এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একাদশ শ্রেণীতে ট্যাব প্রদান প্রসঙ্গে

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ জুলাই ২০২৪ | ১৯৩২ বার পঠিত
  • একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব দেওয়া নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল।

    আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম পাতার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল ট্যাবের পেছনে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ না করে শিক্ষার উন্নতিকল্পে আর কী কী করা যায় ? এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছিল মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি। মনে পড়ে যাচ্ছিল, বোধহয় গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে একমাসের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার যখন এক পিস করে চিকেন আর ফল দিয়েছিল তখন বাচ্চাদের মধ্যে কেমন সাড়া পড়ে গিয়েছিল। যদিও একমাসের ব্যাপারটা ভোটজোগাড়ের নির্লজ্জ প্রহসনই ছিল। কিছুদিন আগে একটা ফোটো চোখে পড়েছে অনেকের যেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রান্তিক এলাকায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল খাচ্ছে স্কুলে আর সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সেই দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই টাকার একটা ভগ্নাংশ খরচ করেই তাদেরকে মিড ডে মিলের আওতায় আনা যেত।

    মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রিক একটি গ্রুপে এই নিয়ে বিতর্কে এক তৃণমূলপন্থী প্রগতি শীল ব্যক্তি (প্রগতিশীল, কারণ উনি এ পি ডি আর করেন) মন্তব্য করলেন, ইনটারনেট থেকে কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই শিখবে ? সত্যিই দেখলাম প্রগতিশীলরা সবসময় শ্রেণীর ব্যাপারটা মাথায় রাখেন। যেমন এটা যদি রাশিয়া হত আর স্কুলে ভদকা দেওয়া হত , তাহলে উনি সেটাকে সমর্থন করে বলতেন, ভদকা কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই খাবে ?

    কেউ যদি ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের তুলনায় আপত্তি করেন তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একমত হব। কারণ সত্যিই ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের কোনো তুলনাই চলে না কারণ দু এক পেগ ভদকার তুলনায় মোবাইল বা ট্যাব অনেক বেশি বিপজ্জনক।

    তাহলে ঐ প্রগতিশীল ব্যক্তি যেমন বলছিলেন, তেমনি ইনটারনেট থেকে কি শেখা যায় না ? কেন যাবে না, গুটিকতক সাত্ত্বিক প্রকৃতির লোক নিশ্চয়ই আছেন যাঁরা ইনটারনেট থেকে শুধু জ্ঞান আহরণ করেন। বাকি আমার, আপনার মত বেশির ভাগ তামসিক প্রকৃতির লোক নেট থেকে শুধু মজা নিয়েই কাটিয়ে দিই ঘন্টার পর ঘণ্টা। এ মজার প্রকারভেদ থাকতে পারে — কেউ হয়ত পুরোনো বাংলা গান শুনছেন, কেউ সেলিব্রিটিদের রিল দেখছেন, কেউ প্রিয় খেলোয়াড়ের ক্লিপিংস দেখছেন, কেউ হোয়াটসঅ্যাপে ‘চেপে রাখা ইতিহাস’ পড়ে শিহরিত হচ্ছেন, কেউ ইনকগনিটো ট্যাব খুলে, বিনে পয়সার ভিপিএন ব্যবহার করে বা না করে পর্নোগ্রাফির থরে থরে সাজিয়ে রাখা সফটকোর আর হার্ডকোর সম্ভার দেখছেন। মোট কথা জ্ঞানের জন্য ইনটারনেট ব্যবহার রিসার্চ লাইব্রেরীর বাইরে কাউকে করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অবশ্য গুগল করে ইনফরমেশন কালেক্ট করতে দেখেছি। যাইহোক ইনফরমেশনকে তো আর নলেজ বলে না । আর সেই ইনফরমেশন ঠিকঠাক পেতে গেলেও কিন্তু যেটা লাগে সেটা হল ইংরেজী ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান।

    মোবাইল সম্পর্কে এই ব্রহ্মজ্ঞানটুকু ছিল বলেই আমার ছেলেকে টুয়েলভ পাস করার আগে আমি মোবাইল কিনে দিইনি এবং আমার পরিচিত কোনো অভিভাবককেও দেখিনি কিনে দিতে। তাদের অবশ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল প্রত্যেকের কিন্তু তাতে নেট সংযোগ ছিল না এবং সেগুলো গেম খেলার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হত। কিন্তু আজকে সরকারী স্কুলের কোনো অভিভাবক যদি সিদ্ধান্ত নেন যে পড়াশোনার ক্ষতির থেকে বাঁচাতে সন্তানকে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার আগে মোবাইল বা ট্যাব দেবেন না, সরকারী নীতিতে তাঁর সেই সিদ্ধান্তে ভেটো পড়ে গেল। শুধু তাই নয় আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের ওপর চাপল নেট রিচার্জ করার বাড়তি চাপ হিসেবে মাসিক অন্তত পাঁচশ টাকার খরচ।

    তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষায় ইনটারনেটের ব্যবহার কি কোনো সুফল দিতে পারে না ? দিতেও পারে হয়ত গুটিকয় খুব এগিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে। তাদের জন্য বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে কয়েকটি ডেস্কটপ কমপিউটার ইনটারনেট সংযোগ সমেত দিয়ে দিলেই হয়, যদি অতটা বাড়াবাড়ি রকমের পরিকাঠামো উন্নতির দরকার হয় আদৌ।

    তাহলে এত এত ছাত্রছাত্রী ইনটারনেট সমেত ট্যাব নিয়ে কি করবে ? মজা করবে যে মজাগুলোর উল্লেখ ওপরে করেছি। তবে একটা বড় অংশ মুলত পর্ণগ্রাফি দেখবে।মনে রাখতে হবে তাদের বয়স সবে পনের কি ষোল। মনে আছে ইলেভেনে পড়ার সময় কেউ একজন একটা রগরগে থ্রিলার নিয়ে ক্লাসে এসেছিল – নিক কার্টারের সাগর সহেলীর ফাঁস। ক্লাস ভর্তি ভালো ছেলেদের পড়া সেদিন মাথায় উঠেছিল। আর এখন তো অডিও ভিস্যুয়াল। না, পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে কোনো নৈতিক যুক্তি আমি এখানে দিচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হল ইনটারনেটে এর অসীম সংগ্রহ ওই বয়সে অ্যাডিকশনের জন্ম দেয় এবং প্রচুর সময় নষ্ট করায়। তাই পৃথিবীর যেসব দেশে পর্ণগ্রাফি লিগাল, সেখানেও আঠার বছর বয়সের আগে তারা যাতে অ্যাকসেস না পায় সেটা দেখা হয়। তাছাড়া আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থায় যেখানে যৌনতা এখনও একটা প্রকাশ্যে অনালোচিত ট্যাবু সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ এসব দেখে অপরাধবোধ বা ধর্মীয় কারণে পাপবোধে ভুগতে পারে। তখন পড়াশোনা যেটুকু হচ্ছিল সেটুকুও মাথায় উঠবে। আর জেনে রাখুন শুধু করোনার সময় ভারতে যে সহস্রাধিক সফটকোর বা হার্ডকোর পর্ণগ্রাফি তৈরি হয়েছে (শিল্পা শেঠীর স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারি মনে আছে নিশ্চয় ) সেগুলোও এখনো নেটে সহজলভ্য। আর এসবের ঠিকানা মোবাইল বা ট্যাবের কয়েকটি বাটনচালনার দ্বারাই উপলব্ধ যেটার সন্ধান নন- ডিজিটাল আপনি না জানলেও আপনার ডিজিটাল সন্তান নিশ্চয়ই জানবে।

    পড়াশোনা কি হবে জানিনা। এরা ছাব্বিশে ভোটার হলে ঠিক জায়গাতেই ভোট দেবে এটুকু অন্তত অনুমান করা যায়। ওই বলে না, যাবৎ জীবেৎ, সুখং জীবেৎ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ar | 71.174.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ২০:৩৩535050
  • এই লেখাটা বড়ই ডিপ্রেসিং। জেন Z আর জেন এ ওপর এত অবিশ্বাস কেন?
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:48fa:7325:b44c:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ২০:৫৩535052
  • এই লেখার সাথে অনেকটা একমত। ট্যাবে পানু দেখার জন্য না, কারন ছেলেমেয়েরা তো পানু দেখবেই। আমাদের সময়ে কিছুই ছিল না, তাও আমরা পুরনো বইএর দোকান থেকে ইংরেজি আর বাংলা পানু বই কিনে পড়তে শুরু করে দিয়েছিলাম ক্লাস এইট থেকে। সেটা না, আমার মতে ট্যাবলেট আর স্মার্টফোন হাইলি অ্যাডিকটিভ, ছাত্রছাত্রীদের কোন উপকারে আসে না, উল্টে অ্যাটেনশান স্প্যান কমিয়ে দেয়। আর ট্যাবের টাকাটা সরকার মিড ডে মিলের পেছনে খরচ করুক, এ ব্যাপারে ভীষন ভাবে একমত। এমনিতেও দেশে অন্তত ক্লাস টুয়েলভ অবধি সবার জন্য শিক্ষা ফ্রি করা উচিত, শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত করা উচিত, ইনফ্রাস্ট্রাকচার বেটার করা উচিত, আরো বেশী সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা রিক্রুট করা উচিত, তাঁদের চাকরির টার্মস বেটার করা উচিত, এসব দাবী তো আছেই। আর হলো গিয়ে আরটিই অ্যাক্ট ঠিকমতো ইমপ্লিমেন্ট করা উচিত। 
  • | ২০ জুলাই ২০২৪ ২১:১২535053
  • খানিকটা ar এর উত্তরে আর খানিকটা এই লেখাটা পড়ে একমত হয়ে একটা ঘটনা উল্লেখ করি।  
     
    সৃষ্টিসুখের রোহণ কুদ্দুস কয়েকদিন আগে লিখেছিলেন। তিনি একটা প্রোজেক্টের  রিক্রুটমেন্টের জন্য ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন আর টুকটাক অভিজ্ঞতা ফেসবুকে লিখে রাখছিলেন। এরকমই একদিন একটি ছেলে এসেছে বয়স ২৫-২৬ বোধহয়। ছেলেটি এসে অবধি ইন্ট্রো প্রশ্নের  উত্তর দিচ্ছে মাথা  নামিয়ে মোবাইল চেক করতে করতে। তিন চারবার দেখে বিরক্ত হয়ে রোহণ তাকে বলেন মোবাইল পকেটে রেখে সামনে তাকিয়ে বসতে।  ছেলেটি রাখে বটে কিন্তু প্রচন্ড অস্থির হয়ে পড়ে। ব্যপার দেখে রোহণ কারণ জানতে চান। হতে পারে হয়ত কোন জরুরী সংবাদ আসার আছে বা কেউ অসুস্থ। কিন্তু ছেলেটি তাঁকে জানায় সারাক্ষণ ফেসবুক ইন্সটা ট্যুইটার টিকটক চেক না করলে ওর চলেই না। কোন বন্ধু পরিচিতের স্ট্যাটাসে কমেন্ট না করলে ওর মনে হয় সেই লোক হয়ত ফোন করে ওকে ধমকাবে।  ঘুম খুব কমে গেছে, কোন চাকরিও পায় নি পাশ করা ইস্তক। কিন্তু কিছু পড়ার সময়ও পায় না।  চিকিৎসাও নাকি শুরু হয়েছে কিছুদিন হল। রোহণের মন্তব্য কাজ যে বিশেষ হয় নি এখনো চিকিৎসায় সে ত দেখাই যাচ্ছে। তো উনি জিগ্যেস করেন এইভাবে চললে যে চাকরি পাবেই না সেটা কি বুঝছে? ছেলেটি বেশ আহত হয়ে জানায় জান আমার জিপিএ অত (যেটা যথেষ্ট উপরের দিকে)।
    ইন্টারভিউএর সেখানেই সমাপ্তি। ঘটনাস্থল জর্ডান। 
    তো এরকম কয়েকটা কেস আমিও দেখেছি। অসম্ভব আসক্ত আর অ্যাটেনশান স্প্যান এত কম যে খুব সিম্পল হ্যালো ওয়ার্ল্ড টাইপ  প্রোগ্রামও মোবাইল না ঘেঁটে লিখে উঠতে পারে না।  
  • | ২০ জুলাই ২০২৪ ২১:১৬535054
  • আর বাচ্চাদের হাতে ইন্টারনেট অ্যাকসেস দেবার আগে চাইল্ড লক, রাউটার  পাসওয়ার্ড সেটাপ ইত্যাদি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। তা সে তো বেশিরভাগ অভিভাবকই সে নিয়ে সচেতন নয়। 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ২১:১৮535055
  • আমিও একমত পোস্টদাতার সাথে। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝেছি ,ওই বয়সে ট্যাব হাতে পেলে প্রচুর সময় নস্ট হয়। পরনোগ্রাফির কথা বাদ দিলেও ট্যাব আর নেট হাতে পেলে সময় নষ্ট হয়। আমিও এম এস সি করার সময় স্মার্টফোন কিনেছিলাম ,তাঁর আগে নয়। এর জন্যই। 
    ১) বরং প্রতিটা স্কুলে নেট কানেকশন এর ব্যবস্থা করা উচিত ,কোন নেট এর দরকার থাকলে স্কুলের কম্পিউটার থেকে তা দেখে নেবে।
    ২) মিড ডে মিল এ অবশ্যই বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। 
    ৩) স্কলারশিপ হিসাবে টাকা দেওয়া উচিত। বিশেষ করে ১৮ বছরের পর মেয়েদের স্পেশাল স্কলারশিপ চালু করা উচিত।আর উচ্চ শিক্ষা পুরো ফ্রি করা উচিত। (ওপরে ডি সি বাবু যেটা বলেছেন)
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:48fa:7325:b44c:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ২১:২২535056
  • বিশেষ করে মোবাইল জিনিষটা অত্যন্ত অ্যাডিকটিভ, কম্পিউটারও বোধায় অতোটা না। "খুব সিম্পল হ্যালো ওয়ার্ল্ড টাইপ  প্রোগ্রামও মোবাইল না ঘেঁটে লিখে উঠতে পারে না" - একদম একমত, নিজের চোখে দেখছি। এখন যারা স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, তাদের কোন কিছু জিগ্যেস করলেই মোবাইলে গুগল খুলে সার্চ করতে বসে যায়। 
  • Aditi Dasgupta | ২০ জুলাই ২০২৪ ২২:৫০535060
  • ট্যাব হিমশৈলের চূড়া মাত্র! একটা বিস্তৃত নেট ওয়ার্ক পড়াশুনো ব্যাপার টাকেই উড়িয়ে দেবার সংস্কৃতি বুনে চলেছে! করোনার পর থেকে  এটেন্ডেন্স বিষয়টা ফালতু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের ও সাপোর্ট থাকছে এ বিষয়ে  অনেক সময় ই।বই পড়ার দরকার নেই। গুগল এর বিদঘুটে বাংলা।ভেবে এক লাইন লিখতে হিমশিম। আসলে টেকনোলজি কে দোষ দিলে হবেনা!সেটা দিয়ে কীকী করা যায়, কত দূর এগোনো যায় সেটি না শিখিয়ে কেবল যন্তর টি হাতে তুলে দিয়ে হাত ধুয়ে বসে শুধু মজা দেখো! স্কুল গুলিতে শিক্ষক রা প্রতিদিন অপরিণত পাকামো সামলাতে হিমশিম। খাজনার চেয়ে বাজনা বাজাতে গিয়ে তাঁদের হাতে ব্যথা, মনে হতাশা। কলেজে ইউনিভার্সিটি তে সেই ট্রাডিশন ই বজায় থাকছে। রীল বানাতে ওস্তাদ কিন্তু একপাতা ওয়ার্ড এ টাইপ করতে পারেনা, হোয়াটস্যাপ এ টাইপ করে!কলেজে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে সরকারি স্কলারশিপ এর আবেদন পড়তে দেরী হয়না কিন্তু সেই টাকা যে ফুল টাইম কোর্স এর জন্য সেটা ভুলে যায়! শেষ পর্যন্ত অনেকেই টানতে পারেনা, তাতে কি!বছর তিনেকের রোজগারের বন্দোবস্ত হয়ে যায় তো!ও টাকা তো ফেরত দিতে লাগেনা! এই ভাবে বোধহীন ভাবনা হীন কৃতজ্ঞ জেনারেশন তৈরি হয়ে চলেছে। সাধারণী করণ উদ্দেশ্য নয়,কিন্তু ট্রেন্ড এটাই! তাও লড়ে যাচ্ছেন টিচার রা, সাড়া দিচ্ছে কিছু ছাত্র ছাত্রী, এটাকে সম্বল করেই আশায় বুক বাঁধা। এর বেশী বিশদে আর লিখতে পারলামনা ! চোখ কান খোলা রাখলেই দিনের আলোর মত স্পষ্ট। কথায় বলে :.... ন্তির লাজ নেই.... ন্তির লাজ! 
     
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৭535092
  • সন্দীপন বাবুর মূল বক্তব্য যেটা বাচ্চাদের ট্যাব দেওয়া বেশি জরুরী নাকি অন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার এ টাকা খরচ করা বেশি জরুরি সেটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। প্রায়োরিটি লিস্টে ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা মিড ডে মিলের বিভিন্ন আইটেম দেখলে অবশ্যই ট্যাব তালিকার মাথায় থাকবে না। 
     
    কিন্তু ট্যাব বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করে এই কথাটা blanket ভাবে মানতে পারছি না। আসল সমস্যা বাচ্চাদের নিজেদের মানসিকতার যেটা আবার তৈরি হয় বাড়ি, স্কুল, আত্মীয় বান্ধবের সাহায্যে। সেই পরিবেশে বাচ্চা যদি তার গোড়া থেকে মন কে স্টিমুলেট করে এমন কিছু না পায় সে জ্ঞান আহরণ করার থেকে অন্য কিছুতে বেশি আকর্ষিত হবেই। দুর্ভাগ্যের বিষয় বেশির ভাগ বাচ্চাই এমন হয়।  তারা ট্যাব পেলে ট্যাবে পর্নোগ্রাফি দেখবে। না পেলে পানু বই এর পাতা ছিঁড়বে। আবার যে বাচ্চাকে নিজের মতন করে ভাবতে শেখানো হয়নি সে কোন অজানা প্রশ্নের উত্তরে ট্যাব পেলেও ফ্যাল ফেলিয়ে তাকিয়ে থাকবে না পেলেও তাকিয়ে থাকবে। 
     
    আবার কোন কোন বাচ্চার ব্যালান্স জ্ঞান এতটাই ভাল হয় যারা আমরা যাকে বলি  বজ্জাতি ও পড়াশোনা দুটোই সমান তালে চালাতে পারে। এমন বাচ্চাও আমরা কিছু কিছু দেখেছি বৈকি জীবনে। 
     
    বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করার জন্য ট্যাব বা মোবাইল ই যদি দায়ী হবে তাহলে তো আমরা যাঁরা ট্যাব বা ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট হীন যৌবন কাটিয়েছি তাদের সব পড়াশোনায় দিগগজ হওয়ার কথা ছিল। হলাম কি? কেন আমার প্রজন্মের ৫০% গ্রাজুয়েট গুছিয়ে  নিজের মনের ভাব মাতৃভাষায় বা অন্য ভাষায় লিখতে সহজ বোধ করেন না? তারা নিজেরা অবসর সময়ে বাড়িতে পাঠ্যের বাইরের বই পড়েন ? নাকি নিজেরাই সারাক্ষণ এন্টারটেইনমেন্ট খোঁজেন? 
     
    ট্যাব বা মোবাইল ছোট থেকে হাতে পেয়েছে এমন একদল ছাত্র কে কাছ থেকে দেখার সুবাদে জানি পূর্ব প্রজন্মের মধ্যে পড়াশোনার যা মাত্রা এদের মধ্যে তার থেকে কোন আলাদা রকম চোখে পড়ে না। বরং ছাত্র রা পেরেন্ট টিচার মিটিং এ কমপ্লেইন করছে, বাবা মা আমাদের মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে কিন্তু নিজেরা যে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে বসে থাকে? এই বাবা মা র দল কিন্তু মোবাইল হীন ভাবে বড় হওয়া প্রজন্ম। তাঁরা তাহলে সন্তানকে কি শেখাচ্ছেন? 
     
    ট্যাব addictive তো বটেই কিন্তু কোন নেশা addictive নয়? আর নেশাগ্রস্ত হব কিনা বা নিজেকে সরিয়ে আনতে পারব কিনা সেই জীবনের মূল্যবোধ  ও সংযম বোধ কোথা  থেকে কী ভাবে তৈরি হবে? সেই বোধ গজানোর accountability যাঁদের তাঁদের নিজেদের accountability র বোধ আছে তো? আসলে নেশরোধের জন্য  একসেস ই না দেওয়া একটা উপায় তো বটেই  আর একসেস বন্ধ না করে responsible ব্যবহার  শেখানো আরেকটা ধাঁচের অভিভাবকত্ব। চয়েজ অবশ্যই যার যার নিজের। তবে প্রথমটার সমস্যা এই যে আকর্ষণ বাড়ে  আর ছাড়া গরু হলেই আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাতেও ওভার অল দেশের উন্নতি হয় না। 
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:5c93:47eb:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৪ ১২:২০535093
  • "বাবা মা আমাদের মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে কিন্তু নিজেরা যে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে বসে থাকে?"
     
    এইটা একটা মোক্ষম প্রশ্ন বা অবসার্ভেশান। বেশীর ভাগ সময়ে বাবা মা রাই মোবাইলে অ্যাডিক্টেড হন আর তাঁদের দেখেই ছেলেমেয়েরা শেখে। 
  • desi panu | 82.103.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৪ ০০:২০535174
  • লেখক হঠাৎ দিশি পানুর কথা তুললেন কেন বুঝলাম না। এদ্দিন পানু দেখছি, প্রায় কুড়ি বছর, মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিশি পানু দেখেছি। দিশি মদ, দিশি সাহিত্য, দিশি বলিউডের মত দিশি পানুও জেনে রাখুন জাস্ট পাতে দেওয়া জায়না। কুনো স্টোরিলাইন নাই, লাইট-ক্যামেরা-সাউন্ডের কুনো সেন্স নাই, ক্যাটক্যাটে রংয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড। সেই টিভিসিরিয়াল-মার্কা জিজা-শালী অবৈধ সম্পর্কের গপ্প। ছ্যামরাছেমড়ির মুখে কুনো এক্সপ্রেশন নাই।
     
    অন্যদিকে অনুরাগ কাশ্যপ বলেছিলেন, হলিউডে ভিআর-টিয়ার যেকোন নতুন টেক প্রথম পানুতে ব্যবহার হয়। ওদের পানুতে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে যে লেভেলের এক্সপেরিমেন্টেশন হয়েছে, আমরা সেটা ভাবতেও পারিনা। আমাদের বড়জোর ওই আর্টফিল্ম-মার্কা পুনম পান্ডে। সে কি বোরিং ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। এদেশে আর্ট অফ সিডাকশন তৈরিই হয়নি। কোথায় দিশি পানুর সত্যজিৎ? চারুলতা দেখে আফশোস হয় উনি যদি দু-একটা পানু বানাতেন। নিদেনপক্ষে বার্তোলুচির ড্রিমার্স। ভদ্রলোকের পানুর চোখ ছিল, কিন্তু পোড়াদেশে কদর পেলেন না। 
     
    লেখক নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন আর যাই হোক ট্যাবহাতে কেউ দিশি পানু দেখবে না।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৮:২৪535191
  • কিশোর বয়সে মোবাইল হাতে এলে অনেক সময় নষ্ট হয় , যেটা ওপরে বলেছি , কিন্তু সবাই পরনোগ্রাফির দিকে আলোচনা টানছেন কেন জানি না। আমি যা জানি , ভারতে পরনোগ্রাফি ব্যান। আর ফোন পেয়ে সবাই , এমনকি বেশিরভাগ পরনোগ্রাফি দেণবে , এটা মারাত্মক অতিসরলীকরন
  • Sandipan Majumder | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০০:৩৮535214
  • আমি আমার নিজের বয়:সন্ধির কথা  মনে করলে নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি ওই বয়সে ইনটারনেট সমেত ট্যাব পেলে পর্ণগ্রাফি  দেখবেই বাচ্চারা। তাতে আমি কোনো নৈতিক  আপত্তি তুলি নি। বলেছি অ্যাডিকশন  আর সময় নষ্টের কথা। দেশি পর্নোগ্রাফির কথা বলেছি  পর্ণগ্রাফির সর্বব্যাপকতা বোঝাতে। যিনি বলেছেন দেশি পর্নোগ্রাফি  পাতে  দেওয়া যায় না তিনি করোনাকালে নির্মিত  ওয়েবসিরিজগুলো X video বা Xhamster এ দেখেন নি। এই আধঘন্টা,৪৫ মিনিটের ছবিগুলো  বিদেশি পর্ণকে টেক্কা দিতে পারে,সব দিক থেকেই।যিনি বলেছেন  পর্ণগ্রাফি  ভারতে ব্যানড তিনি  নিজে পরখ করে দেখে নিতে পারেন Xhamster এখনও অ্যাভেলেবল।অ্যাভেলেবল  PornZog,Noodlemag এর মত সাইট। এক্স ভিডিও  একটু নাম পালটে হাজির থাকে। এছাড়াও Celeb.nude ইত্যাদি  সাইট আছে। অভিনেত্রীদের নগ্ন ভিডিও ইনডেক্স করে সাজানো  থাকে। 
    পর্ণ নিয়ে বেশি লিখেছি কারণ মোবাইল  বা ট্যাব খুললেই পর্ণ এই ব্যাপারটা  আমরা বয়স্করা খুব কম জানি। যাদের যৌন কৌতূহল বেশি সেই বয়:সন্ধির ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয়ে  অনেক বেশি ওয়াকিবহাল  হবে এবং সেই দিকে ঝুঁকবে সেই সম্ভাবনা থেকেই যায়। নৈতিক  ভালো মন্দ নিয়ে বলছি কিংবা আমি নতুন প্রজন্মকে  খারাপ ভাবছি,ব্যাপারটা  অমন সরল নয়।
  • স্টুডেন্টের গার্ডিয়ান | 103.244.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০১:৪২535219
  • ১১-১২ এর সায়েন্স টেকস্ট আর রেফারেন্স বইপত্রের যা দাম হয়েছে আর IIT JEE mains advance NEET এসবের জন্য সব সাবজেক্টের এত বেশি রেফারেন্স বই বাজারে আছে, যার বেশিটাই খুব জরুরি, এমনকি FIITJEE, RESONANCE, ALLEN এসবের সম্পূর্ণ মেটেরিয়াল থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত সাবজেক্টের সব বই সফট কপি পাওয়া যায় বলে, স্টুডেন্টরা নিজেরাও বই যা কিনতে বাধ্য হচ্ছে, মোবাইলে স্ক্যান করে জনহিতার্থে পিডিএফ করে দিচ্ছে বলে,  একটু বড় স্ক্রিনে ব্যবহার করলে প্রায় কাগজের বইয়ের মতই এই সফট কপি বইগুলো ব্যবহার করা যায় বলে ট্যাব এখন ১০ পাস করার পর মাস্ট। ২০১৯ এর PCM সব বই, রেফারেন্স সহ + PYQ soln, ৫০% ডিসকাউন্টে কিনতে সেকেন্ডহ্যান্ড আজকের দিনে ৩৫০০০ টাকা পড়ছে। ২০২৬ এ ১০ ফাইনাল দেবে যে, তার জন্য তখন ফার্স্ট হ্যান্ড কিনতে লাখখানেক তো পড়বেই না? ট্যাব স্কুল থেকে না দিলেও কিনতে হবেই। হস্টেলে থাকলে একটা সাবজেক্টের ২৫ টা বই লাইব্রেরি থেকে তুলে পড়া যায়, কিন্তু প্রতিদিন নানা সময়ে একসাথে নানা সাবজেক্টের রেফারেন্স বই পড়তে ঘাঁটতে হলে তেমন ৫০ টা লাইব্রেরির মেম্বার হতে হবে। 
     
    ট্যাব মানেই পানু, এ শুধু আর্টসের লোক আর পানু অ্যাডিক্টদের উর্বর মস্তিষ্কেই ফলে। ব্রাউজারে, অ্যাকাউন্টে, গেটওয়েতে মাইনরদের জন্য পেরেন্টাল কন্ট্রোল লাগানো যায় না? 
  • . | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০২:৪০535223
  • পারভার্টেড মানসিকতা যাদের, তারা পর্নোগ্রাফিতেই ডুবে থাকবে। দেশে ইস্কুলে সেক্স এডুকেশন বলে কোনও বিষয় নেই। বয়ঃসন্ধিতে সকলেই ঝাঁপিয়ে পর্নোগ্রাফি দেখছে এটা অতিসরলীকরণ।
    যাগ্গে, এটা নিয়ে এত রক্ষনশীলতারও কিছু নেই। আবার যার যেদিকে ঝোঁক, সে পথ খুঁজে নেবেই। আজকের যুগে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস অত্যন্ত জরুরি জিনিস শিক্ষার ক্ষেত্রে। প্রচুর স্টাডি মেটিরিয়াল পাওয়া যায়।  যেরকম কম্পিটিশন, তাতে ভালো ফল করতে হলে শুধু পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভর করা যায় না।
  • একক | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪৫535225
  • এই আদিগন্ত খোলা ডাব্লু ডাব্লু মডেলটা ঢপের। এ টিঁকবে না। 
     
    কিডস ট্যাব,  এডু ট্যাব, এডাল্ট ট্যাব সব আলাদা হবে। সেদিন খুব দূরে নয়। তদ্দিন,  বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ, রচনা লেখা জারি থাক। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e95:6867:8569:***:*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৪:৫৭535227
  • আরে ছেলেপুলে ট্যাব পেয়ে ভোগে যাচ্ছে তাই নিয়ে এত কান্নাকাটির কি আছে? পরের ছেলে পরমানন্দ, যত ভোগে যায় তত আনন্দ।
     
    এবারে সিরিয়াস কথা। বই ট্যাবেও পড়া যায়, ঠিক কথা। কিন্তু দুটো সমস্যা।
    একটা, সবাই বলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও এসব বইয়ের চেয়ে অনেক বেশী আকর্ষক। কাজেই সেসব ফেলে ট্যাবে পড়া করবে আর আউট বই পড়বে তেমন লোকের সংখ্যা কম।
    দুই, নেটে যারা বই পড়বে তাদের সমস্যা হল নেটে প্রাপ্য বইয়ের লিস্ট কিউরেট করা নয়। কাজেই কোনটা আগে পড়ব এটা ঠিক করা নতুন পাঠকের পক্ষে মুশকিল হয়, বিশেষ করে বাড়িতে কেউ যদি পাঠক না থাকে যে গাইড করতে পারে।
     
    এবারে বলবেন না যে আমরাও পর্নো পড়তাম, ক্লাস কেটে সিনেমা দেখতাম ইত্যাদি। আমাদের পর্নো পড়া বা ক্লাস কেটে সিনেমা দেখার সুযোগ অ্যভেলেবিলিটি দিয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থাৎ যার খুব বেশী সুযোগ ছিল সেও হপ্তায় একটার বেশি পেত না। ভাবুন যদি আপনার শোবার ঘরে পর্নোগ্রাফির বিবলিওথেক নাসিওনাল থাকত, আর নতুন হিন্দী মুভির অনন্ত সরবরাহ। আপনি না হয় মহামানব, র‍্যাশন করে পর্নো দেখতেন আর বাকি সময় পড়া করতেন আর আউট নলেজ বাড়াতেন। কিন্তু আমার মত বহু ছেলেপিলে ভোগে যেত। অর্থাৎ, ভোগে ছেলেপিলে ট্যাবের আগেও যেত পরেও যাবে। প্রশ্নটা হল ট্যাবের পরে বেশী ছেলেপিলে ভোগে যাবে, না কম, না মোটামুটি একই রকম।
     
    কোথাও একটা দেখছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত লোকের অ্যাটেনশন স্প্যান কমে। কাজেই আমার ধারণা সবাই ট্যাব পেলে ভোগে যাবার সংখ্যা বাড়বে। 
     
    এবারে ভোগে যাওয়া মানুষের অধিকার। ভোগে যেতে দেওয়া বাবা মার অধিকার।
  • Sandipan Majumder | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫২535235
  • @পলিটিশিয়ান,আপনি সঠিক জায়গাটা ধরেছেন। যাঁরা  বলছেন ইলেভেন টুয়েলভে ট্যাব জরুরী, বিশেষত সায়েন্স পড়তে। এখন সায়েন্স পড়তে গেলে,জয়েন্ট দিতে গেলে মাসে ছয় সাত হাজার টাকা টিউশনের পেছনে খরচ করতে হয়। সেই পড়া সামলেও যারা নেট অ্যাক্সেস করতে  চায় পড়াশোনার স্বার্থে তাদের পরিবার নিজেরাই এটা অ্যাফোর্ড করতে পারবে। কিন্তু  বিরাট সংখ্যার ছাত্রছাত্রীদের  এটা পড়াশোনার কাজে লাগবে না।তারা বইটাই ভালো  করে পড়ে না। পানু না দেখুক,রিল দেখে  সময় কাটানোটাও হস্তিমূর্খের জীবন কাটানোর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e95:6867:8569:***:*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৩535239
  • সব ছাত্রকে ট্যাব দিতে যা খরচ হয় তার সাথে কিছু টাকা যোগ করে স্কুলে একটা পিসি ল্যাব বানানো যায়। সেই ল্যাবে  অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাত্ররা টাইম বুক করতে পারে। সাধারণভাবে এগারো বারো ক্লাসের ছাত্রদের সপ্তাহে দু ঘন্টা সময় দিলে হয়ে যাবার কথা।
     
    এবারে এরকম কিছু করলে অসুবিধা হল উপযুক্ত শিক্ষক দরকার। সেটার কি হবে বলা কঠিন। মামলা ইত্যাদিতে যেরকম ন্যাতা জোবড়া হয়ে আছে।
     
    আর একটা সমস্যা চুরি বা লোকাল মাসলম্যানেরা নিজেরাই ল্যাব দখল করে মদ ও পর্নোর আসর বসানো।
     
    যাকগে, যে কদিন আছি এসব নিয়ে বেশী ভেবে কি হবে!
  • স্টু গা | 42.108.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ১২:০৯535249
  • আরে স্কুলে ১১/১২ এ কদিন কঘন্টা যায় বাচ্চারা। কেনই বা যাবে? কলেজ থেকে ১১/১২ সরিয়ে দিয়ে তো মোস্ট ইনকমপিটেন্ট কোটায় আর ঘুষে চাকরি পাওয়া জনতার হাতে তুলে দিয়েছে বাচ্চাদের। সমস্ত ভালো ভালো লেকচারের ভিডিও পাওয়া যায়, ইউটিউবে না হলেও ফিজিক্সওয়ালা ইত্যাদি অনলাইন আর আকাশ থেকে শুরু করে সমস্ত কোচিং এর ভিডিও পাওয়া যায় টেলিগ্রামে। সবই ক্লাউডে রাখা। পড়াশুনো ত লকডাউনের  পর থেকে আদলে অনলাইনেই হয়। ট্যাব ছাড়া কীভাবে হবে? টাচসক্রিন ছাড়া  ল্যাপটপও অনেক স্লো। মাউস ইত্যাদি হাঙ্গাম। কম্পিউটার তো উঠেই গেছে মোটামুটি। অবসোলেট টেকনোলজি। কোন যুগে আছেন আপনারা? নিজেদের তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর  আগের ছোটোবেলার দাড়িপাল্লা দিয়ে আজকের পৃথিবীর পরিস্থিতি মাপছেন? মূল পড়াশুনো তো সকাল সাতটা থেকে দশটা, সন্ধ্যে ছটা থেকে রাত একটা। স্কুলে কম্পু খুলে কটা বই কতক্ষণ পড়বে আর কেনই বা পড়বে স্কুলে তো লাইব্রেরিই আছে। বাকি সময় স্কুলে তো ক্লাসই হবে।
    আজকের যে কোনো ১১/১২ র স্টুডেন্টের সঙ্গে কথা বলে দেখুন স্টাডি রিসোর্সের জন্য নেট কতটা জরুরি। অন্তত সায়েন্সের।
    কিউরেট ত বাচ্চা নিজের রিসোর্স নিজের ট্যাবে করে রাখবে। তার পড়ার টেবিল কি আপনি গুছিয়ে দেন না তার টিচার? টিচার স্টাডি ম্যাট রেফার করেন, আপনি কিনে দেন। বাকি তো তাকেই সাজিয়ে গুছিয়ে পড়তে হয়। সফট রিসোর্সও তাই। প্রতিটা কনসেপ্ট চাইলে গুগুল করে, প্রতিটা টার্ম চাইলে উইকি পড়ে তার রেফারেন্স দেখে ভিডিও দেখে বুঝতে হবে প্রতি মুহূর্তে আর আপনারা বলছেন নেট অ্যাক্টিভিটি লিমিটেড করতে? 
  • Sandipan Majumder | ২৪ জুলাই ২০২৪ ২২:০৮535264
  • @স্টু গা,বাপরে এ যে পুরো  ডিজিটাল  পড়াশোনার ছক। বই পড়ে,টিউটর  সামলে নিজে অংক টংক গুলো করতে হবে তো নাকি নেট খুলে বসে থাকলেই চলবে বুঝতে  পারছি না। না ত্রিশ,পঁয়ত্রিশ  বছর আগের কথা নয়,২০১৬ সালে এইচ এস দেওয়া  একটি ছেলের পড়া সামনে থেকেই দেখেছি।  টিউটরের কাছে পড়া আর নিজে প্র‍্যাকটিস করার বাইরে ছিল রেসোনেন্সের ডিসট্যান্স লার্নিংয়ের মেটেরিয়াল নাড়াচাড়া করা। নেট থেকে সাহায্য বলতে এইচ সি ভার্মার  বইয়ের অংকগুলোর সলিউশন যে নেটে প্রাপ্য তাকে জানানো  হয়েছিল। দরকার হয়নি,বই পড়ে আর ভালো একজন  টিঊটরের কাছে পড়ে নিজেই করতে পারত। JEE main এ র‍্যাংক ছিল ২৫৪০ আর WBJEE তে ১১২।  এই পড়াতেই সময় পেত না। 
    বাধ্য হলাম নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে।  এমন ভাব করা হচ্ছে যেন নেট  ইউজ করেই বিশ্বজয় করে ফেলা যাবে।
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ২২:১৪535265
  • আমি নিজেও এইচ এস দিয়েছি ২০১৪ তে,তখন আমাদের বাড়িতেও নেট কানেকশন ছিল না বা আমার স্মার্টফোন ছিল না ,কিন্তু এই ম্যাসিভ চেঞ্জটা কিন্তু মূলত লকডাউনের পর থেকে এসেছে। 
  • স্টু গা | 42.108.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৪ ২৩:২৮535269
  • বাব্বা অভিজ্ঞতার পরাকাষ্ঠা! এখনি আরেকজন এসে লিখে যাবে ২০০০ সালে ইন্টারনেট খায় না মাথায় দেয় না জেনেই IIT তে ১,২,৩ আদি সমস্ত র‍্যাঙ্ক হয়েছিল বাচ্চাদের। তাতে কী প্রমাণ হল ঈশ্বর জানেন।  
    আজকের দিনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বা দরিদ্রতম বাচ্চাটির জন্যেও যাবতীয় বই, টিউটর, অ্যালেন রেসোনেন্স হেন মেটেরিয়াল পত্র, বেস্ট পসিবল ক্লাস, সব কিছুই ওই ট্যাবেই পাওয়া যায় এটা মেনে নিতে এত সমস্যা কিসের সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। সিপুএমের কম্পু তাড়াও অভিযানের রেট্রোস্পেকটিভ চলছে। ট্যাব দেখলেই যার পানুর কথা মনে হয় তার সঙ্গে এনগেজ করাই ভুল হয়েছে। অ্যানেকডোট এসে পড়েছে এবার দুকথা লিখলেই ব্যক্তিআক্রমণ সূচিত হইবে। তার আগে কাটান দিই।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fdf4:13b8:1af3:***:*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:১৯535287
  • ট্যাবলেট ছাড়া ইস্কুলের পড়াশোনা করা যাবেনা, এটা আমার ঠিক মনে হচ্ছে না। আমার মেয়ে এবার উমা পাশ করলো, কাজেই ওর আর ওর বন্ধুদের পড়াশোনা কয়েক বছর ধরে দেখছি। ওদের সবার কাছেই ফোন আর ল্যাপটপ আছে, ট্যাব খুব বেশী ছাত্রছাত্রীর কাছে নেই। ওদের কাছে খুব বেশী দরকারি হলো হোয়াটসঅ্যাপ, যেটা ওদের ফোনে আর ল্যাপটপে সারাক্ষন খোলা থাকে, কারন বন্ধুরা, ইস্কুলের টিচাররা, আকাশের টিউটররা, সবাই হোয়াতে গ্রুপ খুলে সারাক্ষন মেসেজ আদানপ্রদান করছে। আর স্টু গা যেটা বললেন, যে নানান স্টাডি মেটিরিয়াল অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে, সেটা একদম ঠিক কথা, তবে সেসবই বেশীরভাগ য়ুটুবে বা সেসব সাইটের অ্যাপে থাকে, সেগুলোও বেশীরভাগ সময়ে ল্যাপটপে দেখে। ট্যাব না ​​​​​​​হলেও ​​​​​​​চলে ​​​​​​​যায়। 
     
    এবার হলো প্যারেন্টাল কন্ট্রোল - ওদের টিচাররা ল্যাপটপে বা ফোনে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল লাগাতে বলে, ওদের অনেক বন্ধুদের বাবামারা লাগিয়েওছেন। আমি লাগাইনি, কারন আমি আর বৌ নানান সময়ে মেয়ের সাথে অনেক কিছু ডিসকাস করেছি। কিছু কথা আমি বলেছি, কিছু আমার বৌ বলেছি। আমি মেয়েকে বুঝিয়েছি যে ইন্টারনেট হলো একটা ডিপ ফরেস্টের মতো, হোয়্যার দেয়ার বি ড্রাগনস, কিন্তু আমি তোমাকে ট্রাস্ট করি আর তোমাকে নিজের রেসপন্সিবিলিটি বোঝাতে চাই। ওর কয়েকজন বন্ধুর মাবাবারও মোটামুটি ওরকমই করেছে। ওদের পড়াশোনায় খুব একটা ক্ষতি হয়েছে মনে হয় না।  
     
    আরেকটা কথা হলো, একটা স্কুলে নানান ইকোনমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে, সবার পরিবারে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাব কিনে দেওয়ার সামর্থ থাকে না। আমি নিজেই এরকম দুজন ছেলেমেয়েকে জানি যারা ক্লাস এইট আর নাইনে পড়ছে, যদিও ওরা আমাদের বাড়িতে ইন্টারনেট আর ল্যাপটপ ব্যবহার করছে। কিন্তু আরও বহু ছাত্রছাত্রী আছে যারা এই সুযোগটাও পায়না। কাজেই সরকার থেকে যদি সবার জন্য টেক্সট বই, স্টাডি মেটিরিয়াল ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়, টিচারদের ও টিচিং পরিকাঠামোর ওপর জোর দেওয়া হয়, ট্যাবলেটের পেছনে খরচ না করে, তাহলে আমার মনে হয় সবার জন্যই একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা যায়। 
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:680d:0:adb3:2482:***:*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪০535288
  • অন্তত ক্লাস টুয়েলভ অবধি সবার জন্য ফ্রি সরকারী শিক্ষা - এইটা প্রায়োরিটি হওয়া উচিত। 
  • Sandipan Majumder | ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫১535289
  • @ স্টু গা,
    কোনো কিছুর নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট আলোচনা করার আগে, যদি সেটা তিনো সরকারের  হয়,পজিটিভটাই ভাবতে হবে। যেমন, পুজো কমিটির  মোচ্ছবে সরকার কেন টাকা দেবে সেই প্রশ্ন তোলার আগে ভাবতে হবে অর্থনীতিতে এটা কী বিরাট প্রভাব ফেলবে।এও তেমনি।যেখানে  মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্র বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হচ্ছে সেখানে  গোটা আলোচনাটাকে এগিয়ে থাকা কিছু মেধাবী স্টুডেন্টদের চাহিদার সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়ার দরকার কী?  তাহলে তাদের চিহ্নিত  করে আর্থিক সঙ্গতি দেখে ট্যাব দেওয়া  হোক। 
  • স্টু গা | 42.105.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪৬535305
  • এই আরেকজন। পাঁচ/আট হাজার টাকার ট্যাব কিনে দেওয়ার দরকার নেই চল্লিশ/পঁয়তাল্লিশ হাজারের ল্যাপটপেই তো হয়ে যায় তার সংগে মাসিক ওয়াইফাইএর বাড়তি বিল। তার সঙ্গে অ্যাপ ব্যবহার করতে আবার আরও দশ/পনের হাজারের মোবাইল। দেখার চোখে নিজের আর্থসামাজিক অবস্থানের রঙিন চশমা এমন সেঁটে গেছে যে আর সেটাকে আলাদা ভাবে বোঝা যায় না, চোখ চশমা গুলিয়ে এক হয়ে যায়।

    এদিকে আবার মেরিটোক্রেসি চলে এসেছে। স্কুলে গুনে গেঁথে মেরিট চিহ্নিত করে ফ্যামিলি ইনকাম দেখে ট্যাব দিতে হবে। তা বাচ্চাদের জন্য সেই ডিসক্রিমিনেশনের হিসেবটা সবুজসাথী সাইকেল, কন্যাশ্রীর টাকা আর মিড ডে মিলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করতে বলার সাহস হচ্ছে না কেন? 

    তিনু আমলের সরকারী সোস্যাল ওয়েলফেয়ার প্রকল্পমাত্রেরই নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট খোঁজার উৎসাহ তো আবার 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়ে দেখানো যাবে না, বড়দাদা বকে দিয়েছেন বলে কথা। তা সিপুয়েম কী তাদের অ্যাজেন্ডায় সাহস করে ঘোষণা করবে তারা ক্ষমতায় এলে তিনু আমলের সমস্ত ওয়েলফেয়ার প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেবে? আচ্ছা অন্তত সাহস করে এটুকুই বলুক যে পুজোর মোচ্ছবে আর বিজ্ঞাপন বা টাকা দেবে না। ট্যাব অবধি গেলামই না।
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:6805:0:8524:d105:***:*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৯535314
  • আরে এতো রাগেন ক্যানো? আপনি দেখি সব টইতেই রেগে থাকেন  laugh
     
    প্রথমত, আপনি যে ট্যাবের কথা বলছেন, তার দামও কিন্তু কম না, কুড়ি থেকে তিরিশই হবে। দ্বিতীয়, আমি ল্যাপটপের কথা বললাম কারন আপনিই ট্যাব ট্যাব করে চলেছেন। আমার নিজের মনে হয় ট্যাব, ফোন, ল্যাপ্টপ এইসব কিছুই পড়াশোনার এসেনশিয়াল কম্পোনেন্ট হওয়া উচিত না, তবে সাপোর্টিং এলিমেন্ট হতে পারে। কেন না তাও বলছি, ডিভাইস অ্যাডিকশান। 
     
    আর তৃতীয়, সোশিওইকোনমিক ডিস্প্যারিটির কথা তো মাথায় রেখেছি! সেজন্যই তো লিখলাম, ট্যাব ইত্যাদি না করে সরকারের উচিত শিক্ষক, শিক্ষার ইনফ্রার ওপর জোর দেওয়া।  
  • Sandipan Majumder | ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৪535319
  • * dc ধন্যবাদ  আপনাকে।  সত্যি  এত রাগারাগির তো কিছু নেই। একটা  বিতর্ক পক্ষপাতহীন  হলে সব পক্ষই তো সমৃদ্ধ হন।
  • স্টু গা | 42.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২১:০১535327
  • রাগ না হলে আর দুকলম এনগেজ করব কেন, ইগনোর করব তো। দিনান্তে টাইম পাস করার জন্য যা মনে আসে বাতেলামোচনের পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গে একাদশ শ্রেণিতে কী ট্যাব দেওয়া হচ্ছে খোঁজ নিলেও তো পারেন। এই গোটা টইটা যে ট্যাবেরই উপরে সেটা খেয়াল করা গেছে? ল্যাপটপকে ট্যাবের বিকল্প হিসেবে চিহ্নিত করলে সেটাই স্কুলে থেকে দেওয়ার কথা বোঝায়, এটা বোধগম্য হচ্ছে? আপনার ঔচিত্যবোধ নিয়ে কথা তো হচ্ছে না, হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের হাইস্কুলগুলির পঠনপাঠনের বাস্তব পরিস্থিতির কথা, যে সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ধারণা না থাকলেও আপনি তর্কে অংশগ্রহণ করছেন কী হওয়া উচিত বলে মনে হয় সেকথা সম্বল করে। কী নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা আদৌ জানেন? পড়ে নিন
     
    সরকারী স্কুলে যারা পড়ায় তাদের লেভেল সম্বন্ধে ধারণা আছে? দুয়েকজনকে তো এই ফোরামেই দেখছেন। যারা এই ২০১১ র পর থেকে চাকরিতে ঢুকেছে তাদের কথা আর নতুন করে বলারও কিছু নেই। বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার বইপত্রের অবস্থা জানেন? সরকারী শিক্ষকেরা টিউশনি করাতেও পারেন না, আর স্কুলের অর্ধেক সময় তো মিডডেমিলের আলুপেঁয়াজআদারসুনমসলার হিসেব করতেই যায়। এবার সমস্ত গাঁ গঞ্জে তিনটি বিজ্ঞান বিষয়ে রাজ্যস্তরে জাতীয়স্তরের পরীক্ষার জন্য তৈরি করে দেওয়ার মত প্রাইভেট টিউটর থাকে বলে মনে হয়? শিক্ষকদের অবস্থা এতদিনের ধর্ণা, কোর্টের রায়, মামলার দশা দেখে বোঝা যাচ্ছে না? বাংলার শিক্ষা পোর্টালটা কোনোদিন খুলে দেখেছেন? ওখানে কিছু সাবজেক্টের ক্লাসের ভিডিও দেওয়া আছে, পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন শিক্ষকদের দিয়ে। উঁকি দিয়ে কোয়ালিটি বুঝে নিতে পারেন। 
     শিক্ষার ইনফ্রা বলতে কী বোঝেন? লকডাউনের দুবছর ধরে যে ইনফ্রার অভাবে সব বাচ্চারা অনলাইন ক্লাস করতে পারল না, অনেকে সব বাচ্চার যে ইনফ্রা নেই বলে অনলাইন ক্লাস নিলেন না, সেটা এই ডিভাইসটি নয়? কাল আবার নতুন করোনা ঢেউ এসে লকডাউন হলে কী হবে? স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমেই অতিরিক্ত কোচিং দিতেও তো এটাই কাজে লাগবে।  আর এর মাধ্যমে যখন সারা পৃথিবীর জ্ঞানভান্ডার বাচ্চাদের হাতের নাগালে এনে দেওয়া যাচ্ছে, যাবতীয় রিজিওনালিটির বাধা কাটিয়ে, তখন আপত্তির কারণ কী, না পানু।
    টিপিক্যাল সিপুয়েমের কম্পু বিরোধিতার লজিক, নাকি চাকরি কমে যাবে। ফিয়ার মঙ্গারিং। টেকনোলজি অ্যাপাথি। স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে অ্যালার্জি। একেবারেই পার্সোনাল প্রেফারেন্সগুলোর থিয়োরাইজেশন। জ্যোতি বসুও কি ওই ভয়েই বাকি জীবন কম্পুতে হাত ছোঁয়াননি? 
    আরেকজন তিনুপলিসিমাত্রেরই নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট মাপতে বসে, আবার পক্ষপাতহীনতার বুলি দিচ্ছেন। 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৭535332
  • তর্ক চলছে ,চলুক ,আমার মত আনাড়িও একটু মশলা ফেলে যাই। পুরো থ্রেডটা ফলো করলাম। প্রথমে সন্দীপনবাবুর পক্ষেই হেলে ছিলাম (আমার প্রথম কমেন্টে) ,কিন্তু পুরো বিতর্কটা পড়ে আমার স্টুডেন্টের গার্জিয়ান নিকে যিনি লিখছেন ,তাঁর মন্তব্যই বেশি যুক্তিপূর্ণ মনে হল। তাই মত বদলালাম।
     
    শুধু স্টুডেন্ট এর গার্জিয়ান এঁর কাছে আমার একটা প্রশ্ন ,আপনি সিপিএমকে বিষোদগার করছেন দেখছি ,করতেই পারেন ,আপনার ব্যক্তিগত মতামত , তা আমার সাথে নাও মিলতে পারে। তবে আপনি এটা কি স্বীকার করছেন যে ,বামফ্রন্টের আমলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়মিত ও স্বচ্ছভাবে হত ,যেটা তৃণমূল করতে ব্যর্থ? কারণ ,২০১১ সালের কালবিভাজিকা কিন্তু আপনিই উল্লেখ করেছেন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন