
রাজার সঙ্গে আমার পরিচয়, ২০০৬ সালে। সে পরিচয়ে রাজনীতি একেবারেই ছিল না, ছিল পেশা সংযোগ। ২০১২ অবধিই বোধহয় আমরা একসঙ্গে একই অফিসে চাকরি করি। রাজার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছিল বেলেঘাটার সুকান্ত মঞ্চে। সে ছিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। মাঝেও দুয়েকবার দেখা হয়েছে, পথ চলতি মিছিলে। শেষ দেখা হবার পর, আমরা দুজন এক সিগারেটে টান দিয়েছিলাম। রাজা বলছিল, বইমেলার পুলিশ পেটাইয়ের কথা। পুলিশ পেটাইয়ের গল্প অনেক শুনেছি, নিজের অভিজ্ঞতাও একেবারে নেই, তা নয়। রাজার কাছ থেকে শোনা গল্পটা অন্যরকম লেগেছিল, তার কারণ, বইমেলায় রাজাকে যখন পুলিশ টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি অন্যদিকে, ছবি তুলছিলাম। সে ঘটনার নৃশংসতা আমার প্রত্যক্ষ। আর রাজা যেন বলছিল, অন্য কারও কথা, কিঞ্চিৎ হাসি মেখে নিয়ে। মারের কথা হাসিমুখে বলতে যে দম লাগে, তা আমার নেই। তাই, রাজা বিশ্বাসকে, আমি, আমৃত্যু হিংসে করব। ওই স্পর্ধার জন্য, যা ক্ষণিকের নয়। আমার আমৃত্যু।
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১৯100809মাঠে ছিল সেদিন, না? কোথা থেকে যে কী হয়ে যায়।
বইমেলায় পুলিশি একশান? জেনে প্রথমে ধাক্কা লেগেছিল। পরে বুঝেছি, এদের মুখে শান্তিনিকেতন, অন্তরে পেন্টাগন!