এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জুতো পাঁচালী

    Manab Mondal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৬৩৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • রামায়ণে পড়েছি, কোন এক সময় এক জোড়া জুতো দেশ শাসন করেছিল, কিন্তু আজ জুতোর কোন সম্মান নেই। এই কারণে জুতোর জন্য আমার বড়ো কষ্ট হয়। জুতো ছাড়া আপনি চলতে পারবেন না, অথচ তাকে আপনি আপনার ঘরে ঢুকতে দেন না। অন্যের ঘরে ঝগড়াঝাটি বাঁধাতে আপনি ঐ জুতো উল্টে দিয়ে আসেন। তবে জুতোর নাম শুনলেই প্রথমে আমার মনে পরে মায়ের দেওয়া বিখ্যাত হুমকি ‘জুতিয়ে সোজা করে দেবো’। বাঙালির বিয়েতে বরের জুতো লোকানোর প্রথা আছে। সেই নিয়ে কিছু স্মৃতি ভেসে আসে চোখের সামনে। তারপর মনে পরে মাঝে মাঝে নেতা মন্ত্রীর দিকে অসন্তুষ্ট জনতার জুতো ছুঁড়ে মারার দৃশ্য। মনে পড়ে সত্যজিৎ রায়ের গুপি গাইন বাঘা বাইন এর জুতোর কথা। যে জুতো থাকলে আপনি যেখানে খুশি সেখানে চলে যেতে পারতেন। বাংলা সাহিত্যে এবং মনীষীদের জীবনে জুতোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

    গল্পকার কমলকুমার মজুমদার বাংলা সন ১৩৪৪ এর ভাদ্র মাসে ‘লাল জুতো’ নামে একটি অসাধারণ গল্প লিখেছিলেন। গল্পটি দিয়েই লেখকের ‘গল্প সমগ্র’র শুরু। পুরোপুরি জুতো নির্ভর না হলেও জুতো চপ্পল খড়ম চটি নিয়ে গল্পের অভাব নেই বাংলা সাহিত্যে।  রবীন্দ্রনাথের ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতাটির কথা সবার জানেন।  ‘নষ্টনীড়’ গল্পের নায়িকা চারুলতা বন্ধু অমলের জন্যে যে জুতো তৈরি করে দিয়েছিলেন, ভুলে যাবার মতো নয়। ‘চারুলতা’ ছবির সেই আবেগঘন দৃশ্যের কথা সবার মনে আছে। সমকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে বনেদী পরিবারের মেয়েদের তুলনায় ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা যে কতটা এগিয়ে ছিল তার প্রমাণ ছিলো জুতো। সে কথা বোঝাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘ঠাকুরবাড়ির মেয়েরাই প্রথম জুতো পরে বাইরে যায়’। রবীন্দ্র-উপন্যাসে বনেদী পরিবারের নারী চরিত্রে, বিশেষ করে, বিধবাদের জুতো পরা নিয়ে কটাক্ষ আছে।

    ডঃ নীহাররঞ্জন রায়ের লেখা থেকে জানতে পারি আগে সাধারন বাঙালিরা জুতোই পরতেন না। শুধু যোদ্ধা, দ্বাররক্ষী এবং পেয়াদা এই ধরণের কিছু লোক জুতো পায়ে দিত। কিছু অবস্থাপন্ন বাঙালি খড়ম পরতেন। তবে বাটা কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপণে দেখা যাচ্ছে জনগণকে জুতো পরতে উৎসাহী করা হয় কিন্তু এই ভয় দেখিয়ে যে খালি পায়ে থাকলে ধনুষ্টংকার হয়। ধরে নেওয়া যেতে পারে উনিশের দশকে এসেই বাঙালি জুতো পরার অভ্যাস করতে শুরু করে।
    এক সময় বাঙালির চটির সাথে সাহেবদের বুটের লড়াই চলছিলো। তাই নিয়ে বিভিন্ন কবির কলমে কবিতাও দেখা গিয়েছে।

    দ্বিজেন্দলাল রায় তাঁর ‘বিলেত ফের্তা’ কবিতায় তীব্র শ্লেষের সঙ্গে লিখেছিলেন -

    আমরা ছেড়েছি টিকির আসর
    আমরা ছেড়েছি ধুতি চাদর
    আমরা হ্যাট বুট আর প্যান্ট কোট পরে
    সেজেছি বিলিত বাঁদর।

    সত্যেন দত্ত বিদ্যাসাগরের তালতলার চটি নিয়ে সোজাসুজি বন্দনা করেছিলেন একটি কবিতা দিয়ে –

    সেই যে চটি – দেশী চটি - বুটের বাড়া ধন
    খুঁজব তারে আনব তারে এই আমাদের পণ;
    সোনার পিঁড়েয় রাখব তারে, থাকব প্রতীক্ষায়
    আনন্দহীন বঙ্গভূমির বিপুল নন্দীগাঁয়।

    এবার আসি সিনেমার কথায়। ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’-র চটি ছিঁড়ে যাওয়ার দৃশ্য নিশ্চয়ই কেউ ভোলেন নি। এ ছবির প্রথম দৃশ্যেও ছবির নায়িকা নীতাকে দেখা গেছিল ছেঁড়া চটি পায়ে পা ঘষটাতে ঘষটাতে হেঁটে যেতে। তার নতুন জুতো আর কেনা হয় না। বুটপালিশ একটি বিখ্যাত সিনেমা ছিল। ভারতীয় হিন্দিগানে জুতোর কথা আছে - মেরা জুতা হায় জাপানি। রাজকাপুরের ছবি আওয়ারা তে জাপানি জুতোর উল্লেখ আছে। আবার মাধুরী দীক্ষিতের লিপে ‘জুতে লে লো পয়সা দে দো’।

    জুতো নিয়ে ভানুর কৌতুক এককথায় তুলনাহীন: মা চাকরির জন্যে তার বেকার ছেলেকে পাঠিয়েছেন শহরের এক কর্নেলের কাছে। কর্নেল হঠাৎ ছেলেটির পায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন -
    - বাহ! তোমার পাদুকা দু’খানা তো খুব সুন্দর।
    শুনে ছেলেটি বলে, আপনি নিবেন? নিয়া যান।
    - না, না। লোকে জিজ্ঞেস করলে কি বলবে?
    ছেলেটি বলে, কেউ জিজ্ঞেসই করবে না। আর একান্তই যদি জিজ্ঞাসা করে তাইলে কমু, কুত্তায় লইয়া গেছে!

    আর বেশি বলব না। কারণ ‘খোকা বাবু যায় লাল জুতো পায়ে’ গানটাও আপনি হয়ত গুনগুন করেছেন কখনও। জুতো নিয়ে মনীষীদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলি।

    শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় নানা সভা বা সাহিত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার নিমন্ত্রণ পেতেন। সেরকম এক সভা থেকে ফেরবার মুহুর্তে তিনি দেখলেন যে তার এক পাটি জুতো নেই। কেউ নিয়ে গেছে বা ভুল করে পরে চলে গেছে। তিনি কি করবেন! বাড়ির কর্তা অতিথি আপ্যায়ণে ব্যস্ত, তাকে এই নিয়ে বিব্রত না করে নানা দিক ভেবে তিনি এক পাটি জুতো বগলে চেপে খালি পায়ে হাঁটা দিলেন। বিকেলবেলার সময় হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে তিনি হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। তার মনে হল, এক পাটি জুতো আর বগলে আঁকড়ে রেখে কি হবে এটাকে বিসর্জন দেওয়া যাক। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এক পাটি জুতো গঙ্গায় ফেলে তিনি বাড়ি ফিরলেন।
    দু-একদিন পর ঐ বাড়ির  কর্তা শরৎবাবুর বাড়িতে এসে হাজির। হাতে সেই একপাটি জুতো। ভদ্রলোক ভীষণ লজ্জিত। নানান লোকের ভিড়ে সেইদিন কোনোভাবে এই পাটিটি উনার আলমারির তলায় আত্মগোপন করেছিল। তিনি আজ সেটি খুঁজে পেয়ে তৎক্ষনাৎ ছুটে এসেছেন।
    শরৎচন্দ্র তাকে অভয় দিলেন, কিছুক্ষণ বসিয়ে খানিক গল্প করলেন। শেষমেশ যখন ভদ্রলোক বিদায় নেবেন, তখন শরৎচন্দ্র বললেন, ‘এই পাটিটি নিয়ে যান, হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে যখন যাবেন তখন গঙ্গায় ভাসান দিয়ে দিবেন। আগেরটারও একই গতি হয়েছিল’।
    ভদ্রলোক মুখ থেকে হে হে হাসিও বেরিয়ে এসেছিলো সে কথা শুনে।

    বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কথা তো সকলের জানা। মধুপুর থেকে ট্রেনে একবার কলকাতায় ফিরছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর কামরায় উঠে তিনি দেখলেন একজন ইংরেজ সাহেব বসে আছেন। সাহেব তাঁর কামরায় একজন নেটিভের উপস্হিতি কিছুতেই পছন্দ করলেন না। স্যার আশুতোষ তা গ্রাহ্য না করে নিজের বার্থে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুম ভাঙার পর দেখলেন তাঁর জুতো জোড়া নেই। ব্যাপারটি বুঝতে তাঁর দেরি হল না। সাহেবকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হুক থেকে তার কোটটি খুলে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিলেন। ঘুম থেকে উঠে সাহেব কোট দেখতে না পেয়ে ক্রুদ্ধভাবে জিজ্ঞেস করলেন, “আমার কোট কোথায়?” স্যার আশুতোষ গম্ভীর ভাবে বললেন, “তার আগে বলুন আমার জুতো জোড়া কোথায়?” সাহেব বললেন, “তোমার জুতো জোড়া বাইরে হাওয়া খেতে গেছে”। আশুতোষও সঙ্গে সঙ্গে বললেন, “আর তোমার কোট আমার জুতো জোড়া খুঁজে আনতে গেছে”। সাহেব জবাব পেয়ে একেবারে চুপ করে গেলেন।

    এবার আসি বিদ্যাসাগরের কথায়। নীলদর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। মঞ্চে সেই সময় যে দৃশ্য অভিনীত হচ্ছে তাতে দেখানো হচ্ছে এক ইংরেজ কিভাবে এক সাধারণ ঘরের মহিলাকে অত্যাচার করছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় এমনিতেই রাগী এবং গোঁয়ার প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। এই দৃশ্য দেখে তার রাগ চরমে উঠল। তিনি প্রচন্ড রাগে নিজের পায়ের জুতো মঞ্চের সেই ইংরেজের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছিলেন তার দিকে নিক্ষেপ করলেন। সকলে হতবাক।

    ১৮৭৪ সালের দিকে জাদুঘর আর এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে চটি পায়ে ঢুকতে দেয় নি বলে, সংবাদপত্রে বহু পাতা লেখালেখি হয়েছিল জুতো নিয়ে। জুতো র প্রতি তখন সবার একটা রাগ হয়েছিল স্বদেশী ভাবনায়।

    তবে এ রকম রাগের কারণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজ মুচিকে দিয়ে বার বার জুতো পলিস করাতেন।

    তবে একটা কথা মানতে হবে, যদি কেউ ধুতি পরে তাকে আপনি বলবেন বাঙালি, প্যান্ট কোট পড়লে বলবেন ইংরেজ, মাথায় সাদা টুপি দিলে বলবেন মুসলিম, গায়ে নামাবলী জড়ানো দেখলে বলবেন হিন্দু ব্রাহ্মণ, কিন্তু অনেকগুলো জুতো একসাথে দেখলে বলতে পারবেন না, কোনটা হিন্দুর জুতো কোনটা মুসলমানদের জুতো। অর্থাৎ, জুতো কোনো বৈষম্য বা ভেদাভেদ বুঝতে দেয় না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন