। আমার অবশ্য ছোটবেলার কিছুকাল মফস্বলি একটা জায়গায় কেটেছে কিন্তু আমাদের পা, মন থাকত কলকাতায়।
আবার কলকাতা আমার প্রিয় শহর তাও নয়। কত শহরে থেকে টেকে আবার কলকাতায় এসে পড়ব, এখানেই আপাতত থাকব ভাবতেই অবসাদ জাগে। সপ্তাহে দুদিন নিয়ম করে সিধান্ত নিই এ শহর ছাড়ব।
আবার প্রতি দিন উপলব্ধি করছি এ শহরে পা গেঁথে যাচ্ছে।
আপনাদের এত কলকাতা বাতিক কেন? কলকাতার রাস্তায় হাঁটা, কলকাতার ভাটিখানায় মাতাল হওয়া, কলকাতার সংস্কৃতি, কলকাতার ভাষা - সবই এত কলকাতাময় কেন? বাংলার অন্যত্র মানুষ থাকে না বুঝি? তাঁরা হাঁটে? মদ খায়? কথা বলে? আপনাদের কী ধারণা অর্জুনবাবু অ্যান্ড কোং?
এখনো ভর করেনি। :-)
হ্যাঁ। ল্যাপি থেকে। আমার সেল ফোন থেকে বাংলা লেখা বড়ই দুঃসাধ্য ব্যাপার !
রাতে কলকাতার রাস্তায় ভূত টূতের গন্ধ পাইনি। তবে কিছু কিছু রাস্তা এত অন্ধকার, জনমানবহীন যে গা ছম ছম করলেও করতে পারে।
জ্যান্ত মানুষ গুলোই কি রকম ভূত ভূত হয়ে যায় !
ঃ-)) আসবে, আসবে। সময় মত।