অমিত বাবু, নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর ডিনেস্টি আর সোনিয়া, রাহুল ডিনেস্টি এক নয়। ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাবার পরিচয় বড় থাকলেও উনি সম্পূর্ণ ওর ঘরানার রাজনীতি করেছেন। তাত্ত্বিকেরা বলে ইন্দিরা নেহেরুভিয়ান হতে চানও নি হনও নি। She completely came with a different brand of politics. বাবার আমলের লোকজনদের সরিয়ে দিয়ে নিজের কিচেন ক্যাবিনেট তৈরি করলেন। আদি কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
সোনিয়া, রাহুল পুরোপুরি ইন্দিরা গান্ধী লিগ্যাসি নির্ভর। ওদের রাজনীতির কোনো ঘরানা নেই। শুধু পরিবারের খাতিরে সেজে গুজে সুন্দর মুখ গুলো দেখানো। সোনিয়া প্রথম দিকে 'ইয়েস', 'নো' বলতেও নোট পড়তেন। রাহুলের চোখে মুখে সেই ল্যাক অব কনফিডেন্স পূর্ণ মাত্রায় লক্ষিত।
কেজরিয়াল এসেছিল একটা অলটারনেটিভ পলিটিক্সের জন্ম দেবে বলে কিন্তু শেষমেশ ইলেকটোরল পলিটিক্সের পারফেক্ট একজাম্পেল হয়ে গেল।
বিজেপির প্রকাশ জাওরেকর বলছে দিল্লীর দাঙ্গা দুদিনের নয়, দু মাসের প্রস্তুতি ছিল এর পিছনে। দায়ী করছে কংগ্রেসকে। ডিসেম্বরে নাকি কংগ্রেস দল এই রকম একটি হামলার ডাক দিয়েছিল। নির্লজ্জের মত মিথ্যে কথা সন্দেহ নেই।
বিজেপি এখন নাগরিক প্রতিবাদে যারা যুক্ত তাদের টার্গেট করবে। দিল্লীতে যেসব প্রতিবাদ হয়েছে তাতে বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস ছিল তাই কংগ্রেসকে ফাঁদে ফেলা। যারা বিজেপিকে গত বছর দ্বিতীয়বার ভোটে জিতিয়ে এনেছে তারা এই রটরিক খাবে।
দাঙ্গা রাজনীতি বিজেপির ক্যাপিটেল।
গত আড়াই মাস ধরে নাগ্রিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে যে নাগরিক প্রতিবাদ হয়েছে এখন সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বন্ধ করতে ওরা নিত্য নতুন নানা রেটরিক তৈরি করবে। জাওরেকর পরিষ্কার বলছে রাম্লীলা ময়দানে নাকি পাব্লিকলি দাঙ্গার ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই মিথ্যেটা ছড়ানোর অর্থ সাধারণ মানুষের কাছে গন আন্দোলন গুলোর ভুল বার্তা পৌঁছনো।
কলকাতায় এবং পশ্চিম বাংলাকে বিজেপি টার্গেট করবেই। এখানে হিন্দু মুসলমানে সাক্সেসফুল না হলে বাঙালী- বিহারী, বাঙালী- মাড়োয়ারি, বাঙালী- গুজরাতি, উত্তর ভারতীয়- দক্ষিণ ভারতীয় অনেক ইস্যুতে লড়িয়ে দেওয়া যায়। মুসলমানদের মধ্যে বাংলা ও উর্দু ভাষী। নো এন আর সি'র সঙ্গে যারা রয়েছি তারা কয়েকটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটির খবরে আঁতকে উঠতে হচ্ছে।
কাল আমাদের বাড়ির কাজের বউটিকে ওর গ্রামের কথা জিজ্ঞেস করলাম। ক্যানিং এর দিকে থাকে। হিন্দু মুসলমান টেনশন শুরু হয়েছে ভাল মত। বেশ কিছু জায়গায় মারপিট হয়েছে। কমিউনল ঘটনা ঘটছে। সেসব সে সব জায়গার বাইরে ছড়াচ্ছে না । আজ যাদবপুরে বাঙালী- বিহারী রিক্সায়ালার মধ্যে সাঙ্ঘাতিক অশান্তি হয়েছে। একটুর জন্যে মারপিট রোখা গেছে।
আমরা একটা ভল্কেনোর পটে বসে আছি। জাস্ট ইরাপট করতে সময়ের অপেক্ষা।
টিভিতে দিল্লীর ঘটনা দেখা যাচ্ছেনা । এত ভয়াবহ হয়েছে।
কেজরিয়াল এখন বিজেপি'র চাকর। তার দলের লোকের ডবল শাস্তি হোক, ঘোষণা করে দিয়েছে।
জজ ট্রান্সফরের ঘটনাটা তো পুরনো। কপিল মিশ্র এখনও স্কট ফ্রি। তাহির হুসেনকে নিয়ে এখন জল ঘোলা করা হচ্ছে। মুসলমান ও হিন্দু মহল্লার মধ্যে টেনশন ও অবিশ্বাস ক্রিয়েট করে দেওয়া গেছে।
এত গুলো লোক কোথা থেকে এল, গেল কেউ জানেনা!!!
রাণী মহলানবীশের 'বাইশে শ্রাবণ' পড়েছেন ? ঐ বইতে "ওঁ পিতা নোহসি" নামে একটি চমৎকার চ্যাপটর আছে। রবীন্দ্রনাথের মেজকন্যা রেণুকার মৃত্যু।
"ওঁ পিতা নোহসি" তো উপনিষদের মন্ত্র।