এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সাঁইত্রিশ

    SUBHADEEP CHAKRABARTI লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ নভেম্বর ২০২০ | ১২৩৫ বার পঠিত
  • ঠিক সকাল ছ'টায় ঘুম ভাঙল দেশপ্রিয় ক গ সাঁইত্রিশ এর। সুন্দর সকাল, লাউডস্পীকারে শোনা যাচ্ছে রক্ষকদের সুন্দর কন্ঠস্বর, কাজে যাবার ডাক। ব্রেকফাস্টের জন্য খাবারের বাক্সটা খুলে দুধে মিলেট ঢালতে লাগল সাঁইত্রিশ। গত মাস থেকেই লাঞ্চ ও ডিনারের দৈনিক হারে দায়িত্ব নিয়েছে দেশ, আগে সাপ্তাহিক রেশন ছিল, নিজে রাঁধো, নিজে খাও, এখন সহজ হিসেব, কাজ করো, খাবার খাও, সুন্দর ব্যাপার। আর চল্লিশ মিনিট পরেই ওর ডাক পড়বে, তৈরী হয়ে গলায় আই কার্ডটা ঝোলাতে ঝোলাতে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো সাঁইত্রিশের। তার দেশ মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী, তাইতো দেশপিতা তাদের নম্বরের আগে একটা করে শব্দ ব্যবহার করতে বলেন, যত্ন করে সেই শব্দ বেছে দেন স্থানীয় রক্ষকেরা!

    কার্যক্ষেত্রে গেল সাঁইত্রিশ। গিয়ে যথারীতি চ ক ছত্রিশের সাথে দেখা, দুজন পাশাপাশি ঘরে কাজ করে। চকছাতু লাঞ্চে একসাথে বসতে বলে গেল। “চকছাতু, দুপুরে দেখা হচ্ছে তাহলে” বলেই জিভ কাটল সাঁইত্রিশ, এভাবে চ ক ছত্রিশকে চকছাতু বলা বেআইনি, কিন্তু রক্ষকরা এই ছোট্ট ভুলগুলো মাপ করে দেয়, ওরা খুব সহৃদয়।

    দুপুরে এক ঘন্টার ব্রেকে আজ শুরু হয়েছে দেশব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা, চলাশি শুরু করেছে বক্তিমে – “আরে আগে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারত, তাতে তো নানান বিশৃঙ্খলা, তাই আদি দেশপিতা ব্যবস্থা করলেন শুধু প্রফেশনালরা ভোট যুদ্ধে দাঁড়াবে। প্রথম প্রফেশনালকে বেছেছিলেন দেশপিতা, তার পর থেকে তো প্রফেশনালরাই বেছে দেন কারা ভোটে দাঁড়াবেন।”

    টকপাঁচু বলল “আচ্ছা ধর এদের বাইরেও আরো প্রফেশনাল আছে, তারা.......”

    “আরে জেনেটিকালি না হলে প্রফেশনাল হবে কিকরে, প্রাচীন ট্র্যাডিশন অনুযায়ী ভগবান প্রফেশনালদের তৈরী করেন, আর আদি দেশপিতা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন!”

    লগবারো বলল “কাল তো সমাচারে দেখলাম দেশপিতা প্রধান প্রফেশনাল কে সাক্ষাৎ ভগবান বললেন”

    টকপাঁচু জিজ্ঞাসা করল “আচ্ছা দেশপিতা কিকরে বুঝলেন......”

    ঘন্টা পড়ে গেল, সবাই সবাইকে “আসছি” বলে কাজে ফিরে গেল।

    পরের দিন কাজ থেকে ফেরার সময় প্রোজেক্ট সবুজায়নের পাশ দিয়ে ফিরতে ফিরতে দেখে দেশকর্মীদের বেশ কয়েকটা গাড়ি বনের পাশে দাঁড়িয়ে, কথাবার্তায় মনে হল বনের ভেতরে অনেক পুরনো কিছু বাড়ি পাওয়া গেছে, দেশরক্ষা দপ্তরের কার্য্যালয়ের জন্য অনেকটা বন কাটা হবে, সেই করতে গিয়ে এসব কান্ড, বাড়িগুলোর রিসাইক্লিং হবে। বন জঙ্গল কাটাই ভালো, অক্সিজেন দেয় বটে, কিন্তু উপ প্রধান প্রফেশনালের কোম্পানির অক্সিজেনটা অনেক বেশি শুদ্ধ, অনেক বেশি তাজা মনে হয়। তার ওপর ন'টা সিলিন্ডার কিনলে একটা ফ্রী! আর ওই অক্সিজেনটার একটা আলাদা ব্যাপার আছে, ওই ভালভ টা খোলা...... উফফ্ বুকটা ভরে ওঠে।

    গাড়ি আর ট্রাকগুলো বেরিয়ে গেল। হঠাৎ খেয়াল হল সাঁইত্রিশের, একটা ট্রাক থেকে কি যেন একটা জিনিষ পড়ে গেছে; কাছে গিয়ে দেখে হার্ড ড্রাইভ। আশেপাশে কাউকে দেখতে পেল না সে, কি মনে হতে হার্ড ড্রাইভটা কুড়িয়ে নিল; বুকে শুরু হল ধুকপুকানি।

    ঘরে ফিরে কম্পিউটারটা চালু করল সাঁইত্রিশ, এটা বহু পুরনো মডেল। সবাই এগুলো পায় না, সে যখন সুপ্রজা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল, তখন তাকে এটা দেওয়া হয়েছিল, পুরনো বলে একটু মনঃক্ষুন্ন হ‌য়েছিল সে। কিন্তু একজন রক্ষক কানে কানে বলেছিলেন “আরে এটা পাচ্ছ নিয়ে যাও, সার্ভিলেন্স বিশেষ করা যায় না এটায়”। সাঁইত্রিশ শুনেছে প্রোজেক্ট নিউ নর্মালের আগে নানা রকম যন্ত্র ছিল, কিন্তু তারপর প্রযুক্তি বিশেষ এগোয়নি, তাই পুরনো যন্ত্র পেলে রেখে দেওয়া হয়, বিশ্বস্ত মানুষেরা ব্যবহার করে। প্রযুক্তির কি যে দরকার কে জানে, দিব্যি কাজ করো আর খাও, তা নয়, গাদা যন্ত্র।

    যাইহোক, হার্ড ড্রাইভটা চালিয়ে ফোল্ডারগুলো দেখতে লাগল সে, কত সব নাম, অর্দ্ধেক তার নামই শোনেনি; Work, tools, tour, games, songs, videos, files আরও কত কি! কত পাহাড়ের ছবি, কত নদীর ছবি, আরেহ, এটা কি! কমবয়সী ছেলেমেয়েরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে! আরে প্রাপ্তবয়স্করাও তো তাই.... একটু গুলিয়ে গেল সাঁইত্রিশের। ভিডিও প্লেয়ারে ভিডিও বা গানগুলো চলছে না, ন্যাশনাল লাইসেন্স নেই, কিন্তু tools এ একটা ভিডিও প্লেয়ার পাওয়া গেল, বহু পুরনো ভার্শন, আরে এটা তো বিদেশী! ইন্সটল করা কি ঠিক হবে?

    সাঁইত্রিশ বুঝতে পারল না, ততক্ষণে ওর মাথায় আবিষ্কারের পোকা নড়ে চড়ে উঠেছে। এক এক করে ভিডিও দেখা শুরু হল, কত লোকজন মিলে গান করছে, সমুদ্রের ধারে বসে রান্না করছে, খাচ্ছে, এটা কি! দল বেঁধে একদল ছেলে আর মেয়ে চেঁচাতে চেঁচাতে যাচ্ছে “ক্ষুধার্তের খাবার কেড়ে নিচ্ছ, এ ভারি অন্যায়”!

    ছেলে মেয়ে একসাথে থাকা তো পাপ, তাই তো দেশ তাদের আলাদা করার ব্যবস্থা নিয়েছে, আলাদা কাজ, আলাদা খাওয়া, আলাদা থাকা, বিশৃঙ্খলার কোন জায়গাই নেই, কিন্তু এদের দেখে তেমন খারাপ কিছু মনে হচ্ছে না তো!

    সারি সারি মানুষের ঘর কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের খাবার উল্টে দেওয়া হচ্ছে, আর তারা রাস্তায় বসে মাথায় হাত চাপড়ে চাপড়ে কি যেন করছে... আরেহ, এটা.. এটা তো আদি দেশপিতা! কিন্তু উনি স্টেজে উঠে কি করছেন? উনি তো পর্বতের গুহায় তপস্যা করতেন, দিব্যদৃষ্টি দিয়ে দেশের অবস্থা দেখতেন আর প্রফেশনালদের উপদেশ দিতেন! কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে উনি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কি সব বলছেন আর শুনে সবাই বীভৎস চীৎকার করে উঠছে, এই রিপোর্টটা বলছে উনি তিন জায়গায় তিন রকম কথা বলে কন্ট্রোভার্সি তৈরী করছেন..... অনেক শব্দ সাঁইত্রিশ বুঝতে পারছে না, অন্যায়, কন্ট্রোভার্সি এই শব্দগুলো তো আগে সে শোনেনি।

    এরপর একটা ভিডিও দেখে প্রায় ছিটকে উঠল সাঁইত্রিশ, একটা পুরুষ আর একটা নারী নগ্ন হয়ে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে, তারপর তারা জননক্রিয়া শুরু করল। অনেক খারাপ দেখে ফেলেছে সাঁইত্রিশ, কিন্তু সে থামতে পারল না, ওরা জননক্রিয়া শেষ করে আবার চুমু খাওয়া শুরু করল। অস্থির হয়ে উঠল সাঁইত্রিশ, চুমু খাচ্ছে কেন? এটা তো খারাপ!

    আঠেরো বছর বয়সে তাদের জননকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য। সেখানে ভালো বিশ্বস্ত পুরুষদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়, তারা প্রফেশনাল জন্মদাত্রীদের সাথে জননক্রিয়া করে, এক এক জন জন্মদাত্রী সাকুল্যে আটজন সন্তানের জন্ম দেয়, জন্মানোর পর বাচ্চাদের পাঠানো হয় শিশুপালকদের কাছে, ছেলেরা যায় পুরুষ আর মেয়েরা যায় নারী শিশুপালকদের কাছে, কুড়ি বছর বয়স হলে তারা নিজেদের আই কার্ড পায়, কাজ শুরু করে। কিন্তু এই ভিডিওটা দেখতে একদম খারাপ লাগছে না কেন? বেশ কয়েকবার সে দেখে ফেলল ভিডিওটা, মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়েছে, এত অদ্ভূত জিনিষ আর নিতে পারা যাচ্ছে না।

    এক সপ্তাহ হল, ভিডিওগুলো দেখা নেশা হয়ে গেছে সাঁইত্রিশের। আজ কাজে গিয়ে লাঞ্চে বসে দেখে একজন কর্মীকে খাবার টেবিল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে বারবার বলছে “আমার শরীর খারাপ, আমি কাজ করতে পারছি না, আমার খিদে পাচ্ছে”। হলে গুঞ্জন উঠল - মনে ময়লা না থাকলে শরীর খারাপ হয় নাকি? ... বেশ হয়েছে... ইত্যাদি।

    ফস করে বলে উঠল দেশপ্রিয় ক গ সাঁইত্রিশ “ক্ষুধার্তের খাবার কেড়ে নিচ্ছ, এ তো ভারি অন্যায়!” হলে নৈঃশব্দ্য। রক্ষকরা তার দিকে তাকিয়ে। এবার হলে গুঞ্জন শোনা গেল, “অন্যায়? সেটা কি! কাকে বলে?” একজন রক্ষক বলল “তোমার কি হয়েছে ক গ সাঁইত্রিশ? অসংলগ্ন কথা বলছ? তোমার মনে বোধহয় ময়লা ঢুকেছে!” তার হাতদুটো ধরা হল, মুখে একটা টেপ আটকানো হল, চকছাতু বলল “কগসাতু তোমার মনে ময়লা! কি খারাপ কি খারাপ তুমি”

    সাঁইত্রিশকে নিয়ে যাওয়া হল মস্তিষ্ক প্রক্ষালন কেন্দ্রে, হাত মুখ বন্ধ করে একটা লাইনে দাঁড় করানো হল ওর মত আরো অনেককে।

    এখানে রক্ষকরা কি কর্কশ গলায় কথা বলছে, আশ্চর্য্য! একজন রক্ষক বলল “শালা রোজ রোজ খদ্দের বাড়ছে, বাড়িতে বৌ বাচ্চা আছে, এত দেরি করে গেলে হয়?” লাইন এগোচ্ছে, দেশপ্রিয় ভাবছে “শালা? বৌ? এগুলোর মানে কি?”, মুখ টেপ আঁটা।

    ওদের পাশাপাশি দাঁড় করানো হল বিশাল একটা স্লাইডিং গেটের সামনে; গেট উঠতে দেখা গেল সামনে বিশাল একটা খাদ। কেউ হাত পা ছোঁড়ার চেষ্টা করছে, কারোর চোখ বন্ধ, কারোর চোখে প্রশান্ত হাসি। বেশি কিছু বোঝার আগে পড়তে লাগল সে, অনেক উঁচু থেকে, অনেক নীচে যাচ্ছে, কিন্তু করার কিছু নেই, খুব হালকা লাগছে, মস্তিষ্ক প্রক্ষালন মনে হয় কাজ দিচ্ছে, মাথাটা বেশ হালকা লাগছে,,,,........... আরেহ, মরে যাব তো!

    হকচকিয়ে ঘুমটা ভেঙে গেল, কোভিডের কেস দশ লাখ ছাড়িয়েছে।

    * * বিঃ দ্রঃ - যখন লিখেছিলাম তখন কোভিডে ভয় ছিল। তারপর সত্যি সত্যিই পাশবালিশ হয়ে গেল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Jhuma Samadder | ২১ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪৯100515
  • অসাধারণ!!! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন