এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হাতিবাগান রহস্য - ৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৮২৭ বার পঠিত
  • ডেক্সটার অ্যান্ড স্মিথের গেটের উল্টোদিকে একটা মাঝারি  আকারের ধাবা। একটা পাঞ্জাবী  বুড়ো আর একটা বুড়ি সেখানে বসে আছে দুপুর বারোটা থেকে। ধাবার ভিতরে অবশ্য বসে নেই তারা। ধাবা মালিকের অনুমতি নিয়ে বসে আছে ধাবার বাইরে পাতা একটা বেঞ্চে। তাদের নাকি গাঁওয়ের কোন লোক আসবে। এখানে তাদের অপেক্ষা করতে বলেছে। বুড়ো বুড়ি ঝোলা থেকে বের করে কুটকুট করে মাঝে মাঝে কি যেন খাচ্ছে, আবার ঝোলায় ঢুকিয়ে রাখছে। নিজেদের মধ্যে কোন গাঁওয়ের ভাষায় কে জানে টুকুর টুকুর করে কি সব কথা বলছে থেকে থেকে।

    বেলা দেড়টা বাজতে চলল। ফ্যাক্ট্রিতে মধ্যাহ্নভোজনের সাইরেন বাজল। গেট দিয়ে অফিস কর্মীরা বেরোচ্ছে। অনেকে ধাবার দিকে আসছে। ধাবার বাইরে বসে থাকা পাঞ্জাবী বুড়ো বুড়ি কি সব কথাবার্তা বলতে বলতে বেঞ্চ থেকে উঠে একপাশে গিয়ে দাঁড়াল। 

    প্রায় দশ মিনিট পর দেখা গেল দুজন একসঙ্গে কারখানার গেট দিয়ে বেরোল। একজন যুবক আর একজন যুবতী। পাঞ্জাবী বুড়ো পকেট থেকে মোবাইল বার করে ভিডিও চালু করল। বুড়ো বুড়ি টুকটুক করতে করতে রাস্তা পার হয়ে ওষুধ কোম্পানির গেটের দিকে এগোতে লাগল। গেটের পাশে একটা বাইক দাঁড়িয়ে আছে। যুবক যুবতী মাথায় হেলমেট পরে বাইকে ওঠার জন্য তৈরি হচ্ছে। বয়স্ক পাঞ্জাবী দম্পতি বাইকের ধারে গিয়ে পৌঁছল। বৃদ্ধ ভদ্রলোক ভাঙা বাংলায় ওদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘ বেটা .... ধরমতল্লা যাবার বাস কোথা থেকে মিলবে?’
    ছেলেটি একদিকে হাত দেখিয়ে বলল, ‘এই এদিকে সোজা চলে যান ডায়মন্ড হারবার রোড পেয়ে যাবেন। ওখান থেকে ধর্মতলার বাস পেয়ে পাবেন।’
    — ‘ থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ বেটা ....’
    — ‘ ওয়েলকাম ’
    যুবক যুবতী বাইকে উঠে গেল। বাইক বেরিয়ে গেল, কোথায় কে জানে। বুড়োর বুক পকেটে মোবাইল ছবি ধরে রাখল পুরোটা। বাইকের নম্বরের শেষ চারটে সংখ্যা হল ০৪৫২।  
    ওদের ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করল না বয়স্ক দুজন।
    কলতান বলল, ‘ চল এবার ফিরে যাই। যা দেখার দেখে নিয়েছি। সারা মুখ নকল দাড়িতে কুটকুট করছে। এতক্ষণ ধরে পাগড়ি পরে গলদঘর্ম অবস্থা। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসব ধরাচূড়া খুলতে পারলে বাঁচি। ’
    — ‘ যা বলেছ’, বুড়ি মানে কুলচা বলে, ..... ‘তবে, যাই বল আমাদের মেক আপটা কিন্তু জব্বর হয়েছিল। কাছে গিয়ে দাঁড়াবার পরও ওরা কিছু ধরতে পারে নি। ’
    — ‘ হ্যাঁ .... ভিডিও রেকর্ডিং-এর ব্যাপারটাও কিচ্ছু বুঝতে পারে নি।আচ্ছা দাঁড়া .... এক মিনিট। একটা ফোন লাগাই। ফোন নাম্বারটা তো দিয়েছিল সেদিন। ’
    — ‘ কাকে ? ’
    বাইকটা রাস্তার একপাশে থামাল কলতান।
    — ‘ ওই .... বঙ্গবাসী কলেজের বাংলায় অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে। ’
    কলতান কন্ট্যাক্ট লিস্ট বার করে শ্রুতি মৈত্রের নামে আঙুল লাগাল।
    ‘ ..... হ্যাঁ  শ্রুতি .... আমি কলতান গুপ্ত বলছি। আপাতত সব ঠিক আছে তো ? ’
    ওদিক থেকে জবাব এল, ‘ হ্যাঁ ... ঠিক আছে এই মুহুর্তে.... কিন্তু সবসময়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। আমাদের একটু দেখবেন স্যার। আপনার ভরসাতেই বেঁচে আছি বলতে পারেন’, শ্রুতির গলা ভেসে এল। 
    — ‘ না না .... কিচ্ছু চিন্তা করো না। আমি কন্সট্যান্ট ওয়াচ রাখছি তোমার ওপর’, বলে কুলচার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপল কলতান। তারপর বলতে থাকে, ‘ ..... আচ্ছা ....সে যাই হোক তুমি এখন কোথায় ?’
    — ‘ আমি .... আমি কলেজে আছি। দশ মিনিট পরে ক্লাসে ঢুকব। পরপর তিনটে অনার্সের ক্লাস আছে। আজ সোমবার তো .... খুব চাপ ..... ’
    — ‘ সে তো বটেই .... খুব চাপ যাচ্ছে তোমার .... সবই বুঝি। ঘরে বাইরে দুদিকের চাপ কেমন অনায়াসে সামলাচ্ছ তুমি। রিয়েলি .... হ্যাটস অফ টু ইউ। এই অবস্থাতেও তোমাকে রেগুলার  ক্লাস অ্যাটেন্ড করতে হচ্ছে। বায় দা ওয়ে ..... তোমার মা কেমন আছেন এখন? একটু সামলে উঠেছেন কি? ’
    — ‘ ওনার কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। এখন তো উনি ফাঁকা মাঠে খেলছেন.... দেখুন .... সত্রাজিতের কোলে শুয়ে আছেন কিনা। ঘেন্না হয় আমার ..... ’
    —- ‘ ছি ছি কি বলছ এসব? ’
    — ‘ আর কি বলব ..... সবই আমাদের ভাগ্য। বাবা মরে গিয়ে বেঁচেছেন .... আচ্ছা ঠিক আছে, আমি এখন রাখছি .... এক্ষুণি ক্লাসে ঢুকতে হবে। ’
    — ‘ ওকে ... টেক কেয়ার ... বায় ....’
    ফোন নামিয়ে কুলচার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ কিরে কেমন বুঝছিস? স্পীকার তো অন করা ছিল। ’
    — ‘ সত্রাজিৎ ছেলেটা তো গ্রেট রোমিও দেখছি। গাছেরও খাচ্ছে তলারও কুড়োচ্ছে’, কুলচা হাসতে হাসতে বলে।
    কলতান একগাল হেসে বলে, ‘ অ্যাবসোলিউটলি ..... যাই হোক, এবার মনীষা দেবীকে একটা ফোন লাগানো যাক। এই ফোনটা করে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দেব। ’

    — ‘ .... হ্যাঁ , হ্যালো ... মিসেস মৈত্র কেমন আছেন? সব ঠিক আছে তো? পোস্ট মর্টেম রিপোর্টটা পেলে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করব। আপনার ছেলেমেয়ে কেমন আছে? ট্রমা কাটিয়ে উঠেছে একটু? ’
    — ‘ এই শোকতাপের মধ্যে আপনাকে কিছু বলতে পারি নি ওদের সম্বন্ধে। কাল একবার সময় করে আসুন না। সব বলব .... ’
    — ‘ কাল? আচ্ছা ... ঠিক আছে, বিকেলের দিকে যাব‘খন’।
    — ‘ হ্যাঁ আসুন আসুন .... কি আর বলব .... সবসময়ে ভয়ে ভয়ে থাকি.... লোকটা চলে যাবার পর থেকে আমি একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার ছেলেমেয়ে দুটো তো একেবারেই মানুষ হয় নি। আমি ওদের কোনসময়ে বিশ্বাসই করতে পারি না। বড্ড ভয় লাগে।’
    — ‘ ভয়, মানে কিসের ভয়? ’
    — ‘ প্রাণের ভয় .... মৃত্যুভয়। বলব সব। আর হ্যাঁ ..... বিকেলে নয়, দুপুরের দিকে আসুন। ওই সময়ে প্রাইভেসি থাকবে। অন্য কেউ থাকলে তো ফ্রিলি কথাবার্তা বলা যাবে না। ’
    — ‘ আচ্ছা ..... ঠিক আছে ... যাব। এখন রাখছি তালে। নমস্কার। আর হ্যাঁ একটা কথা, রাত্রে আপনি আলাদা ঘরে শোবেন ম্যাডাম দরজা বন্ধ করে।’
    — ‘ আমি তো আলাদা ঘরেই শুই ’
    — ‘ ওকে ওকে ..... ছাড়ছি এখন। সাবধানে থাকবেন। ’
    কলতান কুলচাকে বলল, ‘ নে গাড়িতে ওঠ। তাড়াতাড়ি একবার বটতলা থানায় যেতে হবে আবার কোন অনর্থ ঘটার আগেই। আচ্ছা ..... দাঁড়া একমিনিট ..... আর একটা কল করে নিই।’
    — ‘ আবার কাকে ? ’
    — ‘ ইরাবান মৈত্রকে ’

    — ‘  হ্যাঁ .... হ্যালো .... এমনি খোঁজ নিচ্ছি আর কি। কেমন আছ এখন? কোন অসুবিধে নেই তো? ’
    — ‘ না তেমন কিছু হয়নি আর। বাবার ক্রিয়াকর্মের ব্যাপারটা মিটে গেলে ভাল হত। যাই হোক কিছু করার তো নেই ..... ‘
    — ‘ ওগুলো নিয়ে চিন্তা করো না।সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি এখন কোথায় আছ? ’
    — ‘ দোকানে ’
    — ‘ ও আচ্ছা .... তোমার দোকান কোথায় ? ’
    — ‘ এই এখানে কাছেই। হাতিবাগান বাজারের পাশে।’
    — ‘ আচ্ছা বেশ বেশ। তোমার দোকানের নাম কি ? ’
    —  ‘ সৌভাগ্য ভান্ডার। গ্রোসারি কাম স্টেশনারি। সব রকম জিনিসই রাখি আর কি ....’
    — ‘ তুমি কাল কখন ফ্রি থাকবে? একটু কথা বলতাম।’
    — ‘ আমি তো ..... সকাল এগারোটায় বেরিয়ে যাই। দুপুরে একবার বাড়ি ফিরি খাবার জন্য। তবে এখন কদিন ধরে ফিরছি না। বাইরেই কোথাও খেয়ে নিই। আর রাত্রে বাড়ি ফিরি সাড়ে নটা নাগাদ। ’
    — ‘ ও আচ্ছা .... ঠিক আছে পরে টাইমটা ফিক্স করে জানাচ্ছি। রাখছি এখন। ’
    কলতান ফোন পকেটে রেখে কুলচাকে বলল, ‘ নে গাড়িতে ওঠ। যাওয়া যাক। ’

    বাড়ি পৌঁছে ছদ্মবেশ টেশ ছেড়ে কুলচাকে মায়ের জিম্মায় জমা করে কলতান আবার বেরিয়ে পড়ল বটতলা থানার দিকে ঋজুর সঙ্গে দেখা করতে। বেলা চারটে বেজেছে।
    কলতান বলল, ‘ এবার তো কেসটা গুটিয়ে আনতে হয়। আর বেশি সময় নেওয়া যাবে না।’
    — ‘ হ্যাঁ নিশ্চয়ই .... কোন ব্লু প্রিন্ট আছে নাকি ?’
    — ‘ হ্যাঁ সেটা একটা আছে। তবে কেসটা শুধু লাস্ট অ্যান্ড গ্রীডের অ্যানেকডোট নয়, ইট ইজ প্রিসুমেবলি স্টেমিং ফ্রম পার্সোনালিটি অ্যান্ড সাইকো নিউরোপ্যাথ ডিসঅর্ডার এবং ব্রেজেন ল্যাক অফ রিমোর্স মানে, নির্লজ্জ অনুতাপহীনতা। সেই হিসেবে কেসটা খুব সহজ সরল বাট সাইমালট্যানিয়াসলি ডেঞ্জারাস ফর দা সোসাইটি।’

    ঋজু খুব মন দিয়ে কলতানের কথা শুনছিল। সে এবার বলে উঠল, ‘ও বাবা তুই ত রাম জন্মাবার আগেই রামায়ণ লিখে ফেলেছিস।’

    — ‘ না না লিখতে পারিনি এখনও। খসড়াটা বানিয়েছি শুধু। আমি শুধু ভয় পাচ্ছি আরও কিছু দুর্ঘটনা না ঘটে। কারণ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলেই মেন্টালি ডিরেঞ্জড বা মানসিক বেপথু। এমনকি নীলাম্বরবাবুও তাই ছিলেন। সেটা আমি পরে ভাঙব। এখন না। সে যাক, এখন আমার একটা উপকার করতে হবে তোকে। হাতিবাগান বাজারের পাশে সৌভাগ্য ভান্ডার বলে কোন দোকান আছে কিনা। যদি থাকে তার মালিকের নাম কি? ও হ্যাঁ ... আর একটা ফেভার চাইছি। মোবাইল বার করে কল লিস্ট ঘেঁটে শ্রুতিকে করা কলটা দেখিয়ে বলল, দুপুর একটা সাতচল্লিশ মিনিটে আমার করা এই কলটার রিসিপিয়েন্টের মোবাইল টাওয়ার লোকেশানটা বার করতে হবে। যদি পারিস ত খুব উপকার হয়। ’
    — ‘ হ্যাঁ ... হয়ে যাবে। এ কাজ আমরা হামেশাই করি। এক্ষুণি ফরয়ার্ড করছি আমাদের টেলকম সেলে।’
    — ‘ ধন্যবাদ ধন্যবাদ। ঠিক আছে আমি উঠি এখন। বেশ টায়ার্ড লাগছে।’
    — ‘ ঠিক আছে, ঠিক আছে। কাল একটা কাজ আছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের। ওই ফ্যামিলির সব মেম্বারের ইনক্লুডিং সত্রাজিৎ সেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট কালেক্ট করতে হবে।’
    — ‘ হ্যাঁ .... ওটা এসেনশিয়াল। ওদের সঙ্গে কন্ট্যাক্ট করে নিস। ফাইন্ডিংটা আমারও দরকার হবে। আচ্ছা উঠি এখন।’

    হাতিবাগানের মোড়ে ট্রাম ঘুরছে ডানদিকে অরবিন্দ সরণি দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে।

     ( ক্রমশ : )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:282f:6224:dd36:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩০504289
  • "হাতিবাগানের মোড়ে ট্রাম ঘুরছে ডানদিকে অরবিন্দ সরণি দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে।" — অরবিন্দ সরণীতে ট্রাম? ডানদিকে ঘুরছে? কত নম্বর? পশ্চিম দিকে ঘুরছে? এর তাৎপর্য কী? বড়তলা থানা থেকে হাতিবাগান তো উত্তর দিকে। এখানটায় গোলমাল আছে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:282f:6224:dd36:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩৬504290
  • হরি ঘোষ স্ট্রীট কে কি হাতিবাগান বলা চলে? নাকি গোয়াবাগান? নাকি অন্য কিছু? হাতিবাগান তো আরও উত্তরে!
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:282f:6224:dd36:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩৭504291
  • ওটা দরজিপাড়ার পূর্ব দিক। হাতিবাগান একেবারেই নয়।
  • Anjan Banerjee | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:০৭504295
  • শ্যামবাজারের  দিক থেকে ট্রাম ( ধরুন ২ নম্বর ) হাতিবাগানের মোড়ে এসে ডানদিকে ঘুরছে। 
    হরি ঘোষ স্ট্রীট যদি হাতিবাগান না হয় কোনটা হাতিবাগান ?
  • dc | 2401:4900:230a:d760:40d4:16f9:3d81:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:২৬504297
  • সেটাই তো রহস্য। 
  • Anjan Banerjee | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২৭504300
  • ঠিক ঠিক 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:282f:6224:dd36:***:*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৬504307
  • "শ্যামবাজারের  দিক থেকে ট্রাম ( ধরুন ২ নম্বর ) হাতিবাগানের মোড়ে এসে ডানদিকে ঘুরছে। " এর সঙ্গে গল্পের যোগ কোথায়?
  • Anjan Banerjee | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৩504308
  • সেটা অন্য প্রশ্ন। আপনি হাতিবাগানের অবস্থান নিয়ে বলছিলেন , তাই বললাম ।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:e952:72d7:a2f:***:*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:১৩504311
  • ওটা আমার পাড়া।
  • s | 100.36.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৮504321
  • হাতিবাগান না হয়ে ঘোড়াবাগান আর অরবিন্দ সরণি না হয়ে সুভাষ সরণি হলে ক্ষতি কি? নাকি এই রহস্য বুঝতে গেলে উত্তর কলকাতার রাস্তাঘাট জানতে হবে? একটা রাস্তা থেকে আর একটা রাস্তায় ট্রাম ঘুরছে, ব্যাস।
  • Anjan Banerjee | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২৪504324
  • একমত 
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ মার্চ ২০২২ ০৫:৩১504930
  • ট্রামের ঘোরা নিয়ে বিস্তার ঘোরপ্যাঁচ! রহস্য আর রহস্য...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন