r2h আপনার কথার সার তিনটে পয়েন্ট।১.ধর্মপালন এবং ধর্মচিহ্ন ধারনের করণ পরিচয় এবং স্বজাতির ভাইদের রক্ষার জন্য প্রতিবাদস্বরূপ।
২.ধর্ম যতজনকে এবং যত জীবহত্যা করেছে তার থেকে বেশি বিজ্ঞান করেছে এবং করছে।
৩.ধর্ম না থাকলেও পৃথিবীর মানুষ সুশীল হয়ে যাবে না।
এবারে একটা একটা করে বলি।
১. প্রতিবাদ করার জন্য মানুষ হওয়ার দরকার হয়,ধর্মপালন নয়। আপনি হিন্দু হয়ে কি মুসলমানদের বা ইহুদীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারেন না? নাকি অন্যরা আপনার উপর অত্যাচার হলে পারে না? আর যদি পারে, তাহলে ধর্মের প্রয়োজন কিছুই নেই। আর পরিচয় যেটা বললেন, সেটা যতটা না নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, তার থেকে বেশি সুরক্ষিত করার জন্য। নিজের মতাবলম্বী মানুষ তার বিপদে তার সাথে দাঁড়াবে। এটাই সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা। তাতে সমস্যাও আছে, ও গিয়ে বলল, "অমুক সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে এই সম্প্রদায়ের হওয়ার জন্য মেরেছে।" কিছু যাচাই না করেই লড়াই শুরু হল। এত সহজে হয় না, তবু উদাহরণের জন্য একটা সহজ ঘটনার সাহায্য নিলাম।
২. কথাটা ঠিক, কিন্তু পুরো নয়। ধর্ম প্রত্যক্ষভাবে হয়তো কম হত্যা করেছে, কিন্তু পরোক্ষভাবে যা হত্যা করেছে, করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে, তা বিজ্ঞান কোনোদিন পারবে বলে মনে হয় না। কত লোক, রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, শুধু এই কারণে, ধর্ম তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। আর বিজ্ঞানের দোষ দিলে হয় না। কিছু মানুষের লোভ আর নিষ্ঠুরতার জন্য মানুষ মরেছে, বিজ্ঞানের জন্য নয়।
৩. তৃতীয়টার উত্তর সবচেয়ে সহজ। ধর্ম না থাকলে মানুষ সুশীল হয়ে যাবে না সত্য। কিন্তু বিকারগ্রস্থ ক্ষমতালোভীরা খুন করে হাত মোছার জন্য একটা কাপড় কম পাবে, লুকানোর জন্য একটা ঘর কম হবে, মানুষের চোখ থেকে একটা পর্দা সরে যাবে। সেটা একেবারে বিরাট পরিবর্তন না হলেও, একটা পদক্ষেপ তো নিশ্চয়।
দশম ঘায়ে যদি পাথর ভাঙ্গে, আগের নটা ঘা তো বেকার যায়নি!
আমি চাই প্রথম ঘা টা দিতে।