এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একুশে ফেব্রুয়ারি, বাংলা, যাত্রাপালা 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১০৫৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বোম্বে সিনেমার রাগী যুবক অমিতাভ বচ্চন এবং জনসংস্কৃতিতে তাঁর প্রভাব নিয়ে বাঙালি পন্ডিতরা পেপারে পেপারে প্রচুর অশ্রুজল ঝরিয়েছেন। অমিতাভ নায়ক হিসেবে এতই লম্বা যে পর্দায় আঁটেননা, গলা এতই ব্যারিটোন যে সাউন্ড সিস্টেম তাকে ধরতে পারেনা। তিনি নিপীড়িতজনের অশ্রুজলকে ধারণ করে তাকে ক্রোধের অঙ্গারে পরিণত করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে হতাশ জনমানসের কম্পাস হয়েছেন। পর্দার অমিতাভ আসলে ভারতের আপামর জনতার আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। এই নিয়ে গুচ্ছের লেখা হয়েছে। সব শেয়ালের এক রা এর মতো, তার মোদ্দা কথা হল, সত্তর-আশিতে গোটা ভারতের জনসংস্কৃতির মূর্ত রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বোম্বের সিনেমা।
    এবার, আমি যদি বলি, এই পুরো ন্যারেটিভটা, অন্তত বাংলার ক্ষেত্রে মূলত ঢপবাজি, তাহলে পন্ডিতরা বলবেন, হতেই পারেনা। তার সঙ্গে  যদি যোগ করি, অমিতাভ-টমিতাভ না, বাংলার জনসংস্কৃতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী, ধরুন, বীণা দাশগুপ্ত বা জ্যোৎস্না দত্ত, তাহলে তো বাক্য বন্ধ হয়ে যাবে। এরা আবার কারা? সংক্ষেপে তাই বলে দেওয়া যাক, এঁরা হলেন বাংলার দুই যাত্রাসাম্রাজ্ঞী( ইচ্ছে করেই দুজন মহিলার নাম নিয়েছি),  জনসংকৃতি নিয়ে পন্ডিতি আলোচনায় যাঁদের দেখতে পাবেননা। মারা গেলে দুলাইনের খবর হয়, আর মাঝেমধ্যে কোথাও কদাচিৎ একটা প্রতিবেদন। যাঁরা গ্রাম বাংলায় বড় হয়েছেন, তাঁরা জানেন, এই দুটো নামের কী মাহাত্ম্য। যাত্রার কী মহিমা। আমি আশির দশকে থাকতাম সিঙ্গুরে। ক্লাবমাঠে যাত্রার উপদ্রবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যেত। রোজই লেগে আছে। প্রতিটা যাত্রায় কয়েক হাজার জনসমাগম কোনো ব্যাপার না। আর নট্য কোম্পানি এলে? ভৈরব গঙ্গ্যোপাধ্যায়ের পালা? ওরে বাবা। উন্মাদনার চোটে টেকা অস্থির। কোনো সিনেমা নিয়ে এই উন্মাদনা কখনও চোখে পড়েনি। 
     
    এগুলো অবশ্য অঙ্কের হিসেব না। ৭০ বা ৮০ তে যাত্রা কত লোকে দেখতেন জানিনা। ওসব নিয়ে কেউ লেখে টেখেনা। তবে যাত্রার রমরমা যখন তুলনায় কমে এসেছে, তখন গত দশকেও সালে যাত্রা ছিল বছরে ২১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসার শিল্প। বিবিসি লিখেছে। বাংলায় যাত্রার ৩০০ টা কোম্পানি আছে, যাতে কুড়ি হাজার লোক কাজ করেন। এই নতুন শতকে, এত ইন্টারনেট, ওটিটি, সিরিয়াল, সিনেমার ঢক্কানিনাদের পরেও, সংখ্যাটা সিনেমার চেয়ে বেশি। ফলে ৭০ বা ৮০ তে কী ছিল, সহজেই অনুমেয়। প্রসঙ্গত সংখ্যাগুলোও এক সায়েবের লেখা, বাঙালি পন্ডিতরা এসব নিয়ে ভাবেননা, তাঁরা পপ-কালচার ও শাহরুকখান নিয়ে লেখেন টেখেন। বস্তুত উৎপল দত্ত আর কিছুটা ঋত্বিক ঘটক ছাড়া, জনসংস্কৃতির এই বিপুল ব্যাপারটা নিয়ে বাঙালি ভদ্রলোক যে চিন্তিত, এরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়না।    
     
    সমস্যা হচ্ছে, এতে জনসংস্কৃতি নিয়ে একটা  উদ্ভট  অবাস্তব বকচ্ছপ ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে। যাঁরা জনসংস্কৃতি, পড়ুন পপ-কালচার নিয়ে লেখেন-টেখেন, তাঁরা কেউ যাত্রা দেখেননি। ওটা ইয়ার্কির বিষয় মনে করেন। তাঁরা পড়েছেন মূলত ফিল্ম স্টাডিজ কিংবা সাহিত্য, সেখানে যাত্রা পড়ায়না। এবং কৈশোরে নিষিদ্ধ আকর্ষণ হিসেবে, বয়সের উপর নির্ভর করে, হয় দেখেছেন অমিতাভ বচ্চন নয়তো শাহরুক খানকে। না দেখলেও, "সিঁদুর দিওনা মুছে" হল খিল্লির জিনিস আর "দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে" হল জনসংস্কৃতি, জেনেছেন। এবং তারপরে গুচ্ছের পেপার পড়েছেন, যেখানে বলিউডকে জনসংস্কৃতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কল্কে পেতে হলে তাঁদেরও সেটাই লিখতে হবে। ফলে পপ-কালচার নামক ন্যারেটিভ যা তৈরি হয়েছে, তাকে কনফার্মেশন বায়াস থেকে শুরু করে হেজিমনি, যেকোনো ইংরিজি নামে ডাকতে পারেন,  বংলায় শিক্ষার অভাবও বলতে পারেন, কিন্তু  মোদ্দা ব্যাপারটা হল, জিনিসটা শিকড়বর্জিত, বাস্তবতারহিত। জনসংস্কৃতি বলে যাকে চালানো হচ্ছে, তাতে জনতার অবদান নেই বললেই হয়। বাঁধা গত আছে, মূলত বিদেশী এবং বোম্বের ন্যারেটিভের প্রতি ভক্তিভাব আছে। কিন্তু জনতা নেই।  ফলে অমিতাভ বচ্চন আছেন, কিন্তু ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায় নেই। 

    এর ফলে হিন্দির একরকম করে আধিপত্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণ অজ্ঞানতার কারণে, সঙ্গে আরেকটা জিনিস হয়েছে, সেটা হল জনসংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা। পন্ডিততের ধারণা, লোকে কিছু জানেনা, মানুষের কাছে 'বাণী' নিয়ে পৌঁছত হবে। যাত্রা সম্পর্কে ন্যূনতম খোঁজখবর রাখলে জানা যেত, বাংলার মানুষদের যতটা মূর্খ ভাবা হয়, তা আদৌ তাঁরা নন। হিটলার, স্তালিন, থেকে শুরু করে বুশের ইরাক আক্রমণ, প্রতিটা নিয়েই পালা হয়েছে, হয়ে থাকে, ওটাই চল, এবং সেগুলো বিপুল হিট। লোকে হামলে পড়ে দেখেছে (আমি ২০০০ পর্যন্ত জানি) । আপনাদের প্রিয় তথ্যচিত্র যদি লোকে না দেখে, সমস্যাটা তথ্যচিত্রের। পাবলিকের না। এবং এর থেকে আরেকটা জিনিস আসে, 'পপুলার' জিনিসকে নিচু চোখে দেখা, কিন্তু সে অন্য বিষয়। আজকের বক্তৃতার বিষয় হল শাহরুক খানকে নিয়ে কম মাথা ঘামিয়ে জ্যোৎস্না দত্তকে চিনুন। বাংলাকে চিনতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে উৎপল দত্তের দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ আছে, পড়ুন। 'পপ-কালচার' কী জিনিস জানতে পারবেন। খুব বেশি আশা করিনা, কিন্তু এই একুশে ফেব্রুয়ারিতে আশাবাদী হয়ে শেষ করতে হয়। নইলে পাপ হবে।
     
    পুঃ একটা জিনিস লিখতে ভুলে গেছি। বাঙালি পন্ডিত কিন্তু একটা জনসংস্কৃতি জানেন। একটাই জানেন। সেটা হল বাউল। বিদেশে বিখ্যত হবার কারণেই হোঁক, গাঁজা খাবার সুবিধের জন্যই হোক, ওটা বেশ, যাকে বলে 'হেপ' হয়েছে। কিন্তু সেটাও ঐতিহ্যটা বাদ দিয়ে। বাউলের সুরে ধ্রুপদী সঙ্গীতের সরাসরি প্রভাব আছে, সে নিয়ে কাউকে বলতে শুনিনা। কিন্তু সেটা আজকের বিষয় না। আজকের বিষয় হয়, মনে রাখবেন, বাউলই একমাত্র জনসংস্কৃতি না। আর গ্রামেগঞ্জে যাত্রার তুলনায় ওর প্রভাব নস্যি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rx | 49.207.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৩528653
  • প্রবন্ধকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে বংগ সংস্কৃতির আর একটি স্তম্ভ। সেটি হচ্ছে বাংলা টি ভি সিরিয়াল। কী এক মোহময়ী কৃষ্টি বাঙালী বিশেষতঃ মহিলাদের একেবারে আচ্ছ্ন্ন করে রেখেছে সেটা কোনো বৌদ্ধিক গবেষণার বিষয় হতেই পারতো। কিন্তু 'পন্ডিতে'রা এই জরুরী বিষয় সম্পুর্ণ এড়িয়ে গেছেন। হয়তো ভাষা দিবসেও উহ্যই থেকে যাবে এই লোকায়ত ঐতিহ্য।

    আমি যেহেতু গত ত্রিশ বছরে একটাও সিরিয়াল দেখি নি তাই খুব নামকরা সিরিয়াল শিল্পীদের পরিচয় নিয়ে কোনো quiz দিয়ে পাঠককে হতভম্ব করে দিতে পারলাম না।ভেরি সরি .
  • Arindam Basu | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৮528654
  • খুব ইনটারেসটিং লেখা সৈকত |
    দেখলাম লিখেছেন, "৭০ বা ৮০ তে যাত্রা কত লোকে দেখতেন জানিনা। ওসব নিয়ে কেউ লেখে টেখেনা।"
     
    একটা কথা এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। ৭৭/৭৮ সালে (যতদূর মনে আছে), কলকাতায় যাত্রাপালা নিয়ে একটি বড় মাপের ফেসটিভ্যাল হয়েছিল, এবং সেটি হয়েছিল তখনকার সময়ে যুগান্তর/অমৃতবাজার পত্রিকা (তখনো সে পত্রিকা দুটি বেঁচে ছিল), এদের উদ্যোগে | 
     
    এবং যাত্রা নিয়ে সাম্প্রতিক কালে সন্দীপ ঘোষ নামে জনৈক লেখক East India Story নামে একটি ওয়েবজিনে পাঁচ অধ্যায়ে ভারী সুন্দর বাংলায় যাত্রার ইতিহাস ও এখনকার অবস্থা সম্বন্ধে লিখেছেন। তবে সে ওয়েবজিনে সে লেখা অতি এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে, নীচে তার পাঁচটি অধ্যায়ের লিঙ্ক রাখা রইল,
  • dc | 2401:4900:3600:1ad2:dcd1:afc9:eddb:***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৪528655
  • " সব শেয়ালের এক রা এর মতো, তার মোদ্দা কথা হল, সত্তর-আশিতে গোটা ভারতের জনসংস্কৃতির মূর্ত রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বোম্বের সিনেমা"
     
    এই ধরনের লেখা কোথায় বেরোত জানিনা, হয়ত পরে বেরিয়েছে, তবে আশি আর নব্বুইতে একেবারে এর উল্টোই লেখা হতো। আজকাল, আনন্দবাজার, গণশক্তি, স্টেস্টসম্যান - সর্বত্র শুধুমাত্র একটাই থিম নিয়ে লেখা হতো, অমিতাভ বচ্চন হলো অপসংস্কৃতি, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র, যুবসমাজকে বিচ্যুতির দিকে ঠেলে দেওয়ার বোম্বে মার্কা কৌশল, ইত্যাদি ইত্যাদি (বলিউড কথাটা তখনও চালু হয়নি)। শুধু অমিতাভ বচ্চন না, মিঠুন, জিতেন্দ্র ইত্যাদি সবাইকেই রেগুলার তুলোধোনা করা হতো। আর ছিল জিন্সের প্যান্ট। মেনস্ট্রিম হিন্দি সিনেমা, মেনস্ট্রিম হিন্দি গান, আর জিন্সের প্যান্ট ছিল অপসংস্কৃতি আর লারেলাপ্পা সংস্কৃতি। 
     
    আমাদের বাবা কাকা দাদুরা কথায় কথায় এসব নিয়ে ব্যাঙ্গ করতো, আর অপসংস্কৃতি নিয়ে হপ্তায় হপ্তায় আজকাল আর গণশক্তিতে টন টন লেখা থাকতো। (তাই বলে আবার ভাববেন না গণশক্তি পড়তাম! আসা যাওয়ার পথে যে গণশক্তির বিলবোর্ডে সবকটা পাতা সাঁটানো থাকতো, সেগুলোতে মাঝে মাঝে চোখ বুলিয়ে নিতাম)। সৈকতবাবুর বেশীর ভাগ লেখার মতোই এটাতেও কনক্লুশান আগে লেখা হয়েছে, তারপর সেই মতো থিওরি ফিট করা হয়েছে :-)
  • dc | 2401:4900:3600:1ad2:dcd1:afc9:eddb:***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৪528657
  • ইন ফ্যাক্ট আশি-নব্বুইএর সিরিয়াস সিনেমা আলোচনা মানেই ছিল তখন যেটা বলা হতো প্যারালেল সিনেমা। কোন সিনেমা সংক্রান্ত লেখাতে অমিতাভ বচ্চনের নাম উল্লেখ করলেই ১০ নম্বর কাটা যেত, আর নাসিরুদ্দিন শাহ-শাবানা আজমি-ওম পুরি দের নাম না থাকলে সে লেখা বোধায় আলোচনারও যোগ্য মনে করা হতোনা। 
     
    এখনও মনে আছে, স্টেটসম্যান নাকি অন্য কোন একটা পত্রিকায় এক দীর্ঘ লেখা পড়েছিলাম, শোলে কেন দেখার যোগ্য সেই নিয়ে। সেই রিভিউআর পুরো লেখাটায় চেষ্টা করেছিলেন বলতে যে উনি কিন্তু প্যারালেল সিনেমা ছাড়া আর কিছু দেখেনই না, বোম্বে-মার্কা সিনেমা পাতে দেওয়ারও যোগ্য মনে করেন না, কিন্তু কিভাবে যেন শোলে সিনেমাটা দেখে ওনার ভালো লেগে গেছে।  
  • Rouhin Banerjee | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০০528661
  • যাত্রাকে অবজ্ঞার বিষয়টায় খুবই একমত। অথচ ৯০ এর দশক, এমন কি মিলেনিয়ামেও দেখেছি, অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী সিনেমার কাজ না নিয়ে যাত্রা করছেন, কারণ তাতে রোজগার বেশী। এই নিয়ে একটা কোনো সিনেমাও দেখেছিলাম, নামটা মনে পড়ছে না, সেখানে ডিরেক্টর হিরোইনকে কাস্ট করেছেন, তাকে ছাড়া ছবি হবে না বলে দিয়েছেন, এদিকে হিরোইন যাত্রা ছেড়ে আসতে রাজি নন। শেষে বহু কষ্টে তাকে রাজি করানো গেল এবং ভদ্রবিত্তের লেন্সে সেটি তার "উত্তরণ" হিসাবে গণ্য হল। ভারতের আর পাঁচটা বিষয়ের মতই যাত্রা বিষয়েও ভদ্রবিত্ত সমাজের ধারণা শূন্যের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। কিন্তু আমাদের জীবন যাপনে তাতে বিশেষ সমস্যা হয়না, কারণ আমরা মূলত: প্যারাসাইট।
     
    যাকগে, অপ্রসঙ্গত, নয়ের দশকে যখন সল্টলেকে ছিলাম, পার্শ্ববর্তী ইসি ব্লকে যাত্রাসাম্রাজ্ঞী বীণা দাশগুপ্তের প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি আমরা সবাই চিনতাম। সাম্রাজ্ঞী তখন প্রৌঢ়া, কিন্তু ব্যক্তিত্বময়ী, তখনও ক্যারিশমাটিক। দুতিনবার দেখেছি।
  • r2h | 208.127.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩০528676
  • কী মুশকিল, যাত্রা বিষয়ে ধারনা শূন্যের কাছাকাছি হওয়া এত খারাপ যে প্যারাসাইট বলে গাল দিতে হবে?
    অবশ্য প্যারাসাইট হওয়াই বা কী এমন খারাপ, আমি ঘোষিতভাবে আরশোলাপন্থী।

    পন্ডিত বা সিরিয়াস লোক হিন্দি সিনেমা নিয়ে উদ্বাহু, এ বোধ্হয় নিতান্ত নতুন, এমনকি আশি নব্বইয়েও তো দেখিনি, বরং নিষিদ্ধ ও নিন্দিত জিনিসের প্রতি আকর্ষন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালী ছোকরাদের মধ্যে হিন্দি সিনেমাকে জনপ্রিয় করার একটি কারন হলেও হতে পারে।

    তার সঙ্গে যোগ করি, যাত্রাকেও তেমন উচ্চদরের সংস্কৃতি বলে কখনো জনিনি, হ্যা, তুমুল জনপ্রিয়, তা তো অবশ্যই। হিন্দি সিনেমার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য, লম্বা ঐতিহ্য সহ।
  • r2h | 208.127.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৫528688
  • অনেক কিছুই একটু ইয়ে।
    জনসংস্কৃতি অর্থে এক্ষেত্রে জনপ্রিয় সংস্কৃতি তথা ইংরেজিতে পপ কালচার বোঝা গেল।
    ঐ জিনিসটা কিছুদিন আগেও স্থানিক ছিল। বীনা দাশগুপ্ত'র নাম শুনেছি খবরের কাগজ টাগজ পড়তাম বলে। না হলে আসাম ত্রিপুরার বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে তাঁদের শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়া কঠিন। এমনকি সেই যাত্রার ভাষাও আলাদা।
    বাউল কলকাতাকেন্দ্রিক বাঙালীর কাছে হেপ, অন্যত্র যাদের কাছে জারি সারি ধামাইল কীর্তন তাদের কন্ঠস্বর হয়তো শহরে পৌঁছয় না তত (আমি নিজেও নিতান্ত শহুরে লোক তবে যেহেতু পূর্ববঙ্গীয় ভাষাবৃত্তে আর পব'র বাইরে তাই একটু)।
    ইনফ্যাক্ট কীর্তন তো বিশাল জনপ্রিয়। গ্রামে যেতে হবে না, এমনকি কলকাতা শহরের কোনাখামচিতেও কীর্তনের আসর এখনো রমরম করে হয়।
    তবে সেসবে আজকাল চাড্ডিপনার চাষও খুব হয়, সে অবশ্য সর্বত্রই হয়।

    তো সেই হিসেবে সিনেমা বেড়া ভাঙা। ঋত্বিক ঘটকের নাম অলরেডি মূল লেখায় আছে, তিনি বোধহয় এই কারনেই সিনেমার দিকে ঝুঁকেছিলেন। সত্যজিৎও তো কিছুটা এই কারনেই - এই একটা নতুন ময়দান - ইত্যাদি।

    সেই হিসেবে বেদের মেয়ে জোস্না ফেনোমেনাল কিন্তু ঠিক শিল্পসম্মত হয়তো নয়, পর্দায় যাত্রা বলা যায় কিনা জানি না, আমি বেমেজ্যো বা যাত্রা কিছুই দেখিনি।

    অবশ্য আমার এই পোস্টটা নিতান্ত আজাইরা। কোথায় কী জনপ্রিয় তা না, মূল লেখা পন্ডিতরা কী নিয়ে উলুতপ্লুত তা নিয়ে।
    সেসব আমি এমনিতেও জানি না।

    কাল একটা সিনেমা দেখলাম, ইংরেজি+তেলুগু। বেশ লাগলো।
    নাগেশ কুকনুরের হায়দ্রাবাদ ব্লুজ নন্দনে দেখেছিলাম কোন কালে মনে পড়ে গেল।
  • Arindam Basu | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৪528690
  • র২হ, আপনার বক্তব্যের সঙ্গে অনেকটাই একমত, তবে এখানে একটা ব্যাপার সৈকতবাবু ভাল লিখেছেন, সেটা একসময়, যাত্রাপালাগুলো দেশ বিদেশের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে গল্প ড্রামা তৈরী করে শহর, গ্রাম গঞ্জে নিয়ে দেখাত। সে গত শতাব্দীর কথা।
     
    এবং এতে অতিকথন থাকত হয়ত, কিন্তু এতৎসত্ত্বেও একটা অচেনা জগতের সঙ্গে সাযুজ্য স্থাপনের ব্যাপার ছিল, এটা অস্বীকার করা যাবে না। এখন যেমন, কলকাতার অধিকাংশ সংবাদপত্রে বিদেশের খবর আপনি প্রায় পাবেন না, বা পেলেও সাংঘাতিক এডিটোরিয়াল কাটছাঁট করে, সেটা তখনও নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু সব ছাড়িয়ে মানুষের কল্পনার একটা দিক যাত্রাপালা গুলো তুলে ধরত। এবং তিন চারদিক খোলা মঞ্চে অভিনয়, চারপাশে মানুষ বসে দেখছে এ ব্যাপারটার একটা organic appeal আছে, তখনও ছিল।
    হয়ত কোন একদিন আমরা আবার নতুন করে যাত্রাপালা পুনরাবিষ্কার করব। 
  • r2h | 208.127.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৭528691
  • আরো একটা জিনিস, কে যে পন্ডিত আর কে যে আম পাবলিক তা একেক সময় বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে।
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হুমায়ুন আহমেদ যখন মধ্যগগনে তখন তাঁদের ভক্তদের আকুলতা দেখে আম পাবলিকের অগভীরতা বিষয়ে হাহুতাশ করে হাতে রইল দেবারতি আর স্মরণজিৎ অবস্থায় এসে অমিতাভ বচ্চনকে মহাপুরুষ বলা লোকেদের পন্ডিত বললে ধর্মে কী করে সইবে!
  • Arindam Basu | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১২528692
  • র২হর কমেন্টটা পড়ে এ কে রামানুজনের একটি অনবদ্য প্রবন্ধ আছে, "Indian way of thinking", তার কথা মনে পড়ে গেল। 
    পড়েছেন নিশ্চয়ই?
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৪528704
  • এইটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, ওপরের কিছু মন্তব্যের থেকে যেটা উঠে এসেছে - জনপ্রিয় হলেই সেটা নিয়ে বিশাল আলোচনা করতে হবে, বা সেটা খুব ভালো জিনিস তেমনটা নয়। মেইনস্ট্রিম বলিউড সিনেমা নিয়ে উলুতপ্লুত সত্যিই একদম নতুন ব্যাপার, এতটা আগে ছিল না। pr , মার্কেটিং এসব করে সাধারণ মানুষের মাথা খাচ্ছে। এবার বলিউড বাজে আর আমাদের যাত্রা খুব ভালো, তাও বলতে পারছি না। যাত্রা, কীর্তন এসবই এক্সপেরিয়েন্স করে দেখেছি। কিছুদিন আগে তো রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যাত্রা উৎসব ও হয়ে গেল। আমি আজ থেকে দশ বারো বছর আগে মহাজাতি সদনেও যাত্রা দেখেছি। সত্যি কথা বলতে, একদমই ভালো লাগে নি। কীর্তনও খুব একটা পোষায় নি। কিন্তু ভক্তবৃন্দ বুঁদ হয়ে শুনছিল তাও দেখেছি। আজকের সিরিয়ালও যেমন, প্রচুর লোক দেখে, খুব ভালো বলা যায় কি ? আলোচনার যোগ্য কি ? জানি না।
    তবে এটা বলতে পারি, ক্ষুধার্ত দর্শক আজ আর বাঁধা নেই, সে দুনিয়া ঢুরে তার পছন্দের জিনিস চালিয়ে বসে পড়ছে ott তে। 
    কিন্তু মাস অডিয়েন্স ? সত্যজিৎ তো বহুদিন আগেই তেঁতো সত্যিটা বলে গিয়েছিলেন, উই হ্যাভ এ ফেয়ারলি ব্যাকওয়ার্ডস অডিয়েন্স হিয়ার। আজ বিক্রান্ত মাসে কে যে টুইটের জন্য কান ধরে ক্ষমা চাইতে হলো, সেটা কিছুই নয়, গেরুয়া গুন্ডাদের করা রেপের বিরুদ্ধে একটা ছোট্ট কার্টুন রাম - সীতা নিয়ে, তাও অনেক দিন আগে, তা নিয়ে আজ এত জলঘোলা।
  • dc | 2401:4900:3600:1ad2:2c4d:b2f0:6679:***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:১৪528705
  • কথা হলো, সৈকতবাবু বলতে চেয়েছেন যে পবতে যাত্রা এখনও খুব পপুলার, প্রচুর রেভিনিউ ইনকাম হয়, সিনেমার থেকে বেশী পপুলার ইত্যাদি। সে তো হতেই পারে, একথা ঠিকই যে বেশীর ভাগ সময়ে কলকাতা বা মেট্রো শহরগুলো নিয়েই বেশী হৈচৈ হয়, তার বাইরে কি হচ্ছে কেউ তার খোঁজ রাখেনা, বিশেষত বুজিরা তো রাখেইনা। ঠিক কথা। (তবে কিনা, হিন্দুস্তান লিভার এর মতো এফেমসিজি আর প্রশান্ত কিশোরদের মতো পোল স্ট্র‌্যাটেজিস্টরা কিন্তু ভারতের কোনা কোনার খবর রাখেন)। 
     
    কিন্তু একথা বলতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন আর শারুখ যে কোত্থেকে চলে এলো, আর তারা যে কিভাবে বুজিদের প্রিয় হয়ে গেল, একেবারেই বুঝলাম না। ছোটবেলার থেকে দেখে এলাম অমিতাভ এট আল দের বুজিরা পাতে দেওয়ারও যোগ্য মনে করেননা, সংস্কৃতির থেকে চোদ্দ হাত দূরে রাখেন। শেষের সাথে শুরুটা জোর করে গুঁজতে গিয়ে বকচ্ছপ লেখা হয়ে গেছে। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:১১528708
  • লক্ষ্য করিচি উনি শারুক্ষানকে পছন্দ করেননা। তাও রয়েসয়ে মাত্রই দুবার গাল দেন -- সুযোগ পেলে একবার আর না পেলে আরেকবার। আমিও শারুক্ষানকে পছন্দ করিনা। তাই ওই দুইবারই ওনার লেখা পড়ি। ;)
  • r2h | 165.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৮528716
  • অরিনদা, প্রবন্ধটা পড়িনি, প্রবন্ধের উপপাদ্য প্রতিপাদ্য নিয়ে অল্প জানি - সত্যিই তো, ব্যাপারগুলোর মধ্যে সম্পর্ক হতে পারে! পড়ে ফেলবো, নেটে পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
  • র২হ | 2601:c6:d200:2600:e49d:6e02:e2c5:***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৫৪528736
  • থ্যাংকিউ, থ্যাংকিউ! একদম পড়া যাচ্ছে; নামিয়ে নিলাম!
  • বিপ্লব রহমান | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭528925
  • গুরুতর লেখা। যাত্রা নিয়ে "ভদ্র সমাজের" এই উপেক্ষা কেন? সেরকম মূল ধারার মিডিয়ায় ফোকাস নেই কেন? রীতিমতো গবেষণার বিষয়। 
     
    আর এপারে এইসব "বেদাতি অনৈসলামিক সংস্কৃতি" অনেক আগেই ঘুচেছে।  আটের দশকে সরকারি টেলিভিশন বিটিভিতে যাত্রাপালা দেখানো হতো।  তারপর এলো হিন্দি সিনেমার ক্রেজ। অমিতাভ শাহরুখ সালমান মচ্ছব পেরিয়ে এখন ভিডিও গেম, আর অনলাইন জুয়া খেলার দিন। 
     
    যেন ঘোর কলি।  cool
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন