এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নাস্তিকতার সহায়ক পাঠ 

    পাগলা গণেশ লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯২৬ বার পঠিত
  • আমি সম্পূর্ণ কুসংস্কারমুক্ত, বিজ্ঞানমনস্ক। এমন কিচ্ছু নেই, যা আমার সামনে ঘটেছে বা আমার সাথে সম্পর্কিত অথচ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজিনি। ওটা আমার অসহায়তা। সে যে কী জিনিস, যে না জানে বুঝতে পারবে না। আমদের প্রত্যেকের এক বা একাধিক অ্যাজেন্ডা থাকে (অবশ্যই যারা একটু ভাবে), আমরা সারাজীবন আমাদের আশেপাশের লোকেদের সমর্থন পেতে এবং নিজের দলে টানতে চেষ্টা করি। বেশিরভাগই সমর্থ হই না। তার কারণ, হয় আমাদের অ্যাজেন্ডা সময়োপযোগী নয়, বা হলেও তা লোকের কাছে ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারি না। আমার দমবন্ধ লাগে, রাগ হয়; এরকম কত মত ছিল, যারা জনসমক্ষে আসতে পারেনি। অথচ যদি তারা দিনের আলো দেখত, পৃথিবী কত বছর এগিয়ে যেত।

    আমিও একটু একটু ভাবার চেষ্টা করি, ভুল বললাম বোধহয়;আমি সারাদিন শুধু ভাবি। এলোপাথাড়ি, একনাগাড়ে, নিরন্তর - শুধু ভেবেই চলি। যেটুকু আমি লিখছি বা প্রকাশ করছি, তা সেই ভাবনার খুব ক্ষুদ্র অংশের যেটুকু আমার প্রকাশযোগ্য মনে হয়েছে সেটুকুই। এমন অনেককিছু আছে, যেগুলো আমার মনে হয়েছে সমাজ তথা মানুষ তার উপযুক্ত নয় এখনও। বুঝতে পারবে না আসলে আমি কী বলতে চাইছি, উল্টো বুঝে বসবে। এরকম ধারণার বশবর্তী হয়ে কত ভাবনা কলমের আগায় আনিইনি, মনের অন্ধকার কন্দরে হারিয়ে গেছে বুদবুদের মতো।

    আমি দার্শনিকতা করি, তবে তা ততদূরই, যেখান পর্যন্ত গেলে নিজেকে মিথ্যা আশ্বাস না দেওয়া হয়। যেমন আমি প্রেমকে দিব্য, স্বর্গীয় বা জন্মান্তরের বস্তু বলে ভাবি না। আমি চাই এবং চেষ্টা করি তাকে যতটা সুন্দর করে পারি প্রকাশ করতে, কিন্তু মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করতে চাই না। আমি তার জন্য সাত সমুদ্র পার হতে পারি, যদি সম্ভব হয় চাঁদ পেড়ে আনতে পারি, মহাকাব্য লিখতে পারি শুধু তার সৌন্দর্য্য বর্ণনায়, অপেক্ষাও করতে পারি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, কিন্তু পরের জন্মে পাব, স্বর্গে আবার দেখা হবে - এসব কথা বলে প্রবঞ্চনা করতে চাই না।

    অবশ্য তার কারণ এই যে, আমি নাস্তিক মানুষ। আমি ঈশ্বর, আল্লাহ, গড এসব কিচ্ছু নেই বলেই জানি। যাতে মানুষের ক্ষতি হয় এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকি, যদি কেউ করে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি, না পারলে ঘৃণা করি। এবারে একটা সমস্যা মনে আসতে পারে সবার, ধর্ম এবং ধর্মবিশ্বাস মানুষকে ঠিক পথে রাখে। ঠিক হোক বা ভুল, মানুষকে নিয়মের নিগড়ে বেঁধে রাখে। যখন মানুষের পাপ - পূণ্যের ভয় থাকবে না, পরজন্ম বা পরকালের ভয় থাকবে না, কিসের ভিত্তিতে মানুষ ন্যায়নিষ্ঠ থাকবে?
    সত্য কথা, উপযুক্ত প্রশ্ন।
    আমার উত্তর, মানব সভ্যতাকে যতদিন পারা যায় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। আরো বড় করে দেখলে, সমগ্র পৃথিবীর জীবজগৎকে টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে।
    আমাদের উদ্দেশ্য যদি থাকে জীবজগৎকে বাঁচিয়ে সুস্থ রাখার, তাহলেই ধর্ম থাক বা না থাক, ঠিক কাজ করার জন্য কোনো সমস্যা হবে না, আর সেই হিসেবে আইন-কানুন বানালেও করো আপত্তি থাকবে না বলেই মনে হয়। বরঞ্চ তা অনেক বেশি মানবিক এবং উপকারী হবে।

    আমার খুব আশ্চর্য লাগে, যে মানুষগুলো আদ্যোপান্ত বিষয়ী, অত্যন্ত সতর্ক, যুক্তিশীল, হয়তো কোনো বৈজ্ঞানিক বিষয়ের সাথে যুক্ত, তারাও ধর্মের ক্ষেত্রে নিজের মস্তিষ্ক খুলে আলোচনা করতে বসেন। সেখানে শুধু বিশ্বাসের চচ্চড়ি (ছড়াছড়ি)। আমার তো ওই আলোচনা সভার পাশ দিয়ে যেতে ভয় লাগে। না মারের ভয়ে নয়, পাছে বিশ্বাসে পা দিয়ে পিছলে পড়ি!

    ওরকম দ্বিধাচরিত্র হয়ে কী করে রাতে ঘুমায় ওরা? আমি তো অমন দ্বৈত জীবন কিছুতেই যাপন করতে পারি না, নিজেকে ধোঁকা দিয়ে বেঁচে থাকা, ভিতর থেকে কুরে কুরে খাওয়ার মতো মনে হয়।

    এরপর আসে ব্যালেন্সবাদী। ধর্ম যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, বাইরে সবাই মানুষ। এসব ঝড়ের মুখে ঘরের সামনে ন্যাতা ঝুলিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করার চেষ্টা। এরা আসলে পলায়নবাদী, সত্যকে দূরে সরিয়ে নিজের মনের শান্তি অক্ষুণ্ন রাখতে চায়। যদিও তা হয় না, ধর্মীয় কার্যকলাপ ত তাতে বন্ধ থাকে না। তুমি চোখ বন্ধ করে আছো বলে তো এমন নয়, যে ধর্ম এবং তার ধ্বজাধারীরা চুপচাপ বসে আছে! তারা ঠিক নির্মল মনগুলোকে দাগিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত, নিয়মিত স্বাভাবিক মানুষকে আক্রান্ত করছে ধর্মীয় বিকার দিয়ে, জোম্বি সেনাবাহিনী বানাচ্ছে।

    ওদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতেই হবে। নইলে পৃথিবীর মুক্তি নেই, মানুষের মুক্তি নেই। মানছি আমাদের অনেক সমস্যা, আমরা তার থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় চাই, দুঃখ থেকে আড়াল করতে চাই নিজেকে এবং পরিজনকে। কিন্তু তার জন্য দানবকে নিজের মাংস তো বিক্রি করা চলে না! আমি তৃষ্ণার্ত, তার মানে তো এই নয়, যে আমি বিষ পান করব!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাগলা গণেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৭540352
  • দুচারটে গালি, অম্বল বা সন্দেশ ছুঁড়ে দিয়ে যান! 
  • kk | 172.56.***.*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩৮540353
  • কিছুটা নার্সিসিস্টিক লাগলো। ব্যক্তিগত মত, না লিখলেও চলতো। কিন্তু আপনি বারবার মতামত চান, তাই লিখলাম।
  • পাগলা গণেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৪540355
  • মানছি কিছুটা আত্মম্ভরিতা করেছি, কিন্তু সব মতবাদই কি ব্যক্তিগত মতবাদ নয়? 
    যীশু, মহম্মদ, বুদ্ধ, কৃষ্ণ কিংবা মহাবীর এরা শুধু তা ঈশ্বরের মোড়কে বিক্রি করেছে, তাই তারা এই সমালোচনার শিকার হয়নি। আমার উপায় নেই, আমি নাস্তিক। এবারে উদাহরণ দিলে অবশ্যই আমার মতের ভিত্তি মজবুত হতো সন্দেহ নেই, দিতে অপারগও নই তবে তার জন্য একটু সবুর করতে হবে।
    আর সবচেয়ে বড় কথা অনভ্যাসের টিকা তো, তাই কপাল চটচট করছে।
    জন্মাবধি যে সংস্কার তার গোড়ায় আঘাত দিলে সবারই একটু অস্বস্তি হয়, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমাকে আমার মত প্রকাশ করতেই হবে, আমি অসহায়।
  • Sumit Mandal | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৫540357
  • ভালো কথাই ভেবেছেন। 
  • পাগলা গণেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৬540358
  • Sumit Mandal ধন্যবাদ।
    সারাদিন ভেবেই যাই, মাথাটা খারাপ হয়ে যাবে শিগগির। তাই অনুমান করে আগে থেকেই নাম রেখেছি, পাগলা গনেশ।
  • kk | 172.56.***.*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৯540359
  • পাগলা গণেশ,
    আপনার নাস্তিকতা নিয়ে আমার কোনো প্রবলেম নেই। ধর্ম ও ঈশ্বর নিয়ে আমি কী মনে করি তা এই সাইটেই বহুবার বলেছি তাই আর রিপিট করে লাভ নেই। কাজেই ঐ অনভ্যাসের টিকা কপালে চটচট করা বা জন্মাবধি সংস্কারে আঘাত দেবার ব্যাপারটা অন্তত আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছেনা। আমি যে কমেন্ট করেছিলাম সেটা আপনার মতবাদ সম্পর্কে নয়, লেখার স্টাইল সম্পর্কে।

    অন্য পোস্টে নিজের নাম রাখা নিয়ে লেখা দেখে মনে এলো, আপনার নিক নামে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা উপন্যাসও আছে। পড়েছেন নিশ্চয়ই।
  • kk | 172.56.***.*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫০540360
  • স্যরি, উপন্যাস নয়, ছোটগল্প।
  • r2h | 208.127.***.*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫১540361
  • পা-গ, অনেকগুলি গোলমাল আছে। খুব কিছু লেখার ছিল না, কিন্তু ২২ঃ৩৪ এর কমেন্টের পর মনে হল লিখি।

    ধর্মপালন অনেক সময়ই, বিশেষ করে আজকের যুগে, বিশ্বাসজনিত না, ব্যাপারটা আইডেন্টিটির। কোন ধর্মউদাসীন বা অবিশ্বাসী মানুষও তার পরিবার বা ভাই বিরাদরের ধর্মের ওপর আঘাত আসছে, বা তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কিছু করা উচিত - এমন মনে করলে প্রতিবাদস্বরূপ ঐ ধর্মচিহ্ন ধারন করতে পারে। এর সঙ্গে অন্ধবিশ্বাসের সম্পর্ক নেই। এরকম উদাহরন আমাদের উপমহাদেশে বিরল না।

    আবার যীশু মুহম্মদ বুদ্ধ মহাবীর (কৃষ্ণকে বাদ রাখলাম, তিনি কাল্পনিক বলে জানি) ধর্মের মোড়কে কিছু বিক্রি করেছেন - এরকম বলা একটু মুশকিল, কারন প্রাক ডারউইন পৃথিবী সৃষ্টিকর্তার কল্পনা ছাড়া ব্যাখ্যা করা কঠিন কেন, হয়তো অসম্ভব ছিল।

    যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক চেতনার দিক থেকে দেখলে উত্তম চিন্তা ভাবনা, কিন্তু ক্ষতি টতি, সভ্যতা ও জীবজগতের বেঁচে বর্তে থাকা দেখলে, জীববৈচিত্র ইত্যাদির যা ক্ষতি শিল্প বিপ্লব ও টেকনোলজি করেছে, তার তুলনায় ধর্ম তুশ্চু। আবার পৃথিবীর বড় বড় জেনোসাইড গুলিরও প্রত্যক্ষ কারন ধর্ম প্রায়শই না। অন্যদিকে সাদা না কালো, মারাঠী না বিহারি, সেসব বেশ যুক্তিগ্রাহ্য বাস্তব তফাত, সেসবের বলে কেউ কাউকে ক্রীতদাস বানাচ্ছে, কেউ কারো ফল বেচার ঠেলা ভেঙে দিচ্ছে।
    বা ধরা যাক দেশের সীমানা। কিছু লোকজন একটা জিনিস ঠিক করে নিল, তার ওপর লক্ষ লক্ষ মারমার কাটকাট।
     
    • পাগলা গণেশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩৪
    • ...সবচেয়ে বড় কথা অনভ্যাসের টিকা তো,তাই কপাল চটচট করছে।
      জন্মাবধি যে সংস্কার তার গোড়ায় আঘাত দিলে সবারই একটু অস্বস্তি হয়,তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।...
    আর এই নিয়ে কিছু বলার নেই। নিতান্ত জাজমেন্টাল মন্তব্য আর কী বলনোঃ)
     
    তার মানে কি আমি ধর্ম, ঈশ্বর ইত্যাদির পক্ষে? না, তা না। তবে অন্য কেউ পক্ষে থাকলেও আমার কিছু এসে যায় না। আমি নীল জিন্স পরতে ভালোবাসি, দেওয়ালে ছবি ঝোলাতে ভালোবাসি। কেউ যদি কুলুঙ্গীতে ঠাকুর রেখে পুজো করেন, তাতে আমার কী? 
    হ্যাঁ, সেই নিয়ে মারদাঙ্গা করলে মুশকিল।
    ধর্ম টর্ম উঠে গেলে তো ভালোই, খারাপ কি। তবে তাতেই যে মানবজাতি খুব সুশীল হয়ে যাবে, এমন কোন ভরসা দেখি না আরকি।
  • পাগলা গণেশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:২৭540363
  • r2h আপনার কথার সার তিনটে পয়েন্ট।
    ১.ধর্মপালন এবং ধর্মচিহ্ন ধারনের করণ পরিচয় এবং স্বজাতির ভাইদের রক্ষার জন্য প্রতিবাদস্বরূপ।
    ২.ধর্ম যতজনকে এবং যত জীবহত্যা করেছে তার থেকে বেশি বিজ্ঞান করেছে এবং করছে।
    ৩.ধর্ম না থাকলেও পৃথিবীর মানুষ সুশীল হয়ে যাবে না।
     
    এবারে একটা একটা করে বলি।
     
    ১. প্রতিবাদ করার জন্য মানুষ হওয়ার দরকার হয়,ধর্মপালন নয়। আপনি হিন্দু হয়ে কি মুসলমানদের বা ইহুদীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারেন না? নাকি অন্যরা আপনার উপর অত্যাচার হলে পারে না? আর যদি পারে, তাহলে ধর্মের প্রয়োজন কিছুই নেই। আর পরিচয় যেটা বললেন, সেটা যতটা না নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, তার থেকে বেশি সুরক্ষিত করার জন্য। নিজের মতাবলম্বী মানুষ তার বিপদে তার সাথে দাঁড়াবে। এটাই সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা। তাতে সমস্যাও আছে, ও গিয়ে বলল, "অমুক সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে এই সম্প্রদায়ের হওয়ার জন্য মেরেছে।" কিছু যাচাই না করেই লড়াই শুরু হল। এত সহজে হয় না, তবু উদাহরণের জন্য একটা সহজ ঘটনার সাহায্য নিলাম।
     
    ২. কথাটা ঠিক, কিন্তু পুরো নয়। ধর্ম প্রত্যক্ষভাবে হয়তো কম হত্যা করেছে, কিন্তু পরোক্ষভাবে যা হত্যা করেছে, করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে, তা বিজ্ঞান কোনোদিন পারবে বলে মনে হয় না। কত লোক, রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, শুধু এই কারণে, ধর্ম তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। আর বিজ্ঞানের দোষ দিলে হয় না। কিছু মানুষের লোভ আর নিষ্ঠুরতার জন্য মানুষ মরেছে, বিজ্ঞানের জন্য নয়।
     
    ৩. তৃতীয়টার উত্তর সবচেয়ে সহজ। ধর্ম না থাকলে মানুষ সুশীল হয়ে যাবে না সত্য। কিন্তু বিকারগ্রস্থ ক্ষমতালোভীরা খুন করে হাত মোছার জন্য একটা কাপড় কম পাবে, লুকানোর জন্য একটা ঘর কম হবে, মানুষের চোখ থেকে একটা পর্দা সরে যাবে। সেটা একেবারে বিরাট পরিবর্তন না হলেও, একটা পদক্ষেপ তো নিশ্চয়।
    দশম ঘায়ে যদি পাথর ভাঙ্গে, আগের নটা ঘা তো বেকার যায়নি! 
    আমি চাই প্রথম ঘা টা দিতে।
  • পাগলা গণেশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৩১540364
  • Kk ঠিক।শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা ছোটগল্প।পাগলা গনেশ একজন কবি।যখন মানুষ সূক্ষ্ম অনুভূতি ত্যাগ করে স্থূল বিনোদনে ব্যস্ত,পাগলা গনেশ তাদের কবিতা পড়াতে চেয়েছিলেন।
    আমি যখন প্রথম লেখালেখি আরম্ভ করি,আমার নিজের লেখা নিজেরই পাগলামি মনে হতো।তারপর যখন একটু বিতর্কিত বিষয়ে লিখতে আরম্ভ করলাম,একটু আড়ালের দরকার হয়েছিল।তাই পাগলা গনেশ নামকরণ।
  • r2h | 208.127.***.*** | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৫৯540365
  • এক নং - এসব নিয়ে আমি কিছু বলিনি, অন্যায় বা নিপীড়ন দেখলে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মত নির্বিশেষে পাশে দাঁড়ানোই মনুষ্যত্ব।

    আমি যেটা বলেছি তা হল আজকের দিনে অনেক সময়ই সংগঠিত ধর্মপালন মূলত ঈশ্বরবিশ্বাসমূলক না। তাই ধর্মীয় হানাহানির মূল খুঁজতে গেলে অন্ধবিশ্বাসকে প্রধান কারন ধরে এগুতে চাইলে মুশকিল হবে।

    দুই - বিজ্ঞানের দোষ আবার কোত্থেকে এল?

    তিন - হ্যাঁ, তা তো বটেই।
  • Ranjan Roy | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:০৩540377
  • 1. ধর্ম নিয়ে প্রথম আঘাত আপনি হানলেন?
     -- না, গোটা বিশ্বে এবং গুরুতেও আগে অনেকে।
    2. অন্তত: বুদ্ধ এবং মহাবীর  নিজের চিন্তা "ঈশ্বরের মোড়কে" বিক্রি করেন নি।
    আদি বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্ম নিরীশ্বরবাদী।
    3. নাস্তিকতা কোন অরিজিনাল চিন্তা নয়, অনেক পুরনো।  তাই শকিং নয়।
    4. ধর্ম আপনার আমার ইচ্ছেতে এই দুনিয়ায় আসে নি, আপনি আমি চাইলেই ভ্যানিশ হবে না।
    যে কারণে ধর্ম উৎপন্ন হয়েছিল, সেই কারণগুলো দূর হলে তবে ধর্ম যাবে।
    কাজেই আগে ধর্মের উৎপত্তির কারণ খুঁজতে হবে।
  • পাগলা গণেশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৩২540379
  • ১. আপনি ভুল বুঝছেন। আমি মানব ইতিহাসে, বা বিশ্বে কিংবা গুরুতে কোনোখানেই প্রথম আঘাত হেনেছি বলিনি। অতবড় স্পর্ধা আমার কোথায়? 
    আমি আমার যাত্রাপথে প্রথম আঘাত হানলাম।
    ২. নিরীশ্বরবাদী প্রথমে ছিল না। কিন্তু এখন তারা (বৌদ্ধ ও জৈন) তাদের প্রবর্তককেই ঈশ্বর মানে। তাতেও সমস্যা আছে। তাঁরা (বুদ্ধ ও মহাবীর) ঈশ্বরকে অস্বীকার করলেও, পরজন্ম, স্বর্গ ও নরকের ধারণাকে রেখেই দিয়েছিলেন। তার ফলেই নিরীশ্বরবাদও শেষমেশ ঈশ্বর ও সৃষ্টিকর্তার ধারণায় ভেসে গিয়েছে। অবশ্য তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। কারণ, তাঁরা তো আর এতটা যৌক্তিক হতে পারেননি।
    ৩. নাস্তিকতা নতুন বা পুরোনো সেটা কথা নয়। আমি এর অগ্রদূত বা প্রবর্তক হওয়ার শ্রেয় চাইও না। আর শকিং ই বা হতে যাবে কেন, এ তো মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হওয়া উচিত। মায়ের উপস্থিতি কী শকিং হয়! 
    ৪. তা ঠিক। কিন্তু সেটাকে গ্রহণ বা বর্জন করার দায়িত্বও তো আমাদের। সেটা প্রবলভাবে শুরু হয়েছে, আমি তার নেতা নয়, বরং সেই বিরাট স্রোতে একটি জলকণা মাত্র, হয়তো তাও নই।
    ধর্মের উৎপত্তির কারণ আর কিছুই নয়, মানুষের অসহায়তা আর ভয়। যে দেশ, জাতি বা সম্প্রদায় যত পিছিয়ে, সেখানে ধর্মের প্রকোপ তত বেশি। তা কাটছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে।
  • অয়নেশ | 2401:4900:8829:c7f8:30bb:50c8:531b:***:*** | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৫540381
  • গণেশবাবু 
    একটা ছোট্ট প্রশ্ন -- 
    কোন কোন জাতি সবচেয়ে এগিয়ে?
  • অয়নেশ | 2401:4900:8829:c7f8:30bb:50c8:531b:***:*** | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৬540382
  • আর কোন কোন জাতি সবচেয়ে পিছিয়ে?
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৩৫540383
  • অয়নেশ বাবু, খুব সহজ।
    যে জাতি ধর্ম ছেড়ে বিজ্ঞানকে গ্রহণ করেছে তারা এগিয়ে আর যারা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করেছে বা করছে, তারাই পিছিয়ে।
  • | 2409:4060:2e97:1ae0::adca:***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:১০540384
  • অয়নেশ | 223.185.***.*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:২৫540386
  • ০০:৩৫ 
    একটু নাম করে উদাহরণ দিলে সুবিধে হয়। 
  • Debasis Bhattacharya | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০২:০৮540388
  • পাগলা গণেশ,
     
    আমিও আপনার উদ্বেগ এবং আকাঙ্ক্ষার শরিক, কিন্তু আপনাকে যেন একটু বেশি হতাশ ও অস্থির মনে হল। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আসলে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই মানুষ দলে দলে ধর্মবিশ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন, এবং একুশ শতকে তার গতি অত্যন্ত বেড়েছে --- মিডিয়াতে মৌলবাদের দাপাদাপি দেখে যাই মনে হোক না কেন! পৃথিবীজোড়া প্রামাণ্য সমীক্ষাগুলো বলছে, বর্তমানে ধর্মহীন মানুষের সংখ্যা খ্রিস্টান ও মুসলমানদের পরেই। অর্থাৎ, জনসংখ্যার আয়তনে তারা তৃতীয়, হিন্দুরা চতুর্থ। সমাজতাত্ত্বিক গবেষমণায় আজ এটাও ভালভাবেই প্রমাণিত যে, যে কোনও দেশে মাথাপিছু আয় বাড়লে, অর্থনৈতিক অসাম্য কমলে, শিক্ষাদীক্ষা আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভাল হলে, ধর্মবিশ্বাসীর সংখ্যা কমতে থাকে (এবং বলা বাহুল্য, উল্টোটা ঘটলে বাড়ে)। 
     
    অতএব, নাস্তিকতার জন্য আপনার কিছু করার আছে বলে যদি মনে করেন, তো হতাশা আর অস্থিরতাকে পাত্তা না দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় অবিচলিতভাবে আপনার কাজটা করে যান। ফলাফল আপনি চোখে দেখতে না পেলেও, আপনার এক বা দুই প্রজন্ম পরের লোকজন পাবেই। 
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:১০540389
  • দেবাশীষ  বাবু ,
          একদম ঠিক কথা।আপনি নিশ্চয় আমার গোত্রের,অন্তত চিন্তার দিক থেকে।তবে এক জায়গায় আমি অসম্মতি জানাব,আমার করার কিছু নেই,এটা বলা যায় না।আর্থিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে নাস্তিকতা বাড়বে ঠিক।কিন্তু আমি তার গত ত্বরান্বিত করতে চাই।যেন ধর্মসন্ত্রাসীরা আর কয়েকজন মানুষকে কম খুন করে।
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:১৮540390
  • অয়নেশ বাবু,
    উদাহরণ নিজে দেখুন, ঠিক পাবেন। আমি নাস্তিক ঠিকই, কিন্তু দাঙ্গা লাগাব, এমন অভিপ্রায় নেই। আপনি যেটা চাইছেন সেটা বললে ব্যাপারটা কোনদিকে যাবে আপনিও জানেন, আর সেজন্যই এমন ফাঁদ পাতছেন। কিন্তু আমি পা দেব না।
    শুধু এটুকু বলতে পারি, একটু গ্রামের দিকে, যেখানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পৌঁছায়নি সেখানে ধর্মের নাচানাচি বেশি। গুণিন, ওঝা, পীর, মৌলবীদের উৎপাত। কিন্তু শহরে ওই একই কাজগুলোর জন্য মানুষ ডাক্তার বা পুলিশের সাহায্য নেয়।
    তাছাড়া ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করা দেশগুলো দেখুন - মায়ানমার, পাকিস্তান, ইরান।
  • . | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:৫৫540391
  • সেই পুরোনো টপিক। ডিম মুরগির। চাকা বারবার আবিষ্কার করে বিশেষ কোন লাভ হবে শুনি?
  • Debasis Bhattacharya | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৪540396
  • পাগলা গণেশ,
     
    অসম্মতির প্রশ্ন উঠছে কেন, আপনি তো আসলে আমাকে সমর্থনই করলেন। আমি বলেছি, হতাশ এবং অস্থির না হয়ে আপনার কাজটা করে যান, এবং আপনিও তো তাইই করতে চান বলছেন। তাহলে তো আমরা একমত! 
  • অয়নেশ | 2402:3a80:4308:8a5b:378:5634:1232:***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৩540397
  • ০৩:১৮
    ক বললেন, জান তো, হনুমানে কলা খায়। শুনে খ বললেন, তা হনুমানে কী কী কলা খায়? 
    ক এত বোকা নন যে খ-এর এই প্রশ্নসূচক ফাঁদে পা দেবেন। খুবই স্বাভাবিক। 
    ইদিকে গুগলিয়ে দেখা গেল এই গ্রহে যাকে বলে সর্বাধিক সেলিব্রেটেড ধর্মীয় উৎসবের নাম ক্রিসমাস। তা এইটি মায়ানমার, পাকিস্তান, ইরান -- এদের উৎসব বোধহয় নয়। কি জানি। না না কো-নো প্রশ্ন নয়। বরং হ্যাপি নিউ ইয়ার। 
  • র২হ | 2600:6c5a:1500:e3f:20d0:3c3e:7039:***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৪540398
  • দাঙ্গা লাগার সম্ভাবনা ছিল না, কোন কোন 'জাতি' ধর্ম 'ছেড়ে' বিজ্ঞানকে গ্রহণ করেছে তার লিস্টি দিলে আর কী।
     
    ওদিকে ধর্মীয় উৎসব নাহয় ছেড়েই দিলাম। নিতান্ত যুক্তিপূর্ণ উচিত ব‍্যাপার - সাপ্তাহিক ছুটির দিন - রবিবার। 
    সেসবও আছে।
     
    আবার শহর অঞ্চলে জ‍্যোতিষী তান্ত্রিকদের হৈহৈ দপ্তর।
     
    গণেশবাবুর উদ্দেশ‍্য বিধেয় সবই সাধু, তবে অঙ্কটা আরেকটু জটিল বলে মনে হয় আরকি।
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৯540399
  • র২হ বাবু 
    ব্যাপারটা ঠিক অতটা সহজ নয়, যে আমি লিস্টি দিলাম আর হয়ে গেল। তার কাটাছেঁড়া হবে, অলীক স্বপ্ন দেখবে, আমাকে দোষী প্রমাণ করে বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়ে যাবে, আমার আসল কথা ধামাচাপা পড়ে যাবে। সেজন্যই লিস্টিটা দিচ্ছি না।
    এই যে আপনি জটিল অঙ্ক খুঁজে পেলেন, রজ্জুতে সর্পভ্রম হল তো? যদি আমি লিস্টিটা দিতাম? আপনি করতেন না কাটাছেঁড়া? তখন আমার উদ্দেশ্য বিধেয় সব গোল্লায় যেত, আমায় কাকে বেশি খারাপ বলেছি, কাকে কম, আলোচনা সেটা হয়ে যেত। আমি সেটা মোটেও চাই না।
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০২540400
  • আয়নেশ বাবু,
    উৎসব পালন মনেই তো ধর্ম নিয়ে মাতামাতি নয়। ওরা তো সারাবছর ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকে না, বা ওদের ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে পিটিয়ে মারে না বা গর্দান কেটে নেয় না। আর ধর্মকে আঁকড়ে পড়ে থেকে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে চায় না। তাই ক্রিসমাস সবচেয়ে বেশি উদযাপিত উৎসব হওয়া সত্ত্বেও ওরা এগিয়ে।
    তবে আমার মতে তাও বন্ধ হওয়া উচিত।
  • পাগলা গণেশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৩540401
  • . ডিম তো পুরোনো, কিন্তু পুষ্টিকর তো? 
    আলেকজান্ডার তো বেঁচে নেই, আমরা তার ইতিহাস কেন পড়ি?
  • অয়নেশ | 2401:4900:8829:c7f8:30bb:50c8:531b:***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৭540404
  • ১৩:৫৯ 
    গণেশবাবু পাবলিক ফোরামে কিছু মতামত প্রকাশ করছেন। সাধু। কিন্তু যেন মনে হলো, (ভুল হলে নিজগুনে মাপ করেন, রজ্জুতে সর্পভ্রম হলেও) আবার তাঁর মতামতকে কেন্দ্র করে আলোচনা বা প্রতিক্রিয়াকেও বেঁধে দিতে চান নিজেরই জাজমেন্ট ও প্রত্যাশা অনুযায়ী। নিজের বিলিফ সিস্টেমকে ঘিরে  একটেরে থাকেন ধর্মীয় রক্ষনশীলরাও। তফাৎ কী? না না কোনো প্রশ্ন না। শুধু একটু ভেবে দেখবেন। 

    ১৪:০২
    এগিয়ে থাকার ব্যাপারটা প্রেডিক্টেবল ছিল। যাই হোক। 
    এহনে 'এগিয়ে থাকা' নিয়ে গরিবের সামান্য একটা লিস্টি দিয়েই কেটে পড়ি। গণেশবাবু নিশ্চই ১. ইউরোপের উইচ হান্ট ২. লাতিন আমেরিকায় কনকুইস্টেডরদের কান্ডকারখানা ৩. আটলান্টিক স্লেভ ট্রেড ৪. কু ক্লাক্স ক্ল্যান ৫. হলোকাস্ট সম্পর্কে অবগত আছেন। বাকি উদ্দেশ্য বিধেয় সবই সাধু। এই আর কি।
  • kk | 172.56.***.*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৩540411
  • পাগলা গণেশ,
    "ওরা তো সারা বছর ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকেনা" -- এটা কি ক্রিশ্চানদের সম্পর্কে বললেন? অয়নেশ বাবু ইয়োরোপ ও লাতিন আমেরিকার উদাহরণ অলরেডি দিয়েছেন। আমি ইউএসএ তে হামেহাল দেখেছি ওরা ধর্ম নিয়ে কত বেশি পড়ে থাকে। সুবেশা মহিলারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে দরজায় টোকা দিয়ে বাইবেল পড়ে শোনান এবং সে বাড়ির বাসিন্দাদেরও পড়তে অনুরোধ করেন।  পাবলিক প্লেসে অচেনা মানুষকে ডেকে কেউ কেউ বলেন যে "তুমি তো দেখছি নরকে যাবে। আমাদের অমুক চার্চ গ্রুপে জয়েন করো নাহলে তোমার মুক্তি নেই।" এছাড়া ধর্মের দোহাই দিয়ে অ্যাবর্শনের বিরুদ্ধে যাওয়া, গে রাইটস অস্বীকার করা ও LGBTQ এর ওপর ভার্বাল এমনকি ফিজিক্যাল অত্যাচার করা, এগুলোও তো বেশ স্পষ্ট ভাবেই আছে।
    আপনি কোন জায়গা থেকে লিখেছেন তা আমি বুঝতে পারছি। এবং আগেও বলেছি নাস্তিকতা নিয়ে আমার কোনো প্রবলেম নেই। ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো কিছু করাকেই আমি সমর্থন করিনা। এই নিয়ে অনেকবার গুরুচণ্ডালীতে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই লিখেছেন। আপনি ইচ্ছে হলে সেগুলো খুঁজে পড়তেও পারেন। যেকোনো স্ট্যান্ড নিয়ে এগোতে গেলে সব দিকগুলোই অ্যাড্রেস করতে হবে। এইটা একটু ভেবে দেখলে ভালো হয় যে নাস্তিকতা জিনিষটা আপনার ইউনিক নয়, নতুন তো নয়ই। এছাড়াও এটা সাড়া জাগিয়ে দেওয়া 'বিতর্কিত' তাও নয়। আপনি একটা আবেগ থেকে লিখেছেন, সে ঠিকই আছে। কিন্তু এই কথা গুলোও মাথায় রাখলে ভালো হয় যে এখানে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন সেগুলোরও একটা ভ্যালিডিটি আছে। কিছু নিয়ে তর্ক করতে গেলে সব সময় আবেগ দিয়ে সেটা করা চলেনা। যুক্তি, তথ্য, ফ্যাক্টস এগুলোও দরকার।
    আপনি নিজের মতবাদ নিয়ে লিখেছেন, সবার কথার উত্তর দিচ্ছেন, কিছু করবেন বলে ভেবেছেন, খুবই ভালো ব্যপার এগুলো। কিন্তু জাজমেন্টাল হয়ে যাওয়াটা আমার ভালো লাগেনি। সেই কারণে এত কথা খরচ করলাম । তাছাড়া আপনি তো সব সময়েই পাঠকদের কমেন্ট শুনতে আগ্রহী, সেটাও একটা কারণ বটে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন