এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লখিমপুর, কাশ্মীর, আসাম, কুমিল্লার ঘটনাগুলি নিয়ে সিপিএম এর অবস্থান, বিবৃতি, প্রচার, কর্মসূচি, সমর্থকদের প্রোপাগান্ডা

    bodhisattvagc dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ অক্টোবর ২০২১ | ৯৩৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সিপিএম রাজ্যে শূন্য হবার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে তার অবস্থান সম্পর্কে মানুষের ঔৎসুক্যের আর কোনো অভাব নেই। বলা বাহুল্য গোটাটাই পার্টি বিরোধী প্রচার ও শ্লেষাত্মক। তাতে অসুবিধা নেই। তবে সিপিএম সমর্থক রা যাতে নিজেদের মেটেরিয়াল ক্যাটালোগিং করতে পারেন তার একটা ব্যবস্থা বাংলার নতুন সামাজিক মাধ্যমে হল। 
     
    তথ্যসূত্র ঃ 
    ১. পলিটব্যুরো র বিবৃতি বা টুইট
    ২. বিভিন্ন রাজ্যকমিটির বক্তব্য বা টুইট
    ৩. জেলা বা এরিয়া কমিটি গুলির দলীয় প্রচার 
    ৪. গণশক্তি অপ এড বা খবর
    ৫. উৎসাহী সমর্থকের নিজ দায়িত্বে র প্রোপাগান্ডা
    ৬. অন্যান্য সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রচার

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 2406:7400:63:dd6e::***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৪২499805
  • দিদি ছুটে এসে বুকে লাথি মারার পর লালু গুলো কেমন মিইয়ে গ্যাছে |
  • dc | 223.228.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫৬499808
  • এটা কি ব্যপার? কিছুই বুঝলাম না। 
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:০৫499810
  • (এটা সিপিএম এর প্রোপাগান্ডা,  বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার প্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান কি? )
     
    *কিছু মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন রওশন মন্ডল। পর্দার পিছনের কথা। কারা সব ঢেকে ফেলতে চাইছে?*
     
    || নীরবতা কেন ??? ||
    রওশন মন্ডল
    অনেকের মনে গভীর প্রশ্ন "বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী নীরব কেন? " স্বঘোযিত হিন্দুরক্ষক বিজেপির নীরবতার কারণ কিছুটা হলেও তৃণমূল প্রাক্তনী ও বর্তমান বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পরিস্কার করে দিয়েছেন। সামনে ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনও আছে ফলে ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশের কুমিল্লায়  হিংসার ঘটনার বিজেপির উদ্বেগের থেকে রাজনৈতিক লাভের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী, তাই তারা যারপরনাই খুশী। তাই উস্কানিমূলক প্রচার চলছে জোরকদমে। 
    কিন্তু এপার বাংলার শাসকের নীরবতা কেন? প্রতিবেশী দেশে এই অস্থিরতা তাদের কি নাড়া দেয় না??  নিশ্চয়ই দেয়!! বিশ্বাসও করি দেয়! তবে এই অদ্ভুত নীরবতার কারণ কি?? প্রশ্নটা আমার মনেও ঘুরছিল। শুধুই কি মুসলিম ভোট। এদেশের মুসলিম জন অংশও তো এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে সোচ্চারে, ওপার বাংলায় যেমন হচ্ছে।। বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে এপার বাংলায় যেমন মসজিদ ও সংখ্যালঘু মুসলিম এলাকাগু‌লোকে আগলে রেখেছিল সংখ্যাগুরু হিন্দুরা ওদেশেও তো দুর্গামন্ডপ সহ মন্দির ও সংখ্যালঘু হিন্দু এলাকাগুলি আগলে রেখেছে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা। দুদেশেই এরা বেশীরভাগই প্রগতিশীল, বামমনস্ক, বামপন্থী। দুদেশেই এদের আপসহীন লড়াই মৌলবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন নীরব মমতা??
    ভাবতে ভাবতে আমি একটু অতীতে ফিরে যাচ্ছি। ইতিহাসের পড়ে ফেলা পাতাগুলো আবার পেছনের দিকে উল্টাতে গিয়ে থামলাম আজ থেকে সাত বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসে। সাল ২০১৪। আর ২০২১ সালে এই নীরবতার যোগসুত্র খুৃঁজে পাওয়ার চেস্টা করলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পঞ্চাশতম বর্ষপুর্তির প্রাক্কালে এই সাম্প্রদায়িক হিংসার পিছনে অন্যান্য সাংগঠনের পাশাপাশি সরাসরি যুক্ত জামায়েত  ইসলাম ও হেফাজতে ইসলাম য নামে মৌলবেদী সংগঠন যুক্ত বলে অভিযোগ। এই জামাতের মধ্যে নীরবতার কারণ লুকিয়ে নেই তো?  ২০১৪ সালে ১২ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা "প্রথম আলো " প্রকাশিত খবরে লেখা হল ভয়ংকর এক তথ্য - "বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে ভারতের সারদা গ্রুপ জামায়াতে ইসলামীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে—এমনটাই দাবি করা হয়েছে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার-এ। আজ শুক্রবার পত্রিকাটিতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এর সঙ্গে পশ্চিম বাংলার তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান জড়িত।"  ওই একই তারিখে "সমকাল " পত্রিকা জানিয়েছে "আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদনও এই বক্তব্যকে অনেকটাই সমর্থন করছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে অবশ্য এই দাবিও করা হয়েছে যে, ইমরানের মাধ্যমে অর্থের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের বেশ কয়েকটি চালানও ভারত থেকে পৌঁছে গিয়েছিল জামায়াতের হাতে।" 
    এতক্ষণে নিশ্চয়ই এ ঘটনা প্রত্যেকের স্মৃতিতে উদ্ভাসিত হয়েছে। সারদার লুঠ হয়ে যাওয়া বিপুল পরিমান টাকা বাংলাদেশে জামাতের হাতে পৌঁছে যেত। জামাত বাংলাদেশে শান্তির পরিপন্থী, জামাত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি যেমন এদেশের আর এস এস, বজরঙ দল। কেন জামাতের ভারতীয় এজেন্টকে তৃণমূল তাদের দলের সাংসদ করেছিল? সারদা সংস্থার টাকা কারা লুঠ করেছিল তা সবার জানা! কেন সেই টাকার অংশ বাংলা দেশে?? প্রশ্ন এখানেই!!! আজকের নীরবতার উত্তরও এখানেই প্রোথিত আছে।  
    বাংলাদেশের আর এক পত্রিকা "দৈনিক ইতেফাক " ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ প্রকাশিত খবরে জানায় "গতকাল শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলা হয়, ২০১২-২০১৩ সালে সংসদ সদস্য ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়েক দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নানা শাখা সংগঠনের হাতে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা শুরু করার পরে দাঙ্গা, নাশকতা ও সন্ত্রাস শুরু করেছিল জামায়াত। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলে ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামে আরো একটি সংগঠন গড়ে ওঠে। তারা ঢাকা অবরোধ করে সরকার ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। গোয়েন্দা সূত্র অনুসারে, সেই কাজে ইন্ধন জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যার একটা বড় অংশ অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার।" নীরবতার কারণ আর বুঝতে কারোরই বাকি থাকার কথা নয়। 
    ২৫শে পেপ্টেম্বর ২০১৪ আনন্দবাজার পত্রিকা লিখল ' তৃণমূল এবং জামাতে ইসলামির যোগাযোগ নিয়ে জল ক্রমশই ঘোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলির পর এ বার নয়াদিল্লি সফরে এসে এই ঘটনার নিন্দা করলেন সে দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। আজ তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েরই স্বার্থের বিরোধী।”
    বাংলাদেশের আর এক পত্রিকা " উত্তর বাংলা" ১৮ই অক্টোবর ২০১৪ বিস্তারিত জানায় - "ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সারদার বেশ কিছু অ্যাম্বুল্যান্সে কাঁচা টাকার বান্ডিল ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া, মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে। তার পরে তা বাংলাদেশি টাকা, ডলার বা ইউরোয় পরিবর্তন করে জামাতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষও ইডি-কে লেখা চিঠিতে সারদার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির কাছে টাকার বান্ডিল চালান যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া, হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমেও গিয়েছে সারদার টাকা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামাত পরিচালিত বেশ কিছু হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে লগ্নিও করেছে সারদা। সেই অর্থও কার্যত জামাতের ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’-এই খরচ হয়েছে। " এখানে উঠে এল কুনাল ঘোষের নাম!! আজ যিনি তৃণমূলের মূল মুখপত্র।  বুঝতে বাকি থাকে না কেন এই অসম্ভব নীরবতা!!
    এদেশের পাশাপাশি সেদিনও প্রতিবাদে সামিল ছিল সেদেশের বামপন্থী কমিউনিস্টরা!! আজও প্রতিবাদে পথে সে দেশের বামপন্থী - কমিউনিস্টরা। 
     অনেকেই ভাবতে পারেন বাংলাদেশের পত্রিকা এদেশকে দোষারোপ করবে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে উপরোক্ত সব খবরের মূল উৎস এবাংলার সর্বাধিক প্রচারিত  আনন্দবাজার পত্রিকা। 
    নীরবতার কারণ না হয় বোঝা গেল। কিন্তু উদ্দেশ্য কি??  কেউ যদি ভেবে থাকেন এটি মমতার মুসলিম প্রীতি তাহলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ঘটনাকে লঘু করে দেওয়া হবে।  ত্রিপুরার নির্বাচন যেমন বিজেপির কাছে পাখীর চোখ, তেমনই তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন না থাকলেও ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিজেপি জুজু, এন আর সি, ইত্যাদিকে সামনে এনে বাংলায় জয়ী হওয়া তৃণমূলের কাছে ত্রিপুরাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাকে উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করাতে হলে ধর্মীয় ইস্যুতে বিজেপির দাপাদাপি তৃণমূলের কাছেও জরুরী, যেমন সাম্প্রদায়িক হিংসা জিইয়ে রাখা জরুরী বিজেপির কাছে।  
    ফলে দিদি মোদী উভয়ই চুপ। নীরব, অসম্ভব নীরব। 
    সুত্রঃ 
    © #রওশন_মন্ডল 
    ১৮/১০/২০২১
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:১৩499811
  • সই প্রদানকারী রা,  কে কি রাজনীতি করেন জানিনা , আমি পেয়েছি সিপিএম সমর্অথকদের কাছ থেকে। ন্যান্য সেক্যুলার বুদ্ধিজীবী দের প্রোপাগান্ডা
     
     সা ম্প্র দা য়ি ক  স হিং স তা
    কবি-সাহিত্যিকদের উদ্বেগ ও প্রস্তাব - 
     
    দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন ও নিন্দনীয়। এই ভয়াবহ অমানবিক ঘটনায় আমরা ভীষণ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে ‘কোরান রাখার’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা ঘটার পর প্রশাসন আরও সতর্ক হলে হাজীগঞ্জসহ অন্যত্র এর পুনরাবৃত্তি ঘটত না।  
     
    ‘কোরান অবমাননার’ ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে আমাদের সন্দেহ। কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাজনৈতিক সুবিদা হাসিলের জন্য এই ঘটনা সাজিয়ে থাকতে পারে। ঘটনা সাজিয়ে তারা সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। জনগন সচেতন হলে ষড়যন্ত্রীরা কোনোভাবেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল করতে পারত না। জনগণকে সচেতন করা, তাদের মননকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার দায় রাষ্ট্রের। কুমিল্লার ঘটনায় আমরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
     
    এবারের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতায় আমরা উদ্বিগ্ন। এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধ করা আবশ্যক। এ ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। সাম্প্রদায়িকতা একটি জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনে ধারাবাহিক জাতীয় সংলাপের আয়োজন করা যেতে পারে। দেশের শিক্ষাবিদ, লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, আলেম, পুরোহিতসহ সব ধর্মের নেতাদের নিয়ে, সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে, আলোচনা করে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মূল চিহ্নিত করা যেতে পারে। আমরা এমন একটি জাতীয় সংলাপ কামনা করি, যার মধ্য দিয়ে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
     
    ইমতিয়ার শামীম
    শাহনাজ মুন্নী
    আহমাদ মোস্তফা কামাল
    কবির হুমায়ূন 
    শামীম রেজা 
    আলফ্রেড খোকন 
    চঞ্চল আশরাফ 
    টোকন ঠাকুর 
    রাজীব নূর 
    শাহেদ কায়েস 
    শোয়াইব জিবরান 
    ওবায়েদ আকাশ 
    জোবায়দা নাসরিন 
    রুমা মোদক
    পাপড়ি রহমান 
    লোপা মমতাজ 
    ভাগ্যধন বড়ুয়া 
    হেনরী স্বপন 
    সাইমন জাকারিয়া 
    আফরোজা সোমা 
    রেজা ঘটক 
    মতিন রায়হান 
    বিধান রিবেরু
    মোজাফফর হোসেন 
    পিয়াস মজিদ 
    মামুন খান 
    মনিরুজ্জামান মিন্টু 
    অঞ্জন আচার্য 
    অরবিন্দ চক্রবর্তী 
    সরকার আমিন
    স্বকৃত নোমান
    সৈয়দ তারিক
    জুয়েল মাজহার
    শাকিলা তুবা
    কাবেরী রায়চৌধুরী 
    উত্তমকুমার মোদক
    তুষার পণ্ডিত
    আফিফ ফুয়াদ
    অরূপ চৌধুরী
    বিকাশ রায়
    দিলীপ সাহা 
     
    [ এই বিবৃতিতে আপনার নামটি যুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন। ]
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:১৫499812
  • আরেকটি স ই স্ংগ্রহঃ  আমার কাছে এসেছে সিপিএম সমর্অথকদের সূত্রে: 
    নাম লিখলাম না আর নিচে। কিন্তু সবাই সহমত হলে নিজের নাম লিখে কপি পেস্ট করতে পারেন।
     
    সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের জন্য। 
    এই আবেদনটি দয়া করে পড়ুন। সহমত হলে নিজের নামটি শেষে জুড়ে আপনার ফেসবুকের দেওয়ালে দিন। 
    ======================================
     
    বাংলাদেশের জনসাধারণ ও সরকারের কাছে একটি কাতর আবেদন--
                         আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগ নিয়ে লক্ষ্য করলাম যে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় তাঁদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা এবার নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারলেন না, বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলা ও নানা অবাঞ্ছিত ঘটনার মধ্যে দিয়ে সে উৎসবে নানা উপদ্রব ঘটেছে।  বাংলাদেশের সরকার ও পুলিশের তৎপরতায় বড় রকমের বিপর্যয় হয়তো এড়ানো গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদার অসাম্প্রদায়িকতা আর মুক্তিযুদ্ধের আলোকিত চেতনা—যে চেতনাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে বিশ্বাস করি—সেই চেতনার বিরোধী এই সব অশুভ উদ্যোগ এই উপমহাদেশের সচেতন ও অখণ্ড মানবতায় বিশ্বাসী মানুষদের বিশেষভাবে বিচলিত করেছে।  
    নীতিগত ভাবে সংখ্যালঘুর ধর্ম, সম্পত্তি, অধিকার, জীবন ইত্যাদি রক্ষার দায় সংখ্যাগুরুর হাতে—এ হল এক মানবিক দায়, এবং এই আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীদেরও এই বিশ্বাস।  শুধু সরকারের নয়, আপামর মানুষেরও দায়।  দুঃখের বিষয় সীমান্তের এই পারে ভারতেও এই দায় রক্ষার বিষয়ে নানা শৈথিল্যের ঘটনা ঘটছে, তার কারণ ভারতের রাষ্ট্রশক্তির দর্শন ও আচরণ তার প্রতিরোধে যথেষ্ট সচেষ্ট নয় বলে আমাদের ধারণা।  ওদিকে বাংলাদেশে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, তাদের রাজনৈতিক শাসন বাংলাদেশের জাগ্রত জনমতের বিদ্রোহের ফলে অপসারিত হয়েছে, কিন্তু তাদের সমর্থকদের বিপজ্জনক গোষ্ঠীগুলি নিশ্চিহ্ন হয়নি।  আমরা জানি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সে সম্বন্ধে সচেতন।  সেই গোষ্ঠীগুলিই, যাদের সঙ্গে ধর্মীয় মৌলবাদীদের গভীর সখ্য, কুমিল্লা ও অন্যন্য স্থানে এই উৎপাতগুলির মূলে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।  তারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারেরও কখনও প্রকাশ্যে বিরোধী, এবং কখনও বা বন্ধুর ছদ্মবেশে নানা স্থানে সামাজিক অন্তর্ঘাতে লিপ্ত।  ভারতেও ধর্মীয় মৌলবাদের নানামুখী হিংস্রতার অস্তিত্ব সম্বন্ধে আমরা সচেতন, এবং বাংলাদেশের মতো এখানেও সংখ্যাগুরু বুদ্ধিজীবী সহ অন্যান্যদের জাগ্রত জনমত ওই সব অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে আদর্শগত সংগ্রাম করে চলেছে।
    তাই বাংলাদেশের সংবেদনশীল মানুষ ও তার সচেতন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, এই সব দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জাতির জনকের উদার বিশ্বাস আর বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধী, বিদ্বেষমূলক ও প্ররোচনামূলক এই শক্তিগুলিকে সত্বর চিহ্নিত করুন এবং তাদের নিষ্ক্রিয় করুন।  যারা এবার দুর্গাপূজার উপদ্রব করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে এই অপশক্তিরা বোঝে যে অন্যের ধর্মের ক্ষতি করে নিজের ধর্মের মহিমা প্রতিষ্ঠা করা যায় না, রাষ্ট্রও সে অপরাধ ক্ষমা করে না।  বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের নিবেদন-- আমরা নিজেদের দুই দেশের মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু মনে করি, তাদের এই ব্যাকুল আবেদন ---
                          পবিত্র সরকার
                          মহঃ সেলিম
                          দীপঙ্কর ভট্টাচার্য      
                          মনোজ ভট্টাচার্য
                          বিজয়া গোস্বামী
                          মোহন সিং খাঙ্গুরা
                          নবকুমার বসু   
                          সৌমিত্র মিত্র
                          অভিজিৎ মজুমদার
                          কালীকৃষ্ণ গুহ
                          দেবশঙ্কর হালদার
                          বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
                          মালবিকা মিত্র
                          মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়
                          অপু দে
                          মারুফ হোসেন
                          কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়
                           কৌশিক সেন
                          পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
                          চন্দন সেন( অভিনেতা)
                          অংশুমান কর
                     বিশ্বজিৎ রায়( শান্তিনিকেতন)
                          বরেন্দু মন্ডল
                           অহনা বিশ্বাস
                          তন্ময় ঘোষ
                          সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
                          ইসমাইল দরবেশ
                          প্রবুদ্ধসুন্দর কর( ত্রিপুরা)
                          মৃদুল হক
                          ঋদ্ধি সেন
                          একরাম আলি
                          ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়
                          মমতাজ সংঘমিতা
                          শান্তিলাল মুখার্জী
                          সেলিম মল্লিক
                          শেখ সাইদুল হক
                         রত্না মিত্র
                         রত্না রশীদ বন্দ্যোপাধ্যায়
                         অশোক দেব( ত্রিপুরা) 
                         সাবির আহমদ
                         অন্তরা দেবসেন
                         মাকসুদা খাতুন
                         শোভনসুন্দর বসু
                          কল্লোল বসু
                          অর্ক দেব
                          কুন্তল মুখোপাধ্যায়
                          কাজী কামাল নাসের
                          গৌতম রায়
                          অভিজিৎ কর গুপ্ত
                           পার্থ প্রতিম রায়
                           শুভ্রদীপ ঘোষ (অসম)
                            মহাশ্বেতা সমাজদার
     
                          ১৭ ই অক্টোবর।২০২১
                           কলকাতা
  • | 2406:7400:63:dd6e::***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৩৮499813
  • উগ্রপন্থি ধর্মগুরু আব্বাস সিদ্দিকীর হিংস্র এবং উস্কানিমূলক কথাবার্তার কোনো প্রতিবাদ হবে না ?  লালু বাবু কিছু বলুন |
  • @১৪.৩৮ | 2405:8100:8000:5ca1::2cb:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৫:১৪499815
  • দিলুগরুর খুনের হুমকির পোতিবাদ করেছিলে  গেরুবাবু? নাকি ফরেন চোদীর মত মুখ বুজে ঘরে খিল দিয়ে ছিলে?
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৪১499817
  • আওয়াজ , লিবারেশন ইত্যাদি সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচী র খবর গণশক্তি তে , সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিলের ছবি।
  • | 2406:7400:63:dd6e::***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:২৭499820
  • হেরে হেরে একেবারে পাগল হয়ে গেল গো | 
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩১499821
  • বাম সমর্থকদের প্রচার :  
    সু‌শোভন পাত্র লিখলেন 
     
    সিপিএম কি বলছে?
    বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় সিপিএম কি বলেছে? আফগানিস্তানে তালিবানদের অভ্যুত্থান নিয়ে সিপিএম কি বলেছে? কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি নিয়ে সিপিএম কি বলেছে? রোহিঙ্গাদের নিয়ে সিপিএম কি বলেছে? আসামের বাঙালিদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় সিপিএম কি বলেছে?  
    সিপিএম কে বলতেই হবে! দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার জন্য এই যে আপনারা শুভাকাঙ্ক্ষীরা সিপিএম-র কাছে প্রত্যাশা করেন, কেউ আবার হিন্দু কিম্বা মুসলিম ধর্মান্ধতার ককটেলে হালকা চুমুক দিয়ে সুযোগ বুঝে সিপিএম একটু বিদ্রূপ করার চেষ্টা করেন, কিষানজীর সেমি-হাফ-ফুল ভক্তরা আদাজল খেয়ে সিপিএম-র খুঁত খুঁজতে মার্কেটে নেমে পড়েন, মিডিয়ার লোকজন সিপিএম নেতাদের কাছে বুম লাগিয়ে হুনুলুলুর বন্যা কিম্বা হ্যানয়ের ভূমিকম্প নিয়ে  বাইট চেয়ে বসেন   –এটাই সিপিএম-র গর্ব। সত্যিই তো, সিপিএমের দায় আছে! দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির দায় আছে। দায়িত্ব আছে। 
     
    আপনি শুনেছেন বাংলাদেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অবধি সাত চড়ে কোনও রা কেটেছেন? আপনি শুনেছেন আফগানিস্তানে তালিবানদের অভ্যুত্থান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের আদর্শগত অবস্থান জনসমক্ষে বলেছেন? হিম্মত আছে তো বলুন দেখি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে, কিভাবে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির সমর্থন বা বিরোধিতা করেছেন? কোভিড প্রটোকল কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, দেশের ধর্ম-নিরপেক্ষতা কে তুড়ি মেরে রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে যেদিন প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হলেন -মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তার সমর্থন বা বিরোধিতা করেছিলেন? ইতিহাসের পাতা উল্টে একবার দেখবেন; বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগের দিন, জ্যোতি বসু যখন অযোধ্যায় কর সেবকরা জড় হচ্ছে বলে ফোন করে নরসিমা রাও কে সাবধান করছেন, সেদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলার জনসভাতে চোঙা ফুঁকে ঘোষণা করছিলেন, “আমি জানি অযোধ্যায় কিছুই হবেনা। সব সিপিএম-র চক্রান্ত।”
     
    শুনুন, ২০০৮-এ, পার্লামেন্টে ৬২টা সাংসদ ছিল বামপন্থীদের। প্যাণ্ডেমিকের সময় মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে কিম্বা রিসাইকেল করা যায় না এমন প্লাস্টিক না ব্যবহার নিয়ে যে দেশে সচেতনতা তৈরি করতে সমাজবিজ্ঞানের কর্মীদের কালঘুম ছুটে যায়, সেদেশে নিউক্লিয়ার ডিলের মত একটা বিষয়ে যে লোকসভা নির্বাচনে জনমত তৈরি করা যাবে না, এটা বুঝতে কি কমিউনিস্ট পার্টি কে কি আইনস্টাইন হতে হত? পার্লামেন্টে তো প্রতিদিন এমন কত বিল আসে-যায়। ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রেখে স্রেফ বাউন্সারের সময় ডাক করে গেলেই হত। তারপর ‘রাত গ্যায়ি বাত গ্যায়ি’! 
     
    তবুও সেদিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের সঙ্গে আপোষ করেনি কমিউনিস্ট পার্টি। পার্টি তে আলোচনা হয়েছে, ভিন্নমত এসেছে, পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে। কিন্তু আদর্শের সাথে আপোষ করেনি কমিউনিস্ট পার্টি। লোকে তাই জানতে চায় সিপিএম কি বলেছে? সিপিএম ছাড়া কদের কাছে জানতে চাইবে? যারা বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর PR এক্সারসাইজের জন্য, আজ আসাম, কাল গোয়া, পরশু ত্রিপুরাতে তে গরু-ছাগলের মত MP, MLA  কিনে বেড়াচ্ছে তাদের কাছে? না যারা গৌরি লঙ্কেশ মারা গেলে উল্লাস করে, গান্ধীর জন্মদিনে গডসে-র পূজা করে, তাদের কাছে? আর কিই বা জানতে চাইবে? জর্জ ফ্লয়েডের সহ আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের উপর শ্বেতাঙ্গদের আক্রমণ? না LGBTQ+ আন্দোলন নিয়ে তাদের অবস্থান? সত্যিই তো, সিপিএমের দায় আছে। দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির দায় আছে, দায়িত্ব আছে।     
     
    যে কোন দেশে বসে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করা কোন ম্যাচো-মস্তানের মত বীরত্ব না কিম্বা পাউট করে ছবি তোলার মত কুল স্টাফ না। বরং সে দেশে বসে সংখ্যাগুরু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করাটাই রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্তব্য। বিশেষ করে সেদেশের সরকার যদি মেজরেটেরিয়ান ধর্ম গুলে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান  -গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন কমিউনিস্ট পার্টিরা নিজের দেশে ঠিক সেই কাজটাই করছে, এবং করবে।  
     
    ধর্মপালন সম্পর্কে বামপন্থীদের অবস্থান পরিষ্কার। প্রথমত, ধর্ম পালনের অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু ধর্ম পালন ব্যক্তিগত বিষয়। রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে ধর্মের কোন যোগাযোগ থাকা উচিৎ না। দ্বিতীয়ত, আপনার যেমন ধর্ম পালনের সম্পূর্ণ অধিকার আছে। আমার না পালনের অধিকারও আছে। নিজের মত অন্যের চাপিয়ে দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। তৃতীয়ত, ধর্ম পালন মনোলিথিক কোনও বিষয় না। বরং আর্থ-সামাজিক বিন্যাসের দ্বান্দ্বিকতার ভিত্তিতেই ধর্ম পালনের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা এবং সমাধানের চেষ্টা করা উচিৎ।
    মার্ক্সের কথায়, “Religious suffering is, at one and the same time, the expression of real suffering and a protest against real suffering. Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions. It is the opium of the people.”
     
    বাংলাদেশের দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় সিপিএম কি বলেছে – বিবৃতি তে লেখা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্ম পালনের অধিকার রক্ষার স্বার্থেই রাস্তায় আছেন। থাকবেনও। কিন্তু  বাংলাদেশের ঘটনার ঢাল করে, যে প্রশ্ন গুলো কে এদেশে আড়াল করার চেষ্টা চলছে এবং চলবে সেই প্রশ্ন গুলো আবারও একবার সোচ্চারে মনে করিয়ে দেওয়াও সিপিএমর দায়িত্ব। 
     
    জানতে চাই, ৫ বছর পর আজও কেন জানা যায়নি নাজীব কোথায়? রোহিত ভেমুলা কে কেন মরতে হয়েছিল? জানতে চাই, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কি উপকার হয়েছে? কার উপকার হয়েছে? জানতে চাই, গৌরি লঙ্কেশ, নরেন্দ্র দাভোলকার, কালবুর্গি কে বা কারা মেরেছিল মেরেছিল? প্রজ্ঞা সাধ্বী, সাক্ষী মহারাজরা কার মদতে পার্লামেন্টে আলো করে বসেছিল? জাস্টিস লোয়ার কি হয়েছিল? ইশরত জাহান কে কারা খুন করেছিল? আখলাখের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? মুসলিম মহিলাদের কবর থেকে তুলে এলে ধর্ষণ করার নিদান কে দিয়েছিল?
     
    জানতে চাই, কারণ সিপিএমের দায় আছে। দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির দায় আছে একটা দায়িত্ব আছে।
    (সংগৃহীত)
     
  • dc | 122.164.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:২৭499826
  • যাক, মার্ক্স যে কিছু একটা বলেছে জানতে পেরে অনেক হাল্কা লাগছে। সাথে লেনিন আর রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য পেলে অবশ্য আরও ভালো লাগতো। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:492c:832e:7cd4:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩০499829
  • কিছুটা পড়লাম। ভাল লাগল, বোধি-র এই উদ্যোগ। মূল ধারার মিডিয়ায়  এই খবর গুলো তেমন আসে না। 
    বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেন , এই নিয়ে অর্ণবের রিপাবলিক বাংলা অনেক চেঁচামেচি করেছে। 
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:২৩499834
  • সিপিএম বিরোধী এক দাদার কাছ থেকে সিপিএম সমর্থক একটি ছেলের সংগ্রহ পাওয়া গেল, এগুলি ব্যক্তিগত কালেকশন, এরম সঙ্গে পার্টি বা ব্যক্তিগত প্রোপাগানন্ডার অর্গানিক যোগাযোগ নেই।
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:909c:589d:b454:***:*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:৩৯499835
  • একজনের বক্তব্যে দেখলাম - 'যে কোন দেশে বসে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করা কোন ম্যাচো-মস্তানের মত বীরত্ব না কিম্বা পাউট করে ছবি তোলার মত কুল স্টাফ না। বরং সে দেশে বসে সংখ্যাগুরু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করাটাই রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্তব্য। বিশেষ করে সেদেশের সরকার যদি মেজরেটেরিয়ান ধর্ম গুলে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান  -গোটা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন কমিউনিস্ট পার্টিরা নিজের দেশে ঠিক সেই কাজটাই করছে, এবং করবে'
    - একমত নই। ​​​​​​​কোন দেশের সংখ্যাগুরু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করা খুবই ​​​​​​​জরুরী, কিন্তু ​​​​​​​তার ​​​​​​​সাথে ​​​​​​​সেই ​​​​​​​দেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করাও দরকার । 
    যে কোন রকম মৌলবাদের প্রতিবাদ আবশ্যক 
  • dc | 223.228.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ২২:১৫499838
  • সিপিএম এতো কিছু বললো, কিন্তু হায় সিআইএ নিয়ে কিছু বললো না। সময়ের সাথে সাথে সেই গভীর প্রেমে কি চিড় ধরলো? 
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৩৬499842
  • কৃষক আন্দোলন আর‌ শুধু দরাদরির লড়াই না (paraphrased)
    সিপিআইএম ডিজিটালে প্রকাশিত অনূদিত প্রবন্ধ, মূলটি সম্ভবতঃ নিউজক্লিক থেকে নেওয়া।
     
  • | 2406:7400:63:dd6e::***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২১ ০৩:০৬499855
  • লালু লালু লালু ,  ও লালু 
  • bodhisattvagc dasgupta | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১০:২৯499861
  • এখনো পর্যন্ত আমার পড়া মোটামুটি সবচেয়ে কম্প্রিহেনসিভ রিপোর্টিং : আজকের গণশক্তি তে রাশেদ মেনন।
     
     
  • bodhisattvagc dasgupta | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১০:৫০499865
  • লিংক কয়েকবার দেওয়া সত্ত্বেও এলো না, তাই ছবি দিলাম। এল সি এম দেখবে? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন