এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাতিবাগান রহস্য - ৬  

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৮৮৯ বার পঠিত
  • সকাল নটা কুড়িতে আশুতোষবাবু হাজির হয়ে গেলেন। কলতান দরজা খুলে দেখল বছর ষাটেকের মাথায় কাঁচাপাকা চুলওয়ালা মোটাসোটা চেহারার এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে একটা গুটিয়ে রাখা ছাতা।
    পরনে হাফহাতা সাদা শার্ট এবং ঘিয়ে রঙের প্যান্ট। চোখে কাল ফ্রেমের চশমা। মুখে অমায়িক হাসি। সারল্যমাখা মুখ।
    — ‘ আজ্ঞে .... আমিই আশুতোষ মৈত্র। নীলাম্বরের দাদা ...’
    — ‘ আসুন আসুন .... আপনি আমাকে আপনি আজ্ঞে করবেন না। আমি আপনার থেকে বয়সে অনেক ছোট। ’
    — ‘ আজ্ঞে ওটা আমার অব্যেস। এই বয়সে এসে বদলানো মুশ্কিল।’
    কলতান হেসে বলল, ‘ ও আচ্ছা আচ্ছা .... বসুন বসুন .... ’
    ভদ্রলোক ছাতাটা কোলে নিয়ে সোফার একপাশে বসলেন।
    কলতান বসল তার আর্মচেয়ারে।
    — ‘ বাড়ি চিনতে কোন অসুবিধে হয়নি তো ? ’
    — ‘ না না একেবারেই না। আপনাদের মতো লোকেদের বাড়ি চিনতে অসুবিধে হয় ..... ’
    কলতান একটু চুপ করে থেকে বলল, ‘ হ্যাঁ .... আশুতোষবাবু বলুন .... ’
    — ‘ ও হ্যাঁ .... নীলাম্বরের মৃত্যুতে আমি খুব নাড়া খেয়ে গেছি .... বুইলেন না .... হাজার হোক মায়ের পেটের ভাই। ছোটবেলা থেকে প্রায় তিরিশ বছর পর্যন্ত তো একসঙ্গেই মানুষ হয়েছি। তারপর নয় অবস্থার চাপে পেথগন্ন হলাম সব। নীলুটা বরাবরই যেন কেমন ধারা। পড়াশোনা কাজকর্ম কোন কিছুতেই ঠিক মন লাগাতে পারত না। বাবা ভাবল, ওর দ্বারা কিছু হবে না। এ ছেলে কোনদিন করে খেতে পারবে না। তাই সারা জীবন পায়ের ওপর পা তুলে খাবার বন্দোবস্ত করে দিয়ে গেছে। অন্য অ্যাসেটের কথা ছেড়েই দিন না, হরি ঘোষ স্ট্রিটের ওপর একটা তেতলা বাড়ির ভ্যালুয়েশান চিন্তা করতে পারছেন....’
    এই সময় কলতান বলল, ‘ ... এক মিনিট আশুতোষবাবু.... লক্ষ্মীদি দু কাপ চা ..... হ্যাঁ .... বলুন ....আচ্ছা আশুবাবু আপনি কি করেন, মানে করতেন ?’
    — ‘ আমি মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশানে চাকরি করতাম। এখন রিটায়ার্ড। তাছাড়া আমার একটা কারবারও আছে। প্রথম টাকাটা বাবাই দিয়েছিল।’
    — ‘ কিসের কারবার ?’
    — ‘ কাঠের। ফার্নিচারের না। টিম্বার মারচেন্ট যাকে বলে ....’
    — ‘ ও আচ্ছা .... বুঝতে পেরেছি। ’
    — ‘ আসলে আমি নীলুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে এত .... মানে, হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম যে আসতে পারি নি। নিজেকে এসব ঝামেলায় জড়াতে চাইনি। এখন অনেকটা সামলে উঠেছি। শুনছি, নীলুকে নাকি কে মার্ডার করেছে। তাই ভাবলাম, কিছু কথা বললে যদি আপনাদের সুবিধে হয় .... আমি চাই ব্যাপারটা পরিষ্কার হোক। অবশ্য এটা একদিন না একদিন হতই ..... ’। 
    কলতান ঘড়ি দেখল, সাড়ে দশটা বাজে। সাড়ে বারোটার মধ্যে ফরেনসিকের লোক আসবে হাতিবাগানে। হাতে বেশি সময় নেই। 
    সে বলল, ‘ কিরকম কিরকম ? ’
    — ‘ অনায়াসে সব পেয়ে যাওয়ায় নীলুর স্বভাবটা কেমন যেন বিগড়ে গেল .....’
    — ‘ তার মানে ? ’
    — ‘ হ্যাঁ সেটাই। হাতে কাঁচা পয়সা থাকলে পীরিত করার মেয়ের অভাব হয় না। ’
    কলতান একদৃষ্টে আশুতোষের দিকে তাকিয়ে ছিল। সে আচমকা বলল, ‘ আচ্ছা আশুতোষবাবু..... কাঁকুড়গাছিতে আপনাদের কে থাকে ? ‘
    — ‘ অ্যাঁ, কি বললেন, কাঁকুড়গাছি? আপনি কি করে জানলেন? ওখানে নীলাম্বরের একটা ছোট ফ্ল্যাট আছে। অনেক কাল আগে খুব কম টাকায় কিনেছিল। ওখানে নীলুর একটা মেয়েছেলে থাকে। তার নাম দেবযানী। এখন তার বয়েস হয়ে গেছে। কিন্তু একসময়ে ডাকাবুকো ছিল। দারুণ সেক্স অ্যাপিল ছিল। দুবার দেখেছি। নীলুকে পেড়ে ফেলেছিল একেবারে। মনীষাকে বিয়ের অনেক আগের ঘটনা এসব। নীলাম্বর দেবযানীর মিলনে তাদের একটা ছেলেও হয়েছিল। সেই ছেলের নাম হল ....’ 
    আশুবাবু একটা বিস্কুট চায়ে চুবিয়ে  কামড় দিলেন। ধীরে সুস্থে চায়ের কাপে একটা চুমুক দিলেন।
    কলতান কোন কথা না বলে স্থির দৃষ্টিতে আশুতোষ মৈত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    ‘ .... সেই ছেলের বয়েস এখন প্রায় উনত্রিশ। নাম হল ইরাবান।’
    যদিও আশুবাবুর কথা অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করার মতো ভিত এখনও তৈরি হয়নি তবু আশুবাবুর কথা শুনে চমকে গেল কলতান। 
    — ‘ সেকি ! আমরা তো জানতাম ইরাবান মনীষাদেবীর আগের পক্ষের সন্তান।’
    — ‘ আরে না না .... মনীষা এবং নীলাম্বরের সন্তান হচ্ছে আপনার ওই .... শ্রুতি। খোঁজ খবর করে দেখুন। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই। মনীষার সঙ্গে নীলুর বিয়ে হয়ে গেল ঠিকই, দেবযানী কিন্তু আমার বোকার হদ্দ ভাইকে রেহাই দিল না। জাঁহাবাজ মেয়েছেলে । নানারকম কেসে ফাঁসিয়ে নীলুকে নিজের কব্জায় রেখে দিল। কাঁকুড়গাছির ফ্ল্যাটটা বাগিয়ে নিল। এখন সেখানেই থাকে। ইরাবানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তার মগজ ধোলাই করে মনীষা এবং নীলু দুজনের ওপরই তাকে বিরূপ করে তুলেছে এত বছর ধরে স্রেফ ইরাবানের মাধ্যমে নীলুর যাবতীয় সম্পত্তি বাগাবার উদ্দেশ্যে। নীলুর ওপর তার ইদানীং কোন আকর্ষণ ছিল না। আর ছেলেকে কাজে লাগাচ্ছিল হাতিয়ার হিসেবে।’
    কলতান আবার ঘড়ি দেখল। সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। মনে মনে চাইছে ফরেনসিকের আজকের শিডিউলটা যেন বাতিল হয়ে যায়। আশুবাবুর কথাগুলো ধ্রুবসত্য বলে মেনে নেবার কোন কারণ নেই । অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এ কথাগুলো ফেলে দেওয়া মুশ্কিল। আশুতোষবাবুর জন্য আর একটু সময় দেওয়া দরকার।

    আশ্চর্যজনকভাবে কলতানের মনের ইচ্ছাটা পূর্ণ হল। একটা এসএমএস ঢুকল মোবাইলে। ঋজু লিখছে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের গৌতম চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় হরি ঘোষ স্ট্রিটের কাজটা আজকের বদলে কাল হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
    কলতান জবাব দিল — ‘ ওকে ’

    কলতান আশুবাবুর দিকে ঘুরল, ‘ আপনার দেওয়া ইনফর্মেশানগুলো আমাদের কাজে লাগবে।’
    — ‘ ধন্যবাদ ধন্যবাদ । নীলু আমার মায়ের পেটের ভাই। একসঙ্গে মানুষ হয়েছি ছোটবেলা থেকে .... ’, আশুতোষবাবু আর একটা চুমুক মেরে কাপের চা শেষ করলেন, ‘ ..... নীলু যদি সত্যিই খুন হয়ে থাকে তালে আমি চাই খুনী যেন ধরা পড়ে । ফাঁক গলে পালাতে না পারে।’
    — ‘ আশুতোষবাবু, আপনি তো ওদের ফ্যামিলির ভিতরের সব খবর জানেন, আপনি কাউকে সন্দেহ করেন নীলাম্বরবাবুর মৃত্যুর ব্যাপারে? ’  
    — ‘কি বলব বলুন তো ..... সবই তো প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। কারো নাম বলা তো মুশ্কিল। তবে আমার ধারণা, ওই দেবযানী কিন্তু মোটেই সুবিধের লোক নয়। সে নিজে না করলেও ইরাবানকে দিয়ে কিছু করাতে পারে। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত ধারণা। আমি তো আর প্রমাণ করতে পারব না।’
    আশুবাবু কোলের ছাতাটা নামিয়ে একবার পাশে রাখছেন, একবার কোলে নিচ্ছেন। তিনি বললেন, ‘আমি আপনার সময় নষ্ট করছি না তো?’
    — ‘ না না .... একেবারেই না। এগুলো কাজে লাগবে । আচ্ছা .... আপনি সত্রাজিৎ সেনকে চেনেন আপনি ?’
    — ‘ স....ত..রাজিৎ ! ও আচ্ছা সেদিন শ্মশানে গিয়েছিল ওই ছেলেটার কথা বলছেন ? ওকে আমি ঠিক চিনি না। শুনলাম দোতলার ভাড়াটে। ’
    — ‘ হ্যাঁ ওর কথাই বলছি । যাকগে .... । আচ্ছা, শ্রুতি এবং মনীষা সম্বন্ধে আপনার ধারণা কি আশুবাবু ? ‘
    — ‘ আমার ধারণা নীলু এবং মনীষা এমনিতে সুখী দম্পতি ছিল, ওই দেবযানীর ব্যাপারটা বাদ দিলে। আর শ্রুতি সম্বন্ধে আমার খুব একটা ধারণা নেই। বাচ্চা মেয়ে। খুব ছোটবেলায় দু চারবার দেখেছিলাম। তারপর তো বহুবছর ধরে আমাদের মধ্যে তেমন যোগাযোগ নেই। আর এখন তো নীলু চলে গেল.... আর কি বা হবে .... ও : .... ’
    আশুতোষবাবু ছাতাটা আবার কোলে নিলেন। তাকে বেশ বিষণ্ণ দেখায়।
    আশুতোষবাবু কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলেন। কলতান বলল, ‘ আর এক কাপ চা চলবে নাকি ? ’
    — ‘ না না .... এবার আমি উঠি .... আপনার অনেকটা সময় নিয়ে নিলাম .... যাক উঠি এখন... আপনারা এগিয়ে যান এবং অপরাধী ধরা পড়ুক।’

    আশুতোষবাবু বিদায় নেবার সঙ্গে সঙ্গে কুলচা এসে ঢুকল হুড়মুড় করে। 
    — ‘ আরে.... কি খবর বল। সেদিন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বাঙ্ক করা সম্ভব হল না। আজকেও আছে, তবে আড়াইটে থেকে। তাই ভাবলাম একবার ঢুঁ মেরে যাই.... তারপর ...কেসটা এগোল কিছু ? ’
    — ‘ আরে বস বস .... শান্ত হয়ে । এত তাড়াতাড়ি কিছু হয় ! আজ একজন অতিথি এসেছিলেন। একটু আগে বিদায় নিলেন।’
    — ‘ কে, কে ? ’
    — ‘ নীলাম্বর মৈত্রের দাদা আশুতোষ মৈত্র ’

     — ‘ কাল যদি হদিশ কিছু না মেলে আবার একবার ছদ্মবেশ ধরতে হবে। মিশন কাঁকুড়গাছি। তবে, মনে হয় কাল শায়েদ হাতিবাগানকা পিকচার ক্লিয়ার হো যায়েগি।’
    — ‘ ইন্তেজারমে রহুঙ্গী। আমি একটু মাসীর সঙ্গে দেখা করে আসছি’, কুলচা ভিতরে চলে গেল। 

    কলতানের মাথায় চক্রাকারে ঘুরতে লাগল মেরুন বিন্দি, ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথ, ০৪৫২ নম্বরের বাইক, মারকিউরিক ক্লোরাইড, গোল্ড ফ্লেক সিগারেট, একটান মারা সিগারেট ইত্যাদি ইত্যাদি .....
    আর ফিঙ্গার প্রিন্ট ..... ফিঙ্গার প্রিন্ট .....

    ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ মার্চ ২০২২ ০৬:৫০504931
  • মিশন কাঁকুড়গাছিও জমেছে। তবে সোনাগাছির মাসতুত মনে হচ্ছে যেন, হয়তো বোঝার ভুল 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন