জনসন্ত্রাসের রাজধানী : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | খবর : টুকরো খবর | ৩০ মার্চ ২০১৯ | ৯৫৩৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২৬
পুলাওয়ামা ঘটনার পর দেশপ্রেম আচমকা বেড়ে গেল সবার। তারিখটা আবার প্রেমের দিবসেরও। যাতে এইবার কেন জানি না ভগৎ সিং এর ফাঁসি ঠিক হয়ে ওঠেনি। তা, এই ঘটনার পর দেশের প্রধাণমন্ত্রী তো ভাষণে ফাটিয়ে দিতে থাকলেন। এক সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর বাইরে থেকে আওয়াজ পেয়ে বারান্দায় এসে দেখি মিছিল চলছে জনা পঞ্চাশ লোক, মোমবাতির বদলে হাতে মোবাইলের ফ্লাশলাইট। স্লোগান শুনলাম একবার ভারতমাতা কি জ্যায় পিছু পাঁচবার করে পাকিস্তান মুর্দাবাদ। বলা বাহুল্য পড়শী দেশের উল্লেখের সময়ে তাদের জোশ যেন ফেটে ফেটে বেরোচ্ছিল। পরে শুনি এই মিছিল ছোট ছোট করে সারা দেশে বেরিয়েছে, কলকাতাতেও। যেন রাস্তার ধারে পাকিস্তান বসে বিড়ি বাঁধছে বলে খবর, এরা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
প্রতি-আক্রমণকারী : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১৮৪৩ বার পঠিত
প্রতিবারই এটিএম থেকে টাকা তোলার পর আচমকাই নিজে থেকে কিছুটা সতর্ক হয়ে যায় সুজয়। জায়গাটা এমনিতে দিনমানে জমজমাট বেশ কয়েকটা ব্যাঙ্ক ও তাদের এটিএম রয়েছে। সামনে অনেকটা পার্কিঙ এর জায়গা। ব্যাঙ্ক গুলো ছাড়াও বেশ কিছু বীমা কোম্পানি, শেয়ার কোম্পানির অফিস, মোবাইলের ঝকঝকে দোকান এমনকি ভালো রেস্তোরাঁও রয়েছে এখানে। কিন্তু সুজয়ের টাকা তোলার সময়টায় জায়গাটা বড় শুনশান হয়ে যায়। অফিস থেকে ফেরার পথে এখানে গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলার সময় পার্কিং এ একটাও গাড়ি থাকে না। কচ্চিত একটা দুটো এটিএমে নড়বড়ে সিক্যুরিটি গার্ড থাকে, তারা গরমের দিনে এটিএমের মধ্যেই টুলে বসে ঝিমোয়। খুব একটা রাত্তির নয় যদিও, শহরে রাত সাড়ে ন’টা মানে সন্ধ্যাই। বাজার এলাকা এইসময়ে জমজমাট। এদিকের অফিস পাড়া যেন বড় বেশি ফাঁকা।
সুমন মান্নার কবিতা : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | কাব্য | ০৪ আগস্ট ২০১৮ | ১৭৬২ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
এখন সরব নয় গাছের পাতারা আর
সামান্য বর্ষায় ঝোলে ঝালে অম্বলে
দিনযাপনের পর মনে কিছু নেই তার
ঠিক কোন কথাগুলি ভেসে গেল জলে?
এখন কয়েকদিন ধরে বাসাগুলো সারাবে
পাখিরা ফের গুটি গুটি কুটোকাঠি জুড়ে
বর্ষার শেষে পিঁপড়েরা অফিসে বেরোবে
নতুন পাতারা স্কুলে এল আগমনী সুরে।
বর্ষার জলে গাছের অন্তর কেঁপে ওঠে
এখন সহজ রস শিরায় শিরায় ছমছমে
হয়ত শব্দ পায়, উচ্চারিত অদৃশ্য ঠোঁটে
শ্যাওলার কাঁথা পেতে ধরে যত জল জমে।
প্রতি বর্ষায় গাছ আয়ু থেকে বেড়েছে বয়েসে
যতখানি হারিয়েছে, তত বেশি জল ভালবাসে।
পড়তে থাকুন, এই বর্ষার কবিতাগুচ্ছ।
শেষ পরিচ্ছদ : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৯ মার্চ ২০১০ | ১৩১৫ বার পঠিত
সেসব কথা বাড়তে বাড়তে এখন পুরো আস্ত নদী। যে যার মতো মতো নৌকা ভাসায়, জল তোলে কেউ, কেউ বা কিছু না করে সেই নদীর দিকে তাকিয়ে থাকে। জলেই জল বাড়তে থাকে - পায়ের পাতা ভিজল যখন কেমন যে এক শিরশিরনি, এক গোড়ালি জল মানে সব জুতো মোজা যায় বগলে। হাঁটু জলে প্রথম টের পাচ্ছিল সেই স্রোতের আভাস।
নেট-এ লেখালেখি - বৈধতা ও এক্তিয়ার : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | বাকিসব : নেট-ঠেক-কড়চা | ২৮ মে ২০১২ | ১১৯৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৪
এখন এই এজমালি উঠোনে বলা সব কথা আমায় উদ্দেশ্য করে নয়, আমার বলাও নয়, বলাই বাহুল্য। সেখানে উচ্চারিত কোনো শব্দপ্রয়োগ কাউকে আঘাত করলে – ঔচিত্যবোধ বলবে -বাপু হে, এগিয়ে যাও – প্রতিবাদ রাখো। কিন্তু তা তো করিনা বেশিরভাগ সময়ে। প্রতিবাদ খুব বেশি হয়ে ওঠে না, সেই অনীহার পিছনে এক লোভ থাকে। আমার আড্ডার মৌতাত নষ্ট হয়ে যায় যদি। আরো একটা ব্যাপার থাকে – সেটা হল যাকে বা যাদের উদ্দেশ্যে বলা কথা ভালো লাগেনি, তার হয়ে বলতে গেলে যদি তার মনে হয় তার বা তাদের ব্যক্তিসত্তাকে অহেতুক করুণা দেখাচ্ছি – যদিও এটা অযুহাত হিসেবে রাখা গেল এখানে।
ডেরাইভার : সুমন মান্না
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ৮৮৫ বার পঠিত
যা চলে, তাই গাড়ি - না, ভুরু কুঁচকে তাকানর কিছু নেই এতে। আরে না, তা বলে গালে হাত দিয়ে ভাবতেও বলছি না। বলার কিছু নেই, শোনার কেউ নেই, তবুও কাগজে ছেপে তো আর পরিবেশ দূষণ করছি না যে হুট করে কেউ চেপে ধরবে। এই অনবাদী, বাস্পীয় মায়াভূমি বিস্তারে বহু যোজন। আমি লিখব - চালাব - কখনো দাঁড়িয়ে যাব চড়ুই পাখি দেখে। মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলে উঠব - যা চলে তাই গাড়ি।