ফুল ঝরে কিন্তু শহীদ হয়ে ওঠে না,
শহীদ বেদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে -
অর্থহীন ভাবে; ওভাবে না থাকলেও চলে;
ফুল না থাকলে যাদের মোটেই যায় আসে না -
তারা কি বীজমন্ত্রটা গাইবে, আজকে নয়ত কালকে?
কাউকে তো শুনিনা কথাটা বেশ জোরের সাথে বলতে !
ফুলের তো আর রাগ নেই
যে পাপড়িতে তার শান দেবে!
মিলনেও সেই পতঙ্গই সখা হবে।
জ্বরে পুড়ছে সারা শরীর, মুখেতে রা-নেই!
লাবন্যের অস্তাচল গ্ৰন্থিতে গ্ৰন্থিতে নথিবদ্ধ রবে
ফুল ঝরে যাবে আর শুকনো পাতারা উসখুস করবে।
রোজ শিরদাঁড়া বেয়ে ওঠানামা করি
থার্মোমিটারের পারদের মতো করে
তফাৎ কেবল তাপে আর মনস্তাপে;
নিজের অজান্তেই ছিটকে গিয়ে পড়ি
ভেড়া যেমন অগ্ৰজকে দেখে পড়ে-
অভ্যাসে; অতঃপর তো সব মৃতস্তূপে!
শব্দের নাকি জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু নেই!
ফুলেরা মরে কি নিঃশব্দে থাকে বলে?
শিরদাঁড়াও তো নিঃশব্দেই বেঁকে যায়!
নিজেই নিজেকে খাই আর হারাই খেই
বিপাক না হলে, কিভাবে উঠবো জ্বলে?
পাপড়িতে না, শব্দ শুনি শুকনো পাতায়!
তবে ঐ কথাই থাক; নৈঃশব্দ নিঃশব্দে মিলাক
ধ্বনির সাথে সন্ধিকরে শিরদাঁড়া হোক সুরুচির
সংক্রামিত হয়ে মিশে যাক আমার ইউনির্ফমে!
কোলাহল আর কলরবের মাঝে যতই ফারাক থাক
বেদী ছাড়িয়ে, ফুল সরিয়ে তানসেন ভেসে আসুক পর্নমোচীর
শুকনো পাতায়; যেখানে ফুলকি ঘুমিয়ে বহু-কা-ল অনাহুত, অপ্রেমে!!
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।