হিন্দু সংহতি নতুন বায়না ধরেছে।
এরা আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষার জন্য কিচ্ছু করেনি। কিচ্ছু না। এরা না, কংগ্রেস না। কোনো কেন্দ্রীয় শক্তি না। এই যে বাংলায় আজ লিখতে পারছি, তার একটা বড়ো কৃতিত্ব বাংলাদেশী বাঙালিদের। আমরা এপারে কিছুই করিনি তা নয়, এই বাংলা লেখার কল, বাংলা সাইট, এসব আমাদের অনেকেই বানিয়েছেন। কিন্তু ফন্ট, বাংলাদেশ না থাকলে হতনা। যবে মাইক্রোসফট একটা বার করবে, তবে লিখব, এরকম একটা হাফ-সন্ন্যাসী মুডে উদাস হয়ে ঘুরে বেড়াতে হত। এবং অবশেষে হিন্দির দশ বছর পরে বাংলা লেখা শুরু করতে হত। তাও কোনো অখাদ্য ফন্টে।
এই কেন্দ্রীয় হিন্দু বা সেকুলার সংগঠনগুলো ভাষা নিয়ে কিচ্ছু করেনি কিন্তু তা নয়। দিব্যি করেছে। রাজভাষা প্রসার সমিতি বানিয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে। বোম্বে এবং বলিউডকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে মদত জুগিয়েছে। ইউনিকোড দেবনাগরী ফন্ট বানিয়েছে সরকারি খরচে। ইত্যাদি প্রভৃতি। পারলে এরা বাংলা ভাষাটাই তুলে দিয়ে স্রেফ হিন্দি রাখত। বাংল থাকত মৈথিলীর মতো প্রায়-উঠে-যাওয়া একট ভাষা হিসেবে। বস্তুত সেটাই এখনও উদ্দেশ্য। সেই জন্যই বাংলাদেশী বাংলাকে আলাদা করার প্রস্তাব। কিন্তু এদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশী এবং ভারতীয় বাঙালিদের উদ্যোগে, শ্রমে, আমরা এখনও বাংলা লিখছি, পড়ছি, লিখব। হিন্দু মুসলমান হিন্দুস্তানি সবরকম সংহতি গোল্লায় যাক।
একদমই তাই।
রামপ্রসাদ নো নো
বিদ্যাসাগর ইয়েস ইয়েস
এরকম হবে।
সেকি দিদি এবিষয়ে কিছু কর্ছেন না? ত্যানার অনুপ্রেরণা ছাড়া কি বাংলা ভাষা বাঁচানো সম্ভব? তিনি যে কথাঞ্জলি লিখলেন। সেটা দিয়ে বাংলা ভাষা বাঁচানো যাচ্ছেনা বুঝি? পরিবট্টন যে এখনো শেষ হয়নি, আরো আসিতেছে। অপেক্ষায় থাকুন।
সনাতনী বাংলা বলতে কী বুঝিয়েছেন ওঁরা? সাধু গদ্য কি?