ব্যক্তিগত তাই রাজনৈতিক : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৬ জুন ২০১৬ | ১০০১ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
নতুন কী লিখবো বলুন তো! আমি আপনাকে স্টেজে দেখিনি, আপনার নাকতলার দেড়তলা বাড়ির আড্ডা, দীপক মজুমদারের ‘বিসর্জন’-এ রঘুপতি আপনি, বাউলের আপনি, স্যাক্সোফোনের আপনি- কোনোটাই আমার জানা-চেনা নেই। আপনার বানানো ডকুমেন্টারি, ‘সময়’, ‘নাগমতী’ও দেখিনি।এদিক-ওদিক থেকে কুড়িয়ে পেয়েছি ডিজিটাইজড কয়েকটুকরো মহীন, অ্যালবামের সঙ্গে বেরোনো বই, লাইভ শোয়ের রেকর্ডিং, আর চেনাশোনা লোকজনের কাছ থেকে মহীন-মিথের ভাষ্য, এতেই হাতড়ে হাতড়ে বোঝার চেষ্টা করি। বেসিক্যালি, আপনাকে নিয়ে, আপনাদের নিয়ে একটা লাইন লেখার জন্য আমি কোয়ালিফাই-ই করি না, অনেস্টলি। প্লাস, এগুলো নিয়ে এত এত কথা হয়ে গেছে... তবু, আপনাকেই মুরশিদ মানি, তাই, দু’হাজার সালের বইমেলায় ‘গৌতম’ বেরোনোর পাক্কা তেরো বছর পর আরেকটা বইমেলায়, কয়েকটা প্রশ্ন করি? উত্তর পাওয়ার জন্য
লা টোম্যাটিনো : সুমন্ত মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ১১০৮ বার পঠিত
মেয়েদের ইজ্জত-সিকিউরিটির অজুহাত দেবেন না। ওরা বলেই দিয়েছে, প্রচুর বাউন্সার রাখবে, কেউ দুষ্টুমি করলেই ঘেঁটি ধরে বাইরে বের করে দেবে। অফিস টাইমের মেট্রোতে লোকে যা হাত চালায়, তার থেকেও বেশি সমস্যা হবে ওখানে গেলে?
দেওয়ালিতে গাদা গাদা প্রদীপ জ্বলে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং হয় না তাতে? দুর্গাপুজোর ভাসানে গঙ্গার জল নোংরা হয় না? আপনার পাড়ার পুজোর বাজেট কত? এক্সমাস কে তো আমরা কবেই নিজের করে নিয়েছি, টমেটো খেলাতেই দোষ? আর, ইকনমিক্স না বুঝুন, এটুকু তো বোঝেন, ডিমান্ড বাড়লেই দাম বাড়বে? আজ পনেরো টন, কাল পনেরোশো টন, টমেটো চাষীদের হাল ফিরে যাবে, এটুকু বুঝছেন না?
যত কান্ড যাদবপুরে - পর্ব এক : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৮৯২ বার পঠিত
কর্তৃপক্ষ, তাঁদের পক্ককেশের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বেশী বোঝেন, তাই তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের এই উপকারটা করেই ছাড়বেন, আর ছাত্র-ছাত্রীরা তা হতে দিতে নারাজ। কেউ কেউ বলছে, বিকেল-রাত্রে ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীরা গাঁজা খায়, মদ খায়, এগুলো ধরা পড়ে যাবে বলে নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের এই নজরদারিতে আপত্তি। গুরু, যখন এস্টেট সেকশনে গিয়ে বারবার বলা হয়েছে যে বাস্কেটবল কোর্টের পাশে বাইরের লোকজন এসে তামাক-পাতা খেয়ে ঝামেলা করছে, তখন তো গার্ডরা কেউ আসতেন না সামলাতে, সে ঝামেলা তো ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মত করেই বুঝে নিয়েছে এতদিন। কিম্বা, ক্যাম্পাসে ছেলেমেয়েরা চুমু খায় ও আরো নানা কিছু। তো? তাদের চুমু খাওয়ার লোক আছে, সাহসও আছে; আপনার নেই! এই ফ্রাস্ট্রেশন বুঝি :) আরেকটা কথা হলো, ক্যাম্পাসে মাওবাদীরা ঢোকে, সেটা আটকাতে হবে। ঢোকে তো ঢোকে। সে তো তিনোমুলও ঢোকে, পোমোরাও ঢোকে। সিপিয়েমের তো ঢোকার কিছু নেই, তারা ওখানেই থাকে :) এই যে দেবলীনা ক্যাম্পাসে এসে মিটিং করলো বলে এতো নকশাবাজি করলো আইবি, তারপর? সে তো সবার চোখের সামনেই ঘুরে বেড়ায়! সিসিটিভি দিয়ে কী আটকাতে চাইছেন? আর, মাওবাদীদের জন্য ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসাতে হবে, এই আব্দারটা কার? রাজ্য সরকারের, নাকি পুলিশের? তাহলে কি পুলিশের কথাতেই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়? নাকি, আসল কারণটা হলো, ক্যামেরা কেনার ষোলো লাখ টাকা?
কলিঙ্গনগর ২০১০ - পঞ্চম কিস্তি : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | খবর : টাটকা খবর | ১৮ মে ২০১০ | ৯৪৮ বার পঠিত
পুলিশের বক্তব্য অনুসারে লক্ষ্মণবাবুর দেহ পোস্টমর্টেমের পর বুধবার রাতেই তাঁর আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়, আর সেদিনই পুরীতে দাহ করা হয় দেহ। লালমোহন জামুদা, লক্ষ্মণ জামুদার ভাইপো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তাঁদেরকে মৃতদেহ দেখানো পর্যন্ত হয় নি। বারো তারিখ রাতেই তাঁকে কলিঙ্গনগরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর বোন শম্ভরি কুরলি ও তাঁর স্বামীকেও ডেকে পাঠানো হয়। তারপর ত্রিজঙ্গা গ্রামে তাঁদেরকে একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছিলো। সেখানে তাঁদের মারধোরও করা হয়, বলা হয় যে "বিস্থাপন বিরোধী জনম্ঞ্চ' এর সমর্থনের জন্য এই শাস্তি। পুলিশ তাঁদেরকে বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে।
যত কান্ড যাদবপুরে - পর্ব দুই : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২২ নভেম্বর ২০১০ | ৮৩৮ বার পঠিত
এবং শেষপাতে, ভিসি কা ইনসাফ! তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনা নিয়ে তদন্ত হবে| সে তদন্তের টিকিও আজ পর্যন্ত দেখা গ্যালো না| তিনি জানিয়েছিলেন, সব্বাই পরীক্ষা দেবে| কেউ দিলো না| মাসখানেক আগের কথা, বাহান্ন ঘন্টার ঘেরাওয়ের পর, যে রফা হয়েছিল, তাতে অধ্যাপকরা ওনার সাথে কথা বলে এসে জানান যে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তের পুরোটা নিয়েই ফের আলোচনা করা হবে| মিটিং ডাকা হলো, কিন্তু তাতে আলোচনার বিষয় বদলে গ্যালো| এরপরেও ওনার বিশ্বাসযোগ্যতা খুব থাকবে কি?
আমাদের দেড়শো টাকার লড়াই : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৬ আগস্ট ২০১০ | ৮১২ বার পঠিত
একের পর এক যুবকের মৃত্যু আর সহ্য হচ্ছিলো না আমাদের। শুধু তো মৃত্যুই না, রোজ রোজ লাঠি-কাঁদানে গ্যাসের আক্রমণ, যখন তখন বাড়িতে পুলিশ-সিআরপিএফের হামলা, রাস্তায় হঠাৎ করে তল্লাশীর নামে হেনস্থা-- এসবই তো আমাদের জীবনের অভ্যস্ততার মধ্যে ঢুকে গেছলো! অবশেষে, সব জড়তা কাটিয়ে রাস্তায় নামতে পেরেছিলাম, চেয়েছিলাম আমাদেরকেও যেন মানুষ বলে ভাবা হয়! এই মৃত্যুগুলোর তদন্ত হোক, পুলিশ-সিআরপিএফের বাড়াবাড়ি বন্ধ হোক, দোষীদের শাস্তি হোক-- এটা চাওয়া কি সন্ত্রাসবাদ? এর জন্য ভারতের পুলিশ-সিআরপিএফ কি দিলো আমাদের? সোপোরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সাতাশ তারিখ ঠান্ডা মাথায় খুন করলো শাকিল আহমেদ গনাই (১৭), ফিরদৌস আহমেদ কাকরু (১৬), বিলাল আহমেদ ওয়ানি (২১) কে, আঠাশ তারিখ খুন হলো তাজমূল বসির (১৭), তওকির আহমেদ (১৯)। দক্ষিণ কাশ্মীরের ইসলামাবাদে ইশতিয়াক আহমেদ খান্ডে (১৫), ইমতিয়াজ আহমেদ ইটু (১৭), সুজত উল ইসলাম (১৬) কে গুলি করে মারলো সিআরপিএফ, ঊনত্রিশে জুন। বয়েস গুলো খেয়াল করুন। আপনার পাড়ার এই বয়েসের মুখগুলোকে ভাবুন, তাহলেই বুঝবেন কেন আজ আমিও পুলিশ-সিআরপিএফ-সেনার গাড়ি দেখলে নিজেকে সামলাতে পারি না, তিনরঙা পতাকাটা আমার দু'চোখের বিষ!
আয়লা টুর এবং : সুমন্ত এবং অরিজিৎ
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৪ জুন ২০০৯ | ৩০৮৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
কোথাও গেলে, ফিরে এসে সেটা নিয়ে লিখতে হয়। এটাই নিয়ম। তার ওপর, সেই জায়গাটা যদি হয় "আয়লা'-য় ভেসে যাওয়া সুন্দরবন, তবে তো লেখাটা একটা মাস্ট ডু লিস্টের মধ্যে পড়ে যায়। তাই লিখছি। তথ্য খুব কমই জানি, তাই মূলত: যা দেখেছি সেটাই লিখবো। কোনো থিয়োরী থাকবে না। নিছকই একটা "আয়লা ট্যুর' ভাবতে পারেন। "ট্যুর'-টা শুনতে বা বলতে খুব খারাপ লাগলো, আমাদের সাধ্যমত "ত্রাণ' দিতেই গিয়েছিলাম তো, কিন্তু বিশ্বাস করুন, শেষপর্যন্ত যা দেখলাম, তাতে ঐ "ত্রাণ' নিয়ে যাওয়াটা নিজের কাছে দেওয়ার জন্য একটা অজুহাত ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না।
প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজ: কিছু ঘটনা কিছু বক্তব্য : সুমন্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৬ এপ্রিল ২০০৯ | ৭৮৮ বার পঠিত
গত প্রায় মাসদুয়েক ধরে পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজে অশান্তি চলছে। এককালে রাজ্যব্যাপী শিল্পায়নের ধামাকার অংশ হিসেবে রাজ্যের কোণে কোণে যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে অনেক ঘটা করে চালু করা হয়েছিল, সেখানে ছাত্রদের বিক্ষোভ, গোলমাল চলছেই। দুর্গাপুর-আসানসোল-বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর থেকে শুরু করে বারুইপুর-সোনারপুর, এমনকি খোদ কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজেও চলেছে ঘেরাও, ক্লাস স্ট্রাইক। খবরের কাগজে যে খবর উহ্য থেকে গেছে।