এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মোঘল দরবারের মুন্সি- সেক্রেটারি, বিখ্যাত ফার্সি কবি চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ জুলাই ২০২৩ | ৭১৫ বার পঠিত
  • আকবরের আমল থেকে মোঘল দরবারে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা বা কায়স্থরাও উচ্চ পদে বসতে শুরু করে। শাজাহানের সময়ও অনেকে ছিলেন তাঁদের মধ্যে মুন্সি- সেক্রেটারি চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ খুবই  বিখ্যাত ফার্সি কবিও বটে। 

    ইতিহাসকার রাজীব কিনরা ওনার ওপর বড়োসড়ো কাজ করেছেন।  বইটার নাম ''রাইটিং সেলফ, রাইটিং এম্পায়ার'' - ''নিজেকে নিয়ে, সালতানাতকে নিয়েও লেখা'', এক বিচিত্র বই বটে! চন্দ্রভানের সময়কার গোটা সাংষ্কৃতিক জগতের ইতিহাস উঠে আসছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল চন্দ্রভানের পেননেম -ছদ্ম নাম ছিল ব্রাহ্মণ। বোঝা যাচ্ছে, শাহী মহলের সঙ্গে সায় দিতে পারলে হিন্দু পরিচয় দরবারি স্বীকৃতির বাধা হতো না শুধু তাই নয় উচ্চকোটির পারসিক  সাংস্কৃতিক মহলেও সমাদৃত হতো। কবি হিসেবে চন্দ্রভানের পরিচয় মোঘল সালতানাতের সীমা ছাড়িয়ে পারস্যে চলে যাচ্ছে।

    একটা মত আছে আকবরের সময়ের পর থেকে ধর্মতাত্ত্বিক গোঁড়ামি তুলনায় বেড়ে যায়। নক্সবন্দি সিলসিলার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আর শাজাহানের সুসম্পর্ক, দুজনের আমলেই মন্দির অপবিত্রকরণ বা ভাঙা, কোরান কথিত মহান রাজা সলোমন হতে চাওয়া, মহান ইসলামী শাসক হবার - ইমেজ তৈরির উচ্চাকাঙ্খা সাধারণভাবে এই মতের পক্ষে যায়। কিন্তু জিজ্ঞাসার শুরু সেখান থেকেই - তুলনায় গোঁড়া দার্শনিকতার পরিমণ্ডল চন্দ্রভান ব্রাহ্মণকে উচ্চকোটির প্রশাসনিক-সাংষ্কৃতিক জগতের শীর্ষে জায়গা দেয় কী করে? চন্দ্রভান কি নিছকই ব্যতিক্রম?
     
    ''আমি এক ব্রাহ্মণ, জন্মেছি পাঞ্জাব মুলুকে আর নাম ডাক হয়েছে উপবীতধারী প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণ সমাজে।" বলছেন চন্দ্রভান: শাজাহান আর ঔরঙ্গজেব আলমগীরের আমলে মোঘল দরবারের আর তৎকালীন সমাজের অনন্য দলিল, ফার্সিতে লেখা ‘চার চমন - চার বাগান’ বইতে।  বলছেন খানিকটা আনমনে, ফলে জানা যায় না তাঁর জন্মের দিন, অনুমান করা যেতে পারে আকবর বাদশাহের রাজত্বের শেষের দিকেই জন্মেছিলেন উনি। জন্মের দিনক্ষণ নিয়ে কিছু না বললেও চন্দ্রভান যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছিলেন আর প্রথম জীবন সম্পর্কে যা বলছেন তাতে পরিষ্কার যে তাঁর পরিবারে ফার্সি ভাষাবিদ হিন্দু হিসেবে মোঘল সালতানাতের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক দিনের আর ফার্সিতে ওস্তাদ হয়ে এরকম বংশ পরম্পরায় মোঘল যোগ অনেক হিন্দু পরিবারেই ছিল। ''এ বান্দার জন্ম আর শিক্ষেদিক্ষে হয় সালতানাতের আবাসস্থল লাহোর শহরে। এ ফকিরের বাবা ধরম দাসের আগে সব একনিষ্ঠ পূর্বপুরুষ  কুলবৃত্তি করেই কাটাতেন। বাবা লেখার কায়দা ভালোই রপ্ত করে শাহী মনসবদার হলেন। পরে ভাগ্য চঞ্চলা বোধে সরকারি নকরি ছেড়ে নিভৃত কোণে অবসর কাটালেন তিনি।'' চন্দ্রভানের ব্রাহ্মণ সত্ত্বা সর্বোচ্চ স্তরে ফার্সি সাহিত্য শিখতে, সুফি দর্শনে প্রভাবিত হতে বা ম্লেছ মোঘল দরবারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হতে বাধা দিচ্ছে না। মজার ব্যাপার তিনি ব্রাহ্মণদের তাইফা বলছেন, একরকম করে  সুফি তাইফার - সংঘের সঙ্গে তুলনা করছেন, যারা অন্যদের মতো জাগতিক নানা কাজে, পেশায় যুক্ত থাকে কিন্তু অন্যদের থেকে আলাদা কারণ - ''জগতের সব দৃশ্যমান আর অদৃশ্য নানান জিনিসের মানে বুঝতে পারে।''

    তাঁর ব্রাহ্মণত্বের সজ্ঞা পূজাপাঠের আচারবিচারের বাইরে মেধা চর্চায় তৃপ্তি পায় আর তাতে রীতি মান্যতার গোঁড়ামি বা চারপাশের পারসিক প্রভাবিত জগতে পা ফেলায় আপত্তি নেই। এটা এক সাধারণ ঘটনাই ছিল, অনেক ফার্সি প্রশিক্ষিত হিন্দুই সেসময় মোঘল দরবারে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ছোট ভাই উদয় ভান, ছেলে তেজ ভান, সর্বোচ্চ মোঘল পদাধিকারী দিনায়াত রায়, দেওয়ান রঘুনাথ রায় কায়স্থ  প্রমুখ এক ঝাঁক নামের উল্লেখ চন্দ্রভানই করছেন। তখতে বসেই এই হিন্দু রঘুনাথকেই জাফর খানের জায়গায় উজির-প্রধানমন্ত্রীর পদে স্থায়ী প্রমোশন দিয়ে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব আলমগীর। উত্তরাধিকারের প্রতিটা লড়াইয়ে রঘুনাথ রায় ঔরঙ্গজেবকে রীতিমতো ময়দানে সাহায্য করেছিলেন বলছেন চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রাজা রঘুনাথ ওই পদেই ছিলেন, মারা যান ষোলোশো চৌষট্টিতে। বয়েস হয়ে গেলে আলমগীরকে নানা চিঠিতে অনন্য প্রশাসক  রাঘুনাথকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করতে দেখা যাবে। 

    সুপণ্ডিত দ্বিতীয় প্লেটো, এরিস্টটল বলে প্রশংসিত  উজির আফজল খানের কাছে বছর দশেক হাত পাকিয়ে, তাঁর মৃত্যুর পর, চন্দ্রভান শাজাহানের দরবারে কাজে ঢুকলেন ষোলোশো ঊনচল্লিশের গোড়ায়। ''যখন  বান্দার সময় এল, নিখুঁত নাশতালিখ শিকস্তা লিপি মুগ্ধ করল জাঁহাপনার জহুরির চোখ আর খুঁতখুঁতে মেজাজ হল খুশ।'' শাজাহান সম্পর্কে বলছেন চন্দ্রভান। এরপর থেকেই শাজাহানের একদম কাছের লোকেদের একজন বলে পরিচিত হচ্ছেন চন্দ্রভান। তাঁর চার চমন বইটা মিশ্র জঁরের, তাতে মোঘল দরবার আর বৌদ্ধিক জগতের ইতিহাসের সঙ্গে এতে জড়িয়ে আছে আত্মজীবনীও। মোঘল দরবারে  সর্বোচ্চ মুন্সি পদাধিকারীর সাহিত্যিক কুশলতা থাকা আবশ্যিক ছিল, প্রমোশন পেতে সুবিধে হতো বাদশাহের মর্জি বুঝে পদ্য আওড়ালে ! চন্দ্রভানের লেখাতেও এরকম পদ্য আওড়ানো নানান নাটকীয় অনুসঙ্গ আছে। এর থেকে বোঝা যায় গুরুতর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে শাজাহানের কাছে চন্দ্রভান মাঝে মধ্যেই নিজেই কবিতা পড়তেন অথবা অন্য কোন একান্ত জনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা  বাদশাহের মনোরঞ্জন করত। এসব চন্দ্রভানের কাছে ছিল সুখ্যাতি বাড়ানোর উপলক্ষও (আফসানা য়ি আশরাফ পেরা)। শাহী বহর কাবুল যাবার পথে এরকমই এক ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন তিনি, ''অনেক গজলের মধ্যে এই দীনের লেখা একটাও বাকশি আল মুলক - মুতামদ খানের মাধ্যমে পৌঁছয় বাদশাহের কাছে আর প্রশংসাও পায়।'’ এই সব সুখ্যাতির পাহাড়ে চড়ে চন্দ্রভান মোঘল শাহী খানদানের একজন খানজাদ বলে পরিগণিত হচ্ছেন। নতুন মুলুক জয়ের আনন্দে লেখা তাঁর কবিতা চতুষ্পদী শ্লোক শাজাহান উচ্চারণ করলেন জাদুকরী কণ্ঠে জবান-ই মুজিজ-বয়ান :
     
    রোজ -ই নোউ  ওয়া সাল -ই নোউ মুবারক বাদা 
    মুলক -ই নোউ ওয়া মাল -ই নোউ  মুবারক বাদা 
    আই অন কি খেয়াল -ই মূলকগিরি দারি 
    তামহিদ -ই খেয়াল -ই  তু মুবারক বাদা
    নতুন দিন, নতুন বছর, আশীর্বাদ বর্ষিত হোক
    নতুন মুলক আর নতুন সম্পদ, আশীর্বাদ বর্ষিত হোক
    কে তুমি স্বপনে দেখেছ জয়
    সব যুদ্ধ কৌশল যেন আশীর্বাদ পায়।

    জন রিচার্ডের মতো ইতিহাসকারও আকবরের পরবর্তীতে গোঁড়া ইসলামীকরণের সূত্রায়নে শাজাহানের দরবারের কড়া আদব আর মৃতবৎ উৎসবের নিয়মতান্ত্রিকতার কথা বলছেন - সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক, সময় যেন থমকে আছে সাজানো অপূর্ব মিনিয়েচার ছবির মতোই। তাঁর তাবৎ মূল্যায়ন যান্ত্রিক ঠেকে চন্দ্রভানের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে পড়লে। 

    চন্দ্রভানের বর্ণনায় সেসব সাজানো ছবির মুহূর্ত জ্যান্ত হয়ে চলাফেরা করে। প্রখ্যাত দরবারীরা গান শোনে, কোমরের তলোয়ারের রক্তের দাগগুলোর গুমোর ভুলে কবিতা শোনে। দরবারের ফাঁকে একদল রাজনীতির কূটতর্কে মাতে তো অন্যরা কাব্বি চর্চা করে।  ইসমাইল খান মাশহাদির মতো বিখ্যাত হাতিয়ারবন্দ যোদ্ধা, সেপাইসালার, প্রশাসকের সংস্কৃতি মনস্কতার কথা বলছেন চন্দ্রভান, ''উনি একদল সমজদার নিয়ে সারা দরবার কবিতার সুরে মাতিয়ে রাখতেন।'' সেই দরবারের কোনায় কোনায় চন্দ্রভান ব্রাহ্মণের সুরেলা রুবাইও ভেসে বেড়ায় আর ওস্তাদ গায়কেরা তাতে অপূর্ব সুর বসিয়ে বাদশাহ আর উপস্থিত সব দরবারীর মন ভরায়।

    ওপরের ঠোঁট চাপা সাহেবদের বলরুম কালচারে লালা ঝরা ভদ্রলোক, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে জমিদার হয়ে ফিরিঙ্গি সংস্কৃতির গুনকেত্তনে ব্যস্ত লোকের, মনে রাখা দরকার যে মোঘল আমলে ভদ্রজনোচিত আচারে শিল্পমনস্কতা আবশ্যক ছিল। শুধু কবি আর তাঁর গুণগ্রাহী ছোট গোষ্ঠী নয়, দরবার সহ সমাজের সর্বত্র নানান উৎসবে আর দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেও কবিতার সুর শোনা যায়। যুদ্ধের হাতি ঘোড়ার ডাক, আর্তনাদ, তোপ -বন্দুকের ধুমধাড়াক্কার মধ্যেও কাব্বি চর্চা দিব্বি চলে। শিকারের সময়ও অবসর কাটছে কবিতায়। দিনের শেষে সাধারণ মানুষও নানান লব্জে  কবিতাই আওড়াচ্ছে। 

    তবে চন্দ্রভান ব্রাহ্মণের কাব্বি চর্চা উঁচু পদাধিকারীর দেখনদার কবিতা বিলাস বলা যাবে না। শাজাহানের সময়কার প্রথম কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর মধ্যে তাঁকে মানা হচ্ছে। তার লেখা বেশ কয়েকটা বই, সে কালের দর্পন অজস্র চিঠি আর দুশোর মতো উচ্চ মানের গজল পাওয়া যায়। শাজাহানের দরবারে কুড়ি বছর সর্বোচ্চ পদে থাকার পর ঔরঙ্গজেব আলমগীরের দরবারেও বেশ কিছুদিন কাজ করলেন চন্দ্রভান। তারপর অবসর নেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • upal mukhopadhyay | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৩521610
  • [22/07, 13:35] Upal Mukhopadhyay:

    [22/07, 13:35] Upal Mukhopadhyay: শাহজাহান ও আলমগীরের সময় দরবারের মুন্সি বা সেক্রেটারি, প্রখ্যাত ফার্সি কবি চন্দ্রভান ব্রাহ্মণয়ের লেখা দুশো গজলের একটা।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:৪৯521616
  • বাংলাদেশের গ্রন্থিক থেকে প্রকাশিত। লেখক বিশ্বেন্দু নন্দ।
     
  • upal mukhopadhyay | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৪521617
  • Excellent. 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f894:3519:4c01:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ২০:৪৫521622
  • ভাল লাগল।
  • kiriti bose | 148.72.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৫521633
  • অসাধারন লেখা। আপনার মুঘল যুগ নিয়ে লেখাগুলো থেকে অনেক কিছু জানছি। শিখছি।
  • আঁতেল | 69.25.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ২৩:২৮521634
  • এই হল ইতিহাস। উপলবাবুর লেখার ধরনটিও অতি মনোমুগ্ধকর। প্রকৃত স্কলারশিপের ছাপ পরতে পরতে। অন্যান্য দু-চারটি ঐতিহাসিক নিবন্ধের যা নমুনা এখানে পাই (সাঁতারের টইটি একটি স্যাম্পল), সে আর বলে কাজ নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন