এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সুন্দরবন - সুন্দর মন - আর কিছু পাগলের বৃত্তান্ত

    Argha Bagchi লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জুলাই ২০২৪ | ৪৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ডঃ দেবর্ষি ভট্টাচার্য সম্প্রতি গুরুতে একটি লেখা প্রকাশ করেছেন, "প্রকৃতির রুদ্রমূর্তির কাছে সুন্দরবনের আত্মসমর্পণ বিনা আর কি কোন পথ নেই!

    অত্যন্ত জরুরী এই বিষয়ের আলোচনা। লেখককে ধন্যবাদ সুন্দরবন রক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই অবতারণা করার জন্য। কি সুন্দর ও সহজভাবে উনি ভৌগোলিক জটিল কর্মকাণ্ড বুঝিয়েছেন, একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনেক কিছু শেখা যায়। নদীবাঁধ ও ড্রেজিং বিষয়ে সরকারী আগ্রহ ও বদান্যতার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত সংগ্রহের যে কথা বলেছেন, সেটা ভুললে চলবে না, কেননা যাদের জীবন রক্ষার জন্য এই কর্মকাণ্ড, তাদের অভিজ্ঞতা যে কোন পুঁথিবিদ বিশেষজ্ঞের তুলনায় সমধিক। আর সুন্দরবনের বাঁধ প্রসঙ্গে দুটো কথা জানতে পেরেছি, ফিল্ডে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মাধ্যমে, স্থানীয়দের কথায়। ১) কংক্রিট বাঁধানো কোনো সমাধান নয়, কারণ সুন্দরবনের ভূমি একটা ফ্লুইডিক স্পেস। ২) বাঁধের কাজ সরকারীভাবেই কোনোদিন শীতকালে হয় না, বর্ষাকালে হয়। বাঁধের গোড়া থেকে মাটি তুলে হয়। তাই সরকারী বাঁধভাবনা প্রায় একটা প্রহসন। তবে সরকার স্থানীয়দের কথায় চলেন না, তাই অরণ্যে রোদন ছাড়া গতি নেই। ওখানে যে কটা গ্রাম আছে তারা সক্রিয় ভাবে বাঁধ এর কাজটাও দেখাশোনা করেন এটাই সবচেয়ে বড় আশা আর ভরসার জায়গা।

    বরং লেখক যে এছাড়া ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরোপণের কথা বলেছেন, তা নিয়ে আরো বিশদে আলোচনা দরকার। এই বিষয়ে এখানে আমার সাম্প্রতিক আহরিত জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া দরকার বলে মনে করি। আর দশজনের মত ভূগোল বই পড়ে শহরের বুকে বড় হওয়া আমি ভাবতাম, সুন্দরবন মানেই সুন্দরী গড়ান গেঁও ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ-সম্বলিত এলাকা। কিন্তু জনবসতিপূর্ণ গ্রামে যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ গাছগুলিও সেখানে হয়ে থাকে এবং তা গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে উন্নত রাখতে সহায়তা করে, সে ধারণা একেবারেই ছিল না। সেটা জানতে পারলাম এক অদেখা বন্ধুর মাধ্যমে, যে নিজের শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও পণ করেছে, সুন্দরবনের ধারাবাহিক ঝড়গুলির মোকাবিলা করবে, গাছ লাগিয়ে ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করে।

    পরপর সাইক্লোন, সুপার সাইক্লোন এর প্রভাবে সুন্দরবনের গ্রামে গ্রামে প্রচুর গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে। এই গাছেরা সারা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র‍্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝড়ের গতিবেগ প্রতিহত করাতেও এদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। গাছ না লাগালে গ্রামগুলো পরপর বৃক্ষ শূন্য হয়ে যাবে। এই তাগিদ থেকে আমার সে বন্ধুরা দক্ষিণ সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের পাঁচটি গ্রামে গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণ এর পরিকল্পনা করেছে। আমি সত্যিই তাকে আগে চিনতাম না, কোনদিন দেখা বা মুখোমুখি আলাপও হয়নি। কিন্তু ওদের এই কাজের মাধ্যমে ওদের সাথে পরিচিত হয়েছি। যেটুকু বুঝেছি, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালবেসে একদল পাগল মাঠে নেমেছে, সাথে কাউকে পাক বা নাই পাক। এই পাঁচটি গ্রামেই গ্রামীণ দল আছে। গত চার পাঁচবছর প্রতিটা সাইক্লোন, সুপার সাইক্লোন ও বন্যায় ওরা কাজ করেছে।

    ওই যে বলছিলাম, স্থানীয়দের নিয়ে, তাদের সমস্যা ও সমাধানের পথ বুঝে, তবে এগোনো। সব গ্রামীণ দলকে নিয়ে নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছে গ্রামের কোথায় কোথায় কী কী গাছ কটা করে লাগানো দরকার। তার তালিকা তৈরী হয়েছে। গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারা কাজ করবে তা ঠিক করা হয়েছে৷ এই বর্ষায় আগামী অন্তত তিনমাস গাছ লাগানোর কাজ চলবে। পরবর্তী অন্তত দুইবছরে প্রতি মাসে পাঁচটা গ্রাম থেকে গাছেদের ভালোমন্দ সম্পর্কিত প্রতিবেদন সকলের কাছে তারা তুলে ধরবে। অর্থাৎ কেবল দায়সারা কাজ নয়, সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা, সকলের সাথে, প্রত্যেকের জন্যে।

    ৫ টা গ্রামে সবমিলিয়ে ৮,৩৪৫ টা গাছ লাগানো হবে। গাছ কেনা, লাগানো, রক্ষণাবেক্ষণ করা, আগামী দুইবছর প্রতিমাসে রিপোর্ট তৈরী করা, মনিটরিং করা এরকম সমস্ত বিষয় ধরে গাছপ্রতি ১০০ টাকা খরচ এস্টিমেট করা হয়েছে। তিনটে সংগঠন, পাথরপ্রতিমা রানার্স, প্রয়াস ও নেচারমেটস নেচার ক্লাব এই কাজে নিজেদের জড়িয়েছে। একা কারোর পক্ষে তো নয়ই, একত্রে এই তিন সংগঠনের পক্ষেও এই মহীরূহপ্রমাণ কাজ করে ওঠা দুঃসাধ্য। কেন, সেটা নীচের সামান্য হিসেব থেকেই বোঝা যাবে।

    ওদের প্ল্যান হল ৮৩৪৫টা গাছ। গাছ-প্রতি ১০০ টাকা খরচ। অর্থাৎ কেউ একটা গাছের দায়িত্ব নিতে চাইলে ১০০ টাকা পাঠাতে হবে। যাঁরা এই কাজে যুক্ত হবেন তাঁরা যে কোনো গ্রামে কাজে যোগ দিতে পারেন, দেখতে যেতে পারেন কীভাবে কাজ হচ্ছে৷ নিয়মিত যোগাযোগে থাকতে পারেন। এই মডেলে ওরা কাজ শুরুর কথা ভাবে এবং ব্যক্তিগত পরিচিতির জগতে এই পরিকল্পনা জানাতে শুরু করে। একটাই হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপ, মাত্র ৬৫জন সদস্য। আরেকটা বোধহয় ফেসবুক গ্রুপ আছে, তবে সেটা অতটা মুখ্য স্থান নিতে পারেনি যতদূর জানি। সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পরিবেশ ও প্রকৃতি সংক্রান্ত সংগঠণে জড়িত। সেক্ষেত্রে তাঁরা নিজেরা তো বটেই, তাঁদের সেই সংগঠণেরাও যৌথভাবে অর্থসাহায্য করেছেন, যাঁর যতটুকু করা সম্ভব, আন্তরিক ভাবে দান করেছেন। এবারের এই কাজে মাত্র একমাসে (জুনের ২৭ পর্যন্ত) তাঁরা সংগ্রহ করেছেন আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ এস্টিমেট অনুযায়ী এতে কভার হওয়া উচিত ১৫০০ গাছ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে কম, কেননা গাছের সংখ্যা কমলে গাছ-প্রতি খরচ-খরচা বেড়ে যায়, গাছ কেনা, রক্ষণাবেক্ষণের কথা মাথায় রেখে এবং টার্গেট এলাকা পুনর্বিন্যাস করে নতুন করে পরিকল্পনা করা যথেষ্ট শ্রমসাধ্য। তার উপরে বর্ষার বিলম্ব হওয়ায় আরো অপেক্ষা এবং আবার নতুন প্ল্যান।

    এর সাথে আছে বিভিন্ন উপদেশ ও মতামত দানকারী শুভানুধ্যায়ীরা। তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের ভিত্তিতে ওদের দেওয়া উত্তর থেকেই আমি জানতে পারি, আসলে ওরা যা করতে চাইছে আর আমরা যা বুঝি তাতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সুন্দরবন অঞ্চলে যে মনুষ্য বসতি আছে, সেই জমিতে ম্যানগ্রোভ ছাড়াও অন্য গাছ জন্মায়। ওখানকার গ্রামের লোকেরা ম্যানগ্রোভ বা লবনাম্বু গাছ লাগাবে না, কারণ ওগুলো হয়ে যাবে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের সম্পত্তি। কিন্তু সাধারণ গাছ লাগালে সেটা তাদেরই থাকবে। সুন্দরবন মানেই কিন্তু কেবল ফরেস্ট এরিয়া আর ম্যানগ্রোভ নয়। একেবারে নদী তীরবর্তী গ্রামের সামান্য কিছু অংশ মূলত যা সরাসরি খাঁড়ি বা খালের সঙ্গে যুক্ত অথবা যতটা একটা গ্রামের সরাসরি "নোনা পরিসর" সেই জায়গা ছাড়া গ্রামের ভেতরে আর কোথাও ম্যানগ্রোভ দেখা যায় না। গ্রামের ভেতরের ভূভাগে গ্রামকে রক্ষা করে যেসব গাছ তাদের প্রথম সারিতে আছে তাল নারকেল বট অশ্বত্থ করঞ্জ অর্জুন ইত্যাদি।

    ওদের প্রত্যাশা দুরকমের। এক, গ্রামের ভেতরে ঝড়ের মুখে প্রতিরোধও হবে আবার যেসব ফলের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে সেসব নতুন করে দিলে মানুষের চাহিদা ও এলাকার ইকোসিস্টেমে সেইসেই গাছের যা ভূমিকা তা তারা পালন করবে, তাই নদীর কাছাকাছি বা গ্রামের পরিধি থেকে কিছুটা ভেতরের দিক অবধি উইন্ড ব্রেক করতে পারে, মাটি ধরে রাখতে পারে এরকম গাছ লাগানো। আর দুই, ফলের গাছ বা পেঁপে গাছ পারিবারিক স্তরে, খাওয়ার জন্য। সবকটা গাছের নির্বাচন হয়েছে গ্রাম ও গ্রাম নিকটবর্তী নদীর অবস্থান সাপেক্ষে গ্রামের ম্যাপ মিলিয়ে। ওদের প্ল্যান, যা ওরা আমাদের দিয়েছে তা সকলের সুবিধার জন্য এখানে শেয়ার করছি, পাঠক নিজেরাই ম্যাপ মিলিয়ে ভাল করে চেক করে নিতে পারবেন।

    ওরা ৮০জি-তে কর ছাড়ের বন্দোবস্তও করতে পেরেছে। এরপরেও প্রশ্ন ওঠে, সরকার থেকে যে বৃক্ষ বিতরণ করা হয়, সেই সুযোগ না নিয়ে এভাবে টাকা তুলে করা কেন। যা জানতে পেরেছি, যে যে গাছগুলোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, সরকার থেকে সেই সব গাছ দেয় না, তাদের কাছে যা থাকে তাই-ই তারা দেয়। এবং বাজেটে ধরা গাছের সংখ্যা হয়ত তাতে পূরণ করাও সম্ভব নয়। যদিও সে রাস্তাও তারা বন্ধ রাখেনি, কেননা ওদের উদ্দেশ্য কাজটা সম্পন্ন করা মানুষ ও পরিবেশের জন্য।

    সাইট-১। কামদেবনগর। দূর্বাচটি গ্রাম পঞ্চায়েত। ৩টে রাস্তা (১২০০ মিটার, ১০০০ মিটার, ৭০০ মিটার)
    যে গাছ লাগানো হবে:- নিম, অর্জুন, করঞ্জ, মেহগনি, দেশি বাবলা, হাবল
    নদী বাঁধ ২১০০ ফুট দীর্ঘ, ৮ ফুট চওড়া, এখানে একটু নীচের দিকে করে ৩০০টা তালগাছ আর মহানিম ও কিছু বাবলা। দায়িত্বে থাকবে:- 2 টো মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
    ৩০টা পরিবারকে দেওয়া হবে:- লেবু, নারকেল, পেঁপে, পেয়ারা, আম, সজনে, জামরুল।

    সাইট-২। গঙ্গাপুর। বনশ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। চারটে রাস্তা (২১০০ মিটার) - নারকেল, সুপারি। ১১০০ মিটার সরু রাস্তায় অর্জুন, মেহগনি। পারিবারিক:- ৩টে বুথ, প্রত্যেক বুথ থেকে দুটো করে গ্রুপ, মোট ৬টা গ্রুপ। প্রতি গ্রুপে ১৫ জন সদস্য। মোট ১০০ টা পরিবার।
    গাছ:- লেবু, পেয়ারা, জামরুল, সবেদা, নাজনে/সজনে প্রতি পরিবারে।

    সাইট-৩। মহেন্দ্রনগর। গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। ৬টা বটগাছ। একটা মনসা মন্দির সংলগ্ন ১০টা নারকেল গাছ। ২কিমি রাস্তার দুই পাশে করঞ্জ, অর্জুন, নিম, মেহগনি, হাবল, দেশি বাবলা। ২ কিমি নদী বাউন্ডারি তাল, নারকেল, দেশি বাবলা।
    ৩০০ পরিবারের জন্য সুপারি, জামরুল, লেবু, সজনে বা নাজনে, কলা।

    সাইট- ৪। গোবিন্দপুর আবাদ। ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ৩টে রাস্তা। ২টো বাউন্ডারি সাইড।
    রাস্তা ১৫০০ মিটার, দুদিকে নারকেল গাছ। দেশি নারকেল দেওয়া হবে। রাস্তা ২৫০০ মিটার, তাল গাছ। রাস্তা ১৫০০ মিটার, হাবল, অর্জুন। বাউন্ডারী ১। ১৫০ মিটার, তাল গাছ ও দু চারটে ছাতিম। বাউন্ডারী ২। ৮০০ মিটার, দেশি বাবলা, নারকেল।
    ৩০টা পরিবার - সবেদা, পেয়ারা, জামরুল। স্কুলের মাঠে - ছাতিম, বকুল, আম, কালোজাম।

    মোট গাছ প্ল্যানমাফিক ৮৩৪৫টা। তাল ৫০০, নারকেল ১৫০০, সুপারি ৫০০, হাবল ৪০০, করঞ্জ ৫০০, অর্জুন ৫০০, সবেদা ১৫০, আম ১০০, কাঁঠাল ২০০, জাম ২০০, দেশি বাবলা ৫০০, বট ১০, অশ্বত্থ ১০, জামরুল ৫০০, পেঁপে ১০০, সজনে ৫০০, পেয়ারা ২০০, কলা ৩০০, মেহগনি ৪০০, নিম ৫০০, ছাতিম ২৫, মহানিম ৩০০, লেবু ৪৫০।

    আশা করি, এই পাগল মানুষগুলো আমাদের জন্য এক নতুনপৃথিবীর জন্ম দিক। চারদিক থেকে যখন হাসদেও আরন্দ, রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন সবুজ, উত্তর প্রদেশে গাছ কেটে কানওয়ার রুট বানানোর সরকারী প্রচেষ্টা ইত্যাদি হতাশাজনক খবর প্রতিনিয়ত ফোনে ঢুকছে, তখন এইরকম কাজের খবর আমাদের সামান্য হলেও সান্ত্বনা দিতে পারবে। সেজন্যই সমমনস্ক লোকেদের সাথে খবরটা ভাগ করতে চেয়েছি। ওদের কাজ সফল হোক।

    (সৌজন্য ও কৃতজ্ঞতা: নীলাঞ্জন মিশ্র, অর্জন বসু রায়)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ১৫ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৪534730
  • ভালো লাগলো এই লেখা। যাঁরা এই কাজ করছেন তাঁদের সম্মান জানালাম।
  • নীলাঞ্জন | 2409:4060:2d30:be6:2f13:796f:241d:***:*** | ১৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৫534765
  • Please send your donation directly to Nature Mates Nature Club account at:-

    Nature Mates Nature Club
    HDFC Bank, 
    Jadavpur branch
    A/c No- 50100097622558

    RTGS/NEFT IFSC- HDFC0001231

    For those who want 80G benefit and official money receipts have to pay to Nature Mates Account directly with the following details at mail id:- naturemates@gmail.com 

    Name 
    Address 
    Phone number
    Pan number
    Purpose of Giving money: Plantation work in Sundarbans

    Patharpratima Collective
    Patharpratima
    South Sundarban 

    Contact for any query:-
    7003804524 (Nilanjan Mishra) 
    9874357414 (Arjan Basu Ray)
  • উজ্জ্বল কান্তি পাল | 2409:4060:2e04:f80d:3ad9:1ff6:c9e4:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৪ ১১:২৬535090
  • আমি উপরোক্ত মহেন্দ্রনগর গ্রামের এবং প্রয়াস গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।ব্যক্তিগত নিজে এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রচুর গাছ লাগিয়েছি।পুরোপুরি সফল না হলেও,যেটুকু সফল হয়েছি তাতেই আমি আনন্দ পাই।কে কি বললো আমার তাতে যায় আসে না।
    আমার অসফলতার কারণ,প্রাকৃতিক বিপর্যয়,কোন স্থানে কোন গাছ লাগানো উচিত সেটার প্রয়োজনীয়তা না বোঝা(যার ফলে সিংহ ভাগ গাছ কেটে ফেলা),কিছু গাছ নিজে থেকে মারা যাওয়া, আরো বেশ কিছু গাছ গবাদী পশু খেয়ে ফেলা,হিংসা বসত মানুষের দ্বারা গাছ কেটে/ভেঙে ফেলা ইত্যাদি কারণে।
    তবুও আশা করছি,ভুলগুলি থেকে ,শিক্ষা নিয়ে অন্যান্য কাজের মতো আবার সফল হবো।অস্বীকার করবো না কাজ করলেই ভুল হবে।আপনাদের উপদেষ্টা কমিটি তো নিশ্চই আছেন,আমাকে বা আমাদেরকে সংশোধন করে দিতে।
    আমার সুন্দরবন, আমারই আছে আমার থাকবে, 
    সুন্দরবন আমার প্রাণ,সুন্দরবন আমার জন্মভুমি।
  • Argha Bagchi | ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৬535294
  • আপনাদের সকলের মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
     
    ফেসবুকে আমি না থাকলেও নিয়মিত কাজের অগ্রগতির খবর ও ছবি পাচ্ছি। প্রথম পর্য্যায়ে যা টাকা এসেছিল তাই দিয়ে বেশ কিছুটা কাজ এগিয়েছে। একটু সময় করে আপডেট দেব, সকলের অবগতির ও আনন্দের জন্য। গাছ বিতরণ ও গাছ লাগানোর ছবি ও ভিডিওগুলো সত্যি সত্যি উৎসাহদায়ক।
     
    বাকি কাজ করতে ওদের আরো ফান্ড দরকার, জানতে পারলাম। ভালবাসা, স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে যখন, ঠিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
     
    সুন্দরবনকে জিইয়ে রাখার আর সেখানকার মানুষ ও জীবজগতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদের এই লড়াই সফল হোক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন