চরিত্রাভিনেতা/নেত্রীদের আলাদা লিস্ট হওয়াই দরকার।
আমার সবচেয়ে বলিউডি অভিনেত্রী অকালে চলে গেল- শ্রীদেবী।
ওকে। ফাইন। এগুলো আপনার মতামত।
'মানিকবাবু নিজেই বলে গেছেন যে অনেককেই সিনেমাতে ব্যবহার করতে হয়েছে তাদের চেহারার জন্য, অভিনয়ের জন্য নয়।' ঃ)))))))))))
তাহলে সুচিত্রা সেন, ললিতা চট্টোপাধ্যায়, জয়া প্রদাকেও সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় অহরহ দেখা যেত। পাঁচ বার একজন অভিনেত্রীকে ব্যভার করলেন তার চেহারার জন্যে?
'ছায়াসূর্য', 'কিনু গোয়ালার গলি', 'নির্জন সৈকতে', ;আরাধনা' 'অমর প্রেম' 'মৌসম', 'গেহরি চোট' এ অসাধারণ অভিনয় আছে।
কাজল ভাল অভিনেত্রী। কিন্তু এক্সপ্লর করেনি যেমন রাণী করেছে নিজেকে। 'ফানহা' ও এবং সাম্প্রতিকতম 'তানাজী'তে কাজলের অভিনয় ভাল লেগেছে ।
ঊর্মিলা মাতণ্ডকর দারুণ অভিনেত্রী। আরেকজন হল সীমা বিশ্বাস ।
রাইট রাইট @অরিন-দা। উনি এই রেফারেন্সটা দিয়েছিলেন।
আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ 'ছাত্রশাসনতন্ত্র' নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তার প্রাসঙ্গিক অংশটুকু তুলে দিলাম। উৎসাহীরা চাইলে পুরো প্রবন্ধটাই পড়তে পারেন।
**************************************
জেলখানার কয়েদি নিয়মে নড়চড় করিলে তাকে কড়া শাসন করিতে কারও বাধে না; কেননা তাকে অপরাধী বলিয়াই দেখা হয়, মানুষ বলিয়া নয়। অপমানের কঠোরতায় মানুষের মনে কড়া পড়িয়া তাকে কেবলই অমানুষ করিতে থাকে, সে হিসাবটা কেহ করিতে চায় না; কেননা, মানুষের দিক দিয়া তাকে হিসাব করাই হয় না। এইজন্য জেলখানার সর্দারি যে করে সে মানুষকে নয়, আপরাধীকেই সকলের চেয়ে বড়ো করিয়া দেখে।
সৈন্যদলকে তৈরি করিয়া তুলিবার ভার যে লইয়াছে সে মানুষকে একটিমাত্র সংকীর্ণ প্রয়োজনের দিক হইতেই দেখিতে বাধ্য। লড়াইয়ের নিখুঁত কল বানাইবার ফর্মাশ তার উপরে। সুতরাং, সেই কলের হিসাবে যে-কিছু ত্রুটি সেইটে সে একান্ত করিয়া দেখে এবং নির্মমভাবে সংশোধন করে।
কিন্তু ছাত্রকে জেলের কয়েদি বা ফৌজের সিপাই বলিয়া আমরা তো মনে ভাবিতে পারি না। আমরা জানি, তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুলিতে হইবে। মানুষের প্রকৃতি সূক্ষ্ম এবং সজীব তন্তুজালে বড়ো বিচিত্র করিয়া গড়া। এইজন্যই মানুষের মাথা ধরিলে মাথায় মুগুর মারিয়া সেটা সারানো যায় না; অনেক দিক বাঁচাইয়া প্রকৃতির সাধ্যসাধনা করিয়া তার চিকিৎসা করিতে হয়। এমন লোকও আছে এ সম্বন্ধে যারা বিজ্ঞানকে খুবই সহজ করিয়া আনিয়াছে; তারা সকল ব্যাধিরই একটিমাত্র কারণ ঠিক করিয়া রাখিয়াছে, সে ভূতে পাওয়া। এবং তারা মিশনরি কলেজের ওঝাটির মতো ব্যাধির ভূতকে মারিয়া ঝাড়িয়া, গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়া, চীৎকার করিয়া, তাড়াইতে চায়। তাহাতে ব্যাধি যায়। এবং প্রাণপদার্থের প্রায় পনেরো আনা তার অনুসরণ করে।
এ হইল আনাড়ির চিকিৎসা। যারা বিচক্ষণ তারা ব্যাধিটাকেই স্বতন্ত্র করিয়া দেখে না; চিকিৎসার সময় তারা মানুষের সমস্ত ধাতটাকে অখণ্ড করিয়া দেখে; মানবপ্রকৃতির জটিলতা ও সূক্ষ্মতাকে তারা মানিয়া লয় এবং বিশেষ কোনো ব্যাধিকে শাসন করিতে গিয়া সমস্ত মানুষকে নিকাশ করিয়া বসে না।
অতএব যাদের উচিত ছিল জেলের দারোগা বা ড্রিল সার্জেণ্ট্ বা ভূতের ওঝা হওয়া তাদের কোনোমতেই উচিত হয় না ছাত্রদিগকে মানুষ করিবার ভার লওয়া। ছাত্রদের ভার তাঁরাই লইবার অধিকারী যাঁরা নিজের চেয়ে বয়সে অল্প, জ্ঞানে অপ্রবীণ ও ক্ষমতায় দুর্বলকেও সহজেই শ্রদ্ধা করিতে পারেন; যাঁরা জানেন, শক্তস্য ভূষণং ক্ষমা; যাঁরা ছাত্রকেও মিত্র বলিয়া গ্রহণ করিতে কুণ্ঠিত হন না।
********************************************
এইভাবে ভাবা কি একান্তই অসম্ভব?
আনন্দবাজারে রবিবাসরীয়তে একবার নিবন্ধের বিষয় ছিল বাঙালি সমাজ থেকে জ্যাঠামশাইরা হারিয়ে গেছেন! লেখক কি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ?
আমার প্রথম হিন্দি ছবি হলে গিয়ে দেখা হল 'রোজা ' । ক্লাস সেভেনে। তাও বাড়ির সঙ্গে। অরভিন্দ সোয়ামী, মধু।
@অরিন-দা, আবার 'আপনি' কেন? না, বইটা এখনো পড়া হয়নি।
আসলে এ শব্দগুলোর আক্ষরিক অনুবাদ হয়না। অশোক মিত্রের 'আপিলা চাপিলা' র অনুবাদের নাম 'A Prattler's Tale'।
লীলা মজুমদারের 'পাকদণ্ডী' র ইংরেজি কি হতে পারে?