ফুলকপির ঝোল। জীবরামের গল্পে ছিল। ঃ-)
এই টইটা দারুণ তো। সময় নিয়ে সবটা পড়তে হবে।
আর "সুপুরীতে ঢুকেছিল" মানে সিনেমাহলে ঢুকেছিল। কিন্তু সিনেমাহল কি খুব সু(সুন্দর) পুরী?
ওহ, কপি মানে বাঁদর। সেই অৰ্থে কপির ঝোল মানে বাঁদরের ঝোল। কিন্তু গল্পটা মনে নেই একেবারেই। হয়ত পড়িনি আদৌ।
এই ধরণের অনেকগুলো গল্পই লিখেছেন লেখক, তাঁর সৃষ্ট অনন্য এক চরিত্র জীবরামকে নিয়ে। তারই কোনো একটাতে-
##########################
# #
##########################
কে কে খেতে চান?
https://www.fried-green-tomatoes.com/
##########################
# #
##########################
তাজা মুরগী ভাজা মুরগী
====================
গোটা ধনে - ২ চামচ
লেমন জেস্ট - একটা মাঝারি সাইজের লেবুর
ড্রাই টাইম লীভস - এক চামচ
ড্রাই অরিগ্যানো লীভস - এক চামচ
গোলমরিচ - ১৫টা
বীচি ফেলা শুকনো লঙ্কা - দুটো
চাইনীজ পেপারকর্ণ - ১০টা
রসুন - বড় পাঁচ-ছয় কোয়া আন্দাজমতো
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল - ছয় চামচ
লেবুর রস - একটা বড় লেবু অর্ধেকটা
বোনলেস চিকেন থাই - ২ পাউণ্ড
নুন আন্দাজমতো
চাইনীজ পেপারকর্ণ বলতে সেজুয়ান https://en.wikipedia.org/wiki/Sichuan_pepper । একটু প্রসেস করতে হবে। আগে একটু রোস্ট করে নিয়ে তারপরে ভিতরের কালো বীজটা ফেলে দিতে হবে। এটা স্ট্যাণ্ডার্ড প্রসেস।
গোটা ধনে, অনেকটা লেমন জেস্ট, ড্রাই টাইম লীভস, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ আর চাইনীজ পেপারকর্ণ - সব একসাথে খলনোড়ায় পিষে নাও। তারপরে গ্রেটেড রসুন, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আর লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাও। নুন দাও। বেশ সময় দিয়ে এই ম্যারিনেডটা বানাতে হবে।
বোনলেস স্কিনলেস চিকেন থাই সরু লম্বা করে কেটে নাও। তারপরে ম্যারিনেড মিশিয়ে ক্লিংর্যাপে ঢেকে আট থেকে আটচল্লিশ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দাও।
আমাদের একটা কাস্ট আয়রনের গ্রিলিং প্যান আছে। তাতে অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল দিয়ে গরম করে তার উপরে ঐ ম্যারিনেটেড চিকেন দিয়ে ভেজে নিই। আলাদা করে তেল লাগবে না। আর এই গ্রিলিং প্যানেই সুন্দর কালো কালো দাগ হয়ে যাবে।
মুরগী ভাজা হয়ে গেলে ঐ পাত্রেই দুটো অন দ্য ভাইন টম্যাটো গ্রিল করে নাও। এর সাথে পট্যাটো ওয়েজ দিয়ে গরমাগরম খাই। পট্যাটো ওয়েজ বানানোর অন্য রেসিপি, সে পরে একদিন হবে। শুধু বলে রাখি, ওভেনে ঢোকানোর আগে আলুটাকে নুন জলে পার বয়েল করে নিতে হবে।
আমাদের গ্রিলিং প্যান এই রকম দেখতে
বাঃ, এই তো। থ্যাংকু অভ্যু। হ্যাঁ ৎসাজিকি সসের আইডিয়াটা খুব ভালো। খুব লাগসই। আমি করে তোমাকে জানাবো।
**গোটা ধনে, লেমন জেস্ট, ড্রাই টাইম লীভস, অরিগ্যানো লীভস, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ আর চাইনীজ পেপারকর্ণ - সব একসাথে খলনোড়ায় পিষে নাও।
(অরিগ্যানো লীভস বাদ গিয়েছিল)
আমি একটা শ্নিটজেল রেসিপি দিই, আমার আর বৌএর যৌথ রিসার্চের ফল। চিকেন বা বিফ শ্নিটজেন দুইই বানানো যেতে পারে, তবে দুটোকেই পিটিয়ে রোগা করতে হবে।
প্রথমে চিকেন ব্রেস্ট বা বিফের লিন কাট কিনে আনুন। মাংসটাকে যতোটা সম্ভব স্প্রেড করে ওপরে একটা বাটার পেপার দিয়ে মুড়ে নিন। এবার নোড়া বা কোন ভারি বাটি দিয়ে দমাদ্দম পিটতে থাকুন। যার ওপর যতো রাগ আছে সব ঝেড়ে ফেলুন। পিটতে পিটতে যেন মাংসটা ৪-৫ মিলিমিটার সরু আর বেশ ছড়ানো একটা স্লাইস হয়ে যায়। মানে ৪-৫ মিমি সরু আর ৫-৬ ইঞ্চি ডায়ামিটারের একটা সরু গোলমতো স্লাইস। এর থেকে বেশী মোটা হলে ঠিকমতো ভাজা হবে না। আর খেয়াল রাখবেন যেন ধারটা বেশী মোটা আর মাঝখানটা বেশী সরু না হয়ে যায়, তার জন্য একটু বড়ো বাটি দিয়ে পিটতে পারলে ভালো।
স্লাইসগুলো পাশাপাশি রেখে পেপার ন্যাপকিন দিয়ে মুছে নিন, তারপর ওগুলোর ওপরে বেশ খানিকটা নুন ছড়িয়ে দিন। স্লাইসগুলো উল্টে অন্যদিকটাতেও নুন ছড়িয়ে দিন। একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে ১-২ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর ফ্রিজ থেকে বার করুন, দেখবেন একটু জলজল হয়ে গেছে। কাপড়টা দিয়ে ভালো করে স্লাইসগুলো মুছে নিন, জল যেন না থাকে। এটা হলো ড্রাই ব্রাইনিং, এতে মাংসটা মুচমুচে খেতে হবে। ১৫ মিনিট মতো রাখুন, যতক্ষন না রুম টেম্পারেচারে চলে আসে।
এবার পাশাপাশি তিনটে ট্রে রাখুন আর একটা প্লেটে মাংসের স্লাইসগুলো রাখুন। প্রথম ট্রেতে ময়দার বেড বানিয়ে নিন, দ্বিতীয় ট্রেতে ৪-5 টা ডিম ফেটিয়ে নিন। তৃতীয় ট্রেতে জাপানি প্যানকো (বা ব্রেডক্রাম্ব) অনেকটা ছড়িয়ে নিন, তার সাথে এক বা দুরকম চিজ ফাইন গ্রেট করে ভালো করে মিশিয়ে দিন (পারমেসান হলে ভালো, নাহলে যেকোন শক্ত চিজ)। আর খানিকটা প্যাপ্রিকা মিশিয়ে নিন (অপশনাল)।
মাংসের স্লাইস নিয়ে প্রথেম ট্রেতে ময়দার বেডে রাখুন, ভালো করে দুপিঠে ময়দা লাগিয়ে নিন। বাড়তি ময়দা ঝেড়ে নিয়ে দ্বিতীয় ট্রেতে ডিমের মধ্যে চুবিয়ে দিন। অল্প একটুক্ষন রাখুন, ডিমটা যেন পুরো মাংসটায় সোক করে (ক্রিস্পি খেতে হবে)। স্লাইসটা তুলে তৃতীয় ট্রেতে প্যানকো আর চিজ মিক্সে দিয়ে দিন। ভালো করে দুদিকে মেখে নিন, দুতিনবার এদিক ওদিক করে পুরোটা ক্রাম্ব দিয়ে ভর্তি করে নিন।
এবার অভ্যুবাবু ওপরে যেমন ছবি দিয়েছেন ঠিক ওরকম একটা কাস্ট আয়রন প্যানে ১-২ ইঞ্চি ডিপ করে তেল দিয়ে ফুটিয়ে নিন (স্লাইসগুলো যখন প্রায় রুম টেম্পারেচারে চলে এসেছে তখনই তেল ফুটাতে দিয়ে দিন)। একটা স্লাইস আলতো করে ধরে তেলের মধ্যে চুবিয়ে দিন। একটু পর স্লাইসটা উল্টে নিন, আর সাথে সাথে ব্রেস করতে থাকুন। মোটামুটি ৬-৭ মিনিট পর স্লাইসটা তুলে ফেলুন, পরের স্লাইসটা তেলে ছেড়ে দিন।
সবকটা স্লাইস ভাজা হয়ে গেলে ওভেন প্রিহিট করুন (২৫০ ডিগ্রি, ১০ মিনিট। বেকিং ট্রেতে অল্প তেল স্প্রে করুন, আর কয়েকটা বাঁধাকপির পাতা বা লেটুস পাতা দিয়ে একটা বেড বানিয়ে নিন। স্লাইসগুলো বেডের ওপর রেখে ওভেনে ঢুকিয়ে দিন, ২৫০ ডিগ্রিতে ৭-৮ মিনিট বেক করুন।
শ্নিটজেল রেডি।
গার্নিশ নানারকম ভাবে করা যেতে পারে, তবে লেবুর টুকরো অবশ্যই দেবেন। এছাড়া আমি পেঁয়াজের রিং কেটে নি আর একটু কাসুন্দি, টমেটো সস, আর মেয়ো দিয়ে একটা ডিপ বানিয়ে নি।
ওভেনে দিতে না চাইলে পুরোটাই তেলে ভেজে নিতে পারেন, তবে সাবধানে, নাহলে বাইরেটা পুড়ে যেতে পারে বা ভেতরটা কাঁচা থাঅকতে পারে। আমরা প্রথমবার পুরোটাই তেলে ভেজেছিলাম, কিন্তু তাতে বাইরেটা একটু পুড়ে গেছিল। পরেরবার কিছুটা তেলে ভেজে কিছুটা ওভেনে বানিয়েছিলাম, তাতে একদম ইউনিফর্ম রান্না হয়েছিল।
অভ্যু,
আমি তোমার রেসিপি মত আজ টোফু গ্রীল করেছিলাম। বাড়তি ম্যারিনেডে মাশরুম ভিজিয়ে রেখে আভেনে রোস্ট করলাম। আর আলু ওয়েজ করিনি, এমনি গার্লিক-রোজমেরি দিয়ে রোস্ট করেছিলাম। সেইসাথে ওরেগানো দিয়ে গ্রীন বীনও করেছি। আর ৎসাজিকি স্যসটায় একটু স্মোকড প্যাপরিকা দিয়ে বানিয়েছিলাম। অত্যন্ত উপাদেয় ডিনার হলো। গ্রীক ডাইনার স্টাইল প্লেট। ছবি দিলাম। থ্যাংকিউ সো মাচ!! এই রেসিপিটা অতি অবশ্যই কীপার।
আহা!
কারো যদি লাগে তো তুলে দিলাম। আরো টই আছে
অভ্যু এখানে টুকে দিলাম নাও --
ফোজ্জি,
তুমি মাশরুম দিয়ে তো রিসোত্তো বানাওই তাই বেসিক রেসিপি, টেকনিক এগুলো আর লিখছিনা। আমি দু তিনটে ভেরিয়েশন করি। সেগুলো বলি।
১) স্প্রিং ভেজিটেবল রিসোত্তো -- এতে অ্যাস্পারাগাস দেড় ইঞ্চি মত মাপে কেটে নাও, মটরশুঁটি নাও আধ কাপ মত আর বেবি স্পিন্যাচ ১ কাপ। অলিভ অয়েল বা মাখনে সামান্য রসুন কুচি ভেজে নিয়ে অ্যাস্পারাগাস আর মটরশুঁটি দাও। একটু নেড়েচেড়ে ৩ টেবলস্পুন মত ব্রথ বা জল বা হোয়াইট ওয়াইন দাও। পাত্রটা ঢাকা দিয়ে ৩-৪ মিনিট সীমারে রাখো। দেখবে সব্জিগুলো ডান হবে কিন্তু তখনো একটু কচকচে থাকবে। ঢাকনা খুলে বেবি স্পিন্যাচ গুলোও এখন মিশিয়ে দাও। নুন গোলমরিচ দিয়ে সীজন করে সরিয়ে রাখো। এবার তুমি রিসোত্তো যেমন বানাচ্ছো তেমনি স্টক, চাল ইত্যাদি দিয়ে করতে থাকো। মোটামুটি চাল ৩/৪ ভাগ সেদ্ধ হয়ে এলে এই সব্জি গুলো মিশিয়ে দাও। শেষে ওপরে পেকোরিনো রোমানো চীজ আর পাইন নাটস ছড়িয়ে দাও। খাবার আগে ওপরে দু তিন ডলপ পেস্টো দিয়ে পরিবেশন করো।
২) এটাও স্প্রিং ভেজিটেবলসেরই আরেকটা ভার্শন। এতে জুকিনি হাফ মুন শেপে কেটে নাও, একটা ফেনেল বাল্ব সরু সরু ফালি করে নাও, আর মটরশুঁটি এতেও ঐ আগের মত। অলিভ অয়েল গরম করে ১/২ টিস্পুন মত মৌরীদানা আর খানিকটা রেড পেপার ফ্লেক্স দাও। এতে ঐ সব্জিগুলো দিয়ে স্যতে করে নাও। ডান হবে, কিন্তু বাদামী হবেনা,কেমন? এগুলো তুলে রাখো। আর ঐ আগের রেসিপির মতই শেষের দিকে রিসোত্তোতে এদের মেশাবে। সেই সময়েই ১ টেবলস্পুন মতো খুব সরু করে কাটা পুদিনা পাতা দিও। এই সময় ২ টেবলস্পুন মাসকারপোনে চীজ মিশিয়ে দিলে খুব ভালো হয়।
৩) টমেটো বেসিল -- এটা একটু আনইউজুয়াল। কিন্তু ভালোই হয়। এক কাপ মত চেরী টমেটো এক টেবলস্পুন অলিভ অয়েল আর আধ টেবলস্পুন বালসামিক ভিনিগার দিয়ে টস করে নাও। ওর সাথে ১ টেবলস্পুন রসুনকুচিও মেশাও। এবারে বেকিং ট্রে বা কুকিশীটে ছড়িয়ে চারশো ডিগ্রী ফারেনহাইটে ১৫ মিনিট রোস্ট করে নাও। রিসোত্তো যখন পুরো তৈরী হয়ে যাবে তখন এটা মেশাও। ফ্রেশ বেসিল মিহি কুচি করে মেশাও আর অনেকখানি পারমাজান চীজ দিও।
এই হলো ব্যপার।
বেসিক রেসিপি টেকনিক এইগুলো লিখতে আজ্ঞা হয়।
হেথায় অতি প্রাঞ্জল ভাবে লেখা ও দেখানো আছে -- https://tasty.co/recipe/mushroom-risotto
আমি লিখলে যা হবে তার থেকে ঢের ভালো :-))
এই টই টা বেশ অন্যরকম, পড়ে আনন্দ পেলুম
ভর্তা হলো smashed আসলে যা ভাতের হাড়িতে দিয়ে ভাপানো হয়। আগে হাঁড়ির মধ্যে টিফিনকৌটো র মধ্যে দিযে ভাঁপানোর চল ছিলো কিনা ।...তাই
অ্যাকর্ন স্কোয়াশ রোস্ট করে, ওর সাথেই মোটা চাকা করে আদা কেটে সেটাও রোস্ট করে স্যুপ? আমি কোকোনাট মিল্ক দিই। তুমি হেভী ক্রীমই দিতে পারো। তবে এটা গরমের দিনে তত ভালো যাবে কিনা সেটা একটা কথা। ভারতীয় স্বাদের মধ্যে একটা হয় তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে, পেয়াঁজ কুচি ভেজে তারপর স্কোয়াশের টুকরো দিয়ে নেড়েচেড়ে, খুব অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করা। পরে জিরে ভাজার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামাও। কাঁচালংকার কুচিও দিতে হয়। রুটি দিয়ে, পরোটা দিয়েও ভালো লাগে।